বাংলাদেশ ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ছাতকে ১৩ হাজার গ্রাহক ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক কর্তৃক হয়রানির স্বীকার  সিলেট সি‌টির প্রশাসকের সা‌থে সি‌লেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ড‌শিপ ফাউ‌ন্ডেশন স্বাক্ষাত বি‌নিময় নিমসার বাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ক্ষতির মুখে শত শত ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ী রাজশাহী মহানগরীতে বিস্ফোরক মামলার ৭জন আসামি গ্রেপ্তার ভান্ডারিয়া পৌর কৃষক দলের কমিটি গঠন ত্রিশালে অনুমোদনহীন কসমেটিকসকে ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা নাইক্ষ্যংছড়িতে পুলিশের অভিযানে আওয়ামীলীগের ৩ নেতা আটক জামালপুর জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ট্রাফিক সপ্তাহ-২০২৪ পালিত নওগাঁর সার্বিক আইন শৃঙ্খলা নিয়ে জেলা প্রশাসকের প্রেস ব্রিফিং। ব্রাহ্মণপাড়ায় অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সেবা পরিদর্শন পীরগঞ্জে রায়পুর ইউনিয়ন বিএনপি’র কর্মীসভা মায়ের স্বপ্ন পূরণে ১২ বছর পর হেলিকপ্টারে বাড়ী আসলেন মাজহারুল। ভোলায় আ.লীগ নেতার অফিস থেকে বোমা তৈরির সরঞ্জাম, বইঠা, ফাইভ ও লাঠি উদ্ধার ভালুকায় ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচী পালন কুমিল্লায় ছুরিকাঘাতে একজন নিহত

ভোলায় নদীতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরতে নিষেধ করায় হামলার শিকার স্থানীয়রা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪
  • ১৫৮৭ বার পড়া হয়েছে

ভোলায় নদীতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরতে নিষেধ করায় হামলার শিকার স্থানীয়রা

 

আশিকুর রহমান শান্ত
ভোলা প্রতিনিধি

ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বাগারহাট মুন্সিরচরের খেয়া ঘাট নামক স্থানে আলমগীর পাটোয়ারির ছেলে পারভেজ ও তার ভাই ইব্রাহিম মিলে নিয়মিত জাঙ্গালিয়া নদীর বিভিন্ন স্থানে বিষাক্ত কীটনাশক (বিষ) ব্যবহার করে মাছ ধরার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এলাকার সচেতন জনগণ পারভেজ ও ইব্রাহিমকে মাছ ধরতে নিষেধ করায় তারা এলাকাবাসীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন। তাই তারা পরিকল্পিত ভাবে গত তিন নভেম্বর রাত্র ৯.৩০মিনিটে সিরাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির উপর অতর্কিত হামলা করেন। হামলায় সে গুরুতর আহত হন।

আহত সিরাজুল ইসলাম বলেন, এই নদীতে ছোট ছোট জেলেরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। এছাড়াও এই নদীর পানি ব্যবহার করে এই এলাকার প্রায় ৬-৭ হাজার পরিবার রান্নাবান্না খাবারদাবার গোসল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল কাজে ব্যবহার করে। পারভেজ বেশ কিছুদিন ধরে এই নদীতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরেন। তার এই বিষ প্রয়োগের ফলে নদীর ছোট ছোট পোকামাকড় থেকে শুরু করে সকল ধরনের মাছ মরে যায়। এছাড়া ওই বিষ প্রয়োগের ফলে এই পানি ব্যবহার করে এলাকার সাধারণ মানুষ নানা ধরনের সমস্যায় পড়ছে। ইতিমধ্যে এলাকার বেশ কিছু হাঁস মারা গিয়েছে। এই বিষয় নিয়ে আমরা এলাকাবাসী তাদেরকে বিষ প্রয়োগ করতে নিষেধ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে রাতের আঁধারে আমার উপর হামলা করে আমি এর সঠিক বিচার চাই।

এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মাহমুদুল হাসান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নদী বা জলাশয়ে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরা মৎস্য আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ যদি বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরার সময় উপযুক্ত প্রমাণসহ তাকে আটক করতে পারে, তখন যদি আমাদের কে খবর দেওয়া হয় তৎক্ষণিক মৎস্য আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে আইনানুপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অভিযোগের বিষয়ে ইব্রাহিম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কিছু করিনি, আমার ভাই পারভেজ বিষ দিয়ে মাছ ধরছে। পারভেজ এই এলাকায় ও মুঠোফোনে না পাওয়ার কারণে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

 

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাতকে ১৩ হাজার গ্রাহক ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক কর্তৃক হয়রানির স্বীকার 

ভোলায় নদীতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরতে নিষেধ করায় হামলার শিকার স্থানীয়রা

আপডেট সময় ১২:০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

 

আশিকুর রহমান শান্ত
ভোলা প্রতিনিধি

ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বাগারহাট মুন্সিরচরের খেয়া ঘাট নামক স্থানে আলমগীর পাটোয়ারির ছেলে পারভেজ ও তার ভাই ইব্রাহিম মিলে নিয়মিত জাঙ্গালিয়া নদীর বিভিন্ন স্থানে বিষাক্ত কীটনাশক (বিষ) ব্যবহার করে মাছ ধরার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এলাকার সচেতন জনগণ পারভেজ ও ইব্রাহিমকে মাছ ধরতে নিষেধ করায় তারা এলাকাবাসীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন। তাই তারা পরিকল্পিত ভাবে গত তিন নভেম্বর রাত্র ৯.৩০মিনিটে সিরাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির উপর অতর্কিত হামলা করেন। হামলায় সে গুরুতর আহত হন।

আহত সিরাজুল ইসলাম বলেন, এই নদীতে ছোট ছোট জেলেরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। এছাড়াও এই নদীর পানি ব্যবহার করে এই এলাকার প্রায় ৬-৭ হাজার পরিবার রান্নাবান্না খাবারদাবার গোসল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল কাজে ব্যবহার করে। পারভেজ বেশ কিছুদিন ধরে এই নদীতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরেন। তার এই বিষ প্রয়োগের ফলে নদীর ছোট ছোট পোকামাকড় থেকে শুরু করে সকল ধরনের মাছ মরে যায়। এছাড়া ওই বিষ প্রয়োগের ফলে এই পানি ব্যবহার করে এলাকার সাধারণ মানুষ নানা ধরনের সমস্যায় পড়ছে। ইতিমধ্যে এলাকার বেশ কিছু হাঁস মারা গিয়েছে। এই বিষয় নিয়ে আমরা এলাকাবাসী তাদেরকে বিষ প্রয়োগ করতে নিষেধ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে রাতের আঁধারে আমার উপর হামলা করে আমি এর সঠিক বিচার চাই।

এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মাহমুদুল হাসান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নদী বা জলাশয়ে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরা মৎস্য আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ যদি বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরার সময় উপযুক্ত প্রমাণসহ তাকে আটক করতে পারে, তখন যদি আমাদের কে খবর দেওয়া হয় তৎক্ষণিক মৎস্য আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে আইনানুপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অভিযোগের বিষয়ে ইব্রাহিম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কিছু করিনি, আমার ভাই পারভেজ বিষ দিয়ে মাছ ধরছে। পারভেজ এই এলাকায় ও মুঠোফোনে না পাওয়ার কারণে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।