ভান্ডারিয়া প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার মো. লোকমান হোসেন নামে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষরা গত ১১ বছরে ১৬টি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রাণির অভিযোগ উঠেছে।
ভূক্তভোগি ওই সাংবাদিকের শ্বশুরের সাথে মাত্র দুই শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে সাংবাদিক লোকমান ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকিসহ পালাক্রমে সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে বলে ভূক্তভোগি পরিবারের অভিযোগ। হয়রাণির শিকার সাংবাকর্মী মোঃ লোকমান হোসেন ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমার প্রানের বাংলাদেশ ও কলমের কন্ঠ পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি ও ভান্ডারিয়া প্রেস ক্লাবের কার্য নির্বাহী সদস্য।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, ভান্ডারিয়া উপজেলার লক্ষ্মিপুরা গ্রামের সাবেক ব্যাংকার রুহুল আমিন হাওলাদার একটি মিথ্যা গল্প কাহিনী সাজিয়ে তার ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফকে ব্যবহার করে স্বাধীনতার মাসে সাংবাদিক লোকমান হোসেনের পরিবারের বিরুদ্ধে পিরোজপুর প্রেসক্লাবে সাংবাদ সম্মেলন করে।
পরে প্রতিপক্ষ সাবেক ওই ব্যাংকার পিরোজপুর বিজ্ঞ আদালতে সাংবাদিক লোকমান এর বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা ভিত্তিহীন চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করে। ব্যাংকার রুহুল আমীন এর ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধ আব্দুল লতিফকে বাদী করে পিরোজপুর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে তদন্তের নির্দেশ দেন। ওই মামলা সম্প্রতি তদন্তাদীন রয়েছে।
এ মামলায় গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের দিন চাঁদা দাবির অভিযোগ আনেন। তবে ঘটনার দিন সাংবাদিক লোকমান হোসেন স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সকাল ৮ ঘটিকায় ভান্ডারিয়া বিহারী লাল মিত্র পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে উপজেলা প্রশাসনের সাথে থেকে অনুষ্ঠানের বিভিন্ন চিত্র ধারণ করে এবং সাংবাদ সংগ্রহে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন। ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সীমা রানী ধর সাংবাদিক লোকমান হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ঘটনা অবগতি হলে তিনি একটি প্রত্যায়নপত্র দেন। প্রত্যায়ন পত্রে তিনি উল্লেখ করেন স্বাধীনতা উদযাপন মাঠে তিনি সকাল ৮ থেকে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজিত কর্মসূচিতে ব্যস্ত ছিলেন।
অপরদিকে সাবেক বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার খান এনায়েত করিমসহ উপজেলা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ওই সাংবাদিকের পক্ষে প্রত্যনয়পত্র দেন। এ ব্যাপারে আজ শুক্রবার সকালে সাংবাদিক লোকমান হোসেন অভিযোগ করে বলেন , সাবেক ব্যাংকার মো. রুহুল আমীন হাওলাদার আমার শশুর বাড়ীর প্রতিবেশী। আমার শশুর এর সাথে ওই পরিবারের সাথে অল্প কিছু জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে রুহুল আমীন ও তার ভাই মিলে ২০১০ সাল থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন থানায় ও আদালতে আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে অন্তত ১৬টি বানোয়ট মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে। সকল মামলা থেকে আমি মুক্তি পাই। ভূক্তভোগি সাংবাদিক লোকমান হোসেন আরো বলেন, আমার শ্বশুরের প্রতিপক্ষ রুহুল আমীন ব্যাংকের চাকুরি থেকে অবসারে গিয়ে তার ভাইকে দিয়ে আবার নতুন করে সাজানো একটি চাঁদাবাজি সহ কয়েকটি মামলা দিয়ে হয়রানি শুরু করছে। বর্তমানে আমার ও আমার পরিবারকে নানা হুমকী দিয়ে আসছে এবং রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জিডি সহ মামলা করে হয়রানি করবে বলে হুমকি দিচ্ছে উক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা। এ ব্যাপারে চাঁদাবাজি মামলার বাদীর সাথে যোগাযোগ করলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে মামলার দুই নম্বর স্বাক্ষী তার ভাই রুহুল আমিন হাওলাদার দাবি করেন তিনি এ মামলার বিষয় কিছু জানেন না।