প্রেস বিজ্ঞপ্তি
লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানাধীন এলাকায় জমিজমা ভোগদখল নিয়ে ভাইকে নৃশংসভাবে হত্যা মামলার পরিকল্পনাকারী মোঃ আশরাফ আলী (৫৩)কে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৩।
লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানাধীন এলাকায় জমিজমা ভোগদখল নিয়ে ভাইকে নৃশংসভাবে হত্যা মামলার পরিকল্পনাকারী পলাতক ১। মোঃ আশরাফ আলী (৫৩), পিতা-মৃত আব্দুল, সাং-রামদেব হাজীপাড়া, থানা-কালীগঞ্জ, জেলা-লালমনিরহাট’কে ০৬/০৮/২০২৩ তারিখ ১৭৩০ ঘটিকায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানাধীন এলাকায় আলমগীরের মায়ের জমি জবর দখল করে ভোগ করছিল তার বিমাতা ভাই খেলান উদ্দিন ও আব্দুস সাত্তার। যা নিয়ে বিমাতা ভাইদের মাঝে মলোমালিন্য চলছিল। এরই জের ধরে বিমাতা ভাই আলমগীরকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে খেলান উদ্দিন ও আব্দুস সাত্তার। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৩/০৮/২০২২ তারিখ সন্ধ্যায় আলমগীরকে কৌশলে ডেকে নিয়ে আদিতমারী উপজেলার পশ্চিম রামদেব গ্রামে নিয়ে আসেন বিমাতা ভাই খেলান, আব্দুস সাত্তার এবং সাত্তারের ভায়রা পাবনার রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাশেদ ড্রাইভার। এরপর পশ্চিম রামদেব গ্রামের আশরাফ আলী এবং সেকেন্দার আলীর হাতে ন্যস্ত করেন তারা। সেখানে আলমগীরকে কোল্ডড্রিংসে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়ানো হয়। আলমগীর ঘুমিয়ে পড়লে রামদেব গ্রামে আশরাফ আলী ও সেকেন্দার আলীর বাড়ির পিছনে একটি বাঁশ ঝাড়ের গর্তে তাকে জীবন্ত পুঁতে রাখে তারা। পরবর্তীতে আলমগীরের পরিবার তার কোন খোঁজ না পেয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করেন। উল্লেখ্য, ঘটনার দুই মাস পরে ভিকটিম আলমগীরের সৎ দুই ভাই খেলান উদ্দিন ও আব্দুস সাত্তার মারা যায়। সম্প্রতি এক বছর পর সাত্তারের ভায়রা পাবনার রাশেদুল ড্রাইভার নিখোঁজ আলমগীরের পরিবারকে ফোন করে হত্যার ঘটনাটি প্রকাশ করে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ভিকটিম আলমগীরের কংকাল একটি বাঁশ বাগানে মাটির নিচ থেকে পাওয়া যায় এবং উক্ত কংকাল ফরেন্সিক এর জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক নিয়ে যায়। পরবর্তীতে উক্ত ঘটনায় নিহত আলমগীরের আপন ভাই সাদ্দাম হোসেন বাদি হয়ে লালমনিরহাট কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ধৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।