বাংলাদেশ ০৪:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
এপেক্স শো-রুমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি লাইব্রেরিয়ান রফিকুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলার আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। প্রচণ্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন: পথচারীদের সহায়তায় এগিয়ে আসছে তরুণ ঐক্য ব্লাড ডোনার ও স্বেচ্ছাসেবী ফাউন্ডেশন রাবিতে প্রথমবারের মতো হাসান আজিজুল হক সাহিত্য উৎসব অনুষ্ঠিত রাবিতে নেই অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র: উদ্বেগ প্রকাশ করে সংযুক্তের দাবি রাজশাহী নগরীর কেদুরমোড় এলাকার মাদক কারবারী তোসলি গ্রেফতার গণধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত প্রধান আসামী মোক্তার গ্রেফতার। পিরোজপুর জেলা সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের নতুন কমিটির পরিচিতি সভা প্রচণ্ড গরমের পর টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী‌তে স্বস্তির বৃষ্টি। কালকিনিতে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় আজ শুভ উদ্বোধন হলো শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম। পাথরঘাটায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাইবার মামলা প্রতিবাদে মানববন্ধন ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাঈল কর্তৃক বর্বর গনহত্যার প্রতিবাদে সিলেট মহানগর শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত। মুলাদী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার তালুকদারের উড়োজাহান প্রতিকের সমর্থনে গনসংযোগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সহ- সভাপতি হলেন কোরবান শেখ

তোরা ভোগের পাত্র ফেলরে ছুঁড়ে ত্যাগের তরে হৃদয় বাঁধ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৫৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ জুলাই ২০২২
  • ১৭২০ বার পড়া হয়েছে

 

 

“তোরা ভোগের পাত্র ফেলরে ছুঁড়ে ত্যাগের তরে হৃদয় বাঁধ” 

সোহেল সানি 

“তোরা ভোগের পাত্র ফেলরে ছুঁড়ে ত্যাগের তরে হৃদয় বাঁধ।” আল্লাহর নৈকট্যলাভে কুরবানী বা ঈদুল আযহার তাৎপর্যকে প্রোজ্জ্বল করে তুলেছেন জাতীয় কবি নজরুল তাঁর কাব্যিক ছন্দ ধারায়। যেমনটি কবির ঈদুল ফিতরের ফল্গুধারা, “রমযানের এই রোযাশেষে এলো খুশীর ঈদ..” হযরত ইব্রাহিম (আঃ) পবিত্র কুরআনে মুসলিম জাতির পিতা। কুরবানের সৃষ্ট-ধারায় হযরত ইব্রাহীম (আঃ) বিবি হাজেরা ও ইসমাঈলের এক পরম ত্যাগ মুসলিম জাতির জন্য একটি মহত্তম আদর্শ। কুরবান বা কুরবানীকে তাঁদের স্মৃতিবিজড়িত একটি উৎসবও বলা হয়।

 

 

কাফির- মুশরিকরা তাদের দেব-দেবী ও কবর-বেদীতে পুজো দেয় ও মূর্তির সম্মানে পশু বলী দেয়। প্রতিবাদস্বরূপ আল্লাহ তাঁর উদ্দেশ্যে ছালাত আদায়ে কুরবান করার আদেশদান করেন। ইব্রাহিম (আঃ) কর্তৃক তাঁর শিশুপুত্র ইসমাঈল (আঃ) কে আল্লাহর রাহে বা নামে কুরবানি দেয়ার অনুসরণে “সুন্নাতে ইব্রাহীমী হিসেবে চালু হয়।

 

 

মক্কা নগরীর জনমানবহীন মিনা প্রান্তরে আল্লাহর আত্মনিবেদিত দুই বান্দা ইব্রাহিম ও ইসমাঈল আল্লাহর কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের মাধ্যমে তুলনাহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। বর্ষপরম্পরায় এরপর থেকে কুরবানি দিয়ে আসেন পরবর্তী নবীগণও। আল্লাহর জন্যই এই রীতি প্রবর্তিত হবার পর এটি মুসলিম সমাজে সামাজিক রীতি হিসেবে চালু রয়েছে।

 

 

 

