বাংলাদেশ ০৫:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
পরিত্যক্ত অবস্থায় ২টি পিস্তল ও ৩০০ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গুলি উদ্ধার করেছে র‌্যাব। ঐতিহ্যবাহী সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের নতুন গর্বিত সদস্য হলেন যারা স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতির উপর হামলার প্রতিবাদে গৌরীপুরে বিক্ষোভ রায়গঞ্জে অযত্নে- অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার দুটি সম্পদ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত, জেল পলাতক ও নাশকতা মামলার আসামী মুকুল গাজী কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। সিরাজগঞ্জে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, আহত অন্তত ২০ কুমিল্লায় যাত্রীবাহী বাসের চাপায় দাদী-নাতি নিহত  জরুইন চিরন্তন সমাজ কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত রাঙ্গাবালীতে জামায়াত ও শিবিরের মতবিনিময় ও দোয়া অনুষ্ঠান। ভূঞাপুরে ডেল্টা লাইফের মৃত বীমা দাবির চেক হস্তান্তর সারা দেশটাই ছিলো যেনো কারাগার- সাইফুল ইসলাম পীরযাত্রাপুরে কারিতাস ও নটরডেম কলেজের যৌথ উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ কচুয়ায় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনার প্রধান আসামি গ্রেফতার সকল পরিস্থিতিতে ছাত্রজনতার গন অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সফল করতে প্রস্তুত, সরকারি বি.এম. কলেজ শিক্ষার্থীরা। পিরোজপুরে জাতীয় পার্টির আলোচনা সভা

ব্রাহ্মণপাড়ায় আশ্রয় কেন্দ্র থেকে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ, বাড়িতে ফিরে পরেছে আরও সংকটে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৪৫:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৫৯১ বার পড়া হয়েছে

ব্রাহ্মণপাড়ায় আশ্রয় কেন্দ্র থেকে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ, বাড়িতে ফিরে পরেছে আরও সংকটে

 

 

মোঃ অপু খান চৌধুরী।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় গোমতী নদী ও সালদা নদী ভাঙ্গনের ফলে সৃষ্ট বন্যায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিল। বন্যার পানি কমে যাওয়ায় আশ্রয় কেন্দ্র থেকে ফিরতে শুরু করেছে বন্যা কবলিত বানভাসি মানুষেরা। আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়িতে ফিরে পরেছে আরও সংকটে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বানভাসি মানুষেরা আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়িতে ফিরে দেখেন, অনেকের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে পরেছে কারোর ঘর হেলে পরেছে এবং অনেকের ঘরবাড়িতে কাঁদা মাটিতে ঢেকে আছে।

কথা হয় ব্রাহ্মণপাড়া ভগবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের আশ্রয় কেন্দ্রে সার্বিক সহযোগিতাকারী সমন্বয়ক শাকিল এর সাথে, তিনি বলেন এই আশ্রয় কেন্দ্রটিতে প্রায় ১৫ শত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল বর্তমানে ৩ হতে ৪ শত মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রটিতে আছে।

এ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া ধান্যদৌল গ্রামের জামাল মিয়া বলেন, বাড়িতে পানি উঠে যাওয়ায় পর ১৫ দিন যাবত এই আশ্রয় কেন্দ্র আছি। আমার বসত ঘরে পানি উঠলেও এখন পানি নেমে গেছে। সব কিছু এখনো ভেঁজা। এছাড়া পাকের ঘর স্যাতস্যাতে অবস্থায় আছে। শুকনো কোন লাকড়ি খড়ি নেই রান্না করার জন্য। তবুও নিজের বাড়িতে চলে আসছি বউ বাচ্চা নিয়ে, খাবারের কোন একটা ব্যবস্থা হবে।

সাহেবাবাদ লতিফা ইসমাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা জয়নাল মিয়া জানান, বন্যার পানি কিছুটা কমে যাওয়ায় অনেকে আশ্রয় কেন্দ্র থেকে চলে গেছে। আমি প্রত্যেকদিন বাড়িতে গিয়ে আমার ঘরবাড়ি ঠিককরার চেষ্টা করছি। রাতের বেলায় আশ্রয় কেন্দ্র চলে আসি। কারণ এখানে থাকা এবং খাওয়ার কোন চিন্তা করতে হয় না। ঘরবাড়ি প্রস্তুত করতে আরও অনেকদিন সময় লাগবে এরই মধ্যে আমি পরিবার নিয়ে বাড়িতে চলে যাব।

