মোঃ আব্দল্লাহ আল মুকিম রাজু, পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দলের শিরোপা জেতা সেরা গোল কিপার ইয়ারজানের এই প্রথম বিদেশ যাত্রা, এই প্রথম বাংলাদেশের হয়ে খেলা তার আবির্ভাবেই নিজেকে চেনাল ইয়ারজান বেগম। বাংলাদেশের -সাফ অনূর্ধ্ব- ১৬ নারী ফুটবল দলের শিরোপা জিতেছে গোলকিপার ইয়ারজানের বীরত্বেই। টুর্নামেন্টের সেরা গোলকিপারের ট্রফিটাও নিজের করে নিয়েছে পঞ্চগড়ের এই কিশোরী, ইয়ারজান পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাষা ইউনিয়নের খোপড়া বান্দি পাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের দুই কন্যা সন্তান।
দুই বোনের মধ্যে ইয়ারজান বড় হত দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছে ইয়ারজান।
ইয়ারজান এর বাবা অসুস্থ থাকায়, স্বল্প আয়ে কোন রকমের সংসার চালান ইয়ারজানের মা রেনু বেগম ইয়ারজানের মা বলেন, আমার মেয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারত কে টাইব্রেকারে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। এই অর্জন সম্ভব হয়েছে আমার মেয়ে গোলরক্ষক ইয়ারজানের দক্ষতায়। টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষকের ট্রফিটাও নিজের করে নিয়েছেন ইয়ারজান।
ইয়ারজানের এই সাফল্য দেখে আমরা খুবই আনন্দিত ও গর্বিত, ইয়ারজান হাড়িভাষা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী হাড়িভাষা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এর খন্ডকালিন শিক্ষক খোশবুল আলম বলেন, ইয়ারজান একজন দক্ষ ও পরিশ্রমী মেয়ে, সে যে কোনো মনোযোগ সহকারে লেগে থাকত তার এই প্রতিভা দেখে আমার মনে হয়েছিল ইয়ারজান একদিন বড় কিছু করবে, তার ফলস্বরূপ আজকের এই সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দলের শিরোপা জেতা ও সেরা গোলকিপার হওয়া।
এলাকার ক্রিয়া সংগঠক এটিএম আখতারুজ্জামান ডাবলু বলেন, ইয়ারজান আমাদের এলাকার কৃতিসন্তান। তার পরিবার একবারেই হত-দরিদ্র, তার মা রেনু বেগম স্বল্প বেতনে দিন মজুরের কাজ করে তার আয়েই চলে চারজনের সংসার এমন পরিবার থেকে ওঠে আসা সহজ বিষয় নয়, ইয়ারজানের সাফল্যে আমরা গর্বিত। প্রত্যাশা করছি সামনে জাতীয় দলেও জায়গায় করে নিবে এবং বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব ১৬ নারী ফুটবল দল ভালো কিছু উপহার দিবে ইয়ারজান, ইয়ারজানের এই সাফল্যে পঞ্চগড় বাসি আনন্দিত।