বাংলাদেশ ০৪:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
প্রসূতি মায়ের ইনজেকশন নবজাতকের শরীরে পুশ! সেই নবজাতক আইসিইউতে। ইট ভাটার মালিক ভূমিদস্যু হারুন হাওলাদার ও নাসির হাওলাদার এর বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর কঠোর অবস্থান। কবির হোসেন কে বহিষ্কারের দাবিতে ধনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল কবিরাজের এক কলা ২০০ টাকা, লালপুরে কলাচিকিৎসা বন্ধ করলেন ইউএনও যুবকরা এদেশের পরিবর্তনের মূল কারিগর- ইউএনও শাকিল আহমেদ ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া কোনভাবেই বৈষম্য দূর করা সম্ভব নয়- এ্যাড. মশিহুল আলম অভিনব কায়দায় ভূট্টার আড়ালে পাচারকালে বিপুল পরিমান ফেন্সিডিলসহ ০২ জন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। নাইক্ষ‍্যংছড়িতে নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ ও শুভেচ্ছা বিনিময় উপজেলা জামায়তে ইসলামী নেতৃবৃন্দ বুড়িচংয়ে জাতীয় যুব দিবসে আলোচন, প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের মাঝে সনদপত্র ও ঋণের চেক বিতরণ আশুগঞ্জের রেলগেইটের রবিদাস পাড়ায় তিন দিনব্যাপী শ্রী শ্রী শ্যামাপূজা অনুষ্ঠিত লামা উপজেলায় জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বর্ণাট্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত। হোসেনপুরে আগুনে পুড়লো ৮ দোকান নাটোরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অনুমতি ছাড়াই ৫০টিরও বেশি গাছের ডালপালা কাটার অভিযোগ স্বপ্নবাজ শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এইচএফ হাসিঘর ফাউন্ডেশন তানোরে বিএনপিতে ওক্কের হাওয়া স্বস্তি পেল কর্মীরা

স্বপ্নবাজ শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এইচএফ হাসিঘর ফাউন্ডেশন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:০৭:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪
  • ১৫৮৮ বার পড়া হয়েছে

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক 

মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার। ডাকনাম ইয়াসিন হলেও বন্ধুদের মাঝে সিকদার নামে বেশি পরিচিত। রামু ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ থেকে ২০২৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে বর্তমানে ইংরেজি বিভাগে অধ্যয়নরত আছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত, সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ চট্টগ্রামে। কক্সবাজার জেলায় উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের সিকদার পাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করে। বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার ও মা শিক্ষিকা। শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী কাজে উদ্বুদ্ধ করতে ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে মাধ্যমিকের গন্ডি পেরোনোর আগেই নবম শ্রেণিতে থাকাকালীন তার বন্ধুদের নিয়ে গড়ে তুলে হাসিঘর ফাউন্ডেশন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তিনি হাসিঘর ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমানে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

“হাসিঘর ফাউন্ডেশন” হলো শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। যেখানে নেতৃত্ব স্থান থেকে শুরু করে সকল সদস্য স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বর্তমান শিক্ষার্থী এবং সংগঠনে যুক্ত থাকা শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তার মাধ্যমেই হাসিঘর ফাউন্ডেশন এর সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।

অসহায়ের মুখে হাসি ফুটাবো, স্লোগানকে বুকে ধারণ করে সমাজের অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত, গরীব ও ভবঘুরে মানুষের জন্য কাজ করার স্বপ্ন নিয়ে কক্সবাজারের প্রত্যন্ত অঞ্চল উখিয়ায় ০৩-০৭-২০২১ সালে প্রতিষ্ঠালাভ করার পর থেকে উখিয়ার সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে হাসিঘর ফাউন্ডেশন।

উক্ত সংগঠনের মূল লক্ষ্যই হলো অসহায় মানুষের জন্য কাজ করা। অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে মানবিক সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সংগঠন টি। এই সংগঠন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ দ্বারা পরিচালিত হয়ে, বর্তমানে একটি উপজেলা শাখা (উখিয়া) সহ বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে শাখা রয়েছে। যাতে করে শিক্ষার্থীরা সামাজিক, মানবিক ও স্বেচ্ছাসেবী কাজে এগিয়ে আসে। এই সংগঠনের সামাজিক মানবিক কাজের তালিকায় রয়েছে,গরীব রোগীদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান।

করোনাকালে হাসিঘর ফাউন্ডেশন এর কার্যক্রম চোখে পড়ার মত ছিল, উপজেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাস্ক এবং করোনা সচেতনতা লিফলেট বিতরণ, স্যানিটাইজারিং করা এবং করোনা টিকাদান কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা মানুষের মাঝে স্যানিটাইজার করা ও তাদের মাস্ক ও লিফলেট বিতরণ, বাজারে ও মহল্লার মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে মাস্ক ও লিফলেট বিতরণ ও করোনায় ঘরবন্দী মানুষদের খাদ্য সহায়তা প্রদান ইত্যাদি এবং শীতের মৌসুমে প্রতিবছর শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি চালানো হয়। প্রতি বছর শীতমৌসুমে  ৫-৬ শতাধিক অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিতদের শীতবস্ত্র বিতরন করা হয় এবং ঈদের সময় মহল্লার অসহায়, এতিম ও হেফজখানার শিশুদের ঈদবস্ত্র ও ঈদসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

তাছাড়াও রমজানে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। তার সাথে রয়েছে বৃক্ষরোপন। মেধাবী সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের চেয়ার, টেবিল, বই, খাতা থেকে শুরু করে সমস্ত শিক্ষাসামগ্রী প্রদান করা হয়।

তাছাড়াও নিয়মিত কার্যক্রম হিসেবে মূমুর্ষ রোগীর রক্তের প্রয়োজনে সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবী দ্বারা রক্ত দান ও সংগঠনের ব্লাড সেলের সহায়তায় রক্তের ডোনার খুঁজে দেয়া হয়।

হাসিঘর ফাউন্ডেশন যেকোনো প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দূর্যোগে ভূমিকা রেখে আসছে, ঘূর্ণিঝড় মোখায় উখিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলসমূহে হাসিঘর ফাউন্ডেশন এর স্বেচ্ছাসেবীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ১০ নং মহাবিপদ সংকেতে মাইকিং করে এবং গাড়িতে করে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেই সাথে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন মানবসৃষ্ট দুর্যোগে হাসিঘর ফাউন্ডেশন এর স্বেচ্ছাসেবীরা সার্বিক সহযোগিতা করে থাকে। তরুণ সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। শিশুদের মসজিদ ও নামাজমূখি করতে নেয়া হয় ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ, যে সমস্ত শিশুরা নিয়মিত মসজিদে এসে জামায়াতের সাথে নামাজ আদায় করে তাদের মেডেল ও পুরস্কার সামগ্রী দেয়া হয়। তাছাড়াও ইতিমধ্যে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে হাসিঘর ফাউন্ডেশন আয়োজন করতে যাচ্ছে, বাংলাদেশ ভলান্টিয়ার অলিম্পিয়াড।যার মূলমন্ত্র হলো ইন্সপিরিং ভলান্টিয়ারিজম এন্ড লিডারশীপ।

হাসিঘর ফাউন্ডেশন মনে করে,এতে করে শিক্ষার্থীরা ভলান্টিয়ারিং এ উৎসাহী হবে এবং ভলান্টিয়ারিং সম্পর্কে আরো বিশেষ ভাবে অবগত হবে। বাংলাদেশ ভলান্টিয়ার অলিম্পিয়াড ২০২৪ আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রতিবছর আয়োজন করার চিন্তা করছে হাসিঘর ফাউন্ডেশন।

সংগঠনের সদস্য পি এম মোবারক, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কাজ করে আসছে হাসিঘর ফাউন্ডেশন এর সাথে তিনি উখিয়া শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য।

