বাংলাদেশ ০৬:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
খানসামা সাংবাদিকদের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হযরত মোহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে গৌরীপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ দীর্ঘ ছয়’বছর পর রাজাখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা। ওলামা পরিষদের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় জামায়াতের উদ্যোগে ইউনিয়ন ভিত্তিক ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলা অনুষ্ঠিত অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপনের লক্ষ্যে কাজ করছে হিন্দু নেতৃবৃন্দ একটি তালগাছ একটি বজ্রনিরোধক দণ্ড হিসাবে কাজ করবে- ইউএনও শাকিল আহমেদ কুবিতে আইকিউএসি’র পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালক নিয়োগ জিয়ার জন্মদিনে বিশিষ্টজনের শুভেচ্ছা মিরপুরে বজ্রপাতে এক কিশোরের মৃত্যু অকপটে শুধু গান নিয়েই একটা জীবন কাটিয়ে দিলেন- বিজয় সরকার। বুড়িচংয়ে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামে নবীকে নিয়ে কটুক্তি ; যুবক গ্রেফতার জামালপুরে তিনদিন ব্যাপী কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট

শিক্ষার সকল স্তরে ইসলাম শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবিতে রাবিতে মানববন্ধন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:১৬:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৫৯২ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

রাবি প্রতিনিধি:
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের প্রতিনিধিত্বকারী ইসলামিক স্কলারদের অন্তর্ভুক্তকরণ এবং শিক্ষার সকল স্তরে “ইসলাম শিক্ষা” বাধ্যতামূলক করার দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মানববন্ধন অনুষ্ঠিত।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে দশটায় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে এই কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ ইসলামিক স্টাডিজ সোসাইটি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

এসময় “ধর্ম নিরপেক্ষ শিক্ষাব্যবস্থার নির্মূল চাই, ধর্মভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা চাই”, “৯৩% মুসলিম এর দেশে ইসলাম শিক্ষা বাধ্যতামূলক চাই, করতেই হবে”, “পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটিতে ২ জন ইসলামিক স্কলার চাই”, “সকল পাবলিক, সরকারি বেসরকারি কলেজগুলোতে ইসলামিম স্টাডিজ বিভাগ চাই”, ” নৈতিকতা সম্পন্ন শিক্ষাব্যবস্থা চাই”, “We Want Justice” এমনসব লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।

এসময় তারা ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো-

১. জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)-র মূল কমিটিতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ‘ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি বিভাগ’ থেকে ইসলাম শিক্ষা সংশ্লিষ্ট পুস্তক প্রণয়নের জন্য ৪ জন এবং সকল স্তরে প্রণীত পুস্তকের শরয়ী বিষয়াদি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ন্যূনতম ২ জন গ্রহণযোগ্য, বিতর্কমুক্ত ও নির্ভরযোগ্য শিক্ষাবিদ এক্সপার্ট অন্তর্ভুক্ত করা। বিতর্কিত ও ভ্রান্ত-চিন্তা লালনকারী, ইসলাম বিদ্বেষী এবং দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতাদর্শের বহির্ভূত কাউকে এ কমিটিতে রাখা যাবে না।

২. কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রণীত এমপিও নীতিমালা ২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ সংশোধিত) প্রবিধান সংশোধন করে মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রভাষক (আরবি, ফিক্হ্ন, কুরআন, হাদিস ও লাইব্রেরিয়ান) এবং সহকারি মৌলভী (আরবি) ও সহকারি লাইব্রেরিয়ান পদে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের গ্রাজুয়েটদের আবেদন করার সুযোগ পুনর্বহাল করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি।

৩. প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিকের সকল স্তরে ইসলাম শিক্ষা আবশ্যিককরণ।

৪. সকল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি ও বেসরকারি কলেজে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ চালু নিশ্চিতকরণ।

৫. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজ, আরবি সাহিত্য, ফিকহ, কুরআন, হাদিস ইত্যাদি বিভাগ নিয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বা শরী’আ অনুষদ চালু করা।

৬. ইসলামিক সংশ্লিষ্ট বিভাগ ব্যতীত অন্যান্য বিভাগে ইসলাম শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়কে GED এর অন্তর্ভুক্তকরণ।

চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ বলেন, রাষ্ট্রের শিক্ষাকে আবার কবর দেওয়া হচ্ছে, তবুও আমরা কিছু বলতে পারছি না। আমরা দেখেছি সমকামীতার বিপক্ষে কথা বলায় কিভাবে শিক্ষক সমাজকে কিভাবে অপমান করা হয়েছে। ১- মাস্টার্স পর্যন্ত দূর্নীতীতে ভরে গেছে। পাঠ্যপুস্তকে নৈতিক শিক্ষা বলতে কিছু নেই। শিক্ষিতরা আজ সম্মান পায়না। আমাদের দাবি যদি মেনে নেওয়া না হয় তাহলে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবো। আমরা শাহবাগী চেতনাকে কবর দিয়ে ইসলামী চেতনা প্রতিষ্ঠা করবো।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক আব্দুল আল মামুন বলেন, বিগত ১৬ বছর সময়ে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্হায় যে পরিবর্তন করা হয়েছে, তাতে দেখা যায় ইসলামিক শিক্ষার কোন কিছুই আর অবশিষ্ট রাখা হয় নাই। আমি চাই বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্হায় আবারও ইসলামের নৈতিক শিক্ষা চালু করা হোক। ইসলামি শিক্ষার দ্বারা অনুপ্রাণিত নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠুক।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি ড. মো. আশারাফুজ্জামান, আমরা দেখেছি স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে ইসলাম শিক্ষার তেমন উন্নতি হয়নি। বরংচ ইসলাম শিক্ষা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় আরো পিছিয়ে পড়েছে। এটি হয়েছে কতিপয় স্বৈরাচার শাসকের ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থার কারণে। আজকের মানববন্ধনে উত্থাপিত ছয় দফা দাবিকে আমি সমর্থন করছি। এই দাবিসমূহ যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় বাস্তবায়ন করা হয়।

