বাংলাদেশ ০২:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
নলছিটির ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির চাঁদাবাজী।। মহাসচিবের কাছে অভিযোগ। পা দিয়ে লিখে আলিম পাশ করলো রাসেল নাইক্ষ‍্যংছড়ি মদিনাতুল উলুম মডেল ইন: ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা আলিম পরীক্ষায় এবারও শীর্ষস্থানে নলছিটি সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে চাঁদা দাবীর অভিযোগ ভান্ডারিয়ায় শিল্পপতি সৈয়দ সোহেল রানার ওপর সন্ত্রাসী হামলা: বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ভান্ডারিয়ায় পূজা উদ্যাপন কমিটির সাথে বিএনপির মতবিনিময় সভা ভান্ডারিয়ায় সিরাত সন্ধ্যায় প্রাণের ছোঁয়া ভান্ডারিয়ায় “মুক্তকন্ঠ” শিল্পী ও সাংস্কৃতিক জোটের কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত গণঅভ্যুত্থানে মানুষের কাঁধে চেপে বসা জালিম শাসকের পতন হয়েছে – মাহমুদুর রহমান ২৬ লাখ টাকার ঘড়ি ৪ মাসেই নষ্ট ঠাকুরগাঁওয়ের শ্রী শ্রী রসিক রায় জিও মন্দির প্রাঙ্গন ও আশপাশ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি ১৪ মাসেই কোরআনের হাফেজ বালক গৌরনদীতে সাংবাদিক সোহেবের চেক ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনায় আদালতে মামলা মুন্সিগঞ্জ জেলা ক্রিড়া অফিসের আয়োজনে বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত। শরীয়তপুরের জাজিরায় ডিজিএম এর একঘেয়েমীর কারণে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল এক পল্লীবিদ্যুৎতের লাইনম্যানের।

বাংলা সাহিত্যের জীবন্ত কিংবদন্তী সেলিনা হোসেন-এর আজ ৭৬তম জন্মদিন 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:১৩:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২
  • ১৭২৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলা সাহিত্যের জীবন্ত কিংবদন্তী সেলিনা হোসেন-এর আজ ৭৬তম জন্মদিন 

স্বীকৃতি বিশ্বাস, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষা-সংস্কৃতি এবং সামাজিক- রাজনৈতিক চর্তুমূখী দ্বন্দ্ব, সংঘাত ও সংকট, বাঙালির অহংকার ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের বাস্তব চিত্র সম্বলিত গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধের ত্রিবেনী সঙ্গমের চিত্রকর কথাসাহিত্যিক, লেখক, ঔপন্যাসিক সেলিনা হোসেন ১৯৪৭ সালের ১৪ জুন রাজশাহী শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস লক্ষ্মীপুর জেলার হাজিরপাড়া গ্রামে। বাবা এ কে মোশাররফ হোসেনের আদিবাড়ি নোয়াখালী হলেও চাকরি সূত্রে বগুড়া ও পরে রাজশাহী থেকেছেন দীর্ঘকাল। ফলে সেলিনা হোসেনকে ছেলেবেলায় নোয়াখালীতে বেশিদিন থাকতে হয়নি। সেলিনা হোসেনের মায়ের নাম মরিয়ম-উন-নিসা বকুল। মোশাররফ-মরিয়ামুন্ননেছা দম্পতির সব মিলিয়ে নয় ছেলেমেয়ে। সেলিনা ভাইবোনদের মধ্যে চতুর্থ।
