বাংলাদেশ ০২:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ব্রাহ্মণপাড়ায় টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে যেতে পারে কৃষকের স্বপ্ন, দ্বিগুণ ক্ষতির শঙ্কা ভয়ংকর মাদক ব্যবসায়ী শামীমের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী নবম গ্রেড হতে পারে মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়নের ভিত্তি বুড়িচংয়ে স্কুলের ছাত্রের নিখোঁজের ৬ দিন পর পুকুর থেকে ভাসমান লাশ উদ্ধার যারা চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী তারা আমার কর্মী নয় এবং বিএনপি’র কেউ না-শফিকুর রহমান কিরন। ইলিশ মাছের দাম বেশী হওয়া সাধারণ মানুষ ইলিশ খেতে পারেনা: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। হোসেনপুরে প্রকাশ্যে দিবালোকে ইসলামিক স্থাপনা ভাঙচুরের চেষ্টা জাকারিয়া সরদার হত্যা মামলার প্রধান আসামী মোঃ নজরুল ইসলাম লাল্টুকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬। রাঙ্গাবালীতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন বাঙ্গু হত্যা মামলার আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। মির্জাগঞ্জে বিএনপির অফিস ভাঙচুর যুবলীগ নেতা গ্রেফতার জামালপুরে বিশ্ব শিক্ষক দিবস ২০২৪ উদযাপিত খানসামা সাংবাদিকদের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ১৬০০ মিটার রাস্তা পাকা না হওয়ায় হাজারো মানুষের জনদুর্ভোগ চরমে। হযরত মুহাম্মদ (সা:) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে বদলগাছীতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি।।ব্রহ্মপুত্রের ৩টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর।। ৯০ হাজার মানুষ পানিবন্দি 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৫৭:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪
  • ১৬১৯ বার পড়া হয়েছে

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি।।ব্রহ্মপুত্রের ৩টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর।। ৯০ হাজার মানুষ পানিবন্দি 

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়ে পড়েছে নতুন নতুন এলাকা।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৫১ সেন্টিমিটার এবং হাতিয়া পয়েন্ট বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অপর দিকে, কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি,পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার এবং শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ধরলার পানি সামান্য হ্রাস পেয়ে বিপদসীমা নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যার পানি প্রবেশ করায় জেলায় শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যার পানিতে প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। 

নদ-নদী তীরবর্তী চর ও নিম্নাঞ্চলের বসতভিটায় পানি প্রবেশ করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষজন। অনেক পরিবার গবাদিপশু সহ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।

এছাড়াও বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে, আমন বীজতলা, পাট ও মৌশুমী ফসলের ক্ষেত। কাঁচা-পাকা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এ অবস্থায় দুর্ভোগ বেড়েছে বানভাষীদের। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে অন্ততঃ ৩০ হাজার পরিবারের ৯০ হাজার মানুষ।

উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা উমর ফারুক বলেন, ব্রহ্মপুত্রের পানি ঘরের চারপাশে আসছে। গবাদিপশু নিয়ে চরসহ বানভাসি মানুষজন দুঃচিন্তায় আছে।

বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মুসার চরের মতিয়ার রহমান জানান, আমার চরের প্রতিটি বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। কেউ নৌকা, কেউ বা মাচান করে উঁচু স্থানে রয়েছেন। এখানকার প্রতিটা পরিবার খুব কষ্টে আছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান জানান, জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি আরও ৪৮ ঘন্টা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। ব্রহ্মপুত্রের পানি তিনটি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদ নদীর পানি বিপদসীমা নিচে রয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, এখন পর্যন্ত বানভাসীদের জন্য ৯ উপজেলায় ১৭৩ মেট্রিক টন চাল ও ১০ লক্ষ টাকা বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মজুত আছে ৬০০ মেট্রিক টন চাল ও ৩০ লাখ টাকা। যা পর্যায়ক্রমে বিতরন করা হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello

ব্রাহ্মণপাড়ায় টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে যেতে পারে কৃষকের স্বপ্ন, দ্বিগুণ ক্ষতির শঙ্কা

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি।।ব্রহ্মপুত্রের ৩টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর।। ৯০ হাজার মানুষ পানিবন্দি 

আপডেট সময় ১১:৫৭:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়ে পড়েছে নতুন নতুন এলাকা।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৫১ সেন্টিমিটার এবং হাতিয়া পয়েন্ট বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অপর দিকে, কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি,পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার এবং শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ধরলার পানি সামান্য হ্রাস পেয়ে বিপদসীমা নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যার পানি প্রবেশ করায় জেলায় শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যার পানিতে প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। 

নদ-নদী তীরবর্তী চর ও নিম্নাঞ্চলের বসতভিটায় পানি প্রবেশ করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষজন। অনেক পরিবার গবাদিপশু সহ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।

এছাড়াও বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে, আমন বীজতলা, পাট ও মৌশুমী ফসলের ক্ষেত। কাঁচা-পাকা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এ অবস্থায় দুর্ভোগ বেড়েছে বানভাষীদের। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে অন্ততঃ ৩০ হাজার পরিবারের ৯০ হাজার মানুষ।

উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা উমর ফারুক বলেন, ব্রহ্মপুত্রের পানি ঘরের চারপাশে আসছে। গবাদিপশু নিয়ে চরসহ বানভাসি মানুষজন দুঃচিন্তায় আছে।

বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মুসার চরের মতিয়ার রহমান জানান, আমার চরের প্রতিটি বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। কেউ নৌকা, কেউ বা মাচান করে উঁচু স্থানে রয়েছেন। এখানকার প্রতিটা পরিবার খুব কষ্টে আছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান জানান, জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি আরও ৪৮ ঘন্টা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। ব্রহ্মপুত্রের পানি তিনটি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদ নদীর পানি বিপদসীমা নিচে রয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, এখন পর্যন্ত বানভাসীদের জন্য ৯ উপজেলায় ১৭৩ মেট্রিক টন চাল ও ১০ লক্ষ টাকা বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মজুত আছে ৬০০ মেট্রিক টন চাল ও ৩০ লাখ টাকা। যা পর্যায়ক্রমে বিতরন করা হবে।