বাংলাদেশ ০৫:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
শলী বনানী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ চাহিদা অনুযায়ী নেই বিদ্যুৎ; তবু গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি বিল ধনবাড়ীতে উপ‌জেলা বিএনপির গণমিছিল কর্মসূচি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কুবির উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ নিহত পুলিশ সদস্যের বাড়ি পরিদর্শন করলেন বাগেরহাটের নবাগত পুলিশ সুপার সিরাজগঞ্জে জিংক ধান সম্প্রসারণে উপ-সহকারী কৃষি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নয় ইউনিয়নে ইচ্ছামতো নেওয়া হচ্ছে ওয়ারিশ সনদের মূল্য বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে ১৩টি গ্রামবাসীর ক্ষতিপুরনের দাবীতে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ চ্যালেঞ্জে ফেনী’র ছোট নদীর নাব্য মান্দায় শিক্ষক সমিতির আহবায়ক কমিটি গঠন উত্তরবঙ্গে মৌ-চাষী সমিতির সভাপতি রশিদ সম্পাদক শিশির সাহা বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিয়ার সহ ১জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। ময়মনসিংহে সিপিবি’র সমাবেশ ও লাল পতাকার মিছিল মঠবাড়িয়ায় কলেজ অধ্যক্ষের নাম ভাঙিয়ে খাল দখলের অভিযোগ দুর্নীতি ও অনিয়মের নানা অভিযোগে পিরোজপুর জেলা নাসিং ইনস্টিটিউট অবরুদ্ধ করেছে শিক্ষার্থীরা

পারাপারের জন্য কাঠের সাঁকোই এক মাত্র ভরসা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:২৯:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩
  • ১৬৭২ বার পড়া হয়েছে

পারাপারের জন্য কাঠের সাঁকোই এক মাত্র ভরসা

 

আবুল কালাম আজাদ, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের উলিপুরে পারাপারের জন্য কাঠের সাঁকোই এক মাত্র ভরসা। ৪০ বছর থেকে স্লুইস তৈরির স্বপ্ন দেখছেন এলাকাবাসী। নিজেদের উদ্যেগে বাস ও কাঠের সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন রাস্তা পারাপার করছেন শত শত মানুষ।

 

সরেজমিন উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড এর হোকডাঙ্গা হাজিপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, তিস্তা নদীবেষ্টিত বাঁধের রাস্তার পাশে এক হাজারেরও বেশি পরিবার বাস করে আসছে। এলাকাবাসী নিজেরাই চাঁদা তুলে বাঁশ, কাঠ সংগ্রহ করে পর্যায়ক্রমে বাঁশের সাঁকো ও কাঠের পুল নির্মাণ করে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছেন। এ অবস্থা চলছে তাদের ৪০ বছর ধরে। তারা বারবার জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাস পেয়েছেন স্লুইচ গেট নির্মাণের। কিন্তু এলাকাবাসী জানিয়েছেন সেই আশ্বাস পূরণ হয়নি আজও। প্রাই ঘটতেছে দূর্ঘটনা। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও পাননি কোন প্রতিকার।

 

জানা গেছে, ওই এলাকার শতকরা ৯০ ভাগ লোক কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করে। আজ থেকে ৪০ বছর আগে এলাকার কৃষকরা চাষাবাদের সুবিধায় পানি নিষ্কাশনের জন্য বাঁধের রাস্তাটি কেটে দেয়। তখন থেকে নানা প্রতিকূলতার মাঝে ফসল উৎপাদন করলেও যাতায়াত ও পরিবহনের অসুবিধায় ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না এই এলাকার কৃষকরা। এতে কৃষকদের বছরের পর বছর মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।

 

জানা গেছে, বিগত দিনের নির্বাচনগুলোতে প্রার্থীরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হন। তবে আজ পর্যন্ত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে এগিয়ে আসেননি কোনো জনপ্রতিনিধি। উপজেলার চারটি ইউনিয়নের সংযোগের পথ এই স্লুইস গেট। এই স্লুট গেট হলে এলাকার মানুষ এটি ব্যবহার করে যাতায়াত করতে পারবেন। চলবে যানবাহন।

 

উক্ত এলাকার স্থানীয়দের মধ্যে আব্দুল মজিদ, আবু বক্কর, সাহেব আলী ও মানিক মিয়া সহ আরও অনেকে বলেন, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে ৪টি ইউনিয়নের স্কুল ও কলেজপড়ুয়া হাজারো শিক্ষার্থীসহ কমপক্ষে ১০ হাজারের অধিক লোক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। হোকডাঙ্গা হাজীপাড়ার একাংশের চাষের জমি এই তিস্তার পানির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এখানে স্লুইস গেট নির্মাণ না করায় পানি নিয়ন্ত্রণ করার কোনো সুযোগ নেই। প্রতি বছর বন্যায় কাঠের পুলের নিচ দিয়ে চাষের জমিতে অবাধে পানি ঢুকে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারা আরো জানান, শুধু ফসলের ক্ষতি হয় তা নয়, বর্ষা মৌসুমে শিশুদের এই ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের পুলের ওপর দিয়ে স্কুলে পাঠাতে ভয় হয়। তারা পানিতে পড়ে মরতে পারে।

 