তিনি বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে মূলত হাসিঘর ফাউন্ডেশন এর সাথে কাজ করা। হাসিঘর ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সামাজিক ও মানবিক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে এবং হাসিঘর ফাউন্ডেশন এর সাথে কাজ করতে গিয়ে আমরা আনন্দ পায় এবং আনন্দের অন্যতম উৎস হলো আমরা নিজেদের অর্থায়নে সমাজের নিম্নশ্রেণীর সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য কাজ করে আসছি।আমাদের কাজের তালিকায় আমরা বেশিরভাগই এতিম, হেফজ শিক্ষার্থী ও হতদরিদ্র পরিবারের জন্য কাজ করেছি। ভবিষ্যতেও সম্মিলিতভাবে হাতে হাত রেখে দেশ ও দশের জন্য কাজ করে যাবো এবং কাজের পরিধি বৃদ্ধি করবো। কাজের ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করবো।

হাসিঘর ফাউন্ডেশন এর সম্পর্কে বলতে গিয়ে আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সংগঠনের ইন্সটিটিউশনাল অ্যাফেয়ার্স উইং অর্থাৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিষয়ক শাখার কো-অর্ডিনেটর ওয়াফি আলম ফাতেমা জানায়, হাসিঘর ফাউন্ডেশন সবসময় অসহায় সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও তাদের নিয়ে কাজ করে যাবে। আমাদের মূলমন্ত্র অসহায়ের মুখে হাসি ফুটাবো। তার পাশাপাশি আমারা আরো একটি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। তা হলো স্কুল,কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ার মানসিকতা তৈরি করা ও স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক কাজে উৎসাহী করা। আমরা ইতিমধ্যে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করছি। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমাদের শাখা রয়েছে। তাদেরকে আমরা স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত করছি এবং স্বেচ্ছায় সামাজিক কাজ করার মানসিকতা তৈরি করাচ্ছি। তারা স্বানন্দে গ্রহণ করছে এবং তৃপ্তির সাথে স্বেচ্ছাসেবী, সামাজিক ও মানবিক কাজ করছে।

আমাদের স্বপ্ন আমরা কক্সবাজারের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করে সামাজিক, মানবিক ও স্বেচ্ছাসেবী কাজে উদ্বুদ্ধ করা ও যুক্ত করার মাধ্যমে সবাইকে নিয়ে সোনার বাংলা বিনির্মানে কক্সবাজার ছাড়িয়ে ভবিষ্যতে সারাদেশের শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক কাজে অবদান রাখার মানসিকতা তৈরি করবো এবং তাদের সাথে নিয়ে কাজ করবো।

প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী কাজে উৎসাহী করা আমাদের অন্যতম একটি লক্ষ্য। ছোট থেকেই অসহায়, দু:স্থ, পথশিশু ও রাস্তার ভবঘুরে মানুষ দেখলেই তাদের জন্য মায়া কাজ করতো এবং তাদের নিজের সাধ্য মতো সবসময় সাহায্য করে গিয়েছি এবং করোনার শুরু থেকেই বন্ধু ও সমবয়সীদের নিয়ে গরীব ঘরবন্দী পরিবারে খাবার পৌঁছনো থেকে শুরু করে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে মাস্ক ও লিফলেট ও স্যানিটাইজার বিতরণ করা ইত্যাদি কাজ করেছি।এবং মানুষের জন্য কাজ করতে পেরে নিজের অনেক ভালো লাগতো,মানুষের অনেক দোয়া ও ভালবাসা পেয়েছি। যা আমাকে অনেক মুগ্ধ করেছে। মূলত মানুষের এই ভালবাসা পাওয়ার জায়গা থেকে ও সাংগঠনিক রূপ নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী কাজ চালিয়ে নিয়ে যেতে এবং স্বেচ্ছাসেবী কাজে গতি বাড়াতে ২০২১ সালের জুলাই মাসের ০৭ তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে অসহায়ের মুখে হাসি ফুটাবো মূলনীতি নিয়ে প্রতিষ্ঠা করি হাসিঘর ফাউন্ডেশন নামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

উক্ত সংগঠন এখন শিক্ষার্থীদের নিয়ে দেশ ও জাতির স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে এবং আমাদের এই সংগঠনের আকর্ষণীয় বিষয় হলো এই সংগঠনের নেতৃত্ব স্থান থেকে শুরু করে সকল সদস্য স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী। আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী কাজ করে যেতে চাই।শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী কাজে উৎসাহী করা আমাদের অন্যতম একটি লক্ষ্য।

