বাংলাদেশ ১০:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ভান্ডারিয়ায় বিশ্ব মা দিবস পালিত মুলাদীতে আনারস মার্কার সমর্থনে পুজা উৎযাপন পরিষদের মতবিনিময় সভা  ভান্ডারিয়ায় সিএজি কার্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত টানা দ্বিতীয়বারের মতো ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন মিরাজুল ইসলাম কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী চক্রের মূলহোতা রায়হান কবির তার ০২ জন সহযোগীকে ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৩; মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত পিকআপ ভ্যান জব্দ। ৭ দিনের চীন সফরে রাবি উপাচার্যসহ এক প্রতিনিধিদল মুলাদী ও হিজলার বিভিন্ন নদীতে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমানে কারেন্ট জাল সহ আটক-৩ মুলাদীতে বাংলাদেশের কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল কার্যালয়ের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা রাবিতে ব্যাংকে টাকা জমার দীর্ঘ লাইন; ভোগান্তিতে শিক্ষার্থী-অভিভাবকেরা হোটেল ব্যবসায়ীকে হামলার আসামি কিশোর গ্যাং লিডার মিরাজকে গ্রেফতার করেছে র‍‍্যাব। রাবিতে হলের কর্মচারীকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর মারধর ভালুকায় আসাদুল হিমেল ও নাসিমার অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসীর মানববন্ধন  হত্যাকান্ডের মূলহোতা নুর আলম টান কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানকৃত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৩৪৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধারসহ ০১ চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। রাবিতে ছাত্রলীগের রাতভর সংঘর্ষ; ককটেল বিস্ফোরণ

মেহেরপুরের গাংনীর বানিয়াপুকুর গ্রামে সালিশ বিচারের নামে এক লক্ষ টাকা জরিমানা ও ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:১৪:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ১৬৫৭ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুরের গাংনীর বানিয়াপুকুর গ্রামে সালিশ বিচারের নামে এক লক্ষ টাকা জরিমানা ও ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর

