পঞ্চগড় প্রতিনিধি।।
আসুন সবাই মিলে শব্দদূষণ হ্রাসে সচেষ্ট হই’’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ বুধবার পঞ্চগড়ে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশিদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি প্রধান সড়ক ঘুরে আবার সেখানে এসে শেষ হয়।
র্যালিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল কাদেরসহ সরকারি কর্মকর্তা, রোভার স্কাউট সদস্য, বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেয়। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। সভা শুরুতে স্বাগত বক্তব্য ও পাওয়ার পয়েন্টে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো ইউসুফ আলী। তিনি তাঁর প্রবন্ধে শব্দদূষণ, শব্দদূষণের ক্ষতিকারক দিকসমূহ এবং শব্দদূষণ রোধে করণীয় তুলে ধরেন। শব্দ দূষণ আইন (বিধিমালা) ২০০৬ তুলে ধরে তিনি শব্দ দূষণ সম্পর্কে জন সাধারণ কে সচেতন করা এবং সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য তুলে ধরাই এ দিবসের মূল উদ্দেশ্য বলে উল্লেখ করেন।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আবু সুফিয়ান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম শফিকুল ইসলাম, সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক অনিরুদ্ধ কুমার রায়, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর অতিরিক্ত উপপরিচালক সুবোধ চন্দ্র রায়, ডা. মাহবুবুর রহমান সুমন, বাপার সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম জুয়েল, জেলা স্কাউট সম্পাদক আব্দুল কাদের, পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জামিল চৌধুরী ডলার, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম শহীদ, সাংবাদিক সফিকুল আলম, লুৎফর রহমান বক্তব্য দেন।
এসময় বক্তরা বলেন- শব্দ দূষণের বহুমাত্রিক ঝুঁকির কারণে কানে কম শোনা এবং আংশিক বা পুরোপুরি বধিরতা, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, অনিদ্রা এবং মনঃসংযোগ নষ্ট, মানসিক সমস্যা, গর্ভস্থ বাচ্চা নষ্ট বা বধির অথবা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর জন্ম হতে পারে। তাই শব্দ দূষণ পরিহার করার কোন বিকল্প নেই। শব্দ দূষণ রোধে সকল পর্যায়ের মানুষদের আগে সচেতন হতে হবে। ৬০ ডেসিবল এর বেশি শব্দ দূষণের আওতায় পরে।
বিশেষ করে এই মাত্রার শব্দ শিশুদের মস্তিস্কে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। শব্দ সচেতনতা শব্দদূষণ রোধের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে সকলকে আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল এলাকাগুলোতে শব্দ দূষণ রোধে আরোও ভুমিকা রাখতে হবে।
এছাড়াও সামাজিকভাবে এটি রোধে সচেতন করতে হবে। লিফলেট বিতরণ ও এবং মানবিক দিক বিবেচনা করে প্রতিটি ব্যবহারকারীর উচিৎ এটিকে মেনে চলা। শব্দ দূষণকে নীরব ঘাতক হিসেবে অভিহিত করে সকলে মিলে একে প্রতিরোধ করার আহবান জানিয়ে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্ঠি করার প্রতি জোর দেন বক্তারা। এদিকে দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) একটি শোভাযাত্রা বের করে।