বাংলাদেশ ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
কোটা প্রথার প্রতিবাদে রেললাইন অবরোধের ঘোষণা রাবি শিক্ষার্থীদের কটিয়াদীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা কটিয়াদী উপজেলা কমিউনিস্ট পার্টি সম্মেলন অনুষ্ঠিত কোটা সমস্যার সমাধান করার দাবি জাতীয় শিক্ষাধারার খুলনায় ব্যারিস্টার লেলিন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস এর শাখা অফিস উদ্বোধন লাঙ্গল দিয়ে হাল চাষ করে এখনো সংসার চালাচ্ছেন রায়গঞ্জের সাইফুল ইসলাম শিক্ষক শ্রীধর চন্দ্র হালদার আর নেই পীরগঞ্জের ঝোরারঘাট শাহ্ সালেক দাখিল মাদ্রাসায় সুপারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম মুন্সীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা, আটক ৩ বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাডেমিক অচলাবস্থার দায় শিক্ষকরা নেবে না চট্টগ্রামে গৃহবধূকে হত্যার স্বামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পটিয়া থেকে গ্রেফতার খালার সাথে দেখা করে বাড়ি ফেরা হলোনা তুহিনের। দোয়ারাবাজারে টাস্কফোর্স’র অভিযানে কোটি টাকার ভারতীয় চিনি ও সুপারি উদ্ধার কচুয়ায় নবাগত সহকারি কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) এর যোগদান প্রবাসিকে ডেকে দেড় লাখ টাকা ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ আরএমপি মির্জাপুর ফাঁড়ির এটিএসআই এর বিরুদ্ধে!

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি।।ব্রহ্মপুত্রের ৩টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর।। ৯০ হাজার মানুষ পানিবন্দি 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৫৭:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪
  • ১৫৯১ বার পড়া হয়েছে

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি।।ব্রহ্মপুত্রের ৩টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর।। ৯০ হাজার মানুষ পানিবন্দি 

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়ে পড়েছে নতুন নতুন এলাকা।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৫১ সেন্টিমিটার এবং হাতিয়া পয়েন্ট বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অপর দিকে, কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি,পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার এবং শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ধরলার পানি সামান্য হ্রাস পেয়ে বিপদসীমা নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যার পানি প্রবেশ করায় জেলায় শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যার পানিতে প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। 

নদ-নদী তীরবর্তী চর ও নিম্নাঞ্চলের বসতভিটায় পানি প্রবেশ করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষজন। অনেক পরিবার গবাদিপশু সহ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।

এছাড়াও বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে, আমন বীজতলা, পাট ও মৌশুমী ফসলের ক্ষেত। কাঁচা-পাকা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এ অবস্থায় দুর্ভোগ বেড়েছে বানভাষীদের। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে অন্ততঃ ৩০ হাজার পরিবারের ৯০ হাজার মানুষ।

উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা উমর ফারুক বলেন, ব্রহ্মপুত্রের পানি ঘরের চারপাশে আসছে। গবাদিপশু নিয়ে চরসহ বানভাসি মানুষজন দুঃচিন্তায় আছে।

বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মুসার চরের মতিয়ার রহমান জানান, আমার চরের প্রতিটি বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। কেউ নৌকা, কেউ বা মাচান করে উঁচু স্থানে রয়েছেন। এখানকার প্রতিটা পরিবার খুব কষ্টে আছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান জানান, জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি আরও ৪৮ ঘন্টা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। ব্রহ্মপুত্রের পানি তিনটি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদ নদীর পানি বিপদসীমা নিচে রয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, এখন পর্যন্ত বানভাসীদের জন্য ৯ উপজেলায় ১৭৩ মেট্রিক টন চাল ও ১০ লক্ষ টাকা বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মজুত আছে ৬০০ মেট্রিক টন চাল ও ৩০ লাখ টাকা। যা পর্যায়ক্রমে বিতরন করা হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

কোটা প্রথার প্রতিবাদে রেললাইন অবরোধের ঘোষণা রাবি শিক্ষার্থীদের

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি।।ব্রহ্মপুত্রের ৩টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর।। ৯০ হাজার মানুষ পানিবন্দি 

আপডেট সময় ১১:৫৭:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়ে পড়েছে নতুন নতুন এলাকা।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৫১ সেন্টিমিটার এবং হাতিয়া পয়েন্ট বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অপর দিকে, কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি,পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার এবং শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ধরলার পানি সামান্য হ্রাস পেয়ে বিপদসীমা নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যার পানি প্রবেশ করায় জেলায় শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যার পানিতে প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। 

নদ-নদী তীরবর্তী চর ও নিম্নাঞ্চলের বসতভিটায় পানি প্রবেশ করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষজন। অনেক পরিবার গবাদিপশু সহ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।

এছাড়াও বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে, আমন বীজতলা, পাট ও মৌশুমী ফসলের ক্ষেত। কাঁচা-পাকা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এ অবস্থায় দুর্ভোগ বেড়েছে বানভাষীদের। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে অন্ততঃ ৩০ হাজার পরিবারের ৯০ হাজার মানুষ।

উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা উমর ফারুক বলেন, ব্রহ্মপুত্রের পানি ঘরের চারপাশে আসছে। গবাদিপশু নিয়ে চরসহ বানভাসি মানুষজন দুঃচিন্তায় আছে।

বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মুসার চরের মতিয়ার রহমান জানান, আমার চরের প্রতিটি বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। কেউ নৌকা, কেউ বা মাচান করে উঁচু স্থানে রয়েছেন। এখানকার প্রতিটা পরিবার খুব কষ্টে আছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান জানান, জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি আরও ৪৮ ঘন্টা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। ব্রহ্মপুত্রের পানি তিনটি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদ নদীর পানি বিপদসীমা নিচে রয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, এখন পর্যন্ত বানভাসীদের জন্য ৯ উপজেলায় ১৭৩ মেট্রিক টন চাল ও ১০ লক্ষ টাকা বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মজুত আছে ৬০০ মেট্রিক টন চাল ও ৩০ লাখ টাকা। যা পর্যায়ক্রমে বিতরন করা হবে।