বাংলাদেশ ১০:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
রাবি ছাত্রলীগের চার নেতা বহিষ্কার বেলালের বিজয়ী উল্লাসের মধ্য দিয়ে সময় পার করছে গোদাগাড়ী উপজেলা বাসি মাদক মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার। ধনবাড়ী‌তে (সিএজি) কার্যালয়ের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। হিজলা উপজেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক মোঃ এ কে আজাদ প্রতারণার নতুন কৌশল মসজিদ,মাদরাসাসহ পাকা বসতবাড়ী নির্মাণের নামে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা শিক্ষার্থীদের ‘যাতায়াত’ সুবিধার্থে বন্ধ ক্যাম্পাসে বাস দিলো কুবি রাবি সফরে আসাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদল জগন্নাথপুরে ডিবির অভিযানে ৭০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার-২ পরিবেশ অধিদপ্তরে ছাড়পত্র না থাকায় মন্ডল প্লাস্টিক এন্ড রাবার রিসাইক্লিং এ জরিমানা সুনামগঞ্জে ৬৫০ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ড্রেস বিতরণ করেন মেয়র নাদের বখত দেবিগঞ্জে নেশা জাতীয় ট্যাপেন্ডাডল ট্যাবলেট সহ এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে আটক। সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পাশ হতাশাজনক কেন? শিক্ষক ও শিক্ষা বোর্ডের মতামত ভালুকায় নবনির্মিত ৩টি রাস্তার উদ্ধোধন গাজাসহ ০২ জন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে মাদক পরিবহনের সময় গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

ঝালকাঠিতে অতিথি পাখির কলতানে পর্যটন সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে কুমারখালি মরা নদী

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:৪৫:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩
  • ১৬৪৮ বার পড়া হয়েছে

ঝালকাঠিতে অতিথি পাখির কলতানে পর্যটন সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে কুমারখালি মরা নদী

 

 

 

 

 

 

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ অতিথি পাখির কলতানে ও সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঝালকাঠির কুমারখালির সুগন্ধা নদীর মরা নদী অংশ (মরগাঙ্গী) হতে পারে নয়নাভিরাম পর্যটন কেন্দ্র। জেলার নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়ন এর কুমারখালিতে প্রবাহমান সুগন্ধা নদীর একটি মরা শাখা রয়েছে যা এলাকাবাসীর কাছে মরগাংগী নামেই পরিচিত।

 

 

 

 

 

নদীর প্রবাহমান স্রোত না থাকায় স্থানটি এখন একটি বিশাল লেকের মতন হয়ে গেছে। প্রতি বছর শীতের মৌসুমে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে থাকে এই জলরাশি।চারদিকে সবুজের সমারোহ সামনে বিশাল জলরাশিতে ঝাকে ঝাকে অতিথি পাখির ভেসে বেরানোতে সকাল সন্ধায় যেন এক অপরুপ রূপ ধারন করে।

 

 

 

 

 

অনেকেই দূর দুরন্ত থেকে অনেক সময় ঘুরতে আসেন এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা না থাকায় বসার বা ভালোমত হাটার কোনো ব্যবস্থাও নেই। এর এক প্রান্তে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাথে সংযুক্ত থাকলেও সেটি উন্নয়নের বাইরে রয়ে গেছে। প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেন হিরনের আমলে সেই অংশের রাস্তাটি পাকা করে দেয়া হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছিলো।

 

 

 

 

 

পর্যটকদের জন্য কিছু বসার বেঞ্চ দেয়া হলে, রাতে অন্ধকার দূর করতে কিছু বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা করা হলে ব্যাপক লোক সমাগম হতে পারে এখানে। এছাড়াও পর্যটক টানতে কিছু পরিকল্পনা এই এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভুমিকা রাখতে পারে।

 

 

 

 

 

 

এলাকাবাসীর আগ্রহে এই স্থানকে পর্যটন কেন্দ্র বানাতে ইতোমধ্যেই এর লিজের মালিকদের সাথে প্রাথমিক আলোচনা শুরু করেছেন স্থানীয় সমাজকর্মী বালী তূর্য। তিনি বলেন, আমরা গত বছর থেকেই লিজ গ্রহিতাদেরকে উৎসাহিত করছি এই ব্যাপক সম্ভাবনাময় অঞ্চলে সামান্য কিছু বিনিয়োগ করতে। কিছু বসার বেঞ্চ আর লাইট হলেও এখানে প্রচুর লোক সমাগম হবে। অতিথি পাখির কলকাকলীতে এলাকাটি মুখরিত থাকে, তাই এই নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ করে দিতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

 

 

 

 

 

 

এই জলাশয়ের সরকারি লিজ গ্রহীতাদের একজন অনুরাগ গ্রামের রাজিব চৌধুরী বলেন, এখানে একটি পর্যটন স্পট বানানোর চিন্তাভাবনা আমাদেরও রয়েছে। তবে আপাতত বাধ দেয়ার কাজটি বাকি রয়েছে। বাধের কাজ সম্পন্ন হলেই আমরা চেষ্টা করব যাতে এটির নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে সকলে পরিবার সহ এসে উপভোগ করতে পারেন। প্রতি বছর শীত মৌসুমেই সকলে পরিবার সহ ঘুরতে আসতে পারবেন এই নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে।যারফলে এই অঞ্চলের অর্থনিতীতে ব্যাপক উন্নতির সম্ভাবনাময় সুযোগ রয়েছে।

 

 

 

 

 

 

ইউপি সদস্য সুজাত সিকদার বলেন, আমরাও চাই এই স্থানটির কল্যানে পুরো এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন হোক। এখানে পর্যটন সম্ভাবনা রয়েছে, যার সঠিক ব্যবস্থাপনা হলে এলাকার অনেক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে আর্থ সামাজিক ব্যাপক উন্নতি সম্ভব।

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

রাবি ছাত্রলীগের চার নেতা বহিষ্কার

ঝালকাঠিতে অতিথি পাখির কলতানে পর্যটন সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে কুমারখালি মরা নদী

আপডেট সময় ০৬:৪৫:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩

 

 

 

 

 

 

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ অতিথি পাখির কলতানে ও সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঝালকাঠির কুমারখালির সুগন্ধা নদীর মরা নদী অংশ (মরগাঙ্গী) হতে পারে নয়নাভিরাম পর্যটন কেন্দ্র। জেলার নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়ন এর কুমারখালিতে প্রবাহমান সুগন্ধা নদীর একটি মরা শাখা রয়েছে যা এলাকাবাসীর কাছে মরগাংগী নামেই পরিচিত।

 

 

 

 

 

নদীর প্রবাহমান স্রোত না থাকায় স্থানটি এখন একটি বিশাল লেকের মতন হয়ে গেছে। প্রতি বছর শীতের মৌসুমে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে থাকে এই জলরাশি।চারদিকে সবুজের সমারোহ সামনে বিশাল জলরাশিতে ঝাকে ঝাকে অতিথি পাখির ভেসে বেরানোতে সকাল সন্ধায় যেন এক অপরুপ রূপ ধারন করে।

 

 

 

 

 

অনেকেই দূর দুরন্ত থেকে অনেক সময় ঘুরতে আসেন এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা না থাকায় বসার বা ভালোমত হাটার কোনো ব্যবস্থাও নেই। এর এক প্রান্তে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাথে সংযুক্ত থাকলেও সেটি উন্নয়নের বাইরে রয়ে গেছে। প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেন হিরনের আমলে সেই অংশের রাস্তাটি পাকা করে দেয়া হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছিলো।

 

 

 

 

 

পর্যটকদের জন্য কিছু বসার বেঞ্চ দেয়া হলে, রাতে অন্ধকার দূর করতে কিছু বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা করা হলে ব্যাপক লোক সমাগম হতে পারে এখানে। এছাড়াও পর্যটক টানতে কিছু পরিকল্পনা এই এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভুমিকা রাখতে পারে।

 

 

 

 

 

 

এলাকাবাসীর আগ্রহে এই স্থানকে পর্যটন কেন্দ্র বানাতে ইতোমধ্যেই এর লিজের মালিকদের সাথে প্রাথমিক আলোচনা শুরু করেছেন স্থানীয় সমাজকর্মী বালী তূর্য। তিনি বলেন, আমরা গত বছর থেকেই লিজ গ্রহিতাদেরকে উৎসাহিত করছি এই ব্যাপক সম্ভাবনাময় অঞ্চলে সামান্য কিছু বিনিয়োগ করতে। কিছু বসার বেঞ্চ আর লাইট হলেও এখানে প্রচুর লোক সমাগম হবে। অতিথি পাখির কলকাকলীতে এলাকাটি মুখরিত থাকে, তাই এই নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ করে দিতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

 

 

 

 

 

 

এই জলাশয়ের সরকারি লিজ গ্রহীতাদের একজন অনুরাগ গ্রামের রাজিব চৌধুরী বলেন, এখানে একটি পর্যটন স্পট বানানোর চিন্তাভাবনা আমাদেরও রয়েছে। তবে আপাতত বাধ দেয়ার কাজটি বাকি রয়েছে। বাধের কাজ সম্পন্ন হলেই আমরা চেষ্টা করব যাতে এটির নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে সকলে পরিবার সহ এসে উপভোগ করতে পারেন। প্রতি বছর শীত মৌসুমেই সকলে পরিবার সহ ঘুরতে আসতে পারবেন এই নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে।যারফলে এই অঞ্চলের অর্থনিতীতে ব্যাপক উন্নতির সম্ভাবনাময় সুযোগ রয়েছে।

 

 

 

 

 

 

ইউপি সদস্য সুজাত সিকদার বলেন, আমরাও চাই এই স্থানটির কল্যানে পুরো এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন হোক। এখানে পর্যটন সম্ভাবনা রয়েছে, যার সঠিক ব্যবস্থাপনা হলে এলাকার অনেক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে আর্থ সামাজিক ব্যাপক উন্নতি সম্ভব।