হাসিঘর ফাউন্ডেশন সামাজিক, মানবিক কাজ করার পাশাপাশি তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখা ও ভলান্টিয়ারিং এ উৎসাহী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।এই দীর্ঘ পথচলায় আমাদের অনেক সফলতার গল্প রয়েছে।

তারমধ্যে অন্যতম হলো ২০২২ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলকে সামনে রেখে আমরা আয়োজন করেছিলাম বিশ্বসেরা ফুটবল তারকা লিওনেল মেসির, বিশ্বের সবচেয়ে বড় হাতে আঁকা ছবি। ৩৪ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২২ ফুট প্রস্থের কাপড়ের উপর এক্রেলিক রং ব্যবহার করে ফুটিয়ে তুলা হয়েছিল মেসির এই প্রতিকৃতি। যা প্রদর্শনী হয়েছিল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে। সৈকতে প্রদর্শনীর মূল লক্ষ্য ছিল প্রচারের মাধ্যমে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে বিশ্বব্যাপী আরো বেশি জনপ্রিয় ও পরিচিত করে তুলা এবং বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ সৃষ্টি করা। তরুণদের ক্রীড়ামূখী করা, ক্রীড়ায় উৎসাহী করার জন্যই মূলত ছবি আঁকার এই উদ্যোগ। ছবি আঁকার জন্য মেসিকে সিলেক্ট করার কারন হলো, বাংলাদেশে মেসির বিশাল ফ্যানব্যাজ রয়েছে এবং ধারণা করা হয়েছিল ২০২২ বিশ্বকাপ ছিল মেসির শেষ বিশ্বকাপ।এবং সবার মতামতের ভিত্তিতে প্রতিকৃতি আঁকার জন্য মেসিকে সিলেক্ট করা হয়।

দেশের সকল গণমাধ্যমে একযুগে প্রকাশের পর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্রদর্শিত হওয়া হাতে আঁকা মেসির এই পট্রেইট করার খবর দেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে পড়ে।অনেক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও বাংলাদেশে আঁকা সবচেয়ে বড় মেসির এই প্রতিকৃতির সংবাদ প্রকাশ করে এবং একটি ইতিবাচক আলোড়ন সৃষ্টিতে সক্ষম হই। এতে ভূমিকা রাখে দেশের সকল নিউজ পোর্টাল,ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়া।

সংগঠনের সকল সদস্যের নিস্বার্থ পরিশ্রমের মাধ্যমে সংগঠনটি ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে সংগঠনের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কাজ করে যাচ্ছে, পি এম মোবারক, সাইফুল শিহাব, নাজমুল হাসান, রিফাত, মেহেদী সহ অন্যান্যরা। হাসিঘর ফাউন্ডেশন তরুণদেরকে নিয়ে এভাবেই দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে যাবে।

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রসূতি মায়ের ইনজেকশন নবজাতকের শরীরে পুশ! সেই নবজাতক আইসিইউতে।

স্বপ্নবাজ শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এইচএফ হাসিঘর ফাউন্ডেশন

আপডেট সময় ০৯:০৭:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক 

মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার। ডাকনাম ইয়াসিন হলেও বন্ধুদের মাঝে সিকদার নামে বেশি পরিচিত। রামু ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ থেকে ২০২৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে বর্তমানে ইংরেজি বিভাগে অধ্যয়নরত আছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত, সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ চট্টগ্রামে। কক্সবাজার জেলায় উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের সিকদার পাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করে। বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার ও মা শিক্ষিকা। শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী কাজে উদ্বুদ্ধ করতে ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে মাধ্যমিকের গন্ডি পেরোনোর আগেই নবম শ্রেণিতে থাকাকালীন তার বন্ধুদের নিয়ে গড়ে তুলে হাসিঘর ফাউন্ডেশন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তিনি হাসিঘর ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমানে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

