বাংলাদেশ ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
বন্ধু সাথে ঘুরতে ধর্ষণের শিকার পঞ্চগড়ে জমি ক্রয় করে প্রতারিত আমির। খোয়ালেন ২০ লাখ স্কুলগুলি আবার নতুন প্রাণ পেল। এক জোড়া গান নিয়ে ফিরলেন আরিফ খান মির্জাগঞ্জে গাঁজা সহ ছাত্রলীগের নেতা আটক মানব পাচার চক্রের মূলহোতা’সহ ০৩ জন মানব পাচার চক্রের সদস্য গ্রেফতার। বন্দর প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য জাহিদের মা’র মৃত্যু নারায়ণগঞ্জ জেলা টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন’র শোক মুলাদীর আরিয়ালখাঁ নদীতে অভিযান চালিয়ে ৬টি অবৈধ বেহুন্দী জাল সহ ২জনকে আটক মাধবপুর বাজারে বিষপানে যুবকের মৃত্যু ঘাটাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তারুন্যের অহংকার আরিফ হোসেন পীরগঞ্জের করতোয়া নদীতে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় বাড়িঘরে হামলা মারপিট টাকা ছিনতাই। মানিকগঞ্জে ৩ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও সন্ধান মিলেনি সাংবাদিকের চুরি হওয়া টয়োটার গাছ উপড়ে পড়ে ঘরের উপর চাপা পড়ে মা ও ছেলের মৃত্যু।  কটিয়াদীতে কবরস্থান প্রতিষ্ঠায় মত বিনিময় সভা। কাউখালীতে চেয়ারম্যান প্রার্থী মনিরুজ্জামান তালুকদার পল্টনের গনসংযোগ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

অবশেষে মাথা গোঁজার ঠাঁই হলো সাফ ফুটবলার সাগরিকার

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৫১:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪
  • ১৫৯৮ বার পড়া হয়েছে

অবশেষে মাথা গোঁজার ঠাঁই হলো সাফ ফুটবলার সাগরিকার

 

মোঃ আকতারুল ইসলাম আক্তার ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ আর থাকতে হবে না অন্যের জায়গায়। মানবাধিকার খবর পত্রিকায় প্রকাশের পর মাথা গোঁজার ঠাই হলো অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ ফুটবল দলের খেলোয়াড় মোছাম্মত সাগরিকার। সরকারিভাবেই দেওয়া হবে জায়গাসহ নতুন দুই রুমের বাড়ি।

এর আগে, গত ১৫ ফ্রেরুয়ারি ‘সাফ ফুটবল দলের খেলোয়াড় সাগরিকা থাকেন অন্যের জমিতে’ শিরোনামে মানবাধিকার খবর পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। পরে সাগরিকার বাড়িতে তাকে দেখতে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রকিবুল হাসান। সেসময় তার পরিবারের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি।

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রকিবুল হাসান সাগরিকার বাড়ি পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে জানান, উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের রাঙ্গাটুঙ্গি গ্রামে অবস্থিত সাগরিকার পরিবারের জরাজীর্ণ বাড়ি নতুন করে নির্মাণ করার জন্য জেলা প্রশাসনের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন নীতিগত সিদ্বান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় সাগরিকার পরিবারকে নতুন করে দুই রুমের একটি বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হবে। এরই মধ্যে রাজমিস্ত্রির সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বাড়ির ব্যয় নির্ধারণ করে দ্রুত নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

এদিকে জায়গাসহ নতুন ঘর পাওয়ার কথা শুনে খুশিতে কেদেঁ দিয়েছেন সাগিরকার বাবা চা বিক্রতা লিটন আলী। তিনি জানান, তার মেয়ের কারণেই তিনি আজ নতুন ঘরসহ বাড়ি পাচ্ছেন। 

জানা গেছে, সাগরিকার বাবার চায়ের দোকানের আয়ে চলে তাদের সংসার। অন্যের জমিতে তোলা ছোট্ট সেই জরাজীর্ণ ঘরে কীভাবে বসতে দেবেন, তাই সাগরিকা তার বন্ধুদের বাড়ি আনবেন, সেই আবদারে সায় দেননি তার মা। রাণীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের রাঙ্গাটুঙ্গি গ্রামের বাড়িতে এই প্রতিবেদকের কথা হয় সাগরিকার বাবা-মায়ের সঙ্গে। কথা হয় তাদের একাধিক প্রতিবেশীর সঙ্গেও।

