বাংলাদেশ ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১ গণধর্ষণ মামলায় গ্রাম পুলিশসহ গ্রেপ্তার-২ ৪ বসতবাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই নানা আয়োজনে যশোর মুক্ত দিবস উদযাপন  বড় ভাইয়ের ইটের আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা নারী নির্যাতন মামলা করায় বাদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ  মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ও সদস্য সচিব সহ চার নেতাকে গ্রেফতারে বিএনপির নিন্দা অবাধে চলছে মোবাইলে টাকা দিয়ে লুডু খেলা প্রতিনিয়ত ঘটছে নানা দূর্ঘটনা  বড় ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে মারা গেলেন ছোট ভাই স্ত্রীর পরকীয়া সইতে না পেরে স্বামীর আত্মহত্যা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ বিষয়ক পক্ষকাল ব্যাপি প্রচারাভিযান ইবি শিক্ষার্থী মানবতার সেবক মুরাদের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার পিরোজপুর জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আর নেই প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

গ্রাম বাংলার কালের বিবর্তনে ঐতিহ্যবাহী হারিকেন হারিয়ে যাচ্ছে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:১১:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩
  • ১৬১৫ বার পড়া হয়েছে

গ্রাম বাংলার কালের বিবর্তনে ঐতিহ্যবাহী হারিকেন হারিয়ে যাচ্ছে

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

হেলাল উদ্দীন (মিঞাজী): পার্বত্য  বান্দরবানে নাইক্ষ‍্যংছড়ি উপজেলায় কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ‘হারিকেন’। হারিকেনকে এক সময় রাত্রিকালীন বন্ধু হিসেবে অনেকেই অখ্যায়িত করত। এক সময় হারিকেন হাতে নিয়ে ডাকপিয়ন ছুটে চলতেন গ্রামের পর গ্রামে। বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সবাই রাতের বেলাই হারিকেন হাতে নিয়ে বের হতেন। হারিকেনের আলো গৃহস্থালির পাশাপাশি ব্যবহার হতো বিভিন্ন যানবাহনে। কিন্তু আধুনিকায়নে বিভিন্ন বৈদ্যুতিক বাতিতে বাজার ভরপুর। যার কারণে হারিয়ে যাচ্ছে রাত্রিকালীন আলোর একমাত্র উৎস ঐতিহ্যবাহী হারিকেন।
সরেজমিনে নাইক্ষ‍্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, তখনকার সময়ে হারিকেন মেরামতের জন্য উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে মিস্ত্রী বসতো। এছাড়া উপজেলার প্রতিটি বাজারে ছিল হারিকেন মেরামতের অস্থায়ী দোকান। এরা বিভিন্ন হাট বাজারে ঘুরে ঘুরে হারিকেন মেরামতের কাজ করত। এছাড়া অনেকে গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে হারিকেন মেরামত করত। কিন্তু এখন আর হারিকেন ব্যবহার না করার ফলে হারিকেন মিস্ত্রীদের এখন আর দেখা যায় না।
নাইক্ষ‍্যংছড়ি উপজেলার এলাকার ভ্যান চালক বলেন, এক সময় হারিকেন ছাড়া রাতে ভ্যান নিয়ে চলাচল করা যেত না।কিন্তু এখন বাজারে কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের এলইডি লাইট বের হওয়ায় এখন আর হারিকেনের প্রয়োজন হয় না।
বিভিন্ন শিক্ষক বলেন, আগে রাতে পড়তে বসার আগেই হারিকেন নিয়ে টানা টানি করতে হতো।কিন্তু এখন ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। তাছাড়া বাজারে বিভিন্ন ধরনের এলইডি বাল্ব অনেক কম দামে পাওয়া যায়। যার কারণে এখন আর হারিকেনের প্রয়োজন হয় না।
নাইক্ষ‍্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের এক হারিকেন মেকার জানায়, এক সময় নিজের হাতে অনেক হারিকেন মেরামত করেছি। কিন্তু এখন কার সময়ে ঘরে হারিকেন থাকলেও তা কেউ ব্যবহার করে না। এতে মেরামতের কাজ ও তেমন হয় না। যার কারণে এই পেশা ছাড়তে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সময়ের আবর্তে এক সময় হারিকেন দেখতে যেতে হবে জাদুঘরে। নতুন প্রজন্ম হয়তো জানবেও না হারিকেনের ইতিহাস।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello

গ্রাম বাংলার কালের বিবর্তনে ঐতিহ্যবাহী হারিকেন হারিয়ে যাচ্ছে

আপডেট সময় ০৮:১১:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩
হেলাল উদ্দীন (মিঞাজী): পার্বত্য  বান্দরবানে নাইক্ষ‍্যংছড়ি উপজেলায় কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ‘হারিকেন’। হারিকেনকে এক সময় রাত্রিকালীন বন্ধু হিসেবে অনেকেই অখ্যায়িত করত। এক সময় হারিকেন হাতে নিয়ে ডাকপিয়ন ছুটে চলতেন গ্রামের পর গ্রামে। বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সবাই রাতের বেলাই হারিকেন হাতে নিয়ে বের হতেন। হারিকেনের আলো গৃহস্থালির পাশাপাশি ব্যবহার হতো বিভিন্ন যানবাহনে। কিন্তু আধুনিকায়নে বিভিন্ন বৈদ্যুতিক বাতিতে বাজার ভরপুর। যার কারণে হারিয়ে যাচ্ছে রাত্রিকালীন আলোর একমাত্র উৎস ঐতিহ্যবাহী হারিকেন।
সরেজমিনে নাইক্ষ‍্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, তখনকার সময়ে হারিকেন মেরামতের জন্য উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে মিস্ত্রী বসতো। এছাড়া উপজেলার প্রতিটি বাজারে ছিল হারিকেন মেরামতের অস্থায়ী দোকান। এরা বিভিন্ন হাট বাজারে ঘুরে ঘুরে হারিকেন মেরামতের কাজ করত। এছাড়া অনেকে গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে হারিকেন মেরামত করত। কিন্তু এখন আর হারিকেন ব্যবহার না করার ফলে হারিকেন মিস্ত্রীদের এখন আর দেখা যায় না।
নাইক্ষ‍্যংছড়ি উপজেলার এলাকার ভ্যান চালক বলেন, এক সময় হারিকেন ছাড়া রাতে ভ্যান নিয়ে চলাচল করা যেত না।কিন্তু এখন বাজারে কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের এলইডি লাইট বের হওয়ায় এখন আর হারিকেনের প্রয়োজন হয় না।
বিভিন্ন শিক্ষক বলেন, আগে রাতে পড়তে বসার আগেই হারিকেন নিয়ে টানা টানি করতে হতো।কিন্তু এখন ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। তাছাড়া বাজারে বিভিন্ন ধরনের এলইডি বাল্ব অনেক কম দামে পাওয়া যায়। যার কারণে এখন আর হারিকেনের প্রয়োজন হয় না।
নাইক্ষ‍্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের এক হারিকেন মেকার জানায়, এক সময় নিজের হাতে অনেক হারিকেন মেরামত করেছি। কিন্তু এখন কার সময়ে ঘরে হারিকেন থাকলেও তা কেউ ব্যবহার করে না। এতে মেরামতের কাজ ও তেমন হয় না। যার কারণে এই পেশা ছাড়তে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সময়ের আবর্তে এক সময় হারিকেন দেখতে যেতে হবে জাদুঘরে। নতুন প্রজন্ম হয়তো জানবেও না হারিকেনের ইতিহাস।