হিজলা প্রতিনিধিঃ
বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলায়, বিগত কয়েকদিনে প্রচন্ড গরমের মধ্য দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের খামখেয়ালী লোডশেডিং এ জনজীবন অতিষ্ঠ।
গরমের তাপমাত্রা বেশি এর পাশাপাশি বিদ্যুতের খামখেয়ালী বেড়ে যায়, ভুক্তভোগী একজন গ্রাহক জানান তার বাসায় প্রতিমাসে বিদ্যুৎ বিল আসতো ৩ থেকে সারে ৩শত টাকা সেখানে গত দুই মাস যাবত বিল আসছে ১১শত টাকার উপরে, এনালগ মিটার থাকাকালীন এত বিল আসেনি, ডিজিটাল মিটার আসার পর থেকেই বিদ্যুৎ বিল ক্রমেই বাড়ছে, বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারলাম ডিজিটাল মিটার যতবার লোডশেডিং হবে প্রতিবারেই রিডিং এমনিতেই করতে থাকে এই কথাটি কতটুকু সঠিক তা আমার জানা নেই তবে হিজলা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে পার্শ্ববর্তী কাজিরহাট থানার বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের লোডশনিং চলছে, ভুক্তভোগীরা আরো জানতে চান বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের কাছে, লোডশেডিং এ যে বিদ্যুতের রিডিং বেড়ে যায় এটা কতটুকু সত্য? যদি তা হয়ে থাকে তাহলে জনসাধারণের দুর্ভোগের শেষ কোথায়।
বিদ্যুৎ অফিসের সাবস্টেশন ইঞ্জিনিয়ার রফিক এর সাথে লোডশেডিং এর ব্যাপারে আলাপ করলে তিনি তিনি জানান, বিদ্যুতের উৎপাদন কম থাকায় আমাদের এভাবে লোডশেডিং দিতে হয় এর চেয়ে বেশি আমি কিছু বলতে পারব না। লোডশেডিং যদি হয়ে থাকে তাহলে সময় নির্ধারণ করে অফিস লোডশেডিং দিবেন, তা না করে যখন তখন ১০ মিনিট ২০ মিনিট লোডশেডিং করে আবার ৫ সেকেন্ড ১০ সেকেন্ড করে আসে এবং যায় এভাবে গ্রামের বাসা বাড়ির ফ্যান ফ্রিজ বৈদ্যুতিক প্রয়োজনীয় ব্যবহারিক জিনিস অকেজো হয়ে যায় যার ফলে সাধারণ জনগণ ভোগান্তি শিকার। সরকার ঘোষিত প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট পরিমাণ বিদ্যুৎ দিতে পারছেনা, এতে করে সরকারের মান ক্ষুন্ন করতে যথেষ্ট বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।