বাংলাদেশ ০৯:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
অভিযোগের ব্যাপারে যা বললেন অধ্যাপক ড. শরীফুল করিম বাবুগঞ্জে গৃহবধূ আত্ম হত্যা নয়, হত্যা।অভিযোগ গৃহবধু শিউলির পরিবারের দৌলতখানে জয়নুল আবদীন ল্যাবরেটরীতে আড়ম্বরপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচ সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করলেন বদলগাছী থানার নবাগত ওসি।  সাবেক এমপির ভাঙচুরকৃত কবর পরিদর্শনে বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ গৌরনদীতে চাঁদাবাজি মামলা করে বাদী বিপাকে পরে বসত ভিটা ছাড়ার অভিযোগ অবশেষে শিক্ষক কনিকা মুখার্জির অলিখিত সাদা কাগজে সই দিয়ে পদত্যাগ পিরোজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাথে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় কয়রায় অনলাইন জুয়া ও পারিবারিক কলহে যুবকের আত্মহত্যা সিলেট বিভাগে নারী আন্দোলনের দামিনামা নিয়ে আলোচনা। বুড়িচংয়ে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার হোসেনপুরে ঈদেমিল্লাদুন্নবী উপলক্ষে হামদ নাথ কেরাত গজল প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত ০৮ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি দল। কেন্দ্রীয় কারাগার হতে পলাতক হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন আসামী গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। পিরোজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলোচনা সভায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৭

কচুয়ায় অবৈধ উপায়ে ভোটার পরিবর্তন করে জালিয়াতির মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হলেন ঝুমা ভট্টাচার্য

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:০০:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪
  • ১৬১৬ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

উজ্জ্বল কুমার দাস, কচুয়া (বাগেরহাট) প্রতিনিধি।।

বাগেরহাটের কচুয়ায় অবৈধ উপায়ে ভোটার পরিবর্তন করে জালিয়াতির মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঝুমা ভট্টাচার্য।

প্রত্যক্ষ সুত্রে জানাযায়, গত ২০২৩ সালে ২৩ মার্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এর সার্কুলার প্রকাশ হলে বাগেরহাট সদর উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা হওয়া স্বত্বেও কচুয়া উপজেলার বাসিন্দা হয়ে কাগজপত্র জালিয়াতি করে আবেদন করেন শিক্ষিকা ঝুমা ভট্টাচার্য।

এদিকে ২০২৪ সালে ৩রা ফেব্রুয়ারী লিখিত পরিক্ষার তারিখ প্রকাশ হলে তরিঘরি করে শিক্ষিকার স্বামী বিপ্লব গোস্বামী কচুয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে চাকরির সুবাদে ঐ মাসের ২৯ ফেব্রুয়ারী ভোটার পরিবর্তন করার জন্য স্বামী স্ত্রী উভয় আবেদন করেন কিন্তু অলৌকিক উপায়ে মাত্র ২ দিনের মধ্যে ৩১ ফেব্রুয়ারী ভোটার আইডি কার্ড হাতে পায় বলে জানাযায়।

এ বিষয়ে কচুয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার হিমাশু কুমার বিশ্বাস ভোটার পরিবর্তন ও কাগজ পত্র বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এই বিষয়ে স্পষ্ট ভাবে জানিনা তবে আবেদনের জন্য সাধারনত জায়গা জমির দলিল, বিদ্যুৎ বিলের কাগজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রত্যয়ন ও সনাক্তকারী থাকতে হয়।

তবে সেখানে সাংবাদিকরা তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করলে নির্বাচন অফিসার গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি। তবে নির্বাচন অফিসে চাকরিরত বিপ্লব গোস্বামীকে কাগজ পত্র আনার জন্য নির্বাচন অফিসার নির্দেশ দিলেও চালাকি করে স্টোরের চাবি নেই বলে জানান।তবে নির্বাচন অফিসে থাকা অবস্থায় সাংবাদিকরা সিসি ক্যামেরা ফুটেজে তাকে স্টোর ঘরে তালা মারতে দেখা যায়।

এই বিষয়ে কচুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিকদার হাদিউজ্জামান হাদিজ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাধারনত প্রত্যয়ন নিতে গেলে স্থানীয় বাসিন্দা হতে হয় সেখানে জায়গা জমির দলিল বা রেজিষ্টিকৃত টোকেন দেখাতে হয় তবে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কিছু দেখাতে পারেনি।

তবে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হলে চেয়ারম্যান বলেন, সে যদি জায়গার দলিল বা টোকেন না দেখাতে পারে আমি তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়ার কথা বলেও কোন ব্যাবস্থা নেয়নি।

তবে অনুসন্ধানীভাবে তথ্য নিয়ে দেখা যায়, অবৈধভাবে ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হওয়ার জন্য প্রত্যয়ন পত্র দিলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরির জন্য চুড়ান্ত কাগজপত্রর জন্য চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট দেন ৪ নং ওয়ার্ডের। তবে সকল বিষয়ে অনুসন্ধান করে দেখা যায় পুরো চাকরিটা নিয়েছেন জালজালিয়াতি মাধ্যমে।

