দেলোয়ার হোসেন সোহেল
রাজশাহী তানোরে তীব্র গরমে ভ্যান চালক, পথচারী ও মাঠে কাজ করা কৃষকদের হাতে উন্নত মানের স্যালাইন জুস ও ছাতা পৌঁছে দিচ্ছেন আবুল বাশার সুজন।
বৈশাখের খরতাপে কয়েক দিন ধরেই হাঁসফাঁস করছে মানুষ। তাবদাহে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এই তীব্র গরমে ভ্যান চালক, কৃষক ও শ্রমিকদের কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। এদিকে কাজ না করলে খাবারও জুটবে না। তাই পেটের দায়ে গরম উপেক্ষা করে কাজে বেরিয়েছেন তারা।
চলতি মাসের ২৮ এপ্রিল দুপুরে প্রচণ্ড রোদে তানোর পৌর এলাকায় ভ্যান নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছিলেন চালক ও জমিতে ধান কাটছিলেন কৃষকরা। এ সময় তাদের মুখে হাসি ফোটাতে জুস, পানি ও উন্নত মানে স্যালাইনসহ ছাতা হাতে সেখানে হাজির হন তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও অসহায় মানুষের বন্ধু যার কাজি হচ্ছে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে থেকে সেবা করা তরুণদের আইডল আবুল বাশার সুজন। তপ্তদুপুরে অনাকাঙ্ক্ষিত এমন উপহার পেয়ে খুশি কৃষক পথচারী ও ভ্যান চালক।
তানোর পৌর এলাকার ভ্যান চালক আব্দুল গনি বলেন, সকাল থেকে প্রচুর গরম। পেটের দায়ে ভ্যান নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছি অন্যদিকে সূর্যের গরম আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছিল। হঠাৎ করে সুজন এসে আমাদের পানি, জুস ও স্যালাইন একটি করে ছাতা দিল। সাথে সাথেই খেলাম। আলহামদুলিল্লাহ ভালো লাগলো এখন ছাতা পেয়ে রোধটা কম লাগছে।
শহিদ নামে আরেক ধনকাটা কৃষক বলেন, কাজ না করলে খামবো কী? তাই ধান কাটছি। তবে সুজন ভাই আমাদের মাঝে যে এমন উপহার দেবে তা স্বপ্নেও ভাবি নাই। গরমে ছাতা স্যালাইন, পানি, জুস খেয়ে খুব ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ সুজন ভাই কে।
এমন মহতি সেবা নিয়ে আ”লীগ নেতা সুজনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, অন্যান্য পরিশ্রমের মধ্যে ধান কাটা ও ভ্যান চালোনো কঠিন পরিশ্রম। ভরদুপুরে তাপমাত্রা যখন প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তখন ফসলের মাঠে দাঁড়ানো প্রায় অসম্ভব এক ব্যাপার।
অথচ সেই তাপে কৃষক ধান কাটছেন ও রাস্তায় ভ্যান নিয়ে বের হয়েছেন চালক তাই স্হানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর পক্ষ থেকে তাদের মুখে হাসি ফোটাতেই আমার এই উদ্যোগ। তাছাড়া সাধারণ মানুষকে সেবা করতে আমি সহ আমার পরিবার ভালোবাসে। এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য তীব্র গরমে শুধু ছাতা ও জুসই না শীত কালে কম্বল বর্ষা কালে অনুদানসহ আসহায় মানুষের পাশে থেকে সেবা করে যাচ্ছেন আবুল বাশার সুজন ও তার পরিবার।