রুহুল আমিন, জেলা প্রতিনিধি মানিকগঞ্জ
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এসএসসি-সমমান পরীক্ষার জন্য ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকার কথা থাকলেও সরকারি এসব নির্দেশনা উপেক্ষা করে অভিনব কায়দায় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা জাগীর-কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে নবম ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য কোচিং সেন্টার চালু রাখা হয়েছে। অর্থের বিনিময়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজেই কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, শিক্ষার্থীরা মাসিক ৩০০ টাকা ফি দিয়ে সকাল ৮ টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকের নিকট কোচিং ক্লাস করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোচিং চলাকালে একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, মাসে ৩০০ করে টাকা নিয়ে আমাদের কোচিং করানো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোচিং চলাকালে একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, মাসে ৩০০ করে টাকা নিয়ে আমাদের কোচিং করানো হয়।
এ বিষয়ে জাগীর-কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, কোচিং নয় বিদ্যালয়ের দূর্বল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অতিরিক্ত ক্লাশ করানো হচ্ছে। বিনিময়ে তাদের থেকে ১৫০ টাকা ফি নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, এগুলো করা হচ্ছে শিক্ষা অফিসের নিয়ম মেনেই।
শিক্ষা অফিসের লিখিত কোন নির্দেশনা আছে কিনা জানতে চাইলে ওই প্রধান শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে আর কোনো তথ্য দেওয়া হবে না বলে আশরাফুল ইসলাম নামক এক সংবাদকর্মীর ক্যামেরা ও তার উপর হামলা চালায়। এ সময় অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ এসে প্রধান শিক্ষককে ফিরিয়ে নিয়ে যান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ৮ টার সময় বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে অভিনব কায়দায় কোচিং কার্যক্রম চালিয়ে চাচ্ছে।
জাগীর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য শাহ আলম বলেন, সরকার নির্দেশনা দিয়েছে কোচিং বন্ধ রাখতে। তা না মেনে বিদ্যালয়ের রুমে কোচিং করানো এটা দন্ডনীয় অপরাধ। আমি দেখেছি ও শুনেছি সাংবাদিকের উপর ওই প্রধান শিক্ষক হাত তুলেছেন। একজন শিক্ষক হয়ে সাংবাদকর্মীর সাথে এমন খারাপ আচরণ করাটা উচিত হয়নি।
জাগীর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য শাহ আলম বলেন, সরকার নির্দেশনা দিয়েছে কোচিং বন্ধ রাখতে। তা না মেনে বিদ্যালয়ের রুমে কোচিং করানো এটা দন্ডনীয় অপরাধ। আমি দেখেছি ও শুনেছি সাংবাদিকের উপর ওই প্রধান শিক্ষক হাত তুলেছেন। একজন শিক্ষক হয়ে সাংবাদকর্মীর সাথে এমন খারাপ আচরণ করাটা উচিত হয়নি।
জাগীর-কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল মান্নান বলেন, আমি জানি যারা এসএসসি পরিক্ষা দিচ্ছে শুধু তাদের কোচিং করা যাবে না। তবে অন্যদের ক্ষেত্রে নয়। তবে শিক্ষার্থীদের থেকে ৩০০ টাকা করে নেওয়ার কথা তিনি স্বীকার করেন।
জাগীর-কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কালাম মিয়া বলেন, দূর্বল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সকাল নয়টা থেকে অতিরিক্ত ক্লাশ নেওয়া হয়। কোন টাকা বা ফি নেওয়া হয় না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতিশ্বর পাল বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এখন কোচিং সেন্টার বন্ধ। যদি কোথাও কোচিং সেন্টার চালু রাখা হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।