এ বিষয় ঐ শিক্ষিকার স্বামী বিপ্লব গোস্বামী কাছে চাকরির আবেদন ২৩ সালে ভোটার পরিবর্তন ২৪ সালে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উত্তর দিতে পারেনি এছারা তিনি কোন ওয়ার্ডের বাসিন্দা সেটাও ঠিকমত বলতে পারেনি। তবে জায়গা জমির বিষয়ে জানতে চাইলে রেগে গিয়ে তিনি বলেন আমার জাইগা আছে। তবে জায়গার দলিল অথবা টিকিট দেখাতে পারেনি।

কচুয়া উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক চাকরি প্রত্যাশীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের স্থানীয় বাসিন্দা হয়েও ভাইভা বোর্ড থেকে কষ্ট নিয়ে ফিরতে হয়। কিন্তু এই আবেদ আলীদের সহযোগীতায় অবৈধভাবে আবেদন করে কি করে চাকরি নেয় বিষয়টি বাগেরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সঠিকভাবে তদারকি করার জন্য অনুরোধ জানাই।

তবে স্থানীয় সুশীল সমাজের ব্যাক্তিবর্গ এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন ভোটার আইডি কার্ড পরিবর্তন করার আগে কিভাবে কচুয়া উপজেলার নাম উল্লেখ্য করেছে এই বিষয়ে সঠিক তদন্ত করার জন্য বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অনুরোধ করি।

এবিষয়ে সাংবাদিকরা অনুসন্ধান করে জানতে পারে, এই চাকরি নেওয়ার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কাগজ পত্র জাল-জালিয়াতী করে চাকরি নিয়েছেন।

বাগেরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ডিপিও) বলেন, এই বিষয়ে এখনো কোন তথ্য পায়নি তবে বিষয়টি যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে বাগেরহাট জেলা শিক্ষা অফিস প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে।

এদিকে কচুয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোসাঃ শামসুন্নাহার বলেন, জালিয়াতি করে চাকরি নেওয়ার কোন সুযোগ নেই কারন নিয়োগ পত্রে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ্য আছে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে যদি চাকরি বিষয়ে অবৈধ ও কাগজপত্র জালিয়াতির প্রমান পাওয়া যায় তাহলে নিয়োগ বোর্ড চাকরি থেকে অব্যাহতি দিতে বাধ্য থাকিবে।

ব্যবসায়ী মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, আসলে এই বিষয় সঠিক তদন্তর মাধ্যমে বিষয়টি সুরহা হওয়ার দরকার, কারন এত ওভার কনফিডেন্সে ভোটার পরিবর্তন করা সহ প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র তরিঘরি করে প্রস্তুত করা চাকরি হচ্ছেই এত ওভার কনফিডেন্স হওয়ায় নিজের কাছে প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে বলে জানান।

ঐ শিক্ষিকা (ঝুমা ভট্টাচার্য) এখন কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের পি,কে সম্মানকাঠি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন। তার প্রকৃত বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়েনের রাখালগাছি গ্রামে। তার স্বামী (বিপ্লব গোস্বামী) বাড়ি একই উপজেলার শ্রীঘাট ইউনিয়নে।

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

অভিযোগের ব্যাপারে যা বললেন অধ্যাপক ড. শরীফুল করিম

কচুয়ায় অবৈধ উপায়ে ভোটার পরিবর্তন করে জালিয়াতির মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হলেন ঝুমা ভট্টাচার্য

আপডেট সময় ০৪:০০:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪

 

 

 

উজ্জ্বল কুমার দাস, কচুয়া (বাগেরহাট) প্রতিনিধি।।

বাগেরহাটের কচুয়ায় অবৈধ উপায়ে ভোটার পরিবর্তন করে জালিয়াতির মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঝুমা ভট্টাচার্য।

প্রত্যক্ষ সুত্রে জানাযায়, গত ২০২৩ সালে ২৩ মার্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এর সার্কুলার প্রকাশ হলে বাগেরহাট সদর উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা হওয়া স্বত্বেও কচুয়া উপজেলার বাসিন্দা হয়ে কাগজপত্র জালিয়াতি করে আবেদন করেন শিক্ষিকা ঝুমা ভট্টাচার্য।

এদিকে ২০২৪ সালে ৩রা ফেব্রুয়ারী লিখিত পরিক্ষার তারিখ প্রকাশ হলে তরিঘরি করে শিক্ষিকার স্বামী বিপ্লব গোস্বামী কচুয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে চাকরির সুবাদে ঐ মাসের ২৯ ফেব্রুয়ারী ভোটার পরিবর্তন করার জন্য স্বামী স্ত্রী উভয় আবেদন করেন কিন্তু অলৌকিক উপায়ে মাত্র ২ দিনের মধ্যে ৩১ ফেব্রুয়ারী ভোটার আইডি কার্ড হাতে পায় বলে জানাযায়।

