বাংলাদেশ ০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
এপেক্স শো-রুমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি লাইব্রেরিয়ান রফিকুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলার আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। প্রচণ্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন: পথচারীদের সহায়তায় এগিয়ে আসছে তরুণ ঐক্য ব্লাড ডোনার ও স্বেচ্ছাসেবী ফাউন্ডেশন রাবিতে প্রথমবারের মতো হাসান আজিজুল হক সাহিত্য উৎসব অনুষ্ঠিত রাবিতে নেই অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র: উদ্বেগ প্রকাশ করে সংযুক্তের দাবি রাজশাহী নগরীর কেদুরমোড় এলাকার মাদক কারবারী তোসলি গ্রেফতার গণধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত প্রধান আসামী মোক্তার গ্রেফতার। পিরোজপুর জেলা সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের নতুন কমিটির পরিচিতি সভা প্রচণ্ড গরমের পর টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী‌তে স্বস্তির বৃষ্টি। কালকিনিতে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় আজ শুভ উদ্বোধন হলো শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম। পাথরঘাটায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাইবার মামলা প্রতিবাদে মানববন্ধন ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাঈল কর্তৃক বর্বর গনহত্যার প্রতিবাদে সিলেট মহানগর শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত। মুলাদী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার তালুকদারের উড়োজাহান প্রতিকের সমর্থনে গনসংযোগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সহ- সভাপতি হলেন কোরবান শেখ

হোসেনপুরে বিলুপ্তির পথে বকপাখি

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:২৫:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১৬৩৬ বার পড়া হয়েছে

হোসেনপুরে বিলুপ্তির পথে বকপাখি

 

 

 

 

 

 

মাহফুজ হাসান, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে কালের পরিক্রমায় হারিয়ে যাচ্ছে বকপাখি। “ওই দেখা যায় তাল গাছ, ওই আমাদের গাঁ। ওই খানেতে বাস করে কানা বগীর ছা’ —ছোট বেলায় পাঠ্যবইয়ের পাতা উল্টিয়ে যখন কবিতার চরণগুলো পড়তাম, তখন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের খাল-বিল কিম্বা ছোট নদীর ধারে একদল  বকপাখি খেলা করছে, এমন দৃশ্য ভেসে ওঠতো।
এই তো কয়েক বছর আগেও ছিল  বকপাখির বিচরণ। সকাল বেলা পুকুর পাড়ে, বিল ও খালের ধারে, ক্ষেতের পাশে শিকারের অপেক্ষায় নিশ্চুপ বসে থাকা  বকপাখিটি দেখে মনের অজান্তেই ভাললাগা শুরু হতো। মিনিটপাঁচেক অপেক্ষার পর  বকটি টোপ করে তার লম্বা ঠোঁটে পুঁটিমাছ শিকার করে নিতো। আর তখনই কবির ভাষায় নিজের কল্পনাতে আঁকা ‘ও বগী তুই খাস কি? পান্তা ভাত চাস কি? পান্তা আমি খাই না পুঁটিমাছ পাই না, একটা যদি পাই অমনি ধরে গাপুসগুপুস খাই’ এই চরণগুলোর জ্যান্ত দৃশ্য দেখার সুযোগ হতো। তবে এখন আর কবিতার চরণের সঙ্গে বাস্তবে হোসেনপুরের গ্রামের খাল-বিলে সেই দৃশ্যপট চোখে পড়ে না। কেননা, সেই লম্বা ঠোঁটের অধিকারী বকের আবাসস্থলে মানুষ দিচ্ছে হানা। আর এতেই ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হচ্ছে ‘বক’। 
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখন আর খাবারের সন্ধানে বিল-নদী জলাশ্বয়ে আসা সাদা বকের খুব বেশি আর দেখা মেলেনা এ উপজেলায় । বনভূমি উজার আর কিছু অসাধু পাখি শিকারীদের দৌরাত্ম্যে হারিয়ে যেতে বসেছে এই বক। অথচ আমাদের বাংলা কবিতা ও সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশাল জায়গা দখল করে আছে বিভিন্ন রকমের বক। কখনও মেঘাচ্ছন্ন আকাশে ঝাঁক বেঁধে উড়ে চলা, কখনও দিগন্ত বিস্তৃত মাঠের সবুজ গালিচার সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে দিত ঝাঁকে ঝাঁকে এই সাদা বক। আবার কখনও দলবদ্ধ হয়ে উড়তে উড়তে একসময় মিশে যেত দূর আকাশ নিলীমায়। আর এই উড়ে যাওয়া মানেই প্রস্থান নয়। এক বিল থেকে অন্য বিলে অথবা দিন শেষে কোন বন কিম্বা বাঁশঝাড়ে নিজ নীড়ে ফিরে যেত এই বকগুলো। প্রকৃতিক নান্দনিক পাখি বক, বকের কলরব এখন শুধুই স্মৃতি হোসেনপুরে।
জনপ্রিয় সংবাদ

