বাংলাদেশ ১১:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ছাতকে ১৩ হাজার গ্রাহক ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক কর্তৃক হয়রানির স্বীকার  সিলেট সি‌টির প্রশাসকের সা‌থে সি‌লেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ড‌শিপ ফাউ‌ন্ডেশন স্বাক্ষাত বি‌নিময় নিমসার বাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ক্ষতির মুখে শত শত ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ী রাজশাহী মহানগরীতে বিস্ফোরক মামলার ৭জন আসামি গ্রেপ্তার ভান্ডারিয়া পৌর কৃষক দলের কমিটি গঠন ত্রিশালে অনুমোদনহীন কসমেটিকসকে ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা নাইক্ষ্যংছড়িতে পুলিশের অভিযানে আওয়ামীলীগের ৩ নেতা আটক জামালপুর জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ট্রাফিক সপ্তাহ-২০২৪ পালিত নওগাঁর সার্বিক আইন শৃঙ্খলা নিয়ে জেলা প্রশাসকের প্রেস ব্রিফিং। ব্রাহ্মণপাড়ায় অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সেবা পরিদর্শন পীরগঞ্জে রায়পুর ইউনিয়ন বিএনপি’র কর্মীসভা মায়ের স্বপ্ন পূরণে ১২ বছর পর হেলিকপ্টারে বাড়ী আসলেন মাজহারুল। ভোলায় আ.লীগ নেতার অফিস থেকে বোমা তৈরির সরঞ্জাম, বইঠা, ফাইভ ও লাঠি উদ্ধার ভালুকায় ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচী পালন কুমিল্লায় ছুরিকাঘাতে একজন নিহত

ছাতকে ১৩ হাজার গ্রাহক ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক কর্তৃক হয়রানির স্বীকার 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৫৩:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪
  • ১৫৭৫ বার পড়া হয়েছে

ছাতকে ১৩ হাজার গ্রাহক ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক কর্তৃক হয়রানির স্বীকার 

 

সুদীপ দাশ, ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতি‌নি‌ধি:

 

সুনামগঞ্জের ছাত‌কে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক গো‌বিন্দগঞ্জ শাখা থেকে টাকা না পেয়ে খালি হাতে ফিরছেন গ্রাহকরা। প্রতিদিন ব্যাংকে গিয়েও টাকা তুলতে পারছেন না। ব্যাংক থেকে প্রতিদিনে গ্রাহকদের ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা দিলেও বেশির ভাগ গ্রাহকরা ফিরছেন খা‌লি হাতে। জমাকৃত টাকা তুলতে না পেরে হয়রানির শিকার হচ্ছেন শাখার প্রায় ১৩ হাজার গ্রাহক।

 

সোমবার দুপুরে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক গো‌বিন্দগঞ্জ শাখায় ‌গিয়ে দেখা গেছে, গ্রাহকরা টাকা উত্তোলন করতে এসে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন। এ ব্যাংকের দিনে ১৮০ থেকে ১৯০ গ্রাহক জড়ো হন টাকা উত্তোলনের জন্য। কিন্তু এ শাখাতে তারল্য সংকট থাকায় এবং গ্রাহকরা নতুন করে টাকা জমা না দেওয়ায় নগদ টাকার সংকট কাটছে না।

 

জানা গেছে, ব্যাংকে ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) ও রিয়েল-টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (আরটিজিএস) বন্ধ থাকার পাশাপাশি মোবাইল ব্যাংকিং ও এটিএম বুথেও টাকা দেওয়া বন্ধ থাকার কারণে গ্রাহক ভোগান্তি চরমে পৌছেছে।

 

ব্যাংকের গ্রাহক ছা‌বিনা খানম ব‌লেন, ব্যাংকে ৪ লাখ টাকা জমা রে‌খে‌ছি। তারা আমাকে মাত্র ৫ হাজার দেয়। গত দুই সপ্তাহ টাকা তুলতে পারিনি। ব্যাংকের অফিসাররা বলছেন তাদের কাছে টাকা নেই। আরেক গ্রাহক রুকসনা জানান, বাচ্চার অসুখ নিয়ে ব্যাংকে এসেছি টাকা তুলতে। ব্যাংক কোনও টাকা দিচ্ছে না। ওষুধ কিনবো কেমনে? তাদের মার‌পিট কর‌লেও টাকা বের হবে না।

 

গ্রাহকরা চেকে স্বাক্ষর করে টাকার অঙ্ক না লিখে তা ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কাছে জমা রেখে যাচ্ছেন। যেন ব্যাংকে টাকা জমা হলে সামান্য কিছু হলেও পান। শত শত গ্রাহক জড়ো হয়ে আছেন ব্যাংকটির ক্যাশ কাউন্টার ও ব্যবস্থাপক কক্ষের সামনে। কিন্তু গ্রাহকরা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও টাকা পাচ্ছেন না।  

 