“হাসিঘর ফাউন্ডেশন” হলো শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। যেখানে নেতৃত্ব স্থান থেকে শুরু করে সকল সদস্য স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বর্তমান শিক্ষার্থী এবং সংগঠনে যুক্ত থাকা শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তার মাধ্যমেই হাসিঘর ফাউন্ডেশন এর সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।

অসহায়ের মুখে হাসি ফুটাবো, স্লোগানকে বুকে ধারণ করে সমাজের অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত, গরীব ও ভবঘুরে মানুষের জন্য কাজ করার স্বপ্ন নিয়ে কক্সবাজারের প্রত্যন্ত অঞ্চল উখিয়ায় ০৩-০৭-২০২১ সালে প্রতিষ্ঠালাভ করার পর থেকে উখিয়ার সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে হাসিঘর ফাউন্ডেশন।

উক্ত সংগঠনের মূল লক্ষ্যই হলো অসহায় মানুষের জন্য কাজ করা। অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে মানবিক সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সংগঠন টি। এই সংগঠন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ দ্বারা পরিচালিত হয়ে, বর্তমানে একটি উপজেলা শাখা (উখিয়া) সহ বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে শাখা রয়েছে। যাতে করে শিক্ষার্থীরা সামাজিক, মানবিক ও স্বেচ্ছাসেবী কাজে এগিয়ে আসে। এই সংগঠনের সামাজিক মানবিক কাজের তালিকায় রয়েছে,গরীব রোগীদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান।

করোনাকালে হাসিঘর ফাউন্ডেশন এর কার্যক্রম চোখে পড়ার মত ছিল, উপজেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাস্ক এবং করোনা সচেতনতা লিফলেট বিতরণ, স্যানিটাইজারিং করা এবং করোনা টিকাদান কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা মানুষের মাঝে স্যানিটাইজার করা ও তাদের মাস্ক ও লিফলেট বিতরণ, বাজারে ও মহল্লার মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে মাস্ক ও লিফলেট বিতরণ ও করোনায় ঘরবন্দী মানুষদের খাদ্য সহায়তা প্রদান ইত্যাদি এবং শীতের মৌসুমে প্রতিবছর শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি চালানো হয়। প্রতি বছর শীতমৌসুমে  ৫-৬ শতাধিক অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিতদের শীতবস্ত্র বিতরন করা হয় এবং ঈদের সময় মহল্লার অসহায়, এতিম ও হেফজখানার শিশুদের ঈদবস্ত্র ও ঈদসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

তাছাড়াও রমজানে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। তার সাথে রয়েছে বৃক্ষরোপন। মেধাবী সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের চেয়ার, টেবিল, বই, খাতা থেকে শুরু করে সমস্ত শিক্ষাসামগ্রী প্রদান করা হয়।

তাছাড়াও নিয়মিত কার্যক্রম হিসেবে মূমুর্ষ রোগীর রক্তের প্রয়োজনে সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবী দ্বারা রক্ত দান ও সংগঠনের ব্লাড সেলের সহায়তায় রক্তের ডোনার খুঁজে দেয়া হয়।

হাসিঘর ফাউন্ডেশন যেকোনো প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দূর্যোগে ভূমিকা রেখে আসছে, ঘূর্ণিঝড় মোখায় উখিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলসমূহে হাসিঘর ফাউন্ডেশন এর স্বেচ্ছাসেবীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ১০ নং মহাবিপদ সংকেতে মাইকিং করে এবং গাড়িতে করে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেই সাথে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন মানবসৃষ্ট দুর্যোগে হাসিঘর ফাউন্ডেশন এর স্বেচ্ছাসেবীরা সার্বিক সহযোগিতা করে থাকে। তরুণ সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। শিশুদের মসজিদ ও নামাজমূখি করতে নেয়া হয় ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ, যে সমস্ত শিশুরা নিয়মিত মসজিদে এসে জামায়াতের সাথে নামাজ আদায় করে তাদের মেডেল ও পুরস্কার সামগ্রী দেয়া হয়। তাছাড়াও ইতিমধ্যে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে হাসিঘর ফাউন্ডেশন আয়োজন করতে যাচ্ছে, বাংলাদেশ ভলান্টিয়ার অলিম্পিয়াড।যার মূলমন্ত্র হলো ইন্সপিরিং ভলান্টিয়ারিজম এন্ড লিডারশীপ।

