মোঃ রনি মল্লিক বরগুনা প্রতিনিধিঃ
রফিক খান নামক এক ব্যক্তিকে (৩৬) আব্বাস হাওলাদারের (৩০) ছোড়া টেটায় গুরুতর জখম হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত রফিককে খানকে স্বজনরা উদ্ধার করে, আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সংঙ্কটজনক অবস্থায় তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত আব্বাসকে তালতলী থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বুধবার পুলিশ তাকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পাঠিয়েছে ওইদিনই আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার রাত ৮ঃ৩০ মিনিটের দিকে তালতলী উপজেলার কচুপাত্রা বটতলা স্ট্যান্ডের পশ্চিম দিকে অভিযুক্ত আব্বাস হাওলাদার বাড়ির সামনে বসে।
জানাগেছে, গত রবিবার উপজেলার কচুপাত্রা গ্রামের রফিক খাঁনের সাথে বাঁধ কাটা নিয়ে একই গ্রামের আব্বাস হাওলাদারের বিরোধ হয়। ওই ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার রাত ৮ঃ৩০মিনিটের দিকে কচুপাত্রা বটতলা স্ট্যান্ডে পশ্চিম দিকে, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আব্বাস হাওলাদার ও তার ৪-৫ জন সহযোগী পিছন দিক থেকে রফিক খানকে টেটা মারে। এতে তিনি টেটাবিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখম হয়। তার ডাক চিৎকারে স্বজনরা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ তন্ময় রহমান তাকে সংঙ্কটজনক অবস্থায় রাত ১১টার দিকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছে। রাতেই তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ওই রাতেই আহতের বড় ভাই স্বপন খান বাদী হয়ে আব্বাস হাওলাদারকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাত ২-৩ জনের নামে তালতলী থানায় মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ আসামী আব্বাস হাওলাদারকে তার বাড়ী থেকে রাতেই গ্রেফতার করেছে। বুধবার পুলিশ তাকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। আহত রফিক খানের ছোট ভাই স্বপন খান বলেন, গত রবিবার আব্বাসের সাথে আমার ভাইয়ের বাধ কাটা নিয়ে বিরোধ হয়।
ওই বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার রাতে আব্বাস হাওলদার ও তার ৪-৫ জন সহযোগী আমার ভাইকে টেটা মেরে গুরুতর জখম করেছে। আমার ভাইয়ের অবস্থা খুবই খারাপ। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুমন খন্দকার বলেন, আহত রফিক খাঁনের ফুসফুসে টেটার আঘাত লাগায় তার অবস্থা খুবই খারাপ। তার ফুসফুস দিয়ে বায়ু বের হচ্ছিল। তাই তাকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল। শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তালতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই আসামী আব্বাস হাওলাদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।