সেলিনা হোসেন  ১৯৫৪ সালে বগুড়ার লতিফপুর প্রাইমারি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৫৯ সালে রাজশাহীর নাথ গালর্স স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৬২ সালে তিনি এখান থেকে মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে ১৯৬৪ সালে রাজশাহী মহিলা কলেজে ভর্তি হন। কলেজ জীবন শেষ করে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৭ সালে বি.এ. অনার্স এবং ১৯৬৮ সালে এম.এ. পাস করেন।
সেলিনা হোসেনের লেখালেখি শুরু সেই স্কুলবেলাতেই।গত শতকের ষাটের দশকের মাঝামাঝি, তিনি যখন রাজশাহী উইমেন্স কলেজের ছাত্রী তখন বিভাগীয় সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়নশিপ স্বর্ণপদক পান।  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন  তিনি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক চর্চায় নিবিড়ভাবে যুক্ত হন।
সে সময় তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন (বর্তমান বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন) রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।আর তাই তার লেখনীতে  ভাত, আশ্র্রয়, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানুষের জীবনের স্বস্তি ও শান্তির বিষয়গুলো বরাবরের ন্যায় ফুটে উঠেছে।জলোচ্ছ্বাস(১৯৭৩) তার প্রথম উপন্যাস।
এছাড়াও তিনি যে সাহিত্য কর্ম গুলোর জন্য অমর হয়ে থাকবেন বাংলা সাহিত্য সেগুলো হলো- জ্যোস্নায় সূর্যজ্বালা(১৯৭৩), হাঙর নদী গ্রেনেড (১৯৭৬), মগ্ন চৈতন্যে শিস (১৯৭৯), যাপিত জীবন (১৯৮১), নীল ময়ূরের যৌবন (১৯৮২), পদশব্দ (১৯৮২), চাঁদবেনে (১৯৮৪), পোকা মাকড়ের ঘরবসতি (১৯৮৬), নিরন্তর ঘন্টাধ্বনি (১৯৮৭), ক্ষরণ (১৯৮৮), কাঁটাতারে প্রজাপতি (১৯৮৯), খুন ও ভালোবাসা (১৯৯০), কালকেতু ও ফুল্লরা (১৯৯২), ভালোবাসা প্রীতিলতা (১৯৯২), টানাপোড়েন (১৯৯৪), গায়ত্রী সন্ধ্যা-১ম,২য়,৩য় খণ্ড (১৯৯৪, ৯৫, ৯৫), দীপাম্বিতা (১৯৯৭), যুদ্ধ (১৯৯৮), লারা (২০০০), কাঠ কয়লার ছবি (২০০১), মোহিনীর বিয়ে (২০০১), আণবিক আঁধার (২০০৩), ঘুমকাতুরে ঈশ্বর (২০০৪), মর্গের নীল পাখি (২০০৫), অপেক্ষা (২০০৭), দিনের রশিতে গিটঠু (২০০৭), মাটি ও শস্যের বুনন (২০০৭), পূর্ণছবির মগ্নতা (২০০৮), ভূমি ও কুসুম (২০১০), উত্তর সারথি, যমুনা নদীর মুশায়রা (২০১১), আগষ্টের একরাত (২০১৩), গেরিলা ও বীরাঙ্গনা (২০১৪), দিনকালের কাঠখড় (২০১৫) এরকম ৪০টি উপন্যাস।
উল্ল্যেখযোগ্য গল্পগ্রন্থগুলো হলো- উৎস থেকে নিরন্তর (১৯৬৯), জলবতী মেঘের বাতাস (১৯৭৫), খোল করতাল (১৯৮২), পরজন্ম (১৯৮৬), মানুষটি (১৯৯৩), মতিজানের মেয়েরা (১৯৯৫), অনূঢ়া পূরণিমা (২০০৮), সখিনার চন্দ্রকলা (২০০৮), একালের পান্তাবুড়ি (২০০২), অবেলার দিনক্ষণ (২০০৯), নারীর রূপকথা (২০০৯), নুনপান্তার গড়াগড়ি (২০১৪), মৃত্যুর নীলপদ্ম (২০১৫) মতো বারোটি গল্প।
প্রবন্ধ সম্পাদনা করেছেন- স্বদেশে পরবাসী (১৯৮৫), ঊনসত্তরের গণ-আন্দোলন (১৯৮৫), একাত্তরের ঢাকা(১৯৮৯), নির্ভয় করো হে(১৯৯৮), মুক্ত করো ভয়(২০০০), ঘরগেরস্থির রাজনীতি (২০০৮), নিজেরে করো জয় (২০০৮), প্রিয় মুখের রেখা (২০১০), শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধ (২০১০), পথ চলাতেই আনন্দ (২০১৪)।