একই এলাকার অষ্টম শেনীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম ও নুর হোসেন সহ আরও অনেক শিক্ষার্থী বলেন, বিশেষ করে বর্ষায় বন্যার সময় আমাদের বিদ্যালয় যেতে অনেক সমস্যা হয়। আমরা অনেক ঝুকি নিয়ে সাঁকো পাড় হয়ে বিদ্যালয়ে যাই। আমরা স্লুইস তৈরির দাবী জানাচ্ছি।
থেতরাই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা এ ব্যাপারে বলেন, তিস্তা বেষ্টিত নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এই এলাকার স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী, দরিদ্র কৃষক ও হাজারো পথচারীর সুবিধার্থে এখানে একটি স্লুইস গেট নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

 

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন এ বিষয়ে বলেন, উক্ত এলাকার কাঠের সাঁকোটি সম্পর্কে আমি অবগত আছি। সেখানে একটি স্লুইস তৈরি করা হবে। স্লুইস স্টাডি চলমান রয়েছে। স্টাডি শেষে উক্ত স্লুইস এর জন্য প্রকল্পের আবেদন করা হবে। প্রকল্পটি হাতে পেলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

শলী বনানী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

পারাপারের জন্য কাঠের সাঁকোই এক মাত্র ভরসা

আপডেট সময় ০৬:২৯:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩

 

আবুল কালাম আজাদ, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের উলিপুরে পারাপারের জন্য কাঠের সাঁকোই এক মাত্র ভরসা। ৪০ বছর থেকে স্লুইস তৈরির স্বপ্ন দেখছেন এলাকাবাসী। নিজেদের উদ্যেগে বাস ও কাঠের সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন রাস্তা পারাপার করছেন শত শত মানুষ।

 

সরেজমিন উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড এর হোকডাঙ্গা হাজিপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, তিস্তা নদীবেষ্টিত বাঁধের রাস্তার পাশে এক হাজারেরও বেশি পরিবার বাস করে আসছে। এলাকাবাসী নিজেরাই চাঁদা তুলে বাঁশ, কাঠ সংগ্রহ করে পর্যায়ক্রমে বাঁশের সাঁকো ও কাঠের পুল নির্মাণ করে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছেন। এ অবস্থা চলছে তাদের ৪০ বছর ধরে। তারা বারবার জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাস পেয়েছেন স্লুইচ গেট নির্মাণের। কিন্তু এলাকাবাসী জানিয়েছেন সেই আশ্বাস পূরণ হয়নি আজও। প্রাই ঘটতেছে দূর্ঘটনা। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও পাননি কোন প্রতিকার।

 

জানা গেছে, ওই এলাকার শতকরা ৯০ ভাগ লোক কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করে। আজ থেকে ৪০ বছর আগে এলাকার কৃষকরা চাষাবাদের সুবিধায় পানি নিষ্কাশনের জন্য বাঁধের রাস্তাটি কেটে দেয়। তখন থেকে নানা প্রতিকূলতার মাঝে ফসল উৎপাদন করলেও যাতায়াত ও পরিবহনের অসুবিধায় ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না এই এলাকার কৃষকরা। এতে কৃষকদের বছরের পর বছর মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।

 

জানা গেছে, বিগত দিনের নির্বাচনগুলোতে প্রার্থীরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হন। তবে আজ পর্যন্ত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে এগিয়ে আসেননি কোনো জনপ্রতিনিধি। উপজেলার চারটি ইউনিয়নের সংযোগের পথ এই স্লুইস গেট। এই স্লুট গেট হলে এলাকার মানুষ এটি ব্যবহার করে যাতায়াত করতে পারবেন। চলবে যানবাহন।

 

উক্ত এলাকার স্থানীয়দের মধ্যে আব্দুল মজিদ, আবু বক্কর, সাহেব আলী ও মানিক মিয়া সহ আরও অনেকে বলেন, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে ৪টি ইউনিয়নের স্কুল ও কলেজপড়ুয়া হাজারো শিক্ষার্থীসহ কমপক্ষে ১০ হাজারের অধিক লোক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। হোকডাঙ্গা হাজীপাড়ার একাংশের চাষের জমি এই তিস্তার পানির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এখানে স্লুইস গেট নির্মাণ না করায় পানি নিয়ন্ত্রণ করার কোনো সুযোগ নেই। প্রতি বছর বন্যায় কাঠের পুলের নিচ দিয়ে চাষের জমিতে অবাধে পানি ঢুকে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারা আরো জানান, শুধু ফসলের ক্ষতি হয় তা নয়, বর্ষা মৌসুমে শিশুদের এই ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের পুলের ওপর দিয়ে স্কুলে পাঠাতে ভয় হয়। তারা পানিতে পড়ে মরতে পারে।

 

একই এলাকার অষ্টম শেনীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম ও নুর হোসেন সহ আরও অনেক শিক্ষার্থী বলেন, বিশেষ করে বর্ষায় বন্যার সময় আমাদের বিদ্যালয় যেতে অনেক সমস্যা হয়। আমরা অনেক ঝুকি নিয়ে সাঁকো পাড় হয়ে বিদ্যালয়ে যাই। আমরা স্লুইস তৈরির দাবী জানাচ্ছি।
থেতরাই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা এ ব্যাপারে বলেন, তিস্তা বেষ্টিত নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এই এলাকার স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী, দরিদ্র কৃষক ও হাজারো পথচারীর সুবিধার্থে এখানে একটি স্লুইস গেট নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

 

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন এ বিষয়ে বলেন, উক্ত এলাকার কাঠের সাঁকোটি সম্পর্কে আমি অবগত আছি। সেখানে একটি স্লুইস তৈরি করা হবে। স্লুইস স্টাডি চলমান রয়েছে। স্টাডি শেষে উক্ত স্লুইস এর জন্য প্রকল্পের আবেদন করা হবে। প্রকল্পটি হাতে পেলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।