এসময় ইসলামীক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষকসহ ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello

খানসামা সাংবাদিকদের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

শিক্ষার সকল স্তরে ইসলাম শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবিতে রাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় ১২:১৬:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

 

 

রাবি প্রতিনিধি:
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের প্রতিনিধিত্বকারী ইসলামিক স্কলারদের অন্তর্ভুক্তকরণ এবং শিক্ষার সকল স্তরে “ইসলাম শিক্ষা” বাধ্যতামূলক করার দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মানববন্ধন অনুষ্ঠিত।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে দশটায় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে এই কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ ইসলামিক স্টাডিজ সোসাইটি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

এসময় “ধর্ম নিরপেক্ষ শিক্ষাব্যবস্থার নির্মূল চাই, ধর্মভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা চাই”, “৯৩% মুসলিম এর দেশে ইসলাম শিক্ষা বাধ্যতামূলক চাই, করতেই হবে”, “পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটিতে ২ জন ইসলামিক স্কলার চাই”, “সকল পাবলিক, সরকারি বেসরকারি কলেজগুলোতে ইসলামিম স্টাডিজ বিভাগ চাই”, ” নৈতিকতা সম্পন্ন শিক্ষাব্যবস্থা চাই”, “We Want Justice” এমনসব লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।

এসময় তারা ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো-

১. জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)-র মূল কমিটিতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ‘ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি বিভাগ’ থেকে ইসলাম শিক্ষা সংশ্লিষ্ট পুস্তক প্রণয়নের জন্য ৪ জন এবং সকল স্তরে প্রণীত পুস্তকের শরয়ী বিষয়াদি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ন্যূনতম ২ জন গ্রহণযোগ্য, বিতর্কমুক্ত ও নির্ভরযোগ্য শিক্ষাবিদ এক্সপার্ট অন্তর্ভুক্ত করা। বিতর্কিত ও ভ্রান্ত-চিন্তা লালনকারী, ইসলাম বিদ্বেষী এবং দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতাদর্শের বহির্ভূত কাউকে এ কমিটিতে রাখা যাবে না।

২. কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রণীত এমপিও নীতিমালা ২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ সংশোধিত) প্রবিধান সংশোধন করে মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রভাষক (আরবি, ফিক্হ্ন, কুরআন, হাদিস ও লাইব্রেরিয়ান) এবং সহকারি মৌলভী (আরবি) ও সহকারি লাইব্রেরিয়ান পদে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের গ্রাজুয়েটদের আবেদন করার সুযোগ পুনর্বহাল করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি।

৩. প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিকের সকল স্তরে ইসলাম শিক্ষা আবশ্যিককরণ।

৪. সকল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি ও বেসরকারি কলেজে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ চালু নিশ্চিতকরণ।

৫. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজ, আরবি সাহিত্য, ফিকহ, কুরআন, হাদিস ইত্যাদি বিভাগ নিয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বা শরী’আ অনুষদ চালু করা।

৬. ইসলামিক সংশ্লিষ্ট বিভাগ ব্যতীত অন্যান্য বিভাগে ইসলাম শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়কে GED এর অন্তর্ভুক্তকরণ।

চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ বলেন, রাষ্ট্রের শিক্ষাকে আবার কবর দেওয়া হচ্ছে, তবুও আমরা কিছু বলতে পারছি না। আমরা দেখেছি সমকামীতার বিপক্ষে কথা বলায় কিভাবে শিক্ষক সমাজকে কিভাবে অপমান করা হয়েছে। ১- মাস্টার্স পর্যন্ত দূর্নীতীতে ভরে গেছে। পাঠ্যপুস্তকে নৈতিক শিক্ষা বলতে কিছু নেই। শিক্ষিতরা আজ সম্মান পায়না। আমাদের দাবি যদি মেনে নেওয়া না হয় তাহলে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবো। আমরা শাহবাগী চেতনাকে কবর দিয়ে ইসলামী চেতনা প্রতিষ্ঠা করবো।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক আব্দুল আল মামুন বলেন, বিগত ১৬ বছর সময়ে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্হায় যে পরিবর্তন করা হয়েছে, তাতে দেখা যায় ইসলামিক শিক্ষার কোন কিছুই আর অবশিষ্ট রাখা হয় নাই। আমি চাই বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্হায় আবারও ইসলামের নৈতিক শিক্ষা চালু করা হোক। ইসলামি শিক্ষার দ্বারা অনুপ্রাণিত নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠুক।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি ড. মো. আশারাফুজ্জামান, আমরা দেখেছি স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে ইসলাম শিক্ষার তেমন উন্নতি হয়নি। বরংচ ইসলাম শিক্ষা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় আরো পিছিয়ে পড়েছে। এটি হয়েছে কতিপয় স্বৈরাচার শাসকের ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থার কারণে। আজকের মানববন্ধনে উত্থাপিত ছয় দফা দাবিকে আমি সমর্থন করছি। এই দাবিসমূহ যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় বাস্তবায়ন করা হয়।

এসময় ইসলামীক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষকসহ ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।