বাংলাদেশ ০৭:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ভূঞাপুরে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় দুই শ্রমিককে কারাদণ্ড সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল পীরগঞ্জের কুমেদপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুলের নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্ত শুরু  তালতলীতে ইউএনও’র বদলি আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ভান্ডারিয়ায় হিন্দু যুবককে কুপিয়ে জখম কাউখালীতে করলা চাষে সাফল্য অর্জন করেছেন কৃষক তৈয়ব আলী কয়রায় সুপেয় খাবার পানির জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর সাথে গনশুনানী ও পিটিশন জমা কয়রা সেতুর টোল আদায়ে আইনগত সহায়তা চেয়েছেন আনার আলী ভৈরবনদ খননে অনিয়মের অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে স্মারকলিপি  চট্টগ্রামের ১৩ ওসিকে বদলী বঙ্গবন্ধু হল পরিদর্শন করলেন রাবি উপাচার্য মুন্সীগঞ্জে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত প্রধান উপদেষ্টা ও আইনজীবী খাজা তানভীর আহমেদ কাছে খোলা চিঠি: গণমাধ্যম কর্মী শাহাদাত হোসেন নওগাঁয় সংবাদ প্রকাশের জের ধরে দুই সাংবাদিককে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন। নলছিটিতে বিএনপি নেতা রিমনের চাদাঁবাজী ও দখল বানিজ্যে সাধারন মানুষ অতিষ্ঠ:বহিস্কার দাবী

তালতলীতে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৫০:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৬৫০ বার পড়া হয়েছে

তালতলীতে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

মোঃ জাকারিয়া হোসেন তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি:
সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক কালবেলার তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি নাঈম ইসলামের বিরুদ্ধে বরিশালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। ৪ অক্টোবর মোকাম বরিশাল বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন ২০২৩ এর ২৩(১), ২৫(ক), ২৬(১), ২৯, ৩৩(১) ধারায় মামলাটি করা হলেও ৬ অক্টোবর বিষয়টি জানাজানি হয়।
বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের বন্দরগাছিয়া, খাকবুনিয়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত হারুনের মেয়ে মোসাম্মৎ শিরিন মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি বরগুনা সদর থানার ওসিকে তদন্তের জন্য দেওয়া হয়।
জানা যায়, বরিশালের আগলঝাড়া কোদালধোয়া গ্রামের সুবাস বিশ্বাসের ছেলে ডাক্তার সুমন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বরগুনা আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার থাকা কালে প্রতি শুক্রবার তালতলী উপজেলার একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিকে রোগী দেখতেন এই চিকিৎস।
নিউ পপুলার ডায়াগনস্টিক ল্যাব নামে ওই প্রতিষ্ঠানে রিসিপশনের কর্মরত মোসাম্মৎ শিরিন নামে এক নারীর সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর প্রেম তারপর বিয়ে। শেষ পর্যন্ত গর্ভপাত করে প্রতারণার অভিযোগ উঠছে এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। র্যাব ৮ বরাবর এক অভিযোগে এই নারী বলেন চিকিৎসকের ছদ্মবেশে এই প্রতারক ধর্মান্তরিত হয়ে মোসলমান হয়েছেন বলে। চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি তাকে পটুয়াখালী নোটারি পাবলিকের  মাধ্যমে বিয়ে করেন। যেখানে নিজের নাম পরিচয় সুমন খন্দকার, পিতা মোঃ সেলিম মিয়া এবং ঠিকানা বরিশালের আগলঝোড়া দেখান এই চিকিৎসক।
৫ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে এই বিয়ের হলপ নামায় আইনজীবী মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের সিল ও স্বাক্ষর রয়েছে। এরপর বেশ কিছুদিন বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যান এই দম্পতি। এর মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা এই নারী।কিন্তু চতুর এই চিকিৎসক তাকে গর্ভপাত করাতে বাধ্য করেন।
অভিযোগ পত্রে আরো উল্লেখ করা হয়েছে এর কয়দিন পরই চিকিৎসক সুমনের আসল চেহারা সামনে আসে। নিজের এক উকিল বন্ধুকে দিয়ে নিজেকে মুসলিম দেখিয়ে ভুয়া নোটারী পাবলিক করে এই বিয়ে করেন ও নারীকে জানান সুমন।
তবে দৈনিক কালবেলা সংবাদ প্রকাশের পর এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করলেন ওই নারী মোসাম্মৎ শিরিন। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন, ডাক্তার সুমন বিশ্বাসের সাথে তার বন্ধুত্ব ছিল বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করেছে তারা। তাদের এই ছবি ও ভিডিও দিয়ে কালবেলায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এ মামলার ১ নম্বর সাক্ষী সুমন বিশ্বাসের সম্মানহানি হয়েছে।
দৈনিক কালবেলার তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি নাঈম ইসলাম বলেন, মোসাম্মৎ শিরিন ওই নারী ডাক্তারের বিরুদ্ধে একটি র্যাব ৮ বরাবর অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগপত্রে যা উল্লেখ করা আছে ও বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে সংবাদ প্রকাশের কয়েকদিন পরেই ওই নারী সুমন বিশ্বাসের পরিবারের লোকজনদের সাক্ষী দিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

