বাংলাদেশ ১১:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
রাবিতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিবস পালিত ক্যান্সারে আক্রান্ত রাবি শিক্ষার্থী হৃদয় বাঁচতে চায় জনতাকে সঙ্গে নিয়েই মনোনয়ন দাখিল করলেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সাদ্দাম হোসেন শোভন তানোরে চেয়ারম্যান পদে ময়না”ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর ও সোনিয়া নির্বাচিত বেকারীতে শিশু দিয়ে চালাচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ, বেকারীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে নিম্নমানের খাদ্য সামগ্রী পিরোজপুরের ৩ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হলেন যারা ব্রাহ্মণপাড়ায় ট্রান্সফরমার চোর চক্রের এক সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ব্লেড দিয়ে মাথা কেটে মিথ্যা মামলার অভিযোগ, সংবাদ সম্মেলন পবায় একাধীক মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক নারী আসামী গ্রেফতার মতিহারে বান্ধবীর ছবি ফেসবুকে পোষ্ট করায় তিন বন্ধুর মধ্যে মারামারীও ছুরিকাঘাত আহত-৩, গ্রেফতার-২ পটুয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী যারা। জমকালো আয়োজনে ইউনিস্যাবের দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত রাবির বোটানিক্যাল গার্ডেনে হুমকির মুখে দুষ্প্রাপ্য বনজ সম্পদ বাউফলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণসচেতনতার লক্ষ্যে আলোচনা ও স্কুল বিতর্ক অনুষ্ঠিত মুলাদী বন্দরে আনারস প্রতিকের সমর্থনে গনসংযোগে হাজারও মানুষের ঢল

শ্রেণিকক্ষে উপকরণ ব্যবহার এবং শিক্ষকের করণীয়

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৫৬:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪
  • ১৬৬৯ বার পড়া হয়েছে

শ্রেণিকক্ষে উপকরণ ব্যবহার এবং শিক্ষকের করণীয়

 

 

শ্রেণিকক্ষে উপকরণ ব্যবহার এবং শিক্ষকের করণীয়

 

বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় একজন শিক্ষক হলেন মনিটর । কিন্তু শিক্ষককে অবশ্যই স্মার্ট, দক্ষ এবং কৌশলী হতে হবে। পাঠ্যপুস্তক আছে,শিক্ষক সহায়িকা আছে- এছাড়াও পাঠদানের জন্য শ্রেণিকক্ষ আছে। তাহলে আর কী প্রয়োজন? প্রয়োজন শিক্ষা উপকরণ।

শিক্ষক শিক্ষক সহায়িকা অনুযায়ী পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। বিষয় সংশ্লিষ্ট উপকরণ ব্যবহার করে সেশন পরিচালনা করবেন। বর্তমানে উপকরণ নিয়ে অনেক সমালোচনা।বিশেষ করে পোষ্টার পেপার কেনা নিয়ে। তাহলে আমরা কোন উপকরণ ব্যবহার করব এবং কীভাবে পাবো সেই উপকরণ!

নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী প্রত্যেক বিষয়ের ক্ষেত্রে বিনামূল্যের উপকরণ ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। তবে low cost উপকরণও আমরা ব্যবহার করতে পারি। আমরা নিজেরাই তৈরি করতে পারি উপকরণ।

Low cost উপকরণ আমরা খুব সহজেই তৈরি করতে পারি। এক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো শিক্ষক হিসাবে আমাদের মাথায় রাখতে হবে সেগুলো হলো-সহজেই পাওয়া যায় বা সংগ্রহ করা যায় এমন উপকরণ নির্ধারণ করা। রি ইউজ, রিসাইকেল করা যাবে এমন উপকরণ বাছাই করা। সংরক্ষণযোগ্য ও শিক্ষার্থীদের কল্পনাশক্তির বিকাশ ঘটায় এমন উপকরণ নির্বাচন করা। শিক্ষার্থীর বয়স ও মেধা উপযোগী উপকরণ হতে হবে। অবশ্যই কম দামে কিংবা বিনা খরচে, সময়ে সংগ্রহ করা যায় এমন উপকরণ নির্বাচন করতে হবে। এছাড়াও বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও বাস্তবসম্মত উপকরণ হতে হবে। দেশীয় প্রেক্ষাপটের উপকরণ ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে উপকরণ যাতে দেশের সংস্কৃতি, ধর্মীয় মূল্যবোধের সাথে যেন সাংঘর্ষিক না হয়। ব্যবহৃত উপকরণের পরিচিতি দিতে হবে ও উপকরণের যথার্থতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে। উপকরণের রঙ,সাইজ নির্বাচনে সচেতন হতে হবে। বহনযোগ্যতা থাকতে হবে।

আমরা বিনামূল্যের উপকরণ কীভাবে পাবো বা ব্যবহার করব? খুব সহজেই আমরা তা পেতে পারি। যেমন: ক্যালেন্ডারের সাদা অংশ, বাড়িতে থাকা কোনো জিনিস ইত্যাদি। বিষয়টি আরেকটু পরিষ্কার করে বলি। যেমন : আমাদের লোকশিল্প সম্পর্কে ধারণা দিতে শিক্ষক নিজের জামদানী শাড়ি, তাতের শাড়ি,বাড়িতে থাকা নকশিকাঁথা, মাটির তৈরি জিনিসপত্র এনে উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। শিক্ষার্থীরাও বাড়িতে থাকা বিভিন্ন কমদামী জিনিস এনে শ্রেণির কাজে ব্যবহার করে আবার বাড়িতে ফেরত নিয়ে যেতে পারে।

এছাড়াও আমরা online materials এবং video Materials ব্যবহার করতে পারি। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে আমাদের এসব উপকরণের সাহায্য অবশ্যই নিতে হয়। শিক্ষার্থীর জন্য যেন ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে চাপ না পড়ে তাই বিদ্যালয়ের ইন্টারনেট দিয়েই শিক্ষার্থীদের কাজ করাতে হবে।

আমরা শিক্ষকরা নিজের খরচেই ইন্টারনেট ব্যবহার করি। আমাদেরও এসব উপকরণ নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেক বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে।

Online Materials আমরা অনলাইনের মাধ্যমে পেয়ে থাকি এবং ব্যবহার করি। তাই এক্ষেত্রেও আমাদের কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে-উপকরণ শিক্ষাক্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। এতে ব্যবহৃত তথ্য সঠিক হতে হবে। শিক্ষার্থীদের বয়স উপযোগী কিনা তা যাচাই করা। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে হেয় করে এমন শব্দ,বাক্য ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না। বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। শিক্ষার্থীদের পরিচিত পরিবেশ থেকে নিতে হবে। ভাষা, শব্দভাণ্ডার ইত্যাদি বিষয়গুলোর দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। উপকরণ শিক্ষার্থীদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে এমন আকর্ষণীয় হতে হবে। জেন্ডার বৈষম্যের বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীর সহায়ক উপকরণ হতে হবে। শিক্ষার্থীদের চিন্তাশক্তি বাড়ায় এমন উপকরণ বাছাই করা। যেমন: কোনো দুর্ঘটনার কারণ ও প্রতিকার সরাসরি না দেখিয়ে যে কোনো একটি দুর্ঘটনার ভিডিও দেখিয়ে এর কারণ ও প্রতিকারের বিষয়টি শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করতে বলা। এছাড়াও ইন্টারনেট সংযোগ, কপিরাইট ইস্যু, সোর্সসমূহ উল্লেখ করা,ডিভাইস সাপোর্ট -এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে।

আমরা আমাদের পাঠদান কার্যক্রমে video materials ব্যবহার করি। video materials নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়সমুহ: সঠিক তথ্য সম্বলিত ভিডিও, শিক্ষার্থীর বয়স উপযোগী ভিডিও, কপিরাইট ইস্যু সম্পর্কে সচেতন থাকা,শিক্ষণীয় ভিডিও নির্বাচন, খরচের বিষয় মাথায় রাখা,ভিডিওর দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ১ থেকে ৫ মিনিট, বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, অন্যের তৈরি ভিডিওতে নিজের নাম ব্যবহার না করা।

নতুন যেকোনো বিষয়ই কিছুটা কঠিন। আমরা শিক্ষক, আমরাই পারি পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিতে চলতে। সুন্দর, আকর্ষণীয় উপকরণ ব্যবহার করে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের প্রতিটি শিখন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যোগ্যতা অর্জন করানোই আমাদের লক্ষ্য।
আমাদের বিদ্যালয়গুলোতে অবকাঠামোগত সমস্যা আছে। তাই উপকরণ সংরক্ষণ করার জন্যও ব্যবস্থা করতে হবে। এর ফলে একই উপকরণ বারবার ব্যবহার করা যায়, অন্য শিক্ষক প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবেন।

শিক্ষক নিজেও উপকরণ হতে পারেন। পাঠ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সাথে নিজেকেও উপস্থাপন করতে পারেন। কোনো শিক্ষার্থীকেও মডেল উপকরণ বানাতে পারেন। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে এক্ষেত্রে শিক্ষার্থী যেন মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত না হয় কিংবা বুলিং এর শিকার না হয়।

একজন শিক্ষক আধুনিক হবেন চিন্তায়। বুদ্ধিমত্তা দিয়ে কঠিন কাজকে সহজভাবে উপস্থাপন করবেন। এজন্য শিক্ষককেও প্রচুর লেখাপড়া করতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থা, উপকরণ, শিখন শেখানো পদ্ধতি ও কৌশল সম্পর্কে জানতে হবে।

আমাদের অনেক অপ্রাপ্তি আছে। কিন্তু যখন আমি শিক্ষক তখন অবশ্যই আমাকে নতুন সবকিছুর সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে। আমরা শিক্ষকরা অভিযোজন ক্ষমতা অর্জন করলেই শিক্ষার্থীদের সকল যোগ্যতা অর্জন করাতে পারবো।

দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন, বিনামূল্যের ও কমদামের উপকরণ ব্যবহার করে আমরা শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের নতুন বিষয়ের সাথে সমন্বয় ঘটাতে পারবো।
লেখক:
উম্মে হাবিবা
সিনিয়র শিক্ষক
গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল,ঢাকা।

 

 

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

রাবিতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিবস পালিত

শ্রেণিকক্ষে উপকরণ ব্যবহার এবং শিক্ষকের করণীয়

আপডেট সময় ০১:৫৬:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

 

 

শ্রেণিকক্ষে উপকরণ ব্যবহার এবং শিক্ষকের করণীয়

 

বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় একজন শিক্ষক হলেন মনিটর । কিন্তু শিক্ষককে অবশ্যই স্মার্ট, দক্ষ এবং কৌশলী হতে হবে। পাঠ্যপুস্তক আছে,শিক্ষক সহায়িকা আছে- এছাড়াও পাঠদানের জন্য শ্রেণিকক্ষ আছে। তাহলে আর কী প্রয়োজন? প্রয়োজন শিক্ষা উপকরণ।

শিক্ষক শিক্ষক সহায়িকা অনুযায়ী পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। বিষয় সংশ্লিষ্ট উপকরণ ব্যবহার করে সেশন পরিচালনা করবেন। বর্তমানে উপকরণ নিয়ে অনেক সমালোচনা।বিশেষ করে পোষ্টার পেপার কেনা নিয়ে। তাহলে আমরা কোন উপকরণ ব্যবহার করব এবং কীভাবে পাবো সেই উপকরণ!

নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী প্রত্যেক বিষয়ের ক্ষেত্রে বিনামূল্যের উপকরণ ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। তবে low cost উপকরণও আমরা ব্যবহার করতে পারি। আমরা নিজেরাই তৈরি করতে পারি উপকরণ।

Low cost উপকরণ আমরা খুব সহজেই তৈরি করতে পারি। এক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো শিক্ষক হিসাবে আমাদের মাথায় রাখতে হবে সেগুলো হলো-সহজেই পাওয়া যায় বা সংগ্রহ করা যায় এমন উপকরণ নির্ধারণ করা। রি ইউজ, রিসাইকেল করা যাবে এমন উপকরণ বাছাই করা। সংরক্ষণযোগ্য ও শিক্ষার্থীদের কল্পনাশক্তির বিকাশ ঘটায় এমন উপকরণ নির্বাচন করা। শিক্ষার্থীর বয়স ও মেধা উপযোগী উপকরণ হতে হবে। অবশ্যই কম দামে কিংবা বিনা খরচে, সময়ে সংগ্রহ করা যায় এমন উপকরণ নির্বাচন করতে হবে। এছাড়াও বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও বাস্তবসম্মত উপকরণ হতে হবে। দেশীয় প্রেক্ষাপটের উপকরণ ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে উপকরণ যাতে দেশের সংস্কৃতি, ধর্মীয় মূল্যবোধের সাথে যেন সাংঘর্ষিক না হয়। ব্যবহৃত উপকরণের পরিচিতি দিতে হবে ও উপকরণের যথার্থতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে। উপকরণের রঙ,সাইজ নির্বাচনে সচেতন হতে হবে। বহনযোগ্যতা থাকতে হবে।

আমরা বিনামূল্যের উপকরণ কীভাবে পাবো বা ব্যবহার করব? খুব সহজেই আমরা তা পেতে পারি। যেমন: ক্যালেন্ডারের সাদা অংশ, বাড়িতে থাকা কোনো জিনিস ইত্যাদি। বিষয়টি আরেকটু পরিষ্কার করে বলি। যেমন : আমাদের লোকশিল্প সম্পর্কে ধারণা দিতে শিক্ষক নিজের জামদানী শাড়ি, তাতের শাড়ি,বাড়িতে থাকা নকশিকাঁথা, মাটির তৈরি জিনিসপত্র এনে উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। শিক্ষার্থীরাও বাড়িতে থাকা বিভিন্ন কমদামী জিনিস এনে শ্রেণির কাজে ব্যবহার করে আবার বাড়িতে ফেরত নিয়ে যেতে পারে।

