বাংলাদেশ ০১:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
শলী বনানী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ চাহিদা অনুযায়ী নেই বিদ্যুৎ; তবু গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি বিল ধনবাড়ীতে উপ‌জেলা বিএনপির গণমিছিল কর্মসূচি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কুবির উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ নিহত পুলিশ সদস্যের বাড়ি পরিদর্শন করলেন বাগেরহাটের নবাগত পুলিশ সুপার সিরাজগঞ্জে জিংক ধান সম্প্রসারণে উপ-সহকারী কৃষি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নয় ইউনিয়নে ইচ্ছামতো নেওয়া হচ্ছে ওয়ারিশ সনদের মূল্য বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে ১৩টি গ্রামবাসীর ক্ষতিপুরনের দাবীতে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ চ্যালেঞ্জে ফেনী’র ছোট নদীর নাব্য মান্দায় শিক্ষক সমিতির আহবায়ক কমিটি গঠন উত্তরবঙ্গে মৌ-চাষী সমিতির সভাপতি রশিদ সম্পাদক শিশির সাহা বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিয়ার সহ ১জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। ময়মনসিংহে সিপিবি’র সমাবেশ ও লাল পতাকার মিছিল মঠবাড়িয়ায় কলেজ অধ্যক্ষের নাম ভাঙিয়ে খাল দখলের অভিযোগ দুর্নীতি ও অনিয়মের নানা অভিযোগে পিরোজপুর জেলা নাসিং ইনস্টিটিউট অবরুদ্ধ করেছে শিক্ষার্থীরা

নাটোরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে ৫ জনের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড বিচারক আব্দুর রহিম এ আদেশ দেন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:৫৩:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩
  • ১৫৯৫ বার পড়া হয়েছে
ওমর ফারুক খান নাটোর প্রতিনিধিঃ
 নাটোরের লালপুরে শ্লীলতাহানি এবং মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলায় আনোয়ার হোসেন ওরফে আনার আলী, আমিরুল ইসলাম, সাজদার রহমান, আনছার আলী, শাবান আলী নামের ৫ জনের প্রত্যেককে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত। সোমবার (৩১শে জুলাই-২৩) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় ঘোষণা করেন। আসামিদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। অপর আসামী আশরাফুল ইসলাম দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় আদালত তাকে বেকসুর খালাস দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৫ জুলাই সকাল ১০ টার দিকে লালপুর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কাবিল হোসেনের স্ত্রী রিতা খাতুনকে জাপটে ধরে একই এলাকার আকবর মিস্ত্রির ছেলে আনোয়ার হোসেন আনার। তাকে সহযোগিতা করে একই এলাকার আমিরুল ইসলাম, সাজদার রহমান, আনছার আলী এবং শাবান আলী। এই ঘটনায় রিতা খাতুন চিৎকার করলে লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে এই ঘটনায় এলাকায় একটি শালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। শালিসে আসামিদের শাসন গর্জন করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে ওই বছরেরই ২০ সেপ্টেম্বর রাত্রি ৯ টার দিকে আসামিরা কাবিল হোসেনের অনুপস্থিতিতে আবারো রিতা খাতুনের ঘরে ঢুকে তাকে মুখ চেপে ধরে বাড়ির পাশে আখ ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে তার শ্লীলতা হানির চেষ্টা করে তারা। সে সময় রিতা খাতুনের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসলে আবারো তাকে ছেড়ে আসামীরা পালিয়ে যায়। পরে আসামীর রিতা খাতুনের নামে নানা অপবাদ দিতে থাবে। এমন অপবাদ এবং শ্লীলতা হানির এমন ঘটনা সহ্য করতে না পেরে ঐদিন রাত্রিবেলা রিতা খাতুন বিষ পানে আত্মহত্যা করে। এই ঘটনায় রিতার স্বামী বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

শলী বনানী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নাটোরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে ৫ জনের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড বিচারক আব্দুর রহিম এ আদেশ দেন

আপডেট সময় ০৬:৫৩:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩
ওমর ফারুক খান নাটোর প্রতিনিধিঃ
 নাটোরের লালপুরে শ্লীলতাহানি এবং মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলায় আনোয়ার হোসেন ওরফে আনার আলী, আমিরুল ইসলাম, সাজদার রহমান, আনছার আলী, শাবান আলী নামের ৫ জনের প্রত্যেককে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত। সোমবার (৩১শে জুলাই-২৩) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় ঘোষণা করেন। আসামিদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। অপর আসামী আশরাফুল ইসলাম দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় আদালত তাকে বেকসুর খালাস দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৫ জুলাই সকাল ১০ টার দিকে লালপুর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কাবিল হোসেনের স্ত্রী রিতা খাতুনকে জাপটে ধরে একই এলাকার আকবর মিস্ত্রির ছেলে আনোয়ার হোসেন আনার। তাকে সহযোগিতা করে একই এলাকার আমিরুল ইসলাম, সাজদার রহমান, আনছার আলী এবং শাবান আলী। এই ঘটনায় রিতা খাতুন চিৎকার করলে লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে এই ঘটনায় এলাকায় একটি শালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। শালিসে আসামিদের শাসন গর্জন করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে ওই বছরেরই ২০ সেপ্টেম্বর রাত্রি ৯ টার দিকে আসামিরা কাবিল হোসেনের অনুপস্থিতিতে আবারো রিতা খাতুনের ঘরে ঢুকে তাকে মুখ চেপে ধরে বাড়ির পাশে আখ ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে তার শ্লীলতা হানির চেষ্টা করে তারা। সে সময় রিতা খাতুনের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসলে আবারো তাকে ছেড়ে আসামীরা পালিয়ে যায়। পরে আসামীর রিতা খাতুনের নামে নানা অপবাদ দিতে থাবে। এমন অপবাদ এবং শ্লীলতা হানির এমন ঘটনা সহ্য করতে না পেরে ঐদিন রাত্রিবেলা রিতা খাতুন বিষ পানে আত্মহত্যা করে। এই ঘটনায় রিতার স্বামী বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন।