বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, সরকার দুর্নীতির জন্য বিদ্যুৎ খাতকে বেছে নিয়েছে। দুর্নীতি লুটপাটের কারণে বিদ্যুতের ভয়াবহ দুরবস্থা। কদিকে মধ্যবিত্তের ওপর ন্যূনতম দুই হাজার টাকা কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে, অন্যদিকে চার কোটি টাকা পর্যন্ত মোট সম্পদের ওপর কোনো সারচার্জ দিতে হবে না। এ পর্যন্ত ক্যাপাসিটি চার্জের নামে ১ লক্ষ কোটি টাকার উপরে লুট করেছে তারা। বাড়তি বিদ্যুৎ ভর্তুকি কীভাবে ব্যবহার করা হবে, তা স্পষ্ট করা হয়নি। আগামী অর্থবছরে বিদ্যুৎ বিভাগের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩৩ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৪০% শতাংশ বেশি। বিদ্যুৎখাতে অতিরিক্ত বরাদ্দের মূল কারণ ক্যাপাসিটি চার্জ ও কুইক রেন্টালের নামে অর্থ লোপাটের আরও সুযোগ করে দেয়া। অথচ সারাদেশে মারাত্মক লোডশেডিং চলছেই। গ্রামে তো বিদ্যুৎ বলতে গেলে থাকেই না। রাজধানীতেই বিদ্যুৎ লোডশেডিং এ সকলের ত্রাহি অবস্থা। অথচ উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ ফেরী করে বিক্রি করতে হবে পার্লামেন্টে অহমিকা করেছে সরকার। বিদ্যুৎখাতে সরকারের ভয়াবহ লুটপাটের মাশুল দিচ্ছে দেশবাসী।
বৃহষ্পতিবার সকালে অসহনীয় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদে বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাগবাড়ী (নবাবরোড) অফিসের সম্মুখে অবস্থান কর্মসূচি ও বিউবো, প্রধান প্রকৌশলীর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদানকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে দেশ পরিচালনায় সর্বক্ষেত্রে ব্যার্থ এই সরকারকে অভিলম্বে পদত্যাগ করার আহবান জানান বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, বিদ্যুৎখাতে সরকার লুটপাট চালাচ্ছে। বিদ্যুতের দাম ইচ্ছামতো বৃদ্ধি করা হয়েছে। জনগণের কাছ থেকে ঠিকই বিদ্যুতের বিল আদায় করে নেওয়া হচ্ছে। অথচ জনগণকে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ দিতে পারছে না সরকার। ইতিমধ্যেই পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র কয়লার অভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ছোট ছোট বিদ্যুতের প্রকল্পগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। সরকার দেশের মানুষের জন্য বিদ্যুৎ দিতে পারে না অথচ তারা জাতীয় সংসদে বড় আকারের বাজেট পেশ করেছেন। দেশের মালিক জনগণ। আমরা জনগণের মালিকানা উদ্ধার করে জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যই রাজপথে আন্দোলন করছি।গণতন্ত্রকে উদ্ধারের জন্য রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে যদি জীবন দিতে হয় তবুও জিয়ার সৈনিকরা পিছু হটবে না।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, বিএনপি নেতা মামুনুর রশিদ (চাকসু), কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, বিএনপি নেতা হাজী শাহাব উদ্দিন আহমদ, শাহ জামাল নুরুল হুদা, সৈয়দ মইনউদ্দিন সুহেল, ফখরুল ইসলাম ফারুক, একেএম তারেক কালাম, ইকবাল বাহার চৌধুরী, শহিদ আহমদ (চেয়ারম্যান), নজমুল হোসেন পুতুল, নজিবুর রহমান নজিব, নাজিম উদ্দিন লস্কর, শাহাব উদ্দিন আহমদ, গোলাম রব্বানী, ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, তাজরুল ইসলাম তাজুল, আনোয়ার হোসেন মানিক, এড. আবু তাহের, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী সুফি, আবুল কালাম, রেজাউল করিম আলো, আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, মাহবুব কাদির শাহী, সৈয়দ সাফেক মাহবুব, দিনার খান হাসু, এড. মোমিনুল ইসলাম মোমিন, শাহ নেওয়াজ বকত তারেক, কোহিনুর আহমদ, এড. সাঈদ আহমদ, আবুল কাশেম, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, মাহবুবুল হক চৌধুরী, শাকিল মোর্শেদ, মুশিকুর রহমান মুহি, এড. আল আসলাম মুমিন, লোকমান আহমদ, এড. বদরুল ইসলাম চৌধুরী, এড. মোস্তাক আহমদ, আল মামুন খান, জয়নাল আহমদ রানু, আলী আকবর, আজিজুর রহমান, জালাল খান, মাহবুব আলম, বাদশা আহমদ, অর্জুন ঘোষ, মনিরুল ইসলাম তুরন, আহাদ চৌধুরী শামীম, ডাঃ নাজিম উদ্দিন, সুলতানা রহমান দিনা, আলাউদ্দিন আলাই, নাজিম উদ্দিন পান্না, মির্জা সম্রাট, আফসর খান, সুদীপ জ্যাতি এষ, ফজলে আহসান রাব্বী, দেলোয়ার হোসেন দিনার, শামসুর রহমান সুজা, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, আহমদ সোলায়মান, সুমেল আহমদ চৌধুরী, মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী, জাহেদ আহমদ, হাসান মঈন উদ্দিন আহমদ, শামসুর রহমান শামীম, গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপি সভাপতি মাহবুব আলম, জসিম উদ্দিন, মহানগর ওয়ার্ড বিএনপির রায়হান উদ্দিন মুন্না, আব্দুল ওয়াদুদ মিলন, আমীর হোসেন, মোঃ আব্দুল হাকিম, শেখ মোঃ কমির আহমদ, মির্জা বেলায়েত হোসেন লিটন, তারেক আহমদ খান, মোঃ নাজিম উদ্দিন, আব্দুর রহমান, তাজ উদ্দিন মাসুম, আব্দুল আহাদ, ইসলাম উদ্দিন, আম্বিয়া চৌধুরী, নুরুল আমিন দুলু, রফিকুল ইসলাম, তোফায়েল আহমদ সুহেল, জিয়াউল হক জিয়া, সুহেল ইবনে রাজা, জহিরুল হক তানিম, বাচ্চু, এ.এস.এম সায়েম, মিনহাজ পাঠান, রুবেল বকত, মোঃ সাব্বির আহমদ, আব্দুস সবুর রাসেল, রফিকুল ইসলাম রফিক, সৈয়দ রহিম আলী রাসু, নজরুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, মামুন ইবনে রাজ্জাক রাসেল, রুম্মান আহমদ, দেওয়ান আরাফাত চৌঃ জাকি, আব্দুল মালিক শেকু, রাজিব কুমার দেব, সুমন আহমদ, মুহিবুর রহমান মুহিব, ছালেক আহমদ, ফরহাদ আহমদ, আব্দুল মুনিম, মঈনুল ইসলাম মঈন, গিয়াস মিয়া, রাসেল আহমদ খান, মজুমদার রনি, মতিউর রহমান শিমুল, সাইফুল ইসলাম, রাসেল আহমদ রানা, জাহাঙ্গীর আলম জীবন, ফয়সাল আহমেদ প্রমুখ।
অবস্থান কর্মসূচিতে সিলেট জেলা বিএনপি, সিলেট মহানগর বিএনপি, বিভিন্ন উপজেলা, পৌর ও মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী তীব্র গরম উপেক্ষা করে অংশ নেন।
অবস্থান কর্মসূচি শেষে বিএনপির ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, সিলেটের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী।
ছবির ক্যাপশন :
০১। অসহনীয় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদে বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট জেলা বিএনপির বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাগবাড়ী (নবাবরোড) অফিসের সম্মুখে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির।
০২। অসহনীয় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদে বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, সিলেটের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে স্মারকলিপি দিচ্ছেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ।