বাংলাদেশ ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মঠবাড়িয়ায় কলেজ অধ্যক্ষের নাম ভাঙিয়ে খাল দখলের অভিযোগ দুর্নীতি ও অনিয়মের নানা অভিযোগে পিরোজপুর জেলা নাসিং ইনস্টিটিউট অবরুদ্ধ করেছে শিক্ষার্থীরা রাণীশংকৈলে গণ অধিকার পরিষদের আনন্দ র‌্যালি অনুষ্ঠিত মান্দার ছাত্রদল নেতাদের সাথে নবাগত ওসির মতবিনিময়। ভান্ডারিয়ায় সাবেক ছাত্রদল নেতার নামে বিএনপির কর্মীর মামলা নাইক্ষংছড়িতে ইয়াবাসহ পৃথক পৃথক অভিযানে ৪ কারবারি আটক বুড়িচংয়ে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কমিটি গঠন ভালুকায় বিআরটিসি এসি বাস সার্ভিসের শুভ উদ্বোধন গৌরীপুর মহিলা কলেজের গভর্নিং বডির এডহক কমিটির সভাপতি তানজীন চৌধুরী বিতর্কিত শিক্ষক মাকসুদা আছেন কুবির উপাচার্য হওয়ার দৌড়ে আমান উল্লাহ তাজুনের প্রতিবাদ ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবি কর্তৃক বড়গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত মান্দা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে ওসি’র মতবিনিময় অভিযোগের ব্যাপারে যা বললেন অধ্যাপক ড. শরীফুল করিম বাবুগঞ্জে গৃহবধূ আত্ম হত্যা নয়, হত্যা।অভিযোগ গৃহবধু শিউলির পরিবারের

মাধবপুরে ডাঃ না থাকায় সুন্নতে খতনা করান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নাইট গার্ড

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:০০:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০২৩
  • ১৬২১ বার পড়া হয়েছে
লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রতিনিয়ত সুন্নতে খতনার কাজ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে হাসপাতালটিতে কর্মরত নাইট গার্ড মো. আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে। আর চিকিৎসক না হয়েও এ কাজের জন্য প্রতিদিন মোটা অঙ্কের টাকা কামিয়ে নিচ্ছেন তিনি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাইট গার্ড মো. আবদুল্লাহ প্রায় প্রতিদিনই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের পেশেন্ট টেবিলে সুন্নতে খতনার কাজ করেন। কোনো কোনো দিন ৩-৪টি খতনার কাজও করেন তিনি। আর এ কাজে তাকে সহযোগিতা করে থাকে একশ্রেণির দালাল নির্দিষ্ট অঙ্কের কমিশনের বিনিময়ে আবদুল্লাহর কাছে সুন্নতে খতনার উপযুক্ত শিশু-কিশোরদের নিয়ে আসে দালালরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, মূলত সুন্নতে খতনার কাজটি করার কথা জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারির)। কিন্তু মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরেই এই পদটি শূন্য থাকার সুযোগে নাইট গার্ড মো. আবদুল্লাহ নিয়মিত সুন্নতে খতনার কাজটি করছেন। এ জন্য তার কোনো নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক নেই। যার কাছ থেকে যত পারেন কৌশলে কাজ করেন তিনি। তবে প্রতিটি সুন্নতে খতনার ক্ষেত্রে তিনি ন্যূনতম ১ হাজার টাকা নেন ক্ষেত্র বিশেষে ২-৩ হাজার টাকাও নেন বলে জানা যায়।
তবে এতো টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে মো. আবদুল্লাহ বলেন লোকজন খুশিমনে যা দেয় তাই নিই আমি আর আমি তো মানুষের উপকারই করছি। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এএইচএম ইশতিয়াক মামুনের কাছে। তিনি বলেন, একজন নাইট গার্ড কোনো অবস্থাতেই এ কাজ করার অধিকার রাখেন না। মো. আবদুল্লাহ সুন্নতে খতনার কাজ করেন, সেটা আমার জানা নেই তবে খোঁজ নেওয়া হবে এবং সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জনপ্রিয় সংবাদ

মঠবাড়িয়ায় কলেজ অধ্যক্ষের নাম ভাঙিয়ে খাল দখলের অভিযোগ

মাধবপুরে ডাঃ না থাকায় সুন্নতে খতনা করান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নাইট গার্ড

আপডেট সময় ০৩:০০:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০২৩
লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রতিনিয়ত সুন্নতে খতনার কাজ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে হাসপাতালটিতে কর্মরত নাইট গার্ড মো. আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে। আর চিকিৎসক না হয়েও এ কাজের জন্য প্রতিদিন মোটা অঙ্কের টাকা কামিয়ে নিচ্ছেন তিনি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাইট গার্ড মো. আবদুল্লাহ প্রায় প্রতিদিনই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের পেশেন্ট টেবিলে সুন্নতে খতনার কাজ করেন। কোনো কোনো দিন ৩-৪টি খতনার কাজও করেন তিনি। আর এ কাজে তাকে সহযোগিতা করে থাকে একশ্রেণির দালাল নির্দিষ্ট অঙ্কের কমিশনের বিনিময়ে আবদুল্লাহর কাছে সুন্নতে খতনার উপযুক্ত শিশু-কিশোরদের নিয়ে আসে দালালরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, মূলত সুন্নতে খতনার কাজটি করার কথা জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারির)। কিন্তু মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরেই এই পদটি শূন্য থাকার সুযোগে নাইট গার্ড মো. আবদুল্লাহ নিয়মিত সুন্নতে খতনার কাজটি করছেন। এ জন্য তার কোনো নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক নেই। যার কাছ থেকে যত পারেন কৌশলে কাজ করেন তিনি। তবে প্রতিটি সুন্নতে খতনার ক্ষেত্রে তিনি ন্যূনতম ১ হাজার টাকা নেন ক্ষেত্র বিশেষে ২-৩ হাজার টাকাও নেন বলে জানা যায়।
তবে এতো টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে মো. আবদুল্লাহ বলেন লোকজন খুশিমনে যা দেয় তাই নিই আমি আর আমি তো মানুষের উপকারই করছি। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এএইচএম ইশতিয়াক মামুনের কাছে। তিনি বলেন, একজন নাইট গার্ড কোনো অবস্থাতেই এ কাজ করার অধিকার রাখেন না। মো. আবদুল্লাহ সুন্নতে খতনার কাজ করেন, সেটা আমার জানা নেই তবে খোঁজ নেওয়া হবে এবং সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।