বাংলাদেশ ১১:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক যুবকের লাশ প্রভাবের পরোয়া করে না ঠাকুরগাঁওয়ের ভোটাররা ইসলাম অবমাননায় স্বপ্নীলের শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যুতে শোক সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত  অতিরিক্ত খাজনা আদায় ও সিন্ডিকেটে কমছে ধানের দাম  বিশ্ব পরিবেশ দিবস বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ফাইনালে রাবি রাবিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী ডিভিশনাল অ্যাস্ট্রোনমি ক্যাম্প ফের খাবারের দাম বৃদ্ধি, রাবি প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দোকানিদের রাবিতে গ্যাস ক্রোমাটোগ্রাফির উপর কর্মশালা অনুষ্ঠিত ঈদুল আজহার আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইউপি সদস্য রিপন হত্যা মামলার পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। কাউখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিরোধ-কোন্দলে লড়াই হবে ত্রিমুখী ফুলবাড়ী খাদ্য গুদামে ইরি বোরো ধান ও চাউল সংগ্রহের শুভ উদ্বোধন  বিপুল পরিমানে ফেন্সিডিল পাঁচারকালে ২জন কুখ্যাত মাদক কারবারী আটক। বিআরটিসি লাইসেন্স ও সরকারি অনুমোদন ব্যতীত জিপিএস ট্র্যাকার, ট্রেসলক জিপিএস ট্র্যাকার, মোটোলক রিমোর্ট ও ফ্রিকোয়েন্সী যন্ত্র সামগ্রীসহ ০৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স শাস্তিমূলক বদলীর পরেও পেকুয়ায় অফিস করছেন ডাক্তার মাজেদ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৫৫:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১৬২০ বার পড়া হয়েছে

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স শাস্তিমূলক বদলীর পরেও পেকুয়ায় অফিস করছেন ডাক্তার মাজেদ

পেকুয়া প্রতিনিধি :-
কক্সবাজারের পেকুয়ায় শাস্তিমূলক বদলীর পরেও নিয়মিত অফিস করছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা: মহিউদ্দিন মাজেদ চৌধুরী। তাকে ১২ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মস্থল ত্যাগের আদেশ দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে করে পেকুয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা মহিউদ্দিন চৌধুরী মাজেদকে তার নতুন কর্মস্থল কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পদায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এ সংক্রান্ত পরিপত্র চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারী সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর থেকে পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা: মহিউদ্দিন মাজেদকে পেকুয়ায় নিজ পদ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জুনিয়র কনসালটেন্ট (এনেন্থেসিওলজি) পদে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। বলা হয়েছে চলতি ফেব্রুয়ারী মাসের ১২ তারিখের মধ্যে পূর্বের কর্মস্থল অবমুক্ত করতে হবে। ১৩ তারিখের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের জন্য বলা হয়েছে। ১৩ ফেব্রুয়ারী থেকে পদ অবমুক্ত না করা গেলে স্ট্যান্ড রিলিজ হিসেবে গণ্য হবে।
 
