বাংলাদেশ ০৬:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ফের খাবারের দাম বৃদ্ধি, রাবি প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দোকানিদের রাবিতে গ্যাস ক্রোমাটোগ্রাফির উপর কর্মশালা অনুষ্ঠিত ঈদুল আজহার আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইউপি সদস্য রিপন হত্যা মামলার পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। কাউখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিরোধ-কোন্দলে লড়াই হবে ত্রিমুখী ফুলবাড়ী খাদ্য গুদামে ইরি বোরো ধান ও চাউল সংগ্রহের শুভ উদ্বোধন  বিপুল পরিমানে ফেন্সিডিল পাঁচারকালে ২জন কুখ্যাত মাদক কারবারী আটক। বিআরটিসি লাইসেন্স ও সরকারি অনুমোদন ব্যতীত জিপিএস ট্র্যাকার, ট্রেসলক জিপিএস ট্র্যাকার, মোটোলক রিমোর্ট ও ফ্রিকোয়েন্সী যন্ত্র সামগ্রীসহ ০৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গোদাগাড়ীতে নামের মিলে মাদক মামলায় কলেজছাত্র কারাগারে, পরে জামিন অনুমোদনহীন নকল বিদ্যুতিক সরঞ্জামাদি ও নকল রং উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা। কাউখালীতে নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে বকরা বাছুর বিতরণ। নবান্নের উৎসবে মেতেছে কিশোরগঞ্জ। হাওরে ধানকাটা শেষ, ফলনে খুঁশি কৃষক। দেশীয় তৈরী ০২টি পাইপগানসহ ০২ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। কুবি ছাত্রের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ যিনি একের মধ্যে তিন, তিনিই বিজয় সরকার।

কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য বাহী মাটির ঘর

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:১৭:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৩
  • ১৬৩৯ বার পড়া হয়েছে

কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য বাহী মাটির ঘর

সিরাজুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: 
গ্রাম বাংলার চির ঐতিহ্যের নিদর্শন সবুজ শ্যামল ছায়া ঘেরা শান্তির নীড় মাটির ঘর। যা এক সময় গ্রামের মানুষের কাছে ‘গরীবের এসি বাড়ি’ নামে পরিচিত ছিলো। কিন্তু কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যের মাটির ঘর।
আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে গ্রামেও। মাটির ঘরের জায়গায় তৈরি হচ্ছে প্রাসাদসম অট্টালিকা। মাটির ঘরের স্থান দখল করে নিচ্ছে ইট-পাথরের দালান। একটু সুখের আশায় মানুষ কত কিছুই না করছে। তবুও মাটির ঘরের শান্তি ইট পাথরের দালান কোঠায় খুঁজে পাওয়া ভার।
মানুষের অর্থনৈতিক সচ্ছলতা, প্রযুক্তির উন্নয়ন, রুচিবোধের পরিবর্তন, পারিবারিক নিরাপত্তা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নিজেদের সুরক্ষার কারণে এখন আর কেউ মাটির ঘরে থাকতে চান না। সচ্ছল মানুষেরা এখন ঝুঁকে পড়েছেন পাকা দালানের দিকে। তারপরও মানুষ যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নগরায়ণের সাথে সাথে পাকা দালান কোঠা তৈরি করছেন। তাই আধুনিকতার ছায়ায় আর সময়ের পরিবর্তনে গ্রাম বাংলা থেকে ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি ঘর আজ প্রায় বিলুপ্তের পথে।
বেশিদিন আগের কথা নয়, প্রতিটি গ্রামে একসময় মানুষের নজর কাড়তো সুন্দর এ মাটির ঘর। ঝড়, বৃষ্টি থেকে বাঁচার পাশাপাশি প্রচুর গরম ও খুবই শীতে বসবাস উপযোগী মাটির তৈরি এসব ঘর এখন আর তেমন চোখে পড়ে না।
আধুনিকতার ছোঁয়া আর কালের বিবর্তনে বিভিন্ন গ্রামে এ চিরচেনা মাটির ঘর বিলুপ্তির পথে বললেই চলে। অতীতে মাটির ঘর গরীবের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর বলে পরিচিত ছিল। এ ঘর শীত ও গরম মৌসুম আরামদায়ক তাই আরামের জন্য গ্রামের দরিদ্র মানুষের পাশাপাশি অনেক বিত্তবান ও মাটির ঘর তৈরি করে থাকতেন।
জানা যায়, প্রাচীনকাল থেকেই মাটির ঘরের প্রচলন ছিল। এটেল বা আঠালো মাটি কাঁদায় পরিণত করে দুই-তিন ফুট চওড়া করে দেয়াল তৈরি করা হত। ১০-১৫ ফুট উচু দেয়ালে কাঠ বা বাঁশের সিলিং তৈরি করে তার ওপর খড়, টালি বা টিনের ছাউনি দেয়া হত। মাটির ঘর অনেক সময় দোতলা পর্যন্ত করা হতো। এসব মাটির ঘর তৈরি করতে কারিগরদের তিন-চার মাসের অধিক সময় লাগতো। গৃহিনীরা মাটির দেয়ালে বিভিন্ন রকমের আল্পনা একে তাদের নিজ বসত ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে তুলতেন।
হরিপুর উপজেলার বাসিন্দা মো:জহর আলী বলেন, আমার বাপ,দাদার আমলে মাটির ঘরের সমারোহ ছিল অফুরন্ত কিন্তু আজ যুগের সাথে তাল মিলিয়ে তার স্হান দখল করে নিয়েছে ইট কিংবা কংক্রিটের বড়বড় অট্টালিকা যার ফলে মাটির তৈরি ঘর আজ গ্রাম থেকে বিলুপ্ত প্রায়। বর্তমান  প্রজন্ম এই মাটির  ঘরের সাথে অপরিচিত।
জনপ্রিয় সংবাদ

