বৃহস্পতিবার (০৬ এপ্রিল) রাতে বন্দর গেট থেকে বন্দর কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে। রাতে মোংলা বন্দর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে শুক্রবার (০৭ এপ্রিল) মামলা দায়ের পূর্বক মোংলা থানায় হস্তান্তর করা হয় প্রতারক আজিজুল ইসলামকে। সন্ধ্যায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের গনসংযোগ শাখার উপসচিব মাকরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

আটক প্রতারক মো: আজিজুল ইসলাম সাতক্ষিরা জেলার খোকন ঢালির ছেলে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (০৬ এপ্রিল) দুপুরে শেরপুর জেলার মো: কামাল মিয়ার ছেলে মো: জসিম মিয়া (২১) বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্মুখে বন্দরের সম্পত্তি শাখার ল্যান্ড সার্ভেয়ার মো: আবুল খায়েরকে বন্দরের সুপারভাইজার পদে একটি ভূয়া নিয়োগপত্র দেখায় ও প্রতারণার কথা জানান। তাৎক্ষনিক বিষয়টি বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ শাহিনুর আলমকে জানায়। পরবর্তীতে প্রতারণার শিকার মো: জসিম মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মো: আজিজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ৮ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এই নিয়োগ পত্র দিয়েছেন।

মোঃ আজিজুল ইসলাম জসিম মিয়ার বিশ্বাস অর্জনের জন্য কুড়িগ্রাম জেলার মোঃ রমজান আলীর ছেলে মোঃ ইসমাইল হোসেন নামের এক ব্যক্তির নামে ইস্যু করা সুপারভাইজার পদের একটি ভুয়া নিয়োগ পত্র দেখায়। সেই নিয়োগপত্রটি মূলত জসিম বন্দরের কাছে সরবরাহ করেছে।মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মো: শাহীনুর আলম  বলেন, ‘‘ভুয়া নিয়োগ পত্র তৈরি করে মানুষের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে এবিষয়টি জানার পরে মোংলা থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। আমরা আজিজুল ইসলাম নামের এক প্রতারককে আটক করেছি। ভবিষ্যতে প্রতারণামূলক কার্যক্রম বন্ধের জন্য জনসাধারণকে সচেতন ও দায়িত্বশীল হওয়ার আহবান জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, চাকুরী পেতে হলে নির্দিষ্ট কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। যেমন চাকুরীর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, যোগ্য প্রার্থীদের আবেদন, নিয়োগ পরীক্ষা, ফলাফল এবং সর্বশেষ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োগপত্র ইস্যু করা।