এ দিকে পরিপত্র জারির ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো স্বপদে বহাল আছেন ওই কর্মকর্তা। শাস্তিমূলক বদলী আদেশের পরেও তিনি পেকুয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অফিস করছেন নিয়মিত। এতে করে সেবা খাতের ওই কর্মকর্তাকে ঘিরে নানান ধরনের প্রশ্ন তৈরী হয়েছে। সেবা ও স্বাস্থ্য খাতে পেকুয়ায় তাকে নিয়ে বিতর্ক হয়েছে একাধিকবার।
সুত্র জানান, পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ঘিরে অনিয়ম ও দুর্ণীতির অভিযোগ রয়েছে। সেবা ও পরিসেবা খাতে সরকার আমূল পরিবর্তন করে। পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ শয্যা বিশিষ্ট ছিল। পরবর্তীতে এ হাসপাতালকে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীত করে। চিকিৎসা সেবাকে জনগনের দুরগোড়ায় পৌছাতে সরকার নানানমুখী উদ্যোগ নেন। সেবাখাতের এ প্রতিষ্ঠানটিকে ঘিরে সরকার নাগরিকদের জন্য অনেক ধরনের পরিসেবা চালু করে। সিজারিয়ান, ইসিজি, আল্ট্রাসনোগ্রাফি, এক্সরে মেশিন, রক্তপরীক্ষাসহ অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষাও এ সব হাসপাতালে চালু করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই হাসপাতালের চিকিৎসকসহ অনেকে জানান, ১ জন কর্মকর্তার মুঠোবন্দীর মধ্যে ছিল এখানকার সেবা কার্যক্রম। আছে বড় কর্তাদের সিন্ডিকেট। যত অনিয়ম ও দুর্ণীতি হউক বলা যাবেনা। বললে শিষ্টাচার বহির্ভূত হয়। কয়েকজন কর্মচারী দাবী করেন, ডা: মহিউদ্দিন মাজেদ প্রভাবশালী কয়েক জনকে নিয়ে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন। যে সব পরিসেবা চালু করা হয় সে সব কয়েকমাসের মধ্যে আবার বন্ধ হয়ে যায়। সরকারী প্রতিষ্ঠানে জনগনকে সেবা দেয়ার চেয়ে প্রাইভেটে  রোগী দেখাকে বেশী প্রাধান্য দেওয়া হয়।
এ হাসপাতালে এ্যাম্বুল্যান্স আছে দুটি, আছে তিনটি জেনারেটর। এ সব বিকল অবস্থায় রয়েছে। রোগী পরিবহনের জন্য বাহির থেকে ৬ টি এ্যাম্বুল্যান্সকে রাখা হয়। এ সবের কমিশন যায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তার পকেটে। জালানী সংকট দেখিয়ে ৩ টি জেনারেটরের মধ্যে ২ টি নিষ্ক্রিয় থাকে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় অফিসের জন্য একটি জেনারেটর চালু রাখা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেকজন কর্মচারী জানান, একটি জেনারেটরের হদিসও নেই। মনে হচ্ছে সেটি এখান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
কর্মচারীরা আরো জানান, এ হাসপাতালে এক্সরে, অটোক্লাভ, ইসিজি, আলট্রাসনোগ্রাফির মেশিনসহ ২০ থেকে ২৫ ধরনের মেশিন ও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে সরকার। প্রত্যেক মানুষ সরকারী এ প্রতিষ্ঠান থেকে সকল ধরনের সেবা ও পরিসেবার নিশ্চয়তা নিশ্চিত করে। চালু করা হয় আইসিও, ওটি, ডেন্টালসেবাসহ সব ধরনের সেবা। এ ছাড়াও ওয়ান স্টপ ক্রাইসিসও এখানে চালু করে। চিকিৎসার জন্য আছে ২৯ জন চিকিৎসক। এ সবের পরেও ব্যবস্থাপনা অনেকটা মুখ থুবড়ে পড়েছে। শুধু প্রচার প্রচারণাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। আছে নৈতিকতা ও আন্তরিকতার অভাব।
এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মুজিবুর রহমান জানান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা মহিউদ্দিন মাজেদকে এখান থেকে বদলী করা হয়েছে। আমি শুনেছি উনার কিছু কাজ আছে। মন্ত্রণালয়ে সময়ের জন্য তিনি দরখাস্ত দিয়েছেন।
শাস্তিমূলক বদলী হওয়া কর্মকর্তা ডাক্তার মহিউদ্দিন মাজেদ চৌধুরী জানান, আমার বদলী আদেশ এসেছে। ওই আদেশ পুনবিবেচনার জন্য আমি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি। আল্লাহ যেখানে যতদিন দেন সেখানে আমাকে ততদিন থাকতে হবে।
কক্সবাজারের সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডাক্তার নুবেল বড়ুয়া জানান, আমি সিভিল সার্জন হিসেবে মাত্র যোগদান করেছি। এ বিষয়ে আমার জানা ছিলনা। বিষয়টি আমি অবশ্যই খতিয়ে দেখবো। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, এখানে সবকিছু নিয়মতান্ত্রিকের মধ্যে থাকতে হবে। কোন অনিয়মকে আমার দ্বারা প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্মকর্তা (স্বাস্থ্য) ডাক্তার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, এ বিষয়টি সিভিল সার্জনের এখতিয়ার। আমি বিষয়টি দেখব।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক যুবকের লাশ

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স শাস্তিমূলক বদলীর পরেও পেকুয়ায় অফিস করছেন ডাক্তার মাজেদ

আপডেট সময় ০৮:৫৫:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
পেকুয়া প্রতিনিধি :-
কক্সবাজারের পেকুয়ায় শাস্তিমূলক বদলীর পরেও নিয়মিত অফিস করছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা: মহিউদ্দিন মাজেদ চৌধুরী। তাকে ১২ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মস্থল ত্যাগের আদেশ দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে করে পেকুয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা মহিউদ্দিন চৌধুরী মাজেদকে তার নতুন কর্মস্থল কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পদায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এ সংক্রান্ত পরিপত্র চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারী সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর থেকে পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা: মহিউদ্দিন মাজেদকে পেকুয়ায় নিজ পদ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জুনিয়র কনসালটেন্ট (এনেন্থেসিওলজি) পদে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। বলা হয়েছে চলতি ফেব্রুয়ারী মাসের ১২ তারিখের মধ্যে পূর্বের কর্মস্থল অবমুক্ত করতে হবে। ১৩ তারিখের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের জন্য বলা হয়েছে। ১৩ ফেব্রুয়ারী থেকে পদ অবমুক্ত না করা গেলে স্ট্যান্ড রিলিজ হিসেবে গণ্য হবে।
 