এছাড়াও আমরা online materials এবং video Materials ব্যবহার করতে পারি। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে আমাদের এসব উপকরণের সাহায্য অবশ্যই নিতে হয়। শিক্ষার্থীর জন্য যেন ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে চাপ না পড়ে তাই বিদ্যালয়ের ইন্টারনেট দিয়েই শিক্ষার্থীদের কাজ করাতে হবে।

আমরা শিক্ষকরা নিজের খরচেই ইন্টারনেট ব্যবহার করি। আমাদেরও এসব উপকরণ নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেক বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে।

Online Materials আমরা অনলাইনের মাধ্যমে পেয়ে থাকি এবং ব্যবহার করি। তাই এক্ষেত্রেও আমাদের কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে-উপকরণ শিক্ষাক্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। এতে ব্যবহৃত তথ্য সঠিক হতে হবে। শিক্ষার্থীদের বয়স উপযোগী কিনা তা যাচাই করা। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে হেয় করে এমন শব্দ,বাক্য ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না। বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। শিক্ষার্থীদের পরিচিত পরিবেশ থেকে নিতে হবে। ভাষা, শব্দভাণ্ডার ইত্যাদি বিষয়গুলোর দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। উপকরণ শিক্ষার্থীদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে এমন আকর্ষণীয় হতে হবে। জেন্ডার বৈষম্যের বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীর সহায়ক উপকরণ হতে হবে। শিক্ষার্থীদের চিন্তাশক্তি বাড়ায় এমন উপকরণ বাছাই করা। যেমন: কোনো দুর্ঘটনার কারণ ও প্রতিকার সরাসরি না দেখিয়ে যে কোনো একটি দুর্ঘটনার ভিডিও দেখিয়ে এর কারণ ও প্রতিকারের বিষয়টি শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করতে বলা। এছাড়াও ইন্টারনেট সংযোগ, কপিরাইট ইস্যু, সোর্সসমূহ উল্লেখ করা,ডিভাইস সাপোর্ট -এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে।

আমরা আমাদের পাঠদান কার্যক্রমে video materials ব্যবহার করি। video materials নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়সমুহ: সঠিক তথ্য সম্বলিত ভিডিও, শিক্ষার্থীর বয়স উপযোগী ভিডিও, কপিরাইট ইস্যু সম্পর্কে সচেতন থাকা,শিক্ষণীয় ভিডিও নির্বাচন, খরচের বিষয় মাথায় রাখা,ভিডিওর দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ১ থেকে ৫ মিনিট, বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, অন্যের তৈরি ভিডিওতে নিজের নাম ব্যবহার না করা।

নতুন যেকোনো বিষয়ই কিছুটা কঠিন। আমরা শিক্ষক, আমরাই পারি পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিতে চলতে। সুন্দর, আকর্ষণীয় উপকরণ ব্যবহার করে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের প্রতিটি শিখন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যোগ্যতা অর্জন করানোই আমাদের লক্ষ্য।
আমাদের বিদ্যালয়গুলোতে অবকাঠামোগত সমস্যা আছে। তাই উপকরণ সংরক্ষণ করার জন্যও ব্যবস্থা করতে হবে। এর ফলে একই উপকরণ বারবার ব্যবহার করা যায়, অন্য শিক্ষক প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবেন।

শিক্ষক নিজেও উপকরণ হতে পারেন। পাঠ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সাথে নিজেকেও উপস্থাপন করতে পারেন। কোনো শিক্ষার্থীকেও মডেল উপকরণ বানাতে পারেন। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে এক্ষেত্রে শিক্ষার্থী যেন মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত না হয় কিংবা বুলিং এর শিকার না হয়।

একজন শিক্ষক আধুনিক হবেন চিন্তায়। বুদ্ধিমত্তা দিয়ে কঠিন কাজকে সহজভাবে উপস্থাপন করবেন। এজন্য শিক্ষককেও প্রচুর লেখাপড়া করতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থা, উপকরণ, শিখন শেখানো পদ্ধতি ও কৌশল সম্পর্কে জানতে হবে।

আমাদের অনেক অপ্রাপ্তি আছে। কিন্তু যখন আমি শিক্ষক তখন অবশ্যই আমাকে নতুন সবকিছুর সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে। আমরা শিক্ষকরা অভিযোজন ক্ষমতা অর্জন করলেই শিক্ষার্থীদের সকল যোগ্যতা অর্জন করাতে পারবো।

দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন, বিনামূল্যের ও কমদামের উপকরণ ব্যবহার করে আমরা শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের নতুন বিষয়ের সাথে সমন্বয় ঘটাতে পারবো।
লেখক:
উম্মে হাবিবা
সিনিয়র শিক্ষক
গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল,ঢাকা।