মো: নূরুল আমিন, কলাপড়া প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোসাগরে মাছধরার ২৬টি ট্রলারে ডাকাতি হয়েছে। এ সময় ৯ জেলেসহ ‘এফবি ভাই ভাই’ নামের একটি ট্রলার ডুবিয়ে দিয়েছে ডাকাতদল। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সোনাচর সংলগ্ন গভীর সাগরের ছয়বাম (৬০ নটিক্যামাইল) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহিপুর মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা। জানা গেছে, ডুবিয়ে দেওয়া ট্রলারের এক জেলেকে উদ্ধার করেছে ‘মা বাবার দোয়া’ নামের অপর একটি ট্রলার। বাকি ৮ জেলে অন্য একটি ট্রলারে আশ্রয় নিয়েছেন। ডুবিয়ে দেওয়া ‘এফবি ভাই ভাই’ ট্রলারের জেলে মহিপুরের নিজামপুর গ্রামের ছালাম মিয়া বলেন, ২২ থেকে ২৩ সদস্যের একটি ডাকাতদল বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে আমাদের ট্রলারে হামলা চালায়।
এ সময় ডাকাতরা ট্রলারে থাকা মাছসহ সব মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং আমাদের ট্রলারটি ডুবিয়ে দেয়। এসময় তারা আরো কয়েকটি ট্রলারে ডাকাতি করে। পরে মা বাবার দোয়া নামের ট্রলার আমাদের উদ্ধার করে।
কিন্তু এর আগে ডাকাতরা ওই ট্রলারেরও সব কিছু ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এফবি মা বাবার দোয়া ট্রলারের মালিক মহিপুরের নিজামপুর গ্রামের ইউসুফ মিয়া বলেন, আমার ট্রলারে ১৫ জন স্টাফ ছিলো। ডাকাতদল সবাইকে মারধর করেছে। সব মালামাল নিয়ে গেছে।ওই ট্রলারের মাঝি জিয়া মিয়া বলেন, ডাকাতদল ট্রলারে উঠেই আমাদের মারধর করতে শুরু করে। আমাদের ট্রলারের সব মালামাল নিয়ে গেছে। কোনমতে জানটা নিয়ে ফেরত এসেছি।
মহিপুর মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির সহ সভাপতি হাজী আঃ ছত্তার হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা বলেন, গভীর সাগরে ডাকাতদল ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ডাকাতি হওয়া ট্রলারের মধ্যে ২টি রাঙ্গাবালির চরমোন্তাজের, ৩ টি মহিপুরের ও বাকিগুলো বিভিন্ন এলাকার।
নিজামপুর কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কে এম শাফিউল কিঞ্জল বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা টহল জোরদার করেছি, তবে ঘটনাস্থল পার্শ্ববর্তী উপজেলার আওতাধীন। তাই তাদের সহযোগিতা করছি। মৎস্য বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বিক সহযোগিতা করছে কোস্ট গার্ড।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, এবিষয়ে আমরা এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি।
এঘটনা আমার এরিয়ার মধ্যে না। পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাাহ বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।