এপেক্স শো-রুমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি

হোসেনপুরে বিলুপ্তির পথে বকপাখি

আপডেট সময় ০২:২৫:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩

 

 

 

 

 

 

মাহফুজ হাসান, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে কালের পরিক্রমায় হারিয়ে যাচ্ছে বকপাখি। “ওই দেখা যায় তাল গাছ, ওই আমাদের গাঁ। ওই খানেতে বাস করে কানা বগীর ছা’ —ছোট বেলায় পাঠ্যবইয়ের পাতা উল্টিয়ে যখন কবিতার চরণগুলো পড়তাম, তখন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের খাল-বিল কিম্বা ছোট নদীর ধারে একদল  বকপাখি খেলা করছে, এমন দৃশ্য ভেসে ওঠতো।
এই তো কয়েক বছর আগেও ছিল  বকপাখির বিচরণ। সকাল বেলা পুকুর পাড়ে, বিল ও খালের ধারে, ক্ষেতের পাশে শিকারের অপেক্ষায় নিশ্চুপ বসে থাকা  বকপাখিটি দেখে মনের অজান্তেই ভাললাগা শুরু হতো। মিনিটপাঁচেক অপেক্ষার পর  বকটি টোপ করে তার লম্বা ঠোঁটে পুঁটিমাছ শিকার করে নিতো। আর তখনই কবির ভাষায় নিজের কল্পনাতে আঁকা ‘ও বগী তুই খাস কি? পান্তা ভাত চাস কি? পান্তা আমি খাই না পুঁটিমাছ পাই না, একটা যদি পাই অমনি ধরে গাপুসগুপুস খাই’ এই চরণগুলোর জ্যান্ত দৃশ্য দেখার সুযোগ হতো। তবে এখন আর কবিতার চরণের সঙ্গে বাস্তবে হোসেনপুরের গ্রামের খাল-বিলে সেই দৃশ্যপট চোখে পড়ে না। কেননা, সেই লম্বা ঠোঁটের অধিকারী বকের আবাসস্থলে মানুষ দিচ্ছে হানা। আর এতেই ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হচ্ছে ‘বক’। 
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখন আর খাবারের সন্ধানে বিল-নদী জলাশ্বয়ে আসা সাদা বকের খুব বেশি আর দেখা মেলেনা এ উপজেলায় । বনভূমি উজার আর কিছু অসাধু পাখি শিকারীদের দৌরাত্ম্যে হারিয়ে যেতে বসেছে এই বক। অথচ আমাদের বাংলা কবিতা ও সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশাল জায়গা দখল করে আছে বিভিন্ন রকমের বক। কখনও মেঘাচ্ছন্ন আকাশে ঝাঁক বেঁধে উড়ে চলা, কখনও দিগন্ত বিস্তৃত মাঠের সবুজ গালিচার সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে দিত ঝাঁকে ঝাঁকে এই সাদা বক। আবার কখনও দলবদ্ধ হয়ে উড়তে উড়তে একসময় মিশে যেত দূর আকাশ নিলীমায়। আর এই উড়ে যাওয়া মানেই প্রস্থান নয়। এক বিল থেকে অন্য বিলে অথবা দিন শেষে কোন বন কিম্বা বাঁশঝাড়ে নিজ নীড়ে ফিরে যেত এই বকগুলো। প্রকৃতিক নান্দনিক পাখি বক, বকের কলরব এখন শুধুই স্মৃতি হোসেনপুরে।