এছাড়া আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরত কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে থাকতে শুকনো খাবার ও বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রীর সহযোগিতা পাওয়া যেত। এখন বাড়িতে ফিরে আসায় এ সহযোগিতাগুলো আর পাচ্ছিনা। রান্নার করার চুলা ভেঙ্গে যাওয়ায় এবং শুকনো লাকরির অভাবে রান্না করতে পারছি না ফলে তাদের কষ্ট আরও দ্বিগুণ হচ্ছে। বাড়ির আশেপাশে পানি থাকার কারণে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদেরকে নিয়ে সবসময় আতঙ্কে থাকতে হয় কখন পানিতে পরে যায়। এছাড়া অনেকের বাড়িঘরে বিষাক্ত সাপেরও উপস্থিতি টের পাওয়া গেছে।

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

পরিত্যক্ত অবস্থায় ২টি পিস্তল ও ৩০০ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গুলি উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

ব্রাহ্মণপাড়ায় আশ্রয় কেন্দ্র থেকে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ, বাড়িতে ফিরে পরেছে আরও সংকটে

আপডেট সময় ০১:৪৫:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

 

মোঃ অপু খান চৌধুরী।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় গোমতী নদী ও সালদা নদী ভাঙ্গনের ফলে সৃষ্ট বন্যায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিল। বন্যার পানি কমে যাওয়ায় আশ্রয় কেন্দ্র থেকে ফিরতে শুরু করেছে বন্যা কবলিত বানভাসি মানুষেরা। আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়িতে ফিরে পরেছে আরও সংকটে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বানভাসি মানুষেরা আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়িতে ফিরে দেখেন, অনেকের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে পরেছে কারোর ঘর হেলে পরেছে এবং অনেকের ঘরবাড়িতে কাঁদা মাটিতে ঢেকে আছে।

কথা হয় ব্রাহ্মণপাড়া ভগবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের আশ্রয় কেন্দ্রে সার্বিক সহযোগিতাকারী সমন্বয়ক শাকিল এর সাথে, তিনি বলেন এই আশ্রয় কেন্দ্রটিতে প্রায় ১৫ শত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল বর্তমানে ৩ হতে ৪ শত মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রটিতে আছে।

এ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া ধান্যদৌল গ্রামের জামাল মিয়া বলেন, বাড়িতে পানি উঠে যাওয়ায় পর ১৫ দিন যাবত এই আশ্রয় কেন্দ্র আছি। আমার বসত ঘরে পানি উঠলেও এখন পানি নেমে গেছে। সব কিছু এখনো ভেঁজা। এছাড়া পাকের ঘর স্যাতস্যাতে অবস্থায় আছে। শুকনো কোন লাকড়ি খড়ি নেই রান্না করার জন্য। তবুও নিজের বাড়িতে চলে আসছি বউ বাচ্চা নিয়ে, খাবারের কোন একটা ব্যবস্থা হবে।

সাহেবাবাদ লতিফা ইসমাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা জয়নাল মিয়া জানান, বন্যার পানি কিছুটা কমে যাওয়ায় অনেকে আশ্রয় কেন্দ্র থেকে চলে গেছে। আমি প্রত্যেকদিন বাড়িতে গিয়ে আমার ঘরবাড়ি ঠিককরার চেষ্টা করছি। রাতের বেলায় আশ্রয় কেন্দ্র চলে আসি। কারণ এখানে থাকা এবং খাওয়ার কোন চিন্তা করতে হয় না। ঘরবাড়ি প্রস্তুত করতে আরও অনেকদিন সময় লাগবে এরই মধ্যে আমি পরিবার নিয়ে বাড়িতে চলে যাব।

এছাড়া আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরত কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে থাকতে শুকনো খাবার ও বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রীর সহযোগিতা পাওয়া যেত। এখন বাড়িতে ফিরে আসায় এ সহযোগিতাগুলো আর পাচ্ছিনা। রান্নার করার চুলা ভেঙ্গে যাওয়ায় এবং শুকনো লাকরির অভাবে রান্না করতে পারছি না ফলে তাদের কষ্ট আরও দ্বিগুণ হচ্ছে। বাড়ির আশেপাশে পানি থাকার কারণে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদেরকে নিয়ে সবসময় আতঙ্কে থাকতে হয় কখন পানিতে পরে যায়। এছাড়া অনেকের বাড়িঘরে বিষাক্ত সাপেরও উপস্থিতি টের পাওয়া গেছে।