হাসিঘর ফাউন্ডেশন মনে করে,এতে করে শিক্ষার্থীরা ভলান্টিয়ারিং এ উৎসাহী হবে এবং ভলান্টিয়ারিং সম্পর্কে আরো বিশেষ ভাবে অবগত হবে। বাংলাদেশ ভলান্টিয়ার অলিম্পিয়াড ২০২৪ আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রতিবছর আয়োজন করার চিন্তা করছে হাসিঘর ফাউন্ডেশন।

সংগঠনের সদস্য পি এম মোবারক, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কাজ করে আসছে হাসিঘর ফাউন্ডেশন এর সাথে তিনি উখিয়া শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য।

তিনি বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে মূলত হাসিঘর ফাউন্ডেশন এর সাথে কাজ করা। হাসিঘর ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সামাজিক ও মানবিক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে এবং হাসিঘর ফাউন্ডেশন এর সাথে কাজ করতে গিয়ে আমরা আনন্দ পায় এবং আনন্দের অন্যতম উৎস হলো আমরা নিজেদের অর্থায়নে সমাজের নিম্নশ্রেণীর সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য কাজ করে আসছি।আমাদের কাজের তালিকায় আমরা বেশিরভাগই এতিম, হেফজ শিক্ষার্থী ও হতদরিদ্র পরিবারের জন্য কাজ করেছি। ভবিষ্যতেও সম্মিলিতভাবে হাতে হাত রেখে দেশ ও দশের জন্য কাজ করে যাবো এবং কাজের পরিধি বৃদ্ধি করবো। কাজের ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করবো।

হাসিঘর ফাউন্ডেশন এর সম্পর্কে বলতে গিয়ে আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সংগঠনের ইন্সটিটিউশনাল অ্যাফেয়ার্স উইং অর্থাৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিষয়ক শাখার কো-অর্ডিনেটর ওয়াফি আলম ফাতেমা জানায়, হাসিঘর ফাউন্ডেশন সবসময় অসহায় সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও তাদের নিয়ে কাজ করে যাবে। আমাদের মূলমন্ত্র অসহায়ের মুখে হাসি ফুটাবো। তার পাশাপাশি আমারা আরো একটি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। তা হলো স্কুল,কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ার মানসিকতা তৈরি করা ও স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক কাজে উৎসাহী করা। আমরা ইতিমধ্যে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করছি। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমাদের শাখা রয়েছে। তাদেরকে আমরা স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত করছি এবং স্বেচ্ছায় সামাজিক কাজ করার মানসিকতা তৈরি করাচ্ছি। তারা স্বানন্দে গ্রহণ করছে এবং তৃপ্তির সাথে স্বেচ্ছাসেবী, সামাজিক ও মানবিক কাজ করছে।

আমাদের স্বপ্ন আমরা কক্সবাজারের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করে সামাজিক, মানবিক ও স্বেচ্ছাসেবী কাজে উদ্বুদ্ধ করা ও যুক্ত করার মাধ্যমে সবাইকে নিয়ে সোনার বাংলা বিনির্মানে কক্সবাজার ছাড়িয়ে ভবিষ্যতে সারাদেশের শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক কাজে অবদান রাখার মানসিকতা তৈরি করবো এবং তাদের সাথে নিয়ে কাজ করবো।