সরেজমিনে গিয়ে তাদের বাড়ি ঘুরে ঘুরে নানা বিষয় জানা যায়। বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরের চায়ের দোকানটি মূলত সাগরিকার বাবা মোহাম্মদ লিটন আলী ও মা আনজু আরা বেগম মিলেই পরিচালনা করেন। দোকানটি বাশরাইল গ্রামের মহাসড়কের পাশে। রাণীশংকৈল-হরিপুর মহাসড়কের বাশরাইল এলাকা থেকে মহাসড়কের উত্তর দিক দিয়ে সরু পথ ধরে প্রায় আধা কিলোমিটার যেতেই সাগরিকার বাড়ি। বাড়ির প্রবেশ পথে ছোট একটি দরজা। বাড়িটি কাশবনের বেড়া দিয়ে ঘেরা। ঘর দুটি করা হয়েছে কাশবন আর বাঁশের বেড়া দিয়ে। ঘরের ছাউনি হিসেবে রয়েছে ছাপড়া টিন। বাড়িতে নেই স্বাস্থ্যকর পয়ঃনিষ্কাশণ ব্যবস্থা কিংবা টিউবওয়েল। সাগরিকার বাবা-মা জানান, টাকার অভাবে স্বাস্থ্যসম্মত টিউবওয়েল ও টয়লেট নির্মাণ করতে পারছেন না তারা।

স্থানীয় বাসিন্দা বিপ্লব আলী ও সোহেল রানা বলেন, সাগরিকারা অত্যন্ত গরিব। তারা খুব কষ্ট করে দিনাতিপাত করছেন। অন্যের জমিতে কোনো রকমে বাড়ি বানিয়ে বসবাস করছেন। সাগরিকার জন্য আজ আমাদের গ্রাম রাঙ্গাটুঙ্গি সারা দেশে পরিচিতি পেয়েছে। সাগরিকা আমাদের অহংকার, আমাদের গর্ব, দেশের সম্পদ। সরকার যদি সাগরিকার পরিবারের পাশে দাঁড়ায়, তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ায়, তাহলে সাগরিকার মতো অনেকে ভালো খেলোয়াড় হওয়ার উৎসাহ পাবেন।’

সাগরিকার বাবা লিটন আলী বলেন, উকিল নামের এক ব্যক্তির এ জমির কোনো দাবিদার না থাকায় তারা সেখানে বাড়ি বানিয়ে থাকছেন। অর্থের অভাবে জমি কিনতে পারছেন না। তাই সেভাবে বাড়িও বানাতে পারছেন না।

সাগরিকার মা আনজু আরা বেগম জানান, তার মেয়ে সাগরিকা যে পরিবেশে এখন থাকছেন, সেই পরিবেশ তো আর তাদের বাড়িতে নেই। মেয়ে এলে কোথায় কীভাবে থাকতে দেবেন তা নিয়ে তিনি দুশ্চিন্তায় পড়েন। তার মেয়ে বন্ধুদের নিয়ে বাড়ি আসতে চায়। কিন্তু তিনি নিষেধ করেন। সাগরিকার বন্ধুরা এলে কোথায় বসতে দেবেন, কোথায় থাকতে দেবেন, তাই তিনি তাদের আসতে বারণ করেন।

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

অবশেষে মাথা গোঁজার ঠাঁই হলো সাফ ফুটবলার সাগরিকার

আপডেট সময় ০৪:৫১:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪

 

মোঃ আকতারুল ইসলাম আক্তার ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ আর থাকতে হবে না অন্যের জায়গায়। মানবাধিকার খবর পত্রিকায় প্রকাশের পর মাথা গোঁজার ঠাই হলো অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ ফুটবল দলের খেলোয়াড় মোছাম্মত সাগরিকার। সরকারিভাবেই দেওয়া হবে জায়গাসহ নতুন দুই রুমের বাড়ি।

এর আগে, গত ১৫ ফ্রেরুয়ারি ‘সাফ ফুটবল দলের খেলোয়াড় সাগরিকা থাকেন অন্যের জমিতে’ শিরোনামে মানবাধিকার খবর পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। পরে সাগরিকার বাড়িতে তাকে দেখতে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রকিবুল হাসান। সেসময় তার পরিবারের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি।

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রকিবুল হাসান সাগরিকার বাড়ি পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে জানান, উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের রাঙ্গাটুঙ্গি গ্রামে অবস্থিত সাগরিকার পরিবারের জরাজীর্ণ বাড়ি নতুন করে নির্মাণ করার জন্য জেলা প্রশাসনের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন নীতিগত সিদ্বান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় সাগরিকার পরিবারকে নতুন করে দুই রুমের একটি বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হবে। এরই মধ্যে রাজমিস্ত্রির সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বাড়ির ব্যয় নির্ধারণ করে দ্রুত নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

এদিকে জায়গাসহ নতুন ঘর পাওয়ার কথা শুনে খুশিতে কেদেঁ দিয়েছেন সাগিরকার বাবা চা বিক্রতা লিটন আলী। তিনি জানান, তার মেয়ের কারণেই তিনি আজ নতুন ঘরসহ বাড়ি পাচ্ছেন। 

জানা গেছে, সাগরিকার বাবার চায়ের দোকানের আয়ে চলে তাদের সংসার। অন্যের জমিতে তোলা ছোট্ট সেই জরাজীর্ণ ঘরে কীভাবে বসতে দেবেন, তাই সাগরিকা তার বন্ধুদের বাড়ি আনবেন, সেই আবদারে সায় দেননি তার মা। রাণীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের রাঙ্গাটুঙ্গি গ্রামের বাড়িতে এই প্রতিবেদকের কথা হয় সাগরিকার বাবা-মায়ের সঙ্গে। কথা হয় তাদের একাধিক প্রতিবেশীর সঙ্গেও।

সরেজমিনে গিয়ে তাদের বাড়ি ঘুরে ঘুরে নানা বিষয় জানা যায়। বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরের চায়ের দোকানটি মূলত সাগরিকার বাবা মোহাম্মদ লিটন আলী ও মা আনজু আরা বেগম মিলেই পরিচালনা করেন। দোকানটি বাশরাইল গ্রামের মহাসড়কের পাশে। রাণীশংকৈল-হরিপুর মহাসড়কের বাশরাইল এলাকা থেকে মহাসড়কের উত্তর দিক দিয়ে সরু পথ ধরে প্রায় আধা কিলোমিটার যেতেই সাগরিকার বাড়ি। বাড়ির প্রবেশ পথে ছোট একটি দরজা। বাড়িটি কাশবনের বেড়া দিয়ে ঘেরা। ঘর দুটি করা হয়েছে কাশবন আর বাঁশের বেড়া দিয়ে। ঘরের ছাউনি হিসেবে রয়েছে ছাপড়া টিন। বাড়িতে নেই স্বাস্থ্যকর পয়ঃনিষ্কাশণ ব্যবস্থা কিংবা টিউবওয়েল। সাগরিকার বাবা-মা জানান, টাকার অভাবে স্বাস্থ্যসম্মত টিউবওয়েল ও টয়লেট নির্মাণ করতে পারছেন না তারা।

স্থানীয় বাসিন্দা বিপ্লব আলী ও সোহেল রানা বলেন, সাগরিকারা অত্যন্ত গরিব। তারা খুব কষ্ট করে দিনাতিপাত করছেন। অন্যের জমিতে কোনো রকমে বাড়ি বানিয়ে বসবাস করছেন। সাগরিকার জন্য আজ আমাদের গ্রাম রাঙ্গাটুঙ্গি সারা দেশে পরিচিতি পেয়েছে। সাগরিকা আমাদের অহংকার, আমাদের গর্ব, দেশের সম্পদ। সরকার যদি সাগরিকার পরিবারের পাশে দাঁড়ায়, তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ায়, তাহলে সাগরিকার মতো অনেকে ভালো খেলোয়াড় হওয়ার উৎসাহ পাবেন।’

সাগরিকার বাবা লিটন আলী বলেন, উকিল নামের এক ব্যক্তির এ জমির কোনো দাবিদার না থাকায় তারা সেখানে বাড়ি বানিয়ে থাকছেন। অর্থের অভাবে জমি কিনতে পারছেন না। তাই সেভাবে বাড়িও বানাতে পারছেন না।

সাগরিকার মা আনজু আরা বেগম জানান, তার মেয়ে সাগরিকা যে পরিবেশে এখন থাকছেন, সেই পরিবেশ তো আর তাদের বাড়িতে নেই। মেয়ে এলে কোথায় কীভাবে থাকতে দেবেন তা নিয়ে তিনি দুশ্চিন্তায় পড়েন। তার মেয়ে বন্ধুদের নিয়ে বাড়ি আসতে চায়। কিন্তু তিনি নিষেধ করেন। সাগরিকার বন্ধুরা এলে কোথায় বসতে দেবেন, কোথায় থাকতে দেবেন, তাই তিনি তাদের আসতে বারণ করেন।