সেলিনা হোসেনের লেখালেখি শুরু সেই স্কুলবেলাতেই।গত শতকের ষাটের দশকের মাঝামাঝি, তিনি যখন রাজশাহী উইমেন্স কলেজের ছাত্রী তখন বিভাগীয় সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়নশিপ স্বর্ণপদক পান। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন তিনি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক চর্চায় নিবিড়ভাবে যুক্ত হন।
সে সময় তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন (বর্তমান বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন) রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।আর তাই তার লেখনীতে ভাত, আশ্র্রয়, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানুষের জীবনের স্বস্তি ও শান্তির বিষয়গুলো বরাবরের ন্যায় ফুটে উঠেছে।জলোচ্ছ্বাস(১৯৭৩) তার প্রথম উপন্যাস।
এছাড়াও তিনি যে সাহিত্য কর্ম গুলোর জন্য অমর হয়ে থাকবেন বাংলা সাহিত্য সেগুলো হলো- জ্যোস্নায় সূর্যজ্বালা(১৯৭৩), হাঙর নদী গ্রেনেড (১৯৭৬), মগ্ন চৈতন্যে শিস (১৯৭৯), যাপিত জীবন (১৯৮১), নীল ময়ূরের যৌবন (১৯৮২), পদশব্দ (১৯৮২), চাঁদবেনে (১৯৮৪), পোকা মাকড়ের ঘরবসতি (১৯৮৬), নিরন্তর ঘন্টাধ্বনি (১৯৮৭), ক্ষরণ (১৯৮৮), কাঁটাতারে প্রজাপতি (১৯৮৯), খুন ও ভালোবাসা (১৯৯০), কালকেতু ও ফুল্লরা (১৯৯২), ভালোবাসা প্রীতিলতা (১৯৯২), টানাপোড়েন (১৯৯৪), গায়ত্রী সন্ধ্যা-১ম,২য়,৩য় খণ্ড (১৯৯৪, ৯৫, ৯৫), দীপাম্বিতা (১৯৯৭), যুদ্ধ (১৯৯৮), লারা (২০০০), কাঠ কয়লার ছবি (২০০১), মোহিনীর বিয়ে (২০০১), আণবিক আঁধার (২০০৩), ঘুমকাতুরে ঈশ্বর (২০০৪), মর্গের নীল পাখি (২০০৫), অপেক্ষা (২০০৭), দিনের রশিতে গিটঠু (২০০৭), মাটি ও শস্যের বুনন (২০০৭), পূর্ণছবির মগ্নতা (২০০৮), ভূমি ও কুসুম (২০১০), উত্তর সারথি, যমুনা নদীর মুশায়রা (২০১১), আগষ্টের একরাত (২০১৩), গেরিলা ও বীরাঙ্গনা (২০১৪), দিনকালের কাঠখড় (২০১৫) এরকম ৪০টি উপন্যাস।
উল্ল্যেখযোগ্য গল্পগ্রন্থগুলো হলো- উৎস থেকে নিরন্তর (১৯৬৯), জলবতী মেঘের বাতাস (১৯৭৫), খোল করতাল (১৯৮২), পরজন্ম (১৯৮৬), মানুষটি (১৯৯৩), মতিজানের মেয়েরা (১৯৯৫), অনূঢ়া পূরণিমা (২০০৮), সখিনার চন্দ্রকলা (২০০৮), একালের পান্তাবুড়ি (২০০২), অবেলার দিনক্ষণ (২০০৯), নারীর রূপকথা (২০০৯), নুনপান্তার গড়াগড়ি (২০১৪), মৃত্যুর নীলপদ্ম (২০১৫) মতো বারোটি গল্প।