শিশু-কিশোর সাহিত্যে তার অবদান- সাগর(১৯৯১), বাংলা একাডেমী গল্পে বর্ণমালা(১৯৯৪), কাকতাড়ুয়া(১৯৯৬), বর্ণমালার গল্প(১৯৯৭), আকাশ পরী(২০০১), অন্যরকম যাত্রা(২০০১), যখন বৃষ্টি নামে(২০০২), জ্যোৎস্নার রঙে আঁকা ছবি(২০০২), মেয়রের গাড়ি(২০০৩), মিহিরুনের বন্ধুরা(২০০৪), রংধনু (সম্পাদনা) (২০০৪), এক রুপোলি নদী(২০০৫), গল্পটা শেষ হয় না(২০০৬), বায়ান্নো থেকে একাত্তর(২০০৬), চাঁদের বুড়ির পান্তা ইলিশ(২০০৮), মুক্তিযোদ্ধারা(২০০৯), সোনারতরীর ছোটমণিরা(২০০৯), পুটুসপুটুসের জন্মদিন(২০১০), নীলটুনির বন্ধু(২০১০), কুড়কুড়ির মুক্তিযুদ্ধ(২০১১), ফুলকলি প্রধানমন্ত্রী হবে(২০১১), হরতালের ভূতবাবা(২০১৪) এরকম ৩১টি।
সাহিত্যে তার অনন্য কীর্তির জন্য দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এর মধ্যে আছে- বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮০), ফিলিপস্ সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯৪), অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯৪), একুশে পদক (২০০৯)। ভারত থেকেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- রবীন্দ্র্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা থেকে ডিলিট উপাধি (১৯১০), রামকৃষ্ণ জয়দয়াল ওয়ার্ড, দিল্লি (২০০৮), রবীন্দ্র্র স্মৃতি পুরস্কার, কলকাতা (২০১৩), আইআইপিএম (ওওচগ) কর্তৃক আন্তর্জাতিক সুরমা চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার, দিল্লি (২০১২)। দক্ষিণ এশিয়ার লেখকদের জন্য প্রবর্তিত সাহিত্য আকাদেমি, দিল্লি থেকে ২০১১ সালে তিনি প্রেমচাঁদ ফেলোশিপ লাভ করেন।
কাহিনির অভিনবত্ব, জীবন নিষ্ঠা, দৃশ্যকল্প, বিস্তৃত বয়ান সেলিনা হোসেনের গল্প-উপন্যাসের সার্থক চলচ্চিত্র রূপায়ণে বাধিত করেছে। তার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপন্যাস-গল্প পরে চলচ্চিত্র ও নাটকে রূপান্তরিত হয়েছে। এর স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৬ ও ১৯৯৭ সালে শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
সেলিনা হোসেনের জন্মদিনে জানাই অফুরন্ত শ্রদ্ধা ও ভালবাসা।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello

নলছিটির ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির চাঁদাবাজী।। মহাসচিবের কাছে অভিযোগ।

বাংলা সাহিত্যের জীবন্ত কিংবদন্তী সেলিনা হোসেন-এর আজ ৭৬তম জন্মদিন 

আপডেট সময় ০৪:১৩:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২
