বাংলাদেশ ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ব্রাহ্মণপাড়ায় টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে যেতে পারে কৃষকের স্বপ্ন, দ্বিগুণ ক্ষতির শঙ্কা ভয়ংকর মাদক ব্যবসায়ী শামীমের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী নবম গ্রেড হতে পারে মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়নের ভিত্তি বুড়িচংয়ে স্কুলের ছাত্রের নিখোঁজের ৬ দিন পর পুকুর থেকে ভাসমান লাশ উদ্ধার যারা চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী তারা আমার কর্মী নয় এবং বিএনপি’র কেউ না-শফিকুর রহমান কিরন। ইলিশ মাছের দাম বেশী হওয়া সাধারণ মানুষ ইলিশ খেতে পারেনা: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। হোসেনপুরে প্রকাশ্যে দিবালোকে ইসলামিক স্থাপনা ভাঙচুরের চেষ্টা জাকারিয়া সরদার হত্যা মামলার প্রধান আসামী মোঃ নজরুল ইসলাম লাল্টুকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬। রাঙ্গাবালীতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন বাঙ্গু হত্যা মামলার আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। মির্জাগঞ্জে বিএনপির অফিস ভাঙচুর যুবলীগ নেতা গ্রেফতার জামালপুরে বিশ্ব শিক্ষক দিবস ২০২৪ উদযাপিত খানসামা সাংবাদিকদের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ১৬০০ মিটার রাস্তা পাকা না হওয়ায় হাজারো মানুষের জনদুর্ভোগ চরমে। হযরত মুহাম্মদ (সা:) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে বদলগাছীতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ভয়ংকর মাদক ব্যবসায়ী শামীমের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৫৪:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪
  • ১৫৯১ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

নাজিরপুর প্রতিনিধিঃ

মোহাম্মদ শামীম শেখ পিতা দেলোয়ার হোসেন পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের বড়ই বুনিয়ার বাসিন্দা, বড়ই বুনিয়া সহ আশেপাশের আরো কয়েকটি গ্রামে গড়ে তুলেছেন মাদকের এক বিশাল সাম্রাজ্য, রয়েছে ২০ থেকে ৩০ জনের একটি বিশাল বাহিনী, বড়ইবুনিয়া হোগলা বুনিয়া গ্রামসহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামে প্রকাশ্য মাদক বিক্রয় করেন তিনি মাদকের বিরুদ্ধে যদি কেউ প্রতিবাদ করে তার ওপরে নেমে আসে বিভিন্ন ধরনের পাশবিক নির্যাতন ও সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার করেন তার বিরুদ্ধে ভয় কেউ কথা বলার সাহস রাখেনা। কেউ থানায় অথবা প্রশাসনের তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে ভয় পায়, যদি কেউ প্রতিবাদ করে তাহলে তাকে হুমকি দেয় তোর ঘরে ইয়াবা রেখে তোকেই মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে পুলিশ গিয়ে ধরিয়ে দিব।

নাজিরপুরে প্রতিটা মাদকবিরোধী অভিযানে প্রথম কাতারে তার নাম থাকতো বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাব খাটিয়ে প্রতিবারই তার নাম মাদকের লিস্ট থেকে সরিয়ে দিতেন আর পুলিশি অভিযান শুরু হলে আত্মগোপনে চলে যান খুলনা সোনাডাঙ্গায়।

তার আপন বড় ভাই একজন সমাজসেবক ও বিশিষ্ট ব্যবসাহিক শাহিন আলম বলেন, অনেক চেষ্টা করেছি ভাইকে এই পথ থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য উল্টো আমার বিরুদ্ধেই বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার করেছে ও হত্যার হুমকি দিয়েছে।

মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে তাই বাধ্য হয়ে আমি নিজেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি।

দুই সন্তানের জনক এই শামীম শেখের স্ত্রী পাখি আক্তার বলেন, বেশ কিছুদিন আগে তার থেকে বয়স বড় একটি মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের সময় হাতেনাতে এলাকাবাসী তাকে ধরে ফেলে এবং যারা তাকে হাতেনাতে ধরে তাদের নামেই সে আরো বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালায় এবং আমি স্ত্রী হিসেবে এর প্রতিবাদ করলে আমাকে নির্যাতন করে ও তার মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই আমার উপর অমানুষিক নির্যাতন করতো, অনেক প্রতিবাদ করেছি যে এই হারাম পথ ছেড়ে দাও কিন্তু কোন কাজ হয়নি, উল্টো আমাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতো বলতো তোর বাবার বাড়ি থেকে ১০ লাখ টাকা এনে দে তাহলে ব্যবসাটাকে আরও বড় করি সেই যৌতুক না দেওয়ার কারনে দুইটি সন্তান একজনের বয়স ১০ বছর আরেকজনের পাঁচ বছর এই সন্তান থাকার পরও বেআইনিভাবে আমাকে তালাক দিয়েছে এবং ওই মহিলার সঙ্গে সংসার করছে অথচ তার সন্তানদের কোন ভরণ পোষণ সে দেয় না, তার রয়েছে অনেক নারীদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক,আমি তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও যৌতুক বিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করেছি যা বর্তমানে চলমান রয়েছে।