এ বিষয়ে কচুয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার হিমাশু কুমার বিশ্বাস ভোটার পরিবর্তন ও কাগজ পত্র বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এই বিষয়ে স্পষ্ট ভাবে জানিনা তবে আবেদনের জন্য সাধারনত জায়গা জমির দলিল, বিদ্যুৎ বিলের কাগজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রত্যয়ন ও সনাক্তকারী থাকতে হয়।

তবে সেখানে সাংবাদিকরা তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করলে নির্বাচন অফিসার গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি। তবে নির্বাচন অফিসে চাকরিরত বিপ্লব গোস্বামীকে কাগজ পত্র আনার জন্য নির্বাচন অফিসার নির্দেশ দিলেও চালাকি করে স্টোরের চাবি নেই বলে জানান।তবে নির্বাচন অফিসে থাকা অবস্থায় সাংবাদিকরা সিসি ক্যামেরা ফুটেজে তাকে স্টোর ঘরে তালা মারতে দেখা যায়।

এই বিষয়ে কচুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিকদার হাদিউজ্জামান হাদিজ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাধারনত প্রত্যয়ন নিতে গেলে স্থানীয় বাসিন্দা হতে হয় সেখানে জায়গা জমির দলিল বা রেজিষ্টিকৃত টোকেন দেখাতে হয় তবে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কিছু দেখাতে পারেনি।

তবে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হলে চেয়ারম্যান বলেন, সে যদি জায়গার দলিল বা টোকেন না দেখাতে পারে আমি তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়ার কথা বলেও কোন ব্যাবস্থা নেয়নি।

তবে অনুসন্ধানীভাবে তথ্য নিয়ে দেখা যায়, অবৈধভাবে ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হওয়ার জন্য প্রত্যয়ন পত্র দিলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরির জন্য চুড়ান্ত কাগজপত্রর জন্য চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট দেন ৪ নং ওয়ার্ডের। তবে সকল বিষয়ে অনুসন্ধান করে দেখা যায় পুরো চাকরিটা নিয়েছেন জালজালিয়াতি মাধ্যমে।

এ বিষয় ঐ শিক্ষিকার স্বামী বিপ্লব গোস্বামী কাছে চাকরির আবেদন ২৩ সালে ভোটার পরিবর্তন ২৪ সালে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উত্তর দিতে পারেনি এছারা তিনি কোন ওয়ার্ডের বাসিন্দা সেটাও ঠিকমত বলতে পারেনি। তবে জায়গা জমির বিষয়ে জানতে চাইলে রেগে গিয়ে তিনি বলেন আমার জাইগা আছে। তবে জায়গার দলিল অথবা টিকিট দেখাতে পারেনি।

কচুয়া উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক চাকরি প্রত্যাশীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের স্থানীয় বাসিন্দা হয়েও ভাইভা বোর্ড থেকে কষ্ট নিয়ে ফিরতে হয়। কিন্তু এই আবেদ আলীদের সহযোগীতায় অবৈধভাবে আবেদন করে কি করে চাকরি নেয় বিষয়টি বাগেরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সঠিকভাবে তদারকি করার জন্য অনুরোধ জানাই।

তবে স্থানীয় সুশীল সমাজের ব্যাক্তিবর্গ এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন ভোটার আইডি কার্ড পরিবর্তন করার আগে কিভাবে কচুয়া উপজেলার নাম উল্লেখ্য করেছে এই বিষয়ে সঠিক তদন্ত করার জন্য বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অনুরোধ করি।

এবিষয়ে সাংবাদিকরা অনুসন্ধান করে জানতে পারে, এই চাকরি নেওয়ার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কাগজ পত্র জাল-জালিয়াতী করে চাকরি নিয়েছেন।

বাগেরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ডিপিও) বলেন, এই বিষয়ে এখনো কোন তথ্য পায়নি তবে বিষয়টি যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে বাগেরহাট জেলা শিক্ষা অফিস প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে।

এদিকে কচুয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোসাঃ শামসুন্নাহার বলেন, জালিয়াতি করে চাকরি নেওয়ার কোন সুযোগ নেই কারন নিয়োগ পত্রে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ্য আছে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে যদি চাকরি বিষয়ে অবৈধ ও কাগজপত্র জালিয়াতির প্রমান পাওয়া যায় তাহলে নিয়োগ বোর্ড চাকরি থেকে অব্যাহতি দিতে বাধ্য থাকিবে।

ব্যবসায়ী মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, আসলে এই বিষয় সঠিক তদন্তর মাধ্যমে বিষয়টি সুরহা হওয়ার দরকার, কারন এত ওভার কনফিডেন্সে ভোটার পরিবর্তন করা সহ প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র তরিঘরি করে প্রস্তুত করা চাকরি হচ্ছেই এত ওভার কনফিডেন্স হওয়ায় নিজের কাছে প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে বলে জানান।

ঐ শিক্ষিকা (ঝুমা ভট্টাচার্য) এখন কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের পি,কে সম্মানকাঠি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন। তার প্রকৃত বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়েনের রাখালগাছি গ্রামে। তার স্বামী (বিপ্লব গোস্বামী) বাড়ি একই উপজেলার শ্রীঘাট ইউনিয়নে।