স্বীকৃতি বিশ্বাস, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষা-সংস্কৃতি এবং সামাজিক- রাজনৈতিক চর্তুমূখী দ্বন্দ্ব, সংঘাত ও সংকট, বাঙালির অহংকার ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের বাস্তব চিত্র সম্বলিত গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধের ত্রিবেনী সঙ্গমের চিত্রকর কথাসাহিত্যিক, লেখক, ঔপন্যাসিক সেলিনা হোসেন ১৯৪৭ সালের ১৪ জুন রাজশাহী শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস লক্ষ্মীপুর জেলার হাজিরপাড়া গ্রামে। বাবা এ কে মোশাররফ হোসেনের আদিবাড়ি নোয়াখালী হলেও চাকরি সূত্রে বগুড়া ও পরে রাজশাহী থেকেছেন দীর্ঘকাল। ফলে সেলিনা হোসেনকে ছেলেবেলায় নোয়াখালীতে বেশিদিন থাকতে হয়নি। সেলিনা হোসেনের মায়ের নাম মরিয়ম-উন-নিসা বকুল। মোশাররফ-মরিয়ামুন্ননেছা দম্পতির সব মিলিয়ে নয় ছেলেমেয়ে। সেলিনা ভাইবোনদের মধ্যে চতুর্থ।
সেলিনা হোসেন  ১৯৫৪ সালে বগুড়ার লতিফপুর প্রাইমারি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৫৯ সালে রাজশাহীর নাথ গালর্স স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৬২ সালে তিনি এখান থেকে মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে ১৯৬৪ সালে রাজশাহী মহিলা কলেজে ভর্তি হন। কলেজ জীবন শেষ করে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৭ সালে বি.এ. অনার্স এবং ১৯৬৮ সালে এম.এ. পাস করেন।
সেলিনা হোসেনের লেখালেখি শুরু সেই স্কুলবেলাতেই।গত শতকের ষাটের দশকের মাঝামাঝি, তিনি যখন রাজশাহী উইমেন্স কলেজের ছাত্রী তখন বিভাগীয় সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়নশিপ স্বর্ণপদক পান।  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন  তিনি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক চর্চায় নিবিড়ভাবে যুক্ত হন।
সে সময় তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন (বর্তমান বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন) রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।আর তাই তার লেখনীতে  ভাত, আশ্র্রয়, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানুষের জীবনের স্বস্তি ও শান্তির বিষয়গুলো বরাবরের ন্যায় ফুটে উঠেছে।জলোচ্ছ্বাস(১৯৭৩) তার প্রথম উপন্যাস।
এছাড়াও তিনি যে সাহিত্য কর্ম গুলোর জন্য অমর হয়ে থাকবেন বাংলা সাহিত্য সেগুলো হলো- জ্যোস্নায় সূর্যজ্বালা(১৯৭৩), হাঙর নদী গ্রেনেড (১৯৭৬), মগ্ন চৈতন্যে শিস (১৯৭৯), যাপিত জীবন (১৯৮১), নীল ময়ূরের যৌবন (১৯৮২), পদশব্দ (১৯৮২), চাঁদবেনে (১৯৮৪), পোকা মাকড়ের ঘরবসতি (১৯৮৬), নিরন্তর ঘন্টাধ্বনি (১৯৮৭), ক্ষরণ (১৯৮৮), কাঁটাতারে প্রজাপতি (১৯৮৯), খুন ও ভালোবাসা (১৯৯০), কালকেতু ও ফুল্লরা (১৯৯২), ভালোবাসা প্রীতিলতা (১৯৯২), টানাপোড়েন (১৯৯৪), গায়ত্রী সন্ধ্যা-১ম,২য়,৩য় খণ্ড (১৯৯৪, ৯৫, ৯৫), দীপাম্বিতা (১৯৯৭), যুদ্ধ (১৯৯৮), লারা (২০০০), কাঠ কয়লার ছবি (২০০১), মোহিনীর বিয়ে (২০০১), আণবিক আঁধার (২০০৩), ঘুমকাতুরে ঈশ্বর (২০০৪), মর্গের নীল পাখি (২০০৫), অপেক্ষা (২০০৭), দিনের রশিতে গিটঠু (২০০৭), মাটি ও শস্যের বুনন (২০০৭), পূর্ণছবির মগ্নতা (২০০৮), ভূমি ও কুসুম (২০১০), উত্তর সারথি, যমুনা নদীর মুশায়রা (২০১১), আগষ্টের একরাত (২০১৩), গেরিলা ও বীরাঙ্গনা (২০১৪), দিনকালের কাঠখড় (২০১৫) এরকম ৪০টি উপন্যাস।