 

অনুসন্ধানী প্রতিবেদকের কাছে রবিউল ইসলাম জয়, পান্না শেখ, রাজু, মারুফ মজুমদার, ইমরান হোসেন সহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো বিভিন্ন এলাকাবাসী বলেন, শুধু মাদক ব্যবসা না অনেক নারীর সাথে স্ত্রী থাকার পরও সে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করে প্রতিনিয়ত, বেশ কিছুদিন আগে রাতের বেলা আমরা এলাকাবাসী তাকে হাতেনাতে ধরেছি বিবস্ত্র অবস্থায় তাদেরকে অথচ আমাদের নামে উল্টো বিভিন্ন অপপ্রচার চালায় এর বিরুদ্ধে যে কথা বলে তার বাহিনী দিয়ে তার উপরে নির্যাতন করে রাতের আধারে বাসা বাড়িতে হামলা করে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন ধরনের নোংরা অপপ্রচার করেন যাতে অনেকেই সামাজিকভাবে হেও প্রতিপন্ন হয়ে যায় যার জন্য এর বিরুদ্ধে কেউ ভয়ে কথা বলে না আর এলাকার তরুণ যুব সমাজকে এই শামীম বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা করতে না পারলে সমগ্র গ্রাম তরুণ যুব সমাজ মাদকাসক্ত হয়ে পড়বে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক বলেন, অনেক কষ্ট করে ছেলেকে মাটিভাংগা ডিগ্রী কলেজে ভর্তি করেছিলাম এই শামীমের কারণে আমার ছেলেটি মাদকাসক্ত হয়ে গিয়েছে আজ আমার ছেলের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে গেছে এখনই যদি এর প্রতিকার না করা যায় আমার ছেলের মত আরও অনেক ছেলে মাদকের ছোবলে ধ্বংস হয়ে যাবে।

ইউপি সদস্য অনিরুজ্জামান অনিক বলেন, এই শামীম ব্যাপক শক্তিশালী ও রয়েছে তার সিন্ডিকেট বাহিনী তার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ এসেছে কিন্তু তার বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেনা রাতের আঁধারে বিভিন্ন মানুষের উপর নির্যাতন করে সে আমি অতীতে বহুবার প্রশাসনের কাছে তার বিষয়ে অবহিত করেছি কিন্তু বিগত সরকারের প্রভাব খাটিয়ে সে থাকতো সবকিছুর ঊর্ধ্বে ধরাছোঁয়ার বাহিরে বর্তমান সরকারের কাছে জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে এই বইবুনিয়া বাসিকে মাদকের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য।

মাটিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বিলু বলেন আমরা কি করবো বলেন, প্রতিবাদ করলে রাতের আঁধারে যেকোনো ভাবে হামলা চালাবে বিভিন্নভাবে হেউ প্রতিপন্ন করবে হুমকি ধামকি দিবে এটা তো প্রশাসনের কাজ আপনি খোঁজ নিয়ে দেখেন এলাকায় যারাই প্রতিবাদ করেছে তাদেরকেই বিভিন্নভাবে হয়রানি অত্যাচার করেছে।

নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম হাওলাদার বলেন, একটি স্পষ্ট মেসেজ দিতে তাই নাজিরপুরবাসীর উদ্দেশ্যে বর্তমান সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অবস্থান করেছে মাদক ব্যবসায়ী যত বড়ই প্রভাবশালী হোক না কেন বিন্দুমাত্র তাকে ছাড় দেওয়া হবে না এবং তার বিরুদ্ধে খুব দ্রুত আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব, যারা মাদক ব্যবসার সাথে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে জড়িত আপনারা আমাদেরকে লিখিত অভিযোগ জানান অথবা যে কোন ভাবে আমাদের কাছে তথ্য পৌঁছে দিন প্রয়োজনে আপনাদের নাম প্রকাশ করা হবে না নাজিরপুরে কোন মাদক ব্যবসায়ীকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।

শামীম শেখের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আপনারা যত বড় মাদক ব্যবসায়ী বলছেন আমি তত বড় ব্যবসায়ী না টুকটাক কিছু করতাম তবে এখন আর তেমন একটা করি না আর আপনারা নিউজ করে কিছুই করতে পারবেন না আপনাদের যা মনে চায় তাই লেখেন।

বর্তমানে তার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ উঠেছে নাজিরপুর ছাড়াও খুলনার সোনাডাঙ্গা বাজারে ছদ্মবেশ ধারণ করে আরও একটি মাদকের সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন তিনি খুলনার সোনাডাঙ্গা গিয়ে তিনি আত্মগোপন করেন এবং সেখানেও তিনি মাদকের একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন।

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello

ব্রাহ্মণপাড়ায় টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে যেতে পারে কৃষকের স্বপ্ন, দ্বিগুণ ক্ষতির শঙ্কা

ভয়ংকর মাদক ব্যবসায়ী শামীমের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

আপডেট সময় ০৯:৫৪:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

 

 

 

নাজিরপুর প্রতিনিধিঃ

মোহাম্মদ শামীম শেখ পিতা দেলোয়ার হোসেন পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের বড়ই বুনিয়ার বাসিন্দা, বড়ই বুনিয়া সহ আশেপাশের আরো কয়েকটি গ্রামে গড়ে তুলেছেন মাদকের এক বিশাল সাম্রাজ্য, রয়েছে ২০ থেকে ৩০ জনের একটি বিশাল বাহিনী, বড়ইবুনিয়া হোগলা বুনিয়া গ্রামসহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামে প্রকাশ্য মাদক বিক্রয় করেন তিনি মাদকের বিরুদ্ধে যদি কেউ প্রতিবাদ করে তার ওপরে নেমে আসে বিভিন্ন ধরনের পাশবিক নির্যাতন ও সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার করেন তার বিরুদ্ধে ভয় কেউ কথা বলার সাহস রাখেনা। কেউ থানায় অথবা প্রশাসনের তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে ভয় পায়, যদি কেউ প্রতিবাদ করে তাহলে তাকে হুমকি দেয় তোর ঘরে ইয়াবা রেখে তোকেই মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে পুলিশ গিয়ে ধরিয়ে দিব।

নাজিরপুরে প্রতিটা মাদকবিরোধী অভিযানে প্রথম কাতারে তার নাম থাকতো বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাব খাটিয়ে প্রতিবারই তার নাম মাদকের লিস্ট থেকে সরিয়ে দিতেন আর পুলিশি অভিযান শুরু হলে আত্মগোপনে চলে যান খুলনা সোনাডাঙ্গায়।

তার আপন বড় ভাই একজন সমাজসেবক ও বিশিষ্ট ব্যবসাহিক শাহিন আলম বলেন, অনেক চেষ্টা করেছি ভাইকে এই পথ থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য উল্টো আমার বিরুদ্ধেই বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার করেছে ও হত্যার হুমকি দিয়েছে।

মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে তাই বাধ্য হয়ে আমি নিজেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি।

দুই সন্তানের জনক এই শামীম শেখের স্ত্রী পাখি আক্তার বলেন, বেশ কিছুদিন আগে তার থেকে বয়স বড় একটি মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের সময় হাতেনাতে এলাকাবাসী তাকে ধরে ফেলে এবং যারা তাকে হাতেনাতে ধরে তাদের নামেই সে আরো বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালায় এবং আমি স্ত্রী হিসেবে এর প্রতিবাদ করলে আমাকে নির্যাতন করে ও তার মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই আমার উপর অমানুষিক নির্যাতন করতো, অনেক প্রতিবাদ করেছি যে এই হারাম পথ ছেড়ে দাও কিন্তু কোন কাজ হয়নি, উল্টো আমাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতো বলতো তোর বাবার বাড়ি থেকে ১০ লাখ টাকা এনে দে তাহলে ব্যবসাটাকে আরও বড় করি সেই যৌতুক না দেওয়ার কারনে দুইটি সন্তান একজনের বয়স ১০ বছর আরেকজনের পাঁচ বছর এই সন্তান থাকার পরও বেআইনিভাবে আমাকে তালাক দিয়েছে এবং ওই মহিলার সঙ্গে সংসার করছে অথচ তার সন্তানদের কোন ভরণ পোষণ সে দেয় না, তার রয়েছে অনেক নারীদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক,আমি তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও যৌতুক বিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করেছি যা বর্তমানে চলমান রয়েছে।

 

অনুসন্ধানী প্রতিবেদকের কাছে রবিউল ইসলাম জয়, পান্না শেখ, রাজু, মারুফ মজুমদার, ইমরান হোসেন সহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো বিভিন্ন এলাকাবাসী বলেন, শুধু মাদক ব্যবসা না অনেক নারীর সাথে স্ত্রী থাকার পরও সে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করে প্রতিনিয়ত, বেশ কিছুদিন আগে রাতের বেলা আমরা এলাকাবাসী তাকে হাতেনাতে ধরেছি বিবস্ত্র অবস্থায় তাদেরকে অথচ আমাদের নামে উল্টো বিভিন্ন অপপ্রচার চালায় এর বিরুদ্ধে যে কথা বলে তার বাহিনী দিয়ে তার উপরে নির্যাতন করে রাতের আধারে বাসা বাড়িতে হামলা করে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন ধরনের নোংরা অপপ্রচার করেন যাতে অনেকেই সামাজিকভাবে হেও প্রতিপন্ন হয়ে যায় যার জন্য এর বিরুদ্ধে কেউ ভয়ে কথা বলে না আর এলাকার তরুণ যুব সমাজকে এই শামীম বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা করতে না পারলে সমগ্র গ্রাম তরুণ যুব সমাজ মাদকাসক্ত হয়ে পড়বে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক বলেন, অনেক কষ্ট করে ছেলেকে মাটিভাংগা ডিগ্রী কলেজে ভর্তি করেছিলাম এই শামীমের কারণে আমার ছেলেটি মাদকাসক্ত হয়ে গিয়েছে আজ আমার ছেলের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে গেছে এখনই যদি এর প্রতিকার না করা যায় আমার ছেলের মত আরও অনেক ছেলে মাদকের ছোবলে ধ্বংস হয়ে যাবে।

ইউপি সদস্য অনিরুজ্জামান অনিক বলেন, এই শামীম ব্যাপক শক্তিশালী ও রয়েছে তার সিন্ডিকেট বাহিনী তার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ এসেছে কিন্তু তার বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেনা রাতের আঁধারে বিভিন্ন মানুষের উপর নির্যাতন করে সে আমি অতীতে বহুবার প্রশাসনের কাছে তার বিষয়ে অবহিত করেছি কিন্তু বিগত সরকারের প্রভাব খাটিয়ে সে থাকতো সবকিছুর ঊর্ধ্বে ধরাছোঁয়ার বাহিরে বর্তমান সরকারের কাছে জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে এই বইবুনিয়া বাসিকে মাদকের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য।

মাটিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বিলু বলেন আমরা কি করবো বলেন, প্রতিবাদ করলে রাতের আঁধারে যেকোনো ভাবে হামলা চালাবে বিভিন্নভাবে হেউ প্রতিপন্ন করবে হুমকি ধামকি দিবে এটা তো প্রশাসনের কাজ আপনি খোঁজ নিয়ে দেখেন এলাকায় যারাই প্রতিবাদ করেছে তাদেরকেই বিভিন্নভাবে হয়রানি অত্যাচার করেছে।

নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম হাওলাদার বলেন, একটি স্পষ্ট মেসেজ দিতে তাই নাজিরপুরবাসীর উদ্দেশ্যে বর্তমান সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অবস্থান করেছে মাদক ব্যবসায়ী যত বড়ই প্রভাবশালী হোক না কেন বিন্দুমাত্র তাকে ছাড় দেওয়া হবে না এবং তার বিরুদ্ধে খুব দ্রুত আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব, যারা মাদক ব্যবসার সাথে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে জড়িত আপনারা আমাদেরকে লিখিত অভিযোগ জানান অথবা যে কোন ভাবে আমাদের কাছে তথ্য পৌঁছে দিন প্রয়োজনে আপনাদের নাম প্রকাশ করা হবে না নাজিরপুরে কোন মাদক ব্যবসায়ীকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।

শামীম শেখের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আপনারা যত বড় মাদক ব্যবসায়ী বলছেন আমি তত বড় ব্যবসায়ী না টুকটাক কিছু করতাম তবে এখন আর তেমন একটা করি না আর আপনারা নিউজ করে কিছুই করতে পারবেন না আপনাদের যা মনে চায় তাই লেখেন।

বর্তমানে তার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ উঠেছে নাজিরপুর ছাড়াও খুলনার সোনাডাঙ্গা বাজারে ছদ্মবেশ ধারণ করে আরও একটি মাদকের সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন তিনি খুলনার সোনাডাঙ্গা গিয়ে তিনি আত্মগোপন করেন এবং সেখানেও তিনি মাদকের একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন।