সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত হবিগঞ্জের মাধবপুর থানার তরুণী হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামীকে নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের নৃশংস ও ঘৃণ্যতম অপরাধ বিশেষ করে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক ও ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। ধর্ষণ এবং নারীর প্রতি যেকোন ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে র্যাবের প্রতিটি সদস্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে নারী ও শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ বাসযোগ্য সমাজ তথা দেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
গত ১৯ এপ্রিল ২০২২ তারিখ হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানাধীন বাঘাসুরা ইউনিয়নের এক তরুনীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাম হাতের কবজিসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করে তরুনী কর্তৃক প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হওয়া বখাটে যুবক ও তার বন্ধুরা। গুরুতর জখম প্রাপ্ত তরুনীকে প্রথমে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ০৬জনকে আসামী করে গত ২৫ এপ্রিল ২০২২ তারিখ ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহার দাখিল করেন। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি মিডিয়ার মাধ্যমে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনার ঝড় তুলে। এর প্রেক্ষিতে আসামিদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব-৯ তার গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে। ৩। এরই ধারাবাহিকতায় প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৯ এর একটি আভিযানিক দল উক্ত মামলার প্রধান আসামী মাহাবুবুর রহমান @ সুমন মিয়া (২২), পিতা- মারুফ মিয়া, গ্রাম- মানিকপুর (শাহজিবাজার), উপজেলা- মাধবপুর, জেলা- হবিগঞ্জ’কে অদ্য ২৮ এপ্রিল ২০২২ তারিখ ভোর ০৪.৩০ ঘটিকায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করে।
ঘটনার বিবরণ ও আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী মাহবুবুর রহমান@ সুমন মিয়া ভিকটিমকে গত কয়েক মাস ধরে বিভিন্নভাবে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল এবং প্রেমে ব্যর্থ হয়ে একাধিকবার ভিকটিমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। সর্বশেষ গত ১৯ এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখ রাত আনুমানিক ০৩.০০ ঘটিকায় ভিকটিম সেহেরি খাওয়ার জন্য বসতঘর থেকে বের হয়ে হাত মুখ ধোয়ার জন্য টিউবওয়েলের কাছে পানি আনতে যায়।
এ সময় মাহবুবুর রহমান@ সুমন মিয়া ভিকটিমকে ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে অন্যান্য আসামীদের সহযোগিতায় ভিকটিমের হাতের কব্জি এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর আঘাত করে। ভিকটিমের আত্ম চিৎকারে পরিবারের সদস্য ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামী নিজের কৃতকর্মের বিষয়টি স্বীকার করে। ঘটনায় ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার ও অন্যান্য পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৯ এর চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত থাকবে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ সহ মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতারকৃত আসামীকে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।