ফের খাবারের দাম বৃদ্ধি, রাবি প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দোকানিদের

কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য বাহী মাটির ঘর

আপডেট সময় ১০:১৭:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৩
সিরাজুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: 
গ্রাম বাংলার চির ঐতিহ্যের নিদর্শন সবুজ শ্যামল ছায়া ঘেরা শান্তির নীড় মাটির ঘর। যা এক সময় গ্রামের মানুষের কাছে ‘গরীবের এসি বাড়ি’ নামে পরিচিত ছিলো। কিন্তু কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যের মাটির ঘর।
আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে গ্রামেও। মাটির ঘরের জায়গায় তৈরি হচ্ছে প্রাসাদসম অট্টালিকা। মাটির ঘরের স্থান দখল করে নিচ্ছে ইট-পাথরের দালান। একটু সুখের আশায় মানুষ কত কিছুই না করছে। তবুও মাটির ঘরের শান্তি ইট পাথরের দালান কোঠায় খুঁজে পাওয়া ভার।
মানুষের অর্থনৈতিক সচ্ছলতা, প্রযুক্তির উন্নয়ন, রুচিবোধের পরিবর্তন, পারিবারিক নিরাপত্তা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নিজেদের সুরক্ষার কারণে এখন আর কেউ মাটির ঘরে থাকতে চান না। সচ্ছল মানুষেরা এখন ঝুঁকে পড়েছেন পাকা দালানের দিকে। তারপরও মানুষ যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নগরায়ণের সাথে সাথে পাকা দালান কোঠা তৈরি করছেন। তাই আধুনিকতার ছায়ায় আর সময়ের পরিবর্তনে গ্রাম বাংলা থেকে ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি ঘর আজ প্রায় বিলুপ্তের পথে।
বেশিদিন আগের কথা নয়, প্রতিটি গ্রামে একসময় মানুষের নজর কাড়তো সুন্দর এ মাটির ঘর। ঝড়, বৃষ্টি থেকে বাঁচার পাশাপাশি প্রচুর গরম ও খুবই শীতে বসবাস উপযোগী মাটির তৈরি এসব ঘর এখন আর তেমন চোখে পড়ে না।
আধুনিকতার ছোঁয়া আর কালের বিবর্তনে বিভিন্ন গ্রামে এ চিরচেনা মাটির ঘর বিলুপ্তির পথে বললেই চলে। অতীতে মাটির ঘর গরীবের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর বলে পরিচিত ছিল। এ ঘর শীত ও গরম মৌসুম আরামদায়ক তাই আরামের জন্য গ্রামের দরিদ্র মানুষের পাশাপাশি অনেক বিত্তবান ও মাটির ঘর তৈরি করে থাকতেন।
জানা যায়, প্রাচীনকাল থেকেই মাটির ঘরের প্রচলন ছিল। এটেল বা আঠালো মাটি কাঁদায় পরিণত করে দুই-তিন ফুট চওড়া করে দেয়াল তৈরি করা হত। ১০-১৫ ফুট উচু দেয়ালে কাঠ বা বাঁশের সিলিং তৈরি করে তার ওপর খড়, টালি বা টিনের ছাউনি দেয়া হত। মাটির ঘর অনেক সময় দোতলা পর্যন্ত করা হতো। এসব মাটির ঘর তৈরি করতে কারিগরদের তিন-চার মাসের অধিক সময় লাগতো। গৃহিনীরা মাটির দেয়ালে বিভিন্ন রকমের আল্পনা একে তাদের নিজ বসত ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে তুলতেন।
হরিপুর উপজেলার বাসিন্দা মো:জহর আলী বলেন, আমার বাপ,দাদার আমলে মাটির ঘরের সমারোহ ছিল অফুরন্ত কিন্তু আজ যুগের সাথে তাল মিলিয়ে তার স্হান দখল করে নিয়েছে ইট কিংবা কংক্রিটের বড়বড় অট্টালিকা যার ফলে মাটির তৈরি ঘর আজ গ্রাম থেকে বিলুপ্ত প্রায়। বর্তমান  প্রজন্ম এই মাটির  ঘরের সাথে অপরিচিত।