প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী কাজে উৎসাহী করা আমাদের অন্যতম একটি লক্ষ্য। ছোট থেকেই অসহায়, দু:স্থ, পথশিশু ও রাস্তার ভবঘুরে মানুষ দেখলেই তাদের জন্য মায়া কাজ করতো এবং তাদের নিজের সাধ্য মতো সবসময় সাহায্য করে গিয়েছি এবং করোনার শুরু থেকেই বন্ধু ও সমবয়সীদের নিয়ে গরীব ঘরবন্দী পরিবারে খাবার পৌঁছনো থেকে শুরু করে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে মাস্ক ও লিফলেট ও স্যানিটাইজার বিতরণ করা ইত্যাদি কাজ করেছি।এবং মানুষের জন্য কাজ করতে পেরে নিজের অনেক ভালো লাগতো,মানুষের অনেক দোয়া ও ভালবাসা পেয়েছি। যা আমাকে অনেক মুগ্ধ করেছে। মূলত মানুষের এই ভালবাসা পাওয়ার জায়গা থেকে ও সাংগঠনিক রূপ নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী কাজ চালিয়ে নিয়ে যেতে এবং স্বেচ্ছাসেবী কাজে গতি বাড়াতে ২০২১ সালের জুলাই মাসের ০৭ তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে অসহায়ের মুখে হাসি ফুটাবো মূলনীতি নিয়ে প্রতিষ্ঠা করি হাসিঘর ফাউন্ডেশন নামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

উক্ত সংগঠন এখন শিক্ষার্থীদের নিয়ে দেশ ও জাতির স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে এবং আমাদের এই সংগঠনের আকর্ষণীয় বিষয় হলো এই সংগঠনের নেতৃত্ব স্থান থেকে শুরু করে সকল সদস্য স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী। আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী কাজ করে যেতে চাই।শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী কাজে উৎসাহী করা আমাদের অন্যতম একটি লক্ষ্য।

হাসিঘর ফাউন্ডেশন সামাজিক, মানবিক কাজ করার পাশাপাশি তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখা ও ভলান্টিয়ারিং এ উৎসাহী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।এই দীর্ঘ পথচলায় আমাদের অনেক সফলতার গল্প রয়েছে।

তারমধ্যে অন্যতম হলো ২০২২ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলকে সামনে রেখে আমরা আয়োজন করেছিলাম বিশ্বসেরা ফুটবল তারকা লিওনেল মেসির, বিশ্বের সবচেয়ে বড় হাতে আঁকা ছবি। ৩৪ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২২ ফুট প্রস্থের কাপড়ের উপর এক্রেলিক রং ব্যবহার করে ফুটিয়ে তুলা হয়েছিল মেসির এই প্রতিকৃতি। যা প্রদর্শনী হয়েছিল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে। সৈকতে প্রদর্শনীর মূল লক্ষ্য ছিল প্রচারের মাধ্যমে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে বিশ্বব্যাপী আরো বেশি জনপ্রিয় ও পরিচিত করে তুলা এবং বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ সৃষ্টি করা। তরুণদের ক্রীড়ামূখী করা, ক্রীড়ায় উৎসাহী করার জন্যই মূলত ছবি আঁকার এই উদ্যোগ। ছবি আঁকার জন্য মেসিকে সিলেক্ট করার কারন হলো, বাংলাদেশে মেসির বিশাল ফ্যানব্যাজ রয়েছে এবং ধারণা করা হয়েছিল ২০২২ বিশ্বকাপ ছিল মেসির শেষ বিশ্বকাপ।এবং সবার মতামতের ভিত্তিতে প্রতিকৃতি আঁকার জন্য মেসিকে সিলেক্ট করা হয়।

দেশের সকল গণমাধ্যমে একযুগে প্রকাশের পর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্রদর্শিত হওয়া হাতে আঁকা মেসির এই পট্রেইট করার খবর দেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে পড়ে।অনেক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও বাংলাদেশে আঁকা সবচেয়ে বড় মেসির এই প্রতিকৃতির সংবাদ প্রকাশ করে এবং একটি ইতিবাচক আলোড়ন সৃষ্টিতে সক্ষম হই। এতে ভূমিকা রাখে দেশের সকল নিউজ পোর্টাল,ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়া।

সংগঠনের সকল সদস্যের নিস্বার্থ পরিশ্রমের মাধ্যমে সংগঠনটি ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে সংগঠনের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কাজ করে যাচ্ছে, পি এম মোবারক, সাইফুল শিহাব, নাজমুল হাসান, রিফাত, মেহেদী সহ অন্যান্যরা। হাসিঘর ফাউন্ডেশন তরুণদেরকে নিয়ে এভাবেই দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে যাবে।