হিরক খান, মেহেরপুর প্রতিনিধি: 
মেহেরপুর গাংনীর বানিয়াপুকুর গ্রামে জুবায়ের হোসেন (৪০) নামের একজনকে বেধড়ক মারপিট করে সালিশ বিচারে এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনাটি ঘটে। জুবায়ের হোসেনের বাড়ি ষোলটাকা গ্রামে।তার পিতার নাম আয়ুব হোসেন। অভিযোগ, জুবায়ের হোসেন সন্ধ্যার পর থেকে সুযোগ বুঝে বিভিন্ন জনের ঘরের জানালা দিয়ে উঁকি মেরে নানা গোপন কর্মকা- দেখে।তবে তার বিরুদ্ধে কোন চুরির অভিযোগ নেই। 
জানা গেছে, সোমবার রাতে জুবায়ের হোসেন স্থানীয় প্রাইমারী স্কুলের পাশে একটি বাড়িতে পেছনে অবস্থান নেয় এবং জানালা দিয়ে উঁকি মারে।
এসময় লোকজন তাকে ধরে ফেলে। গ্রামের মাহাতাব আলীর ছেলে আলাল, আচেল উদ্দীনের ছেলে রবিউল ও মোজাফের ছেলে আজাম্মেল ওই জুবায়ের হোসেনকে বেধড়ক মারপিট করে।
এতে জুবায়ের হোসেনের দুই পা হাত ও পিঠে জখম হয়। পরে তারা জুবায়েরকে প্রাইমারী স্কুলের একটি কক্ষে আটক রাখে। আজ সকালে সালিশ বৈঠকের ডাক দেয়া হয়।সালিশে জুবায়েরকে কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে ৩০০ টাকা মুল্যের স্ট্যাম্পে মুচলেকা নেয়া হয়।
সেই সাথে এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। জরিমানার টাকা গ্রামের সামাজিক উন্নয়নে ব্যয় করা হবে বলে জানান সমাজপতিরা। সালিশ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বানিয়াপুকুর গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা আব্বাছ, ইউপি মেম্বর তোজাম্মেল, শরিয়ত এবং ষোলটাকা গ্রামের সাবেক মেম্বর ময়নাল হক, বর্তমান মেম্বর মহিবুল হকসহ এলাকার লোকজন। একই সময়ে উপস্থিত ছিলেন হেমায়েতপুর পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই ওবির ও সঙ্গীয় ফোর্স।
ইউপি মেম্বর তোজাম্মেল জানান, বেশ কিছুদিন যাবত জুবায়ের বিভিন্ন বাড়িতে প্রবেশ করে বা বাড়ির পেছনে গিয়ে ঘরে উঁকি ঝুঁকি মারে। অনেকেই চোর বলে তাড়া করে। গত সোমবার রাতে তাকে হাতে নাতে ধরে স্থানীয় লোকজন। জনগনের মতামতের ভিত্তিতে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ টাকা সামাজিক কাজে ব্যয় করা হবে। গ্রাম্য সালিশিতে একলাখ টাকা জরিমানা করতে পারে কি না? এমন প্রশ্নের জবাব মেলেনি।
সাবেক মেম্বর ময়নাল হক জানান, তিনিসহ ষোলটাকা গ্রামের লোকজন জুবায়েরকে নিতে এসেছিলাম কিন্তু বানিয়াপুকুর গ্রামের সমাজপতিরা জুবায়েরকে না দিয়ে জরিমানা করেছে এবং মুচলেকা লিখে নেয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকার পরও কিভাবে সালিশের নামে প্রহসন করে তা বোধগম্য নয়। সমাজপতিরা যে মোটা টাকা জরিমানা করেছে তা সম্পুর্ণ অবৈধ।
হেমায়েতপুর পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই ওবির জানান, তিনি খবর পেয়ে এসেছেন এবং লোকজনের বাঁধার মুখে জুবায়েরকে থানায় নিতে পারেন নি। গ্রাম্য সালিশিতে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে তাই কিছুই করার নেই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্রামের কয়েকজন জানান, একজন অপরাধিকে এমনভাবে মারধর করা হবে সেটা কেউ ভাবেনি।
লোকটির আর্তচিৎকারে অনেকেই এগিয়ে এসেছেন কিন্তু আলাল, রবিউল ও আজাম্মেল কারো কথা শোনেনি। তাকে মারধর করে চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে একটি ঘরে আটকিয়ে রাখে। যেটা অনুচিৎ। জুবায়েরকে পুলিশে না দিয়ে সালিশের ব্যবস্থা করায় অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, মারধর করার পর আবার তার কাছ থেকে মোটা অংকের জরিমানা নেয়াটা কোন মতেই সঠিক হয়নি।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন তবে মোটা অংকের টাকা জরিমানা ও ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে মুচলেকা লিখে নেয়ার বিষয়টি সম্পুর্ণ অজানা। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি বলেই জানিয়েছেন।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

ভান্ডারিয়ায় বিশ্ব মা দিবস পালিত

মেহেরপুরের গাংনীর বানিয়াপুকুর গ্রামে সালিশ বিচারের নামে এক লক্ষ টাকা জরিমানা ও ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর

আপডেট সময় ০৯:১৪:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২
হিরক খান, মেহেরপুর প্রতিনিধি: 
মেহেরপুর গাংনীর বানিয়াপুকুর গ্রামে জুবায়ের হোসেন (৪০) নামের একজনকে বেধড়ক মারপিট করে সালিশ বিচারে এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনাটি ঘটে। জুবায়ের হোসেনের বাড়ি ষোলটাকা গ্রামে।তার পিতার নাম আয়ুব হোসেন। অভিযোগ, জুবায়ের হোসেন সন্ধ্যার পর থেকে সুযোগ বুঝে বিভিন্ন জনের ঘরের জানালা দিয়ে উঁকি মেরে নানা গোপন কর্মকা- দেখে।তবে তার বিরুদ্ধে কোন চুরির অভিযোগ নেই। 
জানা গেছে, সোমবার রাতে জুবায়ের হোসেন স্থানীয় প্রাইমারী স্কুলের পাশে একটি বাড়িতে পেছনে অবস্থান নেয় এবং জানালা দিয়ে উঁকি মারে।
এসময় লোকজন তাকে ধরে ফেলে। গ্রামের মাহাতাব আলীর ছেলে আলাল, আচেল উদ্দীনের ছেলে রবিউল ও মোজাফের ছেলে আজাম্মেল ওই জুবায়ের হোসেনকে বেধড়ক মারপিট করে।
এতে জুবায়ের হোসেনের দুই পা হাত ও পিঠে জখম হয়। পরে তারা জুবায়েরকে প্রাইমারী স্কুলের একটি কক্ষে আটক রাখে। আজ সকালে সালিশ বৈঠকের ডাক দেয়া হয়।সালিশে জুবায়েরকে কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে ৩০০ টাকা মুল্যের স্ট্যাম্পে মুচলেকা নেয়া হয়।
সেই সাথে এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। জরিমানার টাকা গ্রামের সামাজিক উন্নয়নে ব্যয় করা হবে বলে জানান সমাজপতিরা। সালিশ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বানিয়াপুকুর গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা আব্বাছ, ইউপি মেম্বর তোজাম্মেল, শরিয়ত এবং ষোলটাকা গ্রামের সাবেক মেম্বর ময়নাল হক, বর্তমান মেম্বর মহিবুল হকসহ এলাকার লোকজন। একই সময়ে উপস্থিত ছিলেন হেমায়েতপুর পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই ওবির ও সঙ্গীয় ফোর্স।
ইউপি মেম্বর তোজাম্মেল জানান, বেশ কিছুদিন যাবত জুবায়ের বিভিন্ন বাড়িতে প্রবেশ করে বা বাড়ির পেছনে গিয়ে ঘরে উঁকি ঝুঁকি মারে। অনেকেই চোর বলে তাড়া করে। গত সোমবার রাতে তাকে হাতে নাতে ধরে স্থানীয় লোকজন। জনগনের মতামতের ভিত্তিতে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ টাকা সামাজিক কাজে ব্যয় করা হবে। গ্রাম্য সালিশিতে একলাখ টাকা জরিমানা করতে পারে কি না? এমন প্রশ্নের জবাব মেলেনি।
সাবেক মেম্বর ময়নাল হক জানান, তিনিসহ ষোলটাকা গ্রামের লোকজন জুবায়েরকে নিতে এসেছিলাম কিন্তু বানিয়াপুকুর গ্রামের সমাজপতিরা জুবায়েরকে না দিয়ে জরিমানা করেছে এবং মুচলেকা লিখে নেয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকার পরও কিভাবে সালিশের নামে প্রহসন করে তা বোধগম্য নয়। সমাজপতিরা যে মোটা টাকা জরিমানা করেছে তা সম্পুর্ণ অবৈধ।
হেমায়েতপুর পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই ওবির জানান, তিনি খবর পেয়ে এসেছেন এবং লোকজনের বাঁধার মুখে জুবায়েরকে থানায় নিতে পারেন নি। গ্রাম্য সালিশিতে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে তাই কিছুই করার নেই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্রামের কয়েকজন জানান, একজন অপরাধিকে এমনভাবে মারধর করা হবে সেটা কেউ ভাবেনি।
লোকটির আর্তচিৎকারে অনেকেই এগিয়ে এসেছেন কিন্তু আলাল, রবিউল ও আজাম্মেল কারো কথা শোনেনি। তাকে মারধর করে চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে একটি ঘরে আটকিয়ে রাখে। যেটা অনুচিৎ। জুবায়েরকে পুলিশে না দিয়ে সালিশের ব্যবস্থা করায় অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, মারধর করার পর আবার তার কাছ থেকে মোটা অংকের জরিমানা নেয়াটা কোন মতেই সঠিক হয়নি।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন তবে মোটা অংকের টাকা জরিমানা ও ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে মুচলেকা লিখে নেয়ার বিষয়টি সম্পুর্ণ অজানা। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি বলেই জানিয়েছেন।