বাংলাদেশ ০১:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
দেশীয় তৈরী ০২টি পাইপগানসহ ০২ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। কুবি ছাত্রের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ যিনি একের মধ্যে তিন, তিনিই বিজয় সরকার। নওগাঁর বদলগাছীতে জাল সনদধারীকে দিয়ে চাকরি করানোসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ অধ্যক্ষ- সভাপতির বিরুদ্ধে রাবি ছাত্রলীগের চার নেতা বহিষ্কার বেলালের বিজয়ী উল্লাসের মধ্য দিয়ে সময় পার করছে গোদাগাড়ী উপজেলা বাসি মাদক মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার। ধনবাড়ী‌তে (সিএজি) কার্যালয়ের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। হিজলা উপজেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক মোঃ এ কে আজাদ প্রতারণার নতুন কৌশল মসজিদ,মাদরাসাসহ পাকা বসতবাড়ী নির্মাণের নামে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা শিক্ষার্থীদের ‘যাতায়াত’ সুবিধার্থে বন্ধ ক্যাম্পাসে বাস দিলো কুবি রাবি সফরে আসাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদল জগন্নাথপুরে ডিবির অভিযানে ৭০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার-২ পরিবেশ অধিদপ্তরে ছাড়পত্র না থাকায় মন্ডল প্লাস্টিক এন্ড রাবার রিসাইক্লিং এ জরিমানা সুনামগঞ্জে ৬৫০ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ড্রেস বিতরণ করেন মেয়র নাদের বখত

শাওয়াল মাসের ছয় রোজার ফজিলত

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:১৯:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ মে ২০২২
  • ১৭৫১ বার পড়া হয়েছে
গাজী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জাবির।।
মাহে রমজানের পর আসে শাওয়াল মাস। এই মাসের গুরত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে ছয় রোজা। রমজানের ফরয রোজা পালনের পর শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা রাখা মুস্তাহাব। এই রোজার অনেক ফজিলত রয়েছে যা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  নিজেও এ রোজা রাখতেন। সাহাবায়ে কেরামদেরকেও রাখার নির্দেশ দিতেন।
ঈদুল ফিতরের দিন ব্যতিত শাওয়াল মাসে ৬টি নফল রোজা রাখলে এক বছর নফল রোজার ছওয়াব পাওয়া যায়। এ সম্পর্কে আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখল, অতঃপর শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন সারাবছরই রোজা রাখল।’ (মুসলিম, হাদিস নং: ২/৮২২)
ধর্মপ্রাণ মুমিন- মুসলমান রমজানের ফরয রোজা পালনের পর আল্লাহর প্রিয় বান্দা এবং পরকালে যাতে সফলকাম হতে পারেন এ জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতদেরকে শাওয়ালের ছয় রোজা পালনের পরামর্শ দিয়েছেন।
হযরত সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, রমজানের রোজা ১০ মাসের রোজার সমতুল্য আর (শাওয়ালের) ছয় রোজা দুই মাসের রোজার সমান। সুতরাং এ হলো এক বছরের রোজা। (নাসায়ি, হাদিস নং: ২/১৬২)
মহান আল্লাহ তায়ালা কোরআনে কারিমে বলেন, যে একটি সৎকাজ করবে, সে তার ১০ গুণ সওয়াব পাবে। (সুরা আনআম, আয়াত: ১৬০)
উপরোক্ত আয়াতের আলোকে আলেম- ওলামা গণ শাওয়ালের ছয় রোজাকে এভাবে মূল্যায়ন করেছেন যে,  রমজানের ৩০ রোজা আর শাওয়ালের ছয়টিসহ মোট ৩৬টি রোজা হয়।  পুণ্যময় কাজের সওয়াব ১০ গুণ বৃদ্ধির কথা কোরআনুল কারিমে বলা হয়েছে। অতএব ৩৬কে ১০ গুণ বৃদ্ধি করলে ৩৬০ হয়। সুতরাং বছরে ৩৬টি রোজা রাখলে যেন পূর্ণ বছর অর্থাৎ ৩৬০ দিনই রোজা রাখা হয়। মুমিনদের জেনে রাখা ভাল, কোন রমজান মাস যদি ২৯ দিন হয়, তাহলেও আল্লাহ তায়ালা রোজাদারকে ৩০ দিনেরই সওয়াব দান করেন।
শাওয়ালের ছয় রোজা একাধারে অথবা বিরতি দিয়ে অর্থাৎ ভেঙ্গে ভেঙ্গেও রাখা যায়। কারও যদি রমজানের কাজা রোজা থেকে থাকে, তাহলে প্রথমে রমজানের কাজা আদায় করতে হবে, এরপর শাওয়ালের রোজা রাখবেন। ওলামায়ে কেরামগণ বলেন, নফলসমূহ ফরজের ত্রুটিগুলোর ক্ষতিপূরণ করে। অর্থাৎ জ্ঞাতসারে কিংবা অজ্ঞাতসারে রোজাদার কর্তৃক যে ভুলত্রুটি হয়ে থাকে তা নফল রোজা দূর করতে সহায়তা করে।
অনুরূপভাবে শাওয়ালের ছয় রোজা রমজানের ফরজ রোজার অসম্পূর্ণতাকে সম্পূর্ণ করে এবং তাতে কোনো ত্রুটি থাকলে তাও দূর করে। তাই প্রত্যেক মুমিন নর-নারীর উচিত শাওয়াল মাসের ফজিলতপূর্ণ ছয়টি রোজা রেখে পূর্ণ এক বছরের সওয়াব হাসিল করা। কেউ যদি ভাই-বোনসহ অন্যদেরকেও এই রোজা রাখতে উদ্বুদ্ধ করেন, সে ক্ষেত্রে উভয়ই পূর্ণ সওয়াবের ভাগিদার হবেন।
উল্লেখ্য, কেউ নফল রোজা রেখে যদি ভেঙে ফেলেন, তবে তার কাজা আদায় করা ওয়াজিব।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