ব্যাংকের জু‌নিয়র ক্যাশ অ‌ফিসার ও ক্যাশ ইনচার্জ  শাহজাহান বলেন, ব্যাংকে গ্রাহক টাকা জমা দিচ্ছেন না। সবাই শুধু নিতে আসেন। প্রতিদিন গ্রাহকের টাকা জমা প্রদান সাপেক্ষে পাঁচ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা করে দেয়া হচ্ছে।

 

এ ব্যাপারে ব্যাংক ব্যবস্থাপক না‌সিম আহমদ চৌধুরী টাকা সংকটের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রতি‌দিন গ্রাহকদের ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা করে দেয়া হচ্ছে। একসঙ্গে সব গ্রাহকরা টাকা তুলতে আসছে। কিন্তু নতুন করে গ্রাহকরা টাকা জমা না দেওয়ায় এ সংক‌ট দেখা দিয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাতকে ১৩ হাজার গ্রাহক ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক কর্তৃক হয়রানির স্বীকার 

ছাতকে ১৩ হাজার গ্রাহক ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক কর্তৃক হয়রানির স্বীকার 

আপডেট সময় ১১:৫৩:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

 

সুদীপ দাশ, ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতি‌নি‌ধি:

 

সুনামগঞ্জের ছাত‌কে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক গো‌বিন্দগঞ্জ শাখা থেকে টাকা না পেয়ে খালি হাতে ফিরছেন গ্রাহকরা। প্রতিদিন ব্যাংকে গিয়েও টাকা তুলতে পারছেন না। ব্যাংক থেকে প্রতিদিনে গ্রাহকদের ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা দিলেও বেশির ভাগ গ্রাহকরা ফিরছেন খা‌লি হাতে। জমাকৃত টাকা তুলতে না পেরে হয়রানির শিকার হচ্ছেন শাখার প্রায় ১৩ হাজার গ্রাহক।

 

সোমবার দুপুরে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক গো‌বিন্দগঞ্জ শাখায় ‌গিয়ে দেখা গেছে, গ্রাহকরা টাকা উত্তোলন করতে এসে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন। এ ব্যাংকের দিনে ১৮০ থেকে ১৯০ গ্রাহক জড়ো হন টাকা উত্তোলনের জন্য। কিন্তু এ শাখাতে তারল্য সংকট থাকায় এবং গ্রাহকরা নতুন করে টাকা জমা না দেওয়ায় নগদ টাকার সংকট কাটছে না।

 

জানা গেছে, ব্যাংকে ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) ও রিয়েল-টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (আরটিজিএস) বন্ধ থাকার পাশাপাশি মোবাইল ব্যাংকিং ও এটিএম বুথেও টাকা দেওয়া বন্ধ থাকার কারণে গ্রাহক ভোগান্তি চরমে পৌছেছে।

 

ব্যাংকের গ্রাহক ছা‌বিনা খানম ব‌লেন, ব্যাংকে ৪ লাখ টাকা জমা রে‌খে‌ছি। তারা আমাকে মাত্র ৫ হাজার দেয়। গত দুই সপ্তাহ টাকা তুলতে পারিনি। ব্যাংকের অফিসাররা বলছেন তাদের কাছে টাকা নেই। আরেক গ্রাহক রুকসনা জানান, বাচ্চার অসুখ নিয়ে ব্যাংকে এসেছি টাকা তুলতে। ব্যাংক কোনও টাকা দিচ্ছে না। ওষুধ কিনবো কেমনে? তাদের মার‌পিট কর‌লেও টাকা বের হবে না।

 

গ্রাহকরা চেকে স্বাক্ষর করে টাকার অঙ্ক না লিখে তা ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কাছে জমা রেখে যাচ্ছেন। যেন ব্যাংকে টাকা জমা হলে সামান্য কিছু হলেও পান। শত শত গ্রাহক জড়ো হয়ে আছেন ব্যাংকটির ক্যাশ কাউন্টার ও ব্যবস্থাপক কক্ষের সামনে। কিন্তু গ্রাহকরা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও টাকা পাচ্ছেন না।  

 

ব্যাংকের জু‌নিয়র ক্যাশ অ‌ফিসার ও ক্যাশ ইনচার্জ  শাহজাহান বলেন, ব্যাংকে গ্রাহক টাকা জমা দিচ্ছেন না। সবাই শুধু নিতে আসেন। প্রতিদিন গ্রাহকের টাকা জমা প্রদান সাপেক্ষে পাঁচ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা করে দেয়া হচ্ছে।

 

এ ব্যাপারে ব্যাংক ব্যবস্থাপক না‌সিম আহমদ চৌধুরী টাকা সংকটের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রতি‌দিন গ্রাহকদের ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা করে দেয়া হচ্ছে। একসঙ্গে সব গ্রাহকরা টাকা তুলতে আসছে। কিন্তু নতুন করে গ্রাহকরা টাকা জমা না দেওয়ায় এ সংক‌ট দেখা দিয়েছে।