উল্ল্যেখযোগ্য গল্পগ্রন্থগুলো হলো- উৎস থেকে নিরন্তর (১৯৬৯), জলবতী মেঘের বাতাস (১৯৭৫), খোল করতাল (১৯৮২), পরজন্ম (১৯৮৬), মানুষটি (১৯৯৩), মতিজানের মেয়েরা (১৯৯৫), অনূঢ়া পূরণিমা (২০০৮), সখিনার চন্দ্রকলা (২০০৮), একালের পান্তাবুড়ি (২০০২), অবেলার দিনক্ষণ (২০০৯), নারীর রূপকথা (২০০৯), নুনপান্তার গড়াগড়ি (২০১৪), মৃত্যুর নীলপদ্ম (২০১৫) মতো বারোটি গল্প।
প্রবন্ধ সম্পাদনা করেছেন- স্বদেশে পরবাসী (১৯৮৫), ঊনসত্তরের গণ-আন্দোলন (১৯৮৫), একাত্তরের ঢাকা(১৯৮৯), নির্ভয় করো হে(১৯৯৮), মুক্ত করো ভয়(২০০০), ঘরগেরস্থির রাজনীতি (২০০৮), নিজেরে করো জয় (২০০৮), প্রিয় মুখের রেখা (২০১০), শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধ (২০১০), পথ চলাতেই আনন্দ (২০১৪)।
শিশু-কিশোর সাহিত্যে তার অবদান- সাগর(১৯৯১), বাংলা একাডেমী গল্পে বর্ণমালা(১৯৯৪), কাকতাড়ুয়া(১৯৯৬), বর্ণমালার গল্প(১৯৯৭), আকাশ পরী(২০০১), অন্যরকম যাত্রা(২০০১), যখন বৃষ্টি নামে(২০০২), জ্যোৎস্নার রঙে আঁকা ছবি(২০০২), মেয়রের গাড়ি(২০০৩), মিহিরুনের বন্ধুরা(২০০৪), রংধনু (সম্পাদনা) (২০০৪), এক রুপোলি নদী(২০০৫), গল্পটা শেষ হয় না(২০০৬), বায়ান্নো থেকে একাত্তর(২০০৬), চাঁদের বুড়ির পান্তা ইলিশ(২০০৮), মুক্তিযোদ্ধারা(২০০৯), সোনারতরীর ছোটমণিরা(২০০৯), পুটুসপুটুসের জন্মদিন(২০১০), নীলটুনির বন্ধু(২০১০), কুড়কুড়ির মুক্তিযুদ্ধ(২০১১), ফুলকলি প্রধানমন্ত্রী হবে(২০১১), হরতালের ভূতবাবা(২০১৪) এরকম ৩১টি।
সাহিত্যে তার অনন্য কীর্তির জন্য দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এর মধ্যে আছে- বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮০), ফিলিপস্ সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯৪), অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯৪), একুশে পদক (২০০৯)। ভারত থেকেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- রবীন্দ্র্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা থেকে ডিলিট উপাধি (১৯১০), রামকৃষ্ণ জয়দয়াল ওয়ার্ড, দিল্লি (২০০৮), রবীন্দ্র্র স্মৃতি পুরস্কার, কলকাতা (২০১৩), আইআইপিএম (ওওচগ) কর্তৃক আন্তর্জাতিক সুরমা চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার, দিল্লি (২০১২)। দক্ষিণ এশিয়ার লেখকদের জন্য প্রবর্তিত সাহিত্য আকাদেমি, দিল্লি থেকে ২০১১ সালে তিনি প্রেমচাঁদ ফেলোশিপ লাভ করেন।
কাহিনির অভিনবত্ব, জীবন নিষ্ঠা, দৃশ্যকল্প, বিস্তৃত বয়ান সেলিনা হোসেনের গল্প-উপন্যাসের সার্থক চলচ্চিত্র রূপায়ণে বাধিত করেছে। তার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপন্যাস-গল্প পরে চলচ্চিত্র ও নাটকে রূপান্তরিত হয়েছে। এর স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৬ ও ১৯৯৭ সালে শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
সেলিনা হোসেনের জন্মদিনে জানাই অফুরন্ত শ্রদ্ধা ও ভালবাসা।