ঈদুল আযহার দিন সমগ্র মুসলিম জাতি ইবরাহীমী সুন্নাত পালনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের প্রাণপণ চেষ্টা করে। কুরবানীর স্মৃতিবাহী যিলহজ্জ মাসে হজ্জ উপলক্ষে সমগ্র পৃথিবী থেকে লাখ লাখ মুসলমান সমবেত হয় ইবরাহীম (আঃ)-এর স্মৃতি বিজড়িত মক্কা-মদীনায়। তাঁরা ইবরাহীমী আদর্শে আদর্শবান হওয়ার জন্য জীবনের সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করেন।

 

 

 

হজ্জ মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্ববোধের এক অনন্য উদাহরণ। পবিত্র কুরআনে “কুরবান” শব্দ ব্যবহৃত হলেও ফারসী ও হিন্দি- উর্দুতে শব্দটিকে “কুরবানী” রুপ দেয়া হয়েছে। অর্থ “নৈকট্য”। চিত্তশুদ্ধির ও পবিত্রতার প্রধান মাধ্যম হলো কুরবান। মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, “সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কুরবানী করলো না, সে যেনো আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়।

 

 

” সুন্নাতে ইব্রাহীম” হিসেবে রাসুলুল্লাহ (সঃ) সয়ং মদীনায় প্রতিবছর আদায় করেছেন। ছাহবীরাও তাঁর পথ অনুসরণ করেন। অতঃপর অবিরত ধারায় মুসলিম উম্মাহ সামর্থবানদের মধ্যে এটা চালু হয়। কুরবানীর স্মৃতিবাহী যিলহজ্জ মাসে হজ্জ উপলক্ষে সমগ্র পৃথিবী থেকে লাখ লাখ মুসলমান সমবেত হয় ইবরাহীম (আঃ)-এর স্মৃতি বিজড়িত মক্কা-মদীনায়।

 

 

তাঁরা ইবরাহীমী আদর্শে আদর্শবান হওয়ার জন্য জীবনের সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করেন। হজ্জ মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্ববোধের এক অনন্য উদাহরণ। মানুষের আল্লাহর নৈকট্যলাভে কুরবানী হচ্ছে সর্বোত্তম উপায়। একমাত্র আল্লাহর কাছেই মানুষ প্রতিমুহূর্তেই করুণালাভের প্রত্যাশী।

 

 

কেননা বিত্তবৈভব সমাজ, সংসার, রাষ্ট্র আল্লাহর উদ্দেশ্যেই নিবেদিত। পারিভাষিক অর্থে ‘কুরবানী’ এ মাধ্যমকে বলা হয়, যার দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য হাছিল হয়। প্রচলিত অর্থে ঈদুল আযহার দিন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে শারঈ তরীকায় যে পশু যবহ করা হয়, তাকে ‘কুরবানী’ বলা হয়’। সকালে রক্তিম সূর্য উপরে ওঠার সময়ে ‘কুরবানী’ করা হয় বলে এই দিনটিকে ‘ইয়াওমুল আযহা’ বলা হয়ে থাকে। কুরবানী মুসলমানদের জন্য একটি ধর্মীয় ইবাদতও।

 

 

 

যিলহজ্জ মাসের দশ থেকে বারো তারিখের মধ্যে এই ইবাদত পালন করতে হয়। ঈদুল আযহার গুরুত্ব অপরিসীম। কুরআন-হাদীছে এ ব্যাপারে যথেষ্ট তাকীদ দেয়া হয়েছে। আল্লাহ বলেন, আর কুরবানীর পশু সমূহকে আমরা তোমাদের জন্য আল্লাহর নিদর্শন সমূহের অন্তর্ভুক্ত করেছি। এর মধ্যে তোমাদের জন্য কল্যাণ রয়েছে’ (হজ্জ ৩৬)।

 

 

 

আল্লাহ আরও বলেন, ‘আর আমরা তাঁর (ইসমাঈলের) পরিবর্তে যবহ করার জন্য দিলাম একটি মহান কুরবান। আমরা এটিকে পরবর্তীদের মধ্যে রেখে দিলাম’ (ছাফফাত ১০৭-১০৮)। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে ছালাত আদায় কর এবং কুরবানী কর’ (কাওছার ২)।

 

 

আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন, ‘সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কুরবানী করল না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়’। ফলে প্রতি বছরই আমাদেরকে তাওহীদী প্রেরণায় উজ্জীবিত করে। আমরা নিবিড়ভাবে অনুভব করি বিশ্ব মুসলিম ভ্রাতৃত্ব।

 

 

ঈদের উৎসব একটি সামাজিক উৎসব, সমষ্টিগতভাবে আনন্দের অধিকারগত উৎসব। ঈদুল আযহা উৎসবের একটি অঙ্গ হচ্ছে কুরবানী। কুরবানী হ’ল চিত্তশুদ্ধির এবং পবিত্রতার মাধ্যম। এটি সামাজিক রীতি হ’লেও আল্লাহর জন্যই এ রীতি

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

এপেক্স শো-রুমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি

তোরা ভোগের পাত্র ফেলরে ছুঁড়ে ত্যাগের তরে হৃদয় বাঁধ

আপডেট সময় ০১:৫৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ জুলাই ২০২২

 

 

“তোরা ভোগের পাত্র ফেলরে ছুঁড়ে ত্যাগের তরে হৃদয় বাঁধ” 

সোহেল সানি 

“তোরা ভোগের পাত্র ফেলরে ছুঁড়ে ত্যাগের তরে হৃদয় বাঁধ।” আল্লাহর নৈকট্যলাভে কুরবানী বা ঈদুল আযহার তাৎপর্যকে প্রোজ্জ্বল করে তুলেছেন জাতীয় কবি নজরুল তাঁর কাব্যিক ছন্দ ধারায়। যেমনটি কবির ঈদুল ফিতরের ফল্গুধারা, “রমযানের এই রোযাশেষে এলো খুশীর ঈদ..” হযরত ইব্রাহিম (আঃ) পবিত্র কুরআনে মুসলিম জাতির পিতা। কুরবানের সৃষ্ট-ধারায় হযরত ইব্রাহীম (আঃ) বিবি হাজেরা ও ইসমাঈলের এক পরম ত্যাগ মুসলিম জাতির জন্য একটি মহত্তম আদর্শ। কুরবান বা কুরবানীকে তাঁদের স্মৃতিবিজড়িত একটি উৎসবও বলা হয়।

 

 

কাফির- মুশরিকরা তাদের দেব-দেবী ও কবর-বেদীতে পুজো দেয় ও মূর্তির সম্মানে পশু বলী দেয়। প্রতিবাদস্বরূপ আল্লাহ তাঁর উদ্দেশ্যে ছালাত আদায়ে কুরবান করার আদেশদান করেন। ইব্রাহিম (আঃ) কর্তৃক তাঁর শিশুপুত্র ইসমাঈল (আঃ) কে আল্লাহর রাহে বা নামে কুরবানি দেয়ার অনুসরণে “সুন্নাতে ইব্রাহীমী হিসেবে চালু হয়।

 

 

মক্কা নগরীর জনমানবহীন মিনা প্রান্তরে আল্লাহর আত্মনিবেদিত দুই বান্দা ইব্রাহিম ও ইসমাঈল আল্লাহর কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের মাধ্যমে তুলনাহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। বর্ষপরম্পরায় এরপর থেকে কুরবানি দিয়ে আসেন পরবর্তী নবীগণও। আল্লাহর জন্যই এই রীতি প্রবর্তিত হবার পর এটি মুসলিম সমাজে সামাজিক রীতি হিসেবে চালু রয়েছে।

 

 

 

ঈদুল আযহার দিন সমগ্র মুসলিম জাতি ইবরাহীমী সুন্নাত পালনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের প্রাণপণ চেষ্টা করে। কুরবানীর স্মৃতিবাহী যিলহজ্জ মাসে হজ্জ উপলক্ষে সমগ্র পৃথিবী থেকে লাখ লাখ মুসলমান সমবেত হয় ইবরাহীম (আঃ)-এর স্মৃতি বিজড়িত মক্কা-মদীনায়। তাঁরা ইবরাহীমী আদর্শে আদর্শবান হওয়ার জন্য জীবনের সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করেন।

 

 

 

হজ্জ মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্ববোধের এক অনন্য উদাহরণ। পবিত্র কুরআনে “কুরবান” শব্দ ব্যবহৃত হলেও ফারসী ও হিন্দি- উর্দুতে শব্দটিকে “কুরবানী” রুপ দেয়া হয়েছে। অর্থ “নৈকট্য”। চিত্তশুদ্ধির ও পবিত্রতার প্রধান মাধ্যম হলো কুরবান। মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, “সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কুরবানী করলো না, সে যেনো আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়।

 

 

” সুন্নাতে ইব্রাহীম” হিসেবে রাসুলুল্লাহ (সঃ) সয়ং মদীনায় প্রতিবছর আদায় করেছেন। ছাহবীরাও তাঁর পথ অনুসরণ করেন। অতঃপর অবিরত ধারায় মুসলিম উম্মাহ সামর্থবানদের মধ্যে এটা চালু হয়। কুরবানীর স্মৃতিবাহী যিলহজ্জ মাসে হজ্জ উপলক্ষে সমগ্র পৃথিবী থেকে লাখ লাখ মুসলমান সমবেত হয় ইবরাহীম (আঃ)-এর স্মৃতি বিজড়িত মক্কা-মদীনায়।

 

 

তাঁরা ইবরাহীমী আদর্শে আদর্শবান হওয়ার জন্য জীবনের সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করেন। হজ্জ মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্ববোধের এক অনন্য উদাহরণ। মানুষের আল্লাহর নৈকট্যলাভে কুরবানী হচ্ছে সর্বোত্তম উপায়। একমাত্র আল্লাহর কাছেই মানুষ প্রতিমুহূর্তেই করুণালাভের প্রত্যাশী।

 

 

কেননা বিত্তবৈভব সমাজ, সংসার, রাষ্ট্র আল্লাহর উদ্দেশ্যেই নিবেদিত। পারিভাষিক অর্থে ‘কুরবানী’ এ মাধ্যমকে বলা হয়, যার দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য হাছিল হয়। প্রচলিত অর্থে ঈদুল আযহার দিন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে শারঈ তরীকায় যে পশু যবহ করা হয়, তাকে ‘কুরবানী’ বলা হয়’। সকালে রক্তিম সূর্য উপরে ওঠার সময়ে ‘কুরবানী’ করা হয় বলে এই দিনটিকে ‘ইয়াওমুল আযহা’ বলা হয়ে থাকে। কুরবানী মুসলমানদের জন্য একটি ধর্মীয় ইবাদতও।

 

 

 

যিলহজ্জ মাসের দশ থেকে বারো তারিখের মধ্যে এই ইবাদত পালন করতে হয়। ঈদুল আযহার গুরুত্ব অপরিসীম। কুরআন-হাদীছে এ ব্যাপারে যথেষ্ট তাকীদ দেয়া হয়েছে। আল্লাহ বলেন, আর কুরবানীর পশু সমূহকে আমরা তোমাদের জন্য আল্লাহর নিদর্শন সমূহের অন্তর্ভুক্ত করেছি। এর মধ্যে তোমাদের জন্য কল্যাণ রয়েছে’ (হজ্জ ৩৬)।

 

 

 

আল্লাহ আরও বলেন, ‘আর আমরা তাঁর (ইসমাঈলের) পরিবর্তে যবহ করার জন্য দিলাম একটি মহান কুরবান। আমরা এটিকে পরবর্তীদের মধ্যে রেখে দিলাম’ (ছাফফাত ১০৭-১০৮)। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে ছালাত আদায় কর এবং কুরবানী কর’ (কাওছার ২)।

 

 

আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন, ‘সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কুরবানী করল না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়’। ফলে প্রতি বছরই আমাদেরকে তাওহীদী প্রেরণায় উজ্জীবিত করে। আমরা নিবিড়ভাবে অনুভব করি বিশ্ব মুসলিম ভ্রাতৃত্ব।

 

 

ঈদের উৎসব একটি সামাজিক উৎসব, সমষ্টিগতভাবে আনন্দের অধিকারগত উৎসব। ঈদুল আযহা উৎসবের একটি অঙ্গ হচ্ছে কুরবানী। কুরবানী হ’ল চিত্তশুদ্ধির এবং পবিত্রতার মাধ্যম। এটি সামাজিক রীতি হ’লেও আল্লাহর জন্যই এ রীতি