মো. আজিজার রহমান, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: মার্শাল আর্ট বা কারাতে, শুধু একটি খেলা নয়, প্রকৃতপক্ষে এসব বিভিন্ন ধরনের মার্শাল আর্টের উদ্দেশ্য হচ্ছে শারীরিকভাবে প্রতিপক্ষকে পরাজিত করা এবং যেকোনো ধরনের ভয়ভীতির প্রতি রুখে দাঁড়ানো।
মার্শাল আর্ট ব্যাপকভাবে প্রাচ্য-এশীয় লড়াইয়ের কৌশল হিসাবে ব্যবহৃত হলেও এর সূত্রপাত ১৫৫০ সালে ইউরোপে। সমাজে নারীদের বিভিন্নভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানা হেনস্তার মুখোমুখি হতে হয়। মার্শাল আর্ট জানা থাকলে নারী নিজেকে সহজে রক্ষা করতে পারে অনেক বৈরী পরিস্থিতি থেকে।
সমাজে মেয়েরা বিভিন্ন সময় পরাজয়ের কাছে হার মানেন। মানুষের কটু কথা, কুদৃষ্টি তাদের ঘরকুনো করে রাখছে। এসবের পরিবর্তন আনতে অনেক নারী বেছে নিচ্ছেন আত্মরক্ষার নানা কৌশল। আত্মরক্ষা শুধু শারীরিকভাবে রাস্তাঘাটে হেনস্তাকারীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া নয়, বরং সমাজের যাদের জন্য নারীরা পিছিয়ে পড়ে তাদের থেকে রক্ষা করে নারীর এগিয়ে চলা।
দিনাজপুরের খানসামায় নারী ও মেয়েদের উপর সুনির্দিষ্ট মনোযোগ দিয়ে বাংলাদেশের প্রান্তিক গোষ্ঠীর মানবাধিকার ও সামাজিক অংশগ্রহণ জোরদারকরণ (হোপ) প্রকল্পের আওতায় আত্মরক্ষা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১০ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার দুহশুহ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে মানব কল্যাণ পরিষদের আয়োজনে ও নেটজ বাংলাদেশের সহযোগিতায় ৭ দিনব্যাপী ২০ জন নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এ প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়।
মানব কল্যাণ পরিষদের মাঠ সহায়ক প্রতিমা রানী বর্মন জানান, খানসামা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের একটি করে বিদ্যালয়ে ৭ দিনব্যাপী ২০ জন নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে আত্মরক্ষা প্রশিক্ষণ হচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে মেয়েরা অনেক দূর থেকে সাইকেল নিয়ে স্কুলে আসে। বিভিন্ন সময় ইভটিজিং এর শিকার হয়। তারা যেন নিজেরাই নিজেদের রক্ষা করতে পারে এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।