দেশীয় তৈরী ০২টি পাইপগানসহ ০২ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

শাওয়াল মাসের ছয় রোজার ফজিলত

আপডেট সময় ১১:১৯:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ মে ২০২২
গাজী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জাবির।।
মাহে রমজানের পর আসে শাওয়াল মাস। এই মাসের গুরত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে ছয় রোজা। রমজানের ফরয রোজা পালনের পর শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা রাখা মুস্তাহাব। এই রোজার অনেক ফজিলত রয়েছে যা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  নিজেও এ রোজা রাখতেন। সাহাবায়ে কেরামদেরকেও রাখার নির্দেশ দিতেন।
ঈদুল ফিতরের দিন ব্যতিত শাওয়াল মাসে ৬টি নফল রোজা রাখলে এক বছর নফল রোজার ছওয়াব পাওয়া যায়। এ সম্পর্কে আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখল, অতঃপর শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন সারাবছরই রোজা রাখল।’ (মুসলিম, হাদিস নং: ২/৮২২)
ধর্মপ্রাণ মুমিন- মুসলমান রমজানের ফরয রোজা পালনের পর আল্লাহর প্রিয় বান্দা এবং পরকালে যাতে সফলকাম হতে পারেন এ জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতদেরকে শাওয়ালের ছয় রোজা পালনের পরামর্শ দিয়েছেন।
হযরত সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, রমজানের রোজা ১০ মাসের রোজার সমতুল্য আর (শাওয়ালের) ছয় রোজা দুই মাসের রোজার সমান। সুতরাং এ হলো এক বছরের রোজা। (নাসায়ি, হাদিস নং: ২/১৬২)
মহান আল্লাহ তায়ালা কোরআনে কারিমে বলেন, যে একটি সৎকাজ করবে, সে তার ১০ গুণ সওয়াব পাবে। (সুরা আনআম, আয়াত: ১৬০)
উপরোক্ত আয়াতের আলোকে আলেম- ওলামা গণ শাওয়ালের ছয় রোজাকে এভাবে মূল্যায়ন করেছেন যে,  রমজানের ৩০ রোজা আর শাওয়ালের ছয়টিসহ মোট ৩৬টি রোজা হয়।  পুণ্যময় কাজের সওয়াব ১০ গুণ বৃদ্ধির কথা কোরআনুল কারিমে বলা হয়েছে। অতএব ৩৬কে ১০ গুণ বৃদ্ধি করলে ৩৬০ হয়। সুতরাং বছরে ৩৬টি রোজা রাখলে যেন পূর্ণ বছর অর্থাৎ ৩৬০ দিনই রোজা রাখা হয়। মুমিনদের জেনে রাখা ভাল, কোন রমজান মাস যদি ২৯ দিন হয়, তাহলেও আল্লাহ তায়ালা রোজাদারকে ৩০ দিনেরই সওয়াব দান করেন।
শাওয়ালের ছয় রোজা একাধারে অথবা বিরতি দিয়ে অর্থাৎ ভেঙ্গে ভেঙ্গেও রাখা যায়। কারও যদি রমজানের কাজা রোজা থেকে থাকে, তাহলে প্রথমে রমজানের কাজা আদায় করতে হবে, এরপর শাওয়ালের রোজা রাখবেন। ওলামায়ে কেরামগণ বলেন, নফলসমূহ ফরজের ত্রুটিগুলোর ক্ষতিপূরণ করে। অর্থাৎ জ্ঞাতসারে কিংবা অজ্ঞাতসারে রোজাদার কর্তৃক যে ভুলত্রুটি হয়ে থাকে তা নফল রোজা দূর করতে সহায়তা করে।
অনুরূপভাবে শাওয়ালের ছয় রোজা রমজানের ফরজ রোজার অসম্পূর্ণতাকে সম্পূর্ণ করে এবং তাতে কোনো ত্রুটি থাকলে তাও দূর করে। তাই প্রত্যেক মুমিন নর-নারীর উচিত শাওয়াল মাসের ফজিলতপূর্ণ ছয়টি রোজা রেখে পূর্ণ এক বছরের সওয়াব হাসিল করা। কেউ যদি ভাই-বোনসহ অন্যদেরকেও এই রোজা রাখতে উদ্বুদ্ধ করেন, সে ক্ষেত্রে উভয়ই পূর্ণ সওয়াবের ভাগিদার হবেন।
উল্লেখ্য, কেউ নফল রোজা রেখে যদি ভেঙে ফেলেন, তবে তার কাজা আদায় করা ওয়াজিব।