রিপোর্টঃ মোঃ ওবায়েদুর রহমান সাইদ শরীয়তপুর প্রতিনিধি।
শরীয়তপুর নড়িয়া পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ড লোনসিং সরদার বাড়ি বৃদ্ধ বাবার কাছে টাকা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বোন ও জামাই কে কুপিয়ে জখম করেছে দিল মোহাম্মদ সরদারের ছেলে সোহেল সরদার ও তার ২য় স্ত্রী সোনিয়া আক্তার।
ভুক্তভোগী পরিবার বলেন, ২৭শে সেপ্টেম্বর রাত ৭টা ৫০ মিনিটে সোহেল বাড়ি আসেন টাকার জন্য তার বৃদ্ধ বাবাকে বিভিন্ন হুমকি প্রদান করেন একপর্যায়ে তার বোন বিনা আক্তার সাথে তর্কে জড়িয়ে যায় সোহেল ঘর থেকে চাকু নিয়ে বোন বিনা আক্তারকে তারা করে বিনা আক্তার দৌড়ে গিয়ে পাশের স্বামীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
সেখানে বকাটে সোহেল সরদার বোনকে চাকু দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে জখম করে, বোনের চিৎকার শুনে তার স্বামী ইদ্রিস ছৈয়াল ছুটে এলে তাকেও পেটে চাক্কু দিয়ে আঘাত করে নাড়িভুড়ি বেরিয়ে যায়।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী ছুটে এলে সোহেল ও তার স্ত্রী সোনিয়া পালিয়ে যায়। গ্রামের মানুষ উদ্ধার করে তাদেরকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কত্ব্যরত ডাক্তার তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন সেখানে তারা দুজন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
তাদের বর্তমান অবস্থা আসংখ্যা জনক, এ ঘটনার বিষয়ে সোহেল সরদার এর বাবা দিল মোহম্মদ সরদার বলেন আমি কৃষি কাজ করে দিনমজুর খেটে খেয়ে সংসার চালাতে কস্ট হয়, আমার বকাটে ছেলে সোহেল কোন কাজকর্ম করে না, সোহেল ধান্ধাবাজ করে, আমাকে বিদেশ যাওয়ার কথা বলে জমি বিক্রি করে ধাড়দেনা করে ইতিপূর্বে ৮ লক্ষ টাকা দিয়াছিলাম, সেই টাকা বিভিন্ন অকাজে ব্যয় করে।
পুর্নরায় আবার টাকা দাবি করে, আমি টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় আমার মেয়ে বিনা আক্তার সাথে বিভিন্ন তর্ক বিতর্ক করে, এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার মেয়ে বিনা আক্তার ও মেয়ের জামাইকে কুপিয়ে জখম করে, বৃদ্ধ বাবা-মা এ কুলাঙ্গার সন্তানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি চায়।
এবিষয়ে বাবা বাদী হয়ে নড়িয়া থানায় ছেলে সোহেল এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনার বিষয়ে নড়িয়া থানা অফিসার ইনচার্জ ( তদন্ত ওসি) আবির হোসেন বলেন, থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে কুলাঙ্গার সন্তানকে খুঁজে বের করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।