এ দিকে পরিপত্র জারির ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো স্বপদে বহাল আছেন ওই কর্মকর্তা। শাস্তিমূলক বদলী আদেশের পরেও তিনি পেকুয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অফিস করছেন নিয়মিত। এতে করে সেবা খাতের ওই কর্মকর্তাকে ঘিরে নানান ধরনের প্রশ্ন তৈরী হয়েছে। সেবা ও স্বাস্থ্য খাতে পেকুয়ায় তাকে নিয়ে বিতর্ক হয়েছে একাধিকবার।
সুত্র জানান, পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ঘিরে অনিয়ম ও দুর্ণীতির অভিযোগ রয়েছে। সেবা ও পরিসেবা খাতে সরকার আমূল পরিবর্তন করে। পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ শয্যা বিশিষ্ট ছিল। পরবর্তীতে এ হাসপাতালকে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীত করে। চিকিৎসা সেবাকে জনগনের দুরগোড়ায় পৌছাতে সরকার নানানমুখী উদ্যোগ নেন। সেবাখাতের এ প্রতিষ্ঠানটিকে ঘিরে সরকার নাগরিকদের জন্য অনেক ধরনের পরিসেবা চালু করে। সিজারিয়ান, ইসিজি, আল্ট্রাসনোগ্রাফি, এক্সরে মেশিন, রক্তপরীক্ষাসহ অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষাও এ সব হাসপাতালে চালু করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই হাসপাতালের চিকিৎসকসহ অনেকে জানান, ১ জন কর্মকর্তার মুঠোবন্দীর মধ্যে ছিল এখানকার সেবা কার্যক্রম। আছে বড় কর্তাদের সিন্ডিকেট। যত অনিয়ম ও দুর্ণীতি হউক বলা যাবেনা। বললে শিষ্টাচার বহির্ভূত হয়। কয়েকজন কর্মচারী দাবী করেন, ডা: মহিউদ্দিন মাজেদ প্রভাবশালী কয়েক জনকে নিয়ে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন। যে সব পরিসেবা চালু করা হয় সে সব কয়েকমাসের মধ্যে আবার বন্ধ হয়ে যায়। সরকারী প্রতিষ্ঠানে জনগনকে সেবা দেয়ার চেয়ে প্রাইভেটে  রোগী দেখাকে বেশী প্রাধান্য দেওয়া হয়।
এ হাসপাতালে এ্যাম্বুল্যান্স আছে দুটি, আছে তিনটি জেনারেটর। এ সব বিকল অবস্থায় রয়েছে। রোগী পরিবহনের জন্য বাহির থেকে ৬ টি এ্যাম্বুল্যান্সকে রাখা হয়। এ সবের কমিশন যায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তার পকেটে। জালানী সংকট দেখিয়ে ৩ টি জেনারেটরের মধ্যে ২ টি নিষ্ক্রিয় থাকে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় অফিসের জন্য একটি জেনারেটর চালু রাখা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেকজন কর্মচারী জানান, একটি জেনারেটরের হদিসও নেই। মনে হচ্ছে সেটি এখান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
কর্মচারীরা আরো জানান, এ হাসপাতালে এক্সরে, অটোক্লাভ, ইসিজি, আলট্রাসনোগ্রাফির মেশিনসহ ২০ থেকে ২৫ ধরনের মেশিন ও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে সরকার। প্রত্যেক মানুষ সরকারী এ প্রতিষ্ঠান থেকে সকল ধরনের সেবা ও পরিসেবার নিশ্চয়তা নিশ্চিত করে। চালু করা হয় আইসিও, ওটি, ডেন্টালসেবাসহ সব ধরনের সেবা। এ ছাড়াও ওয়ান স্টপ ক্রাইসিসও এখানে চালু করে। চিকিৎসার জন্য আছে ২৯ জন চিকিৎসক। এ সবের পরেও ব্যবস্থাপনা অনেকটা মুখ থুবড়ে পড়েছে। শুধু প্রচার প্রচারণাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। আছে নৈতিকতা ও আন্তরিকতার অভাব।
এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মুজিবুর রহমান জানান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা মহিউদ্দিন মাজেদকে এখান থেকে বদলী করা হয়েছে। আমি শুনেছি উনার কিছু কাজ আছে। মন্ত্রণালয়ে সময়ের জন্য তিনি দরখাস্ত দিয়েছেন।
শাস্তিমূলক বদলী হওয়া কর্মকর্তা ডাক্তার মহিউদ্দিন মাজেদ চৌধুরী জানান, আমার বদলী আদেশ এসেছে। ওই আদেশ পুনবিবেচনার জন্য আমি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি। আল্লাহ যেখানে যতদিন দেন সেখানে আমাকে ততদিন থাকতে হবে।
কক্সবাজারের সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডাক্তার নুবেল বড়ুয়া জানান, আমি সিভিল সার্জন হিসেবে মাত্র যোগদান করেছি। এ বিষয়ে আমার জানা ছিলনা। বিষয়টি আমি অবশ্যই খতিয়ে দেখবো। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, এখানে সবকিছু নিয়মতান্ত্রিকের মধ্যে থাকতে হবে। কোন অনিয়মকে আমার দ্বারা প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্মকর্তা (স্বাস্থ্য) ডাক্তার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, এ বিষয়টি সিভিল সার্জনের এখতিয়ার। আমি বিষয়টি দেখব।