ভূঞাপুরে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় দুই শ্রমিককে কারাদণ্ড

তালতলীতে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

আপডেট সময় ১১:৫০:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩
মোঃ জাকারিয়া হোসেন তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি:
সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক কালবেলার তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি নাঈম ইসলামের বিরুদ্ধে বরিশালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। ৪ অক্টোবর মোকাম বরিশাল বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন ২০২৩ এর ২৩(১), ২৫(ক), ২৬(১), ২৯, ৩৩(১) ধারায় মামলাটি করা হলেও ৬ অক্টোবর বিষয়টি জানাজানি হয়।
বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের বন্দরগাছিয়া, খাকবুনিয়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত হারুনের মেয়ে মোসাম্মৎ শিরিন মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি বরগুনা সদর থানার ওসিকে তদন্তের জন্য দেওয়া হয়।
জানা যায়, বরিশালের আগলঝাড়া কোদালধোয়া গ্রামের সুবাস বিশ্বাসের ছেলে ডাক্তার সুমন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বরগুনা আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার থাকা কালে প্রতি শুক্রবার তালতলী উপজেলার একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিকে রোগী দেখতেন এই চিকিৎস।
নিউ পপুলার ডায়াগনস্টিক ল্যাব নামে ওই প্রতিষ্ঠানে রিসিপশনের কর্মরত মোসাম্মৎ শিরিন নামে এক নারীর সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর প্রেম তারপর বিয়ে। শেষ পর্যন্ত গর্ভপাত করে প্রতারণার অভিযোগ উঠছে এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। র্যাব ৮ বরাবর এক অভিযোগে এই নারী বলেন চিকিৎসকের ছদ্মবেশে এই প্রতারক ধর্মান্তরিত হয়ে মোসলমান হয়েছেন বলে। চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি তাকে পটুয়াখালী নোটারি পাবলিকের  মাধ্যমে বিয়ে করেন। যেখানে নিজের নাম পরিচয় সুমন খন্দকার, পিতা মোঃ সেলিম মিয়া এবং ঠিকানা বরিশালের আগলঝোড়া দেখান এই চিকিৎসক।
৫ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে এই বিয়ের হলপ নামায় আইনজীবী মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের সিল ও স্বাক্ষর রয়েছে। এরপর বেশ কিছুদিন বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যান এই দম্পতি। এর মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা এই নারী।কিন্তু চতুর এই চিকিৎসক তাকে গর্ভপাত করাতে বাধ্য করেন।
অভিযোগ পত্রে আরো উল্লেখ করা হয়েছে এর কয়দিন পরই চিকিৎসক সুমনের আসল চেহারা সামনে আসে। নিজের এক উকিল বন্ধুকে দিয়ে নিজেকে মুসলিম দেখিয়ে ভুয়া নোটারী পাবলিক করে এই বিয়ে করেন ও নারীকে জানান সুমন।
তবে দৈনিক কালবেলা সংবাদ প্রকাশের পর এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করলেন ওই নারী মোসাম্মৎ শিরিন। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন, ডাক্তার সুমন বিশ্বাসের সাথে তার বন্ধুত্ব ছিল বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করেছে তারা। তাদের এই ছবি ও ভিডিও দিয়ে কালবেলায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এ মামলার ১ নম্বর সাক্ষী সুমন বিশ্বাসের সম্মানহানি হয়েছে।
দৈনিক কালবেলার তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি নাঈম ইসলাম বলেন, মোসাম্মৎ শিরিন ওই নারী ডাক্তারের বিরুদ্ধে একটি র্যাব ৮ বরাবর অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগপত্রে যা উল্লেখ করা আছে ও বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে সংবাদ প্রকাশের কয়েকদিন পরেই ওই নারী সুমন বিশ্বাসের পরিবারের লোকজনদের সাক্ষী দিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন।