বাংলাদেশ ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ব্রাহ্মণপাড়ায় টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে যেতে পারে কৃষকের স্বপ্ন, দ্বিগুণ ক্ষতির শঙ্কা ভয়ংকর মাদক ব্যবসায়ী শামীমের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী নবম গ্রেড হতে পারে মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়নের ভিত্তি বুড়িচংয়ে স্কুলের ছাত্রের নিখোঁজের ৬ দিন পর পুকুর থেকে ভাসমান লাশ উদ্ধার যারা চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী তারা আমার কর্মী নয় এবং বিএনপি’র কেউ না-শফিকুর রহমান কিরন। ইলিশ মাছের দাম বেশী হওয়া সাধারণ মানুষ ইলিশ খেতে পারেনা: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। হোসেনপুরে প্রকাশ্যে দিবালোকে ইসলামিক স্থাপনা ভাঙচুরের চেষ্টা জাকারিয়া সরদার হত্যা মামলার প্রধান আসামী মোঃ নজরুল ইসলাম লাল্টুকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬। রাঙ্গাবালীতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন বাঙ্গু হত্যা মামলার আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। মির্জাগঞ্জে বিএনপির অফিস ভাঙচুর যুবলীগ নেতা গ্রেফতার জামালপুরে বিশ্ব শিক্ষক দিবস ২০২৪ উদযাপিত খানসামা সাংবাদিকদের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ১৬০০ মিটার রাস্তা পাকা না হওয়ায় হাজারো মানুষের জনদুর্ভোগ চরমে। হযরত মুহাম্মদ (সা:) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে বদলগাছীতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ব্রাহ্মণপাড়ায় টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে যেতে পারে কৃষকের স্বপ্ন, দ্বিগুণ ক্ষতির শঙ্কা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:০৩:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪
  • ১৫৭৮ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

মোঃ অপু খান চৌধুরী।।

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় টানা ৩ দিনের ভারী বৃষ্টিতে আবারও আমন ধানের চারা ও রোপনকৃত জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এ বছর উপজেলায় আকস্মিক ভয়াবহ বন্যায় আরও একবার আমনের বীজতলাসহ অন্যান্য ক্ষেতখামার ডুবেছিল। ফলে কৃষকের দ্বিগুণ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা বন্যার পানি কমে গেলে পুনরায় আমনের বীজতলা তৈরি করে এবং ক্ষেতে আমন ধানের চারা রোপন করে। কিন্তু এখন টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে জমি পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকের হাহাকার বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্বিগুন টাকা খরচ হওয়ার পরেও জমিতে চারা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় কৃষকের এখন মাথায় হাত। এছাড়া অনেক কৃষক অধিক দাম দিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে আমনের চারা ক্রয় করে রোপণ করেছিল কিন্তু এখন সব পানির নিচে চলে যাওয়ায় দ্বিগুণ ক্ষতির আশঙ্কায় কৃষকেরা।

এ ব্যাপারে উপজেলা ধান্যদৌল গ্রামের কৃষক জামাল মিয়া জানান, গত বন্যার আগে ৬০ শতক জমি রোপনের জন্য বীজতলা তৈরি করেছিলাম।

বন্যার পানিতে ডুবে সব পঁচে যায়। এখন আবার ধান কিনে বীজতলা তৈরি করে ৬০ শতক জমি রোপন করেছিলাম এখন বৃষ্টিতে সব তলিয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি না কমলে এবছর আমন ধানে দ্বিগুণ ক্ষতি হবে আমাদের।

নাইঘর গ্রামের কৃষক এনায়েত মিয়া বলেন, আমি বন্যার পূর্বে ৩০ শতক জমিতে আমনের চারা রোপন করেছিলাম। বন্যার পানিতে চারা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আবার সাহেবাবাদ বাজার থেকে ২০০০ টাকার চারা কিনে এনে রোপন করেছি কিন্তু এখন বৃষ্টির পানিতে সব তলিয়ে যাচ্ছে। যদি আবার বন্যা দেখা দেয় তাহলে আমার সব টাকা জলে মিশে যাবে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর রোপা আমন মৌসুমে বীজতলা তৈরির সময় আবহাওয়া অনুকূলে ছিল না। ফলে এ বছর যথাসময়ে বীজতলা তৈরি করতে পারেনি অনেক কৃষক। এর পর শুরু হয় ব্রাহ্মণপাড়ায় আকস্মিক বন্যা যার ফলে বীজতলা পানিতে তলিয়ে গিয়ে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়।

চলতি মৌসুমে আমনের বীজ তলার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৬৬ হেক্টর, অর্জিত হয়েছিল ২০৫ হেক্টর। কিন্তু ভয়াবহ বন্যার কারণে অর্জিত বীজতলা নষ্ট হয়ে যায় বলে জানায় কৃষি বিভাগ। এ উপজেলায় ৫ হাজার ৪২৯ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবার বন্যা ও অধিক বৃষ্টি হলে লক্ষমাত্রা অর্জনে শঙ্কা রয়েছে।

 

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello

ব্রাহ্মণপাড়ায় টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে যেতে পারে কৃষকের স্বপ্ন, দ্বিগুণ ক্ষতির শঙ্কা

ব্রাহ্মণপাড়ায় টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে যেতে পারে কৃষকের স্বপ্ন, দ্বিগুণ ক্ষতির শঙ্কা

আপডেট সময় ১২:০৩:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪

 

 

 

মোঃ অপু খান চৌধুরী।।

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় টানা ৩ দিনের ভারী বৃষ্টিতে আবারও আমন ধানের চারা ও রোপনকৃত জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এ বছর উপজেলায় আকস্মিক ভয়াবহ বন্যায় আরও একবার আমনের বীজতলাসহ অন্যান্য ক্ষেতখামার ডুবেছিল। ফলে কৃষকের দ্বিগুণ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা বন্যার পানি কমে গেলে পুনরায় আমনের বীজতলা তৈরি করে এবং ক্ষেতে আমন ধানের চারা রোপন করে। কিন্তু এখন টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে জমি পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকের হাহাকার বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্বিগুন টাকা খরচ হওয়ার পরেও জমিতে চারা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় কৃষকের এখন মাথায় হাত। এছাড়া অনেক কৃষক অধিক দাম দিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে আমনের চারা ক্রয় করে রোপণ করেছিল কিন্তু এখন সব পানির নিচে চলে যাওয়ায় দ্বিগুণ ক্ষতির আশঙ্কায় কৃষকেরা।

এ ব্যাপারে উপজেলা ধান্যদৌল গ্রামের কৃষক জামাল মিয়া জানান, গত বন্যার আগে ৬০ শতক জমি রোপনের জন্য বীজতলা তৈরি করেছিলাম।

বন্যার পানিতে ডুবে সব পঁচে যায়। এখন আবার ধান কিনে বীজতলা তৈরি করে ৬০ শতক জমি রোপন করেছিলাম এখন বৃষ্টিতে সব তলিয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি না কমলে এবছর আমন ধানে দ্বিগুণ ক্ষতি হবে আমাদের।

নাইঘর গ্রামের কৃষক এনায়েত মিয়া বলেন, আমি বন্যার পূর্বে ৩০ শতক জমিতে আমনের চারা রোপন করেছিলাম। বন্যার পানিতে চারা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আবার সাহেবাবাদ বাজার থেকে ২০০০ টাকার চারা কিনে এনে রোপন করেছি কিন্তু এখন বৃষ্টির পানিতে সব তলিয়ে যাচ্ছে। যদি আবার বন্যা দেখা দেয় তাহলে আমার সব টাকা জলে মিশে যাবে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর রোপা আমন মৌসুমে বীজতলা তৈরির সময় আবহাওয়া অনুকূলে ছিল না। ফলে এ বছর যথাসময়ে বীজতলা তৈরি করতে পারেনি অনেক কৃষক। এর পর শুরু হয় ব্রাহ্মণপাড়ায় আকস্মিক বন্যা যার ফলে বীজতলা পানিতে তলিয়ে গিয়ে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়।

চলতি মৌসুমে আমনের বীজ তলার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৬৬ হেক্টর, অর্জিত হয়েছিল ২০৫ হেক্টর। কিন্তু ভয়াবহ বন্যার কারণে অর্জিত বীজতলা নষ্ট হয়ে যায় বলে জানায় কৃষি বিভাগ। এ উপজেলায় ৫ হাজার ৪২৯ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবার বন্যা ও অধিক বৃষ্টি হলে লক্ষমাত্রা অর্জনে শঙ্কা রয়েছে।