বাংলাদেশ ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ছাতক উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫ চেয়ারম্যান ও ৮ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রতিক বরাদ্দ কলাপাড়ায় কৃষক সমিতির মানববন্ধন এসএসসি পরীক্ষা ভালো ফলাফল না পাওয়া আত্মহত্যা করে জবিতে ব্যান্ড মিউজিক এসোসিয়েশনের নেতৃত্বে ফয়সাল-আরাবি পৃথক অভিযানে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল এবং বোতল স্ক্যাফসহ দুই শীর্ষ মাদক ব্যবসায় গ্রেফতার। রুয়েটের নতুন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কাচারি ঘর বিলুপ্তির পথে  খানসামায় গানের সুরে মাইকে বাজছে প্রার্থীদের প্রচারণা ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ কর্তৃক মাদক সহ আটক -৭ বিসিএস জেনারেল এডুকেশন এসোসিয়েশন নির্বাচনে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচন করছেন শাহাবুদ্দিন সিকদার হবিগঞ্জে ৩ মার্ডার মামলার প্রধান আসামী বদির গ্রেপ্তার বদলগাছীর কেশাইলে কাঠের দোকানের আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট টানা দ্বিতীয়বারের মতো ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন মিরাজুল ইসলাম জমে উঠছে পিরোজপুরে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা হবিগঞ্জে এসএসসিতে ফেল করায় ৩ জনের বিষপান কিশোরী নিহত

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় ভাবির ওড়না পেঁচিয়ে দেবরের আত্মহত্যা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৩২:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩
  • ১৫৯৮ বার পড়া হয়েছে
বুড়িচং প্রতিনিধি। 
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ইয়াসিন সরকার নামে এক কলেজছাত্র। স্বজনদের ধারণা ইয়াসিন সরকার আত্মহত্যা করে নি তাকে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ জুন) মধ্যরাতে উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের শিদলাই ৮ নং ওয়ার্ড এলাকা থেকে ইয়াসিন সরকারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ইয়াসিন সরকার একই গ্রামের আবদুল কুদ্দুস সরকারের ছেলে। তিনি মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজের অনার্স ৩ম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
ইয়াসিন সরকারের মা নাজমা বেগম বলেন, আমার ছেলে পড়াশোনার পাশাপাশি গ্রামের বাজারে মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান চালাইতো। সেখানে রাতে থাকতো। একদিন আমার ছেলে আমায় বলে মা আমার দোকানে ভয় লাগে। পরে সে ঘরে থাকতো। সে বেশ কিছু দিন যাবৎ ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমাইতেন। ঘুমের ঔষধ খাওয়া নিয়ে আমি তাকে গালমন্দ করি। তখন সে আমায় বলে তাকে আমি অপমান করছি কেন? তখন আমি আর কিছু বলি নি। আমার বড় ছেলে বউরা তাকে গোসল ও খাওয়া ডাওয়া করান। রাত আনুমানিক ২ টার সময় আমার ছোট ছেলে বাহিরে যাবে আমায় ডাকতেছিলো। তখন আমি ঘুম থেকে উঠে যায়। বাহির থেকে আাসার পর ইয়াসিন যে রুমে ঘুমায়। আমি দরজার ফাঁক দিয়ে দেখি আমার ছেলে ঘরের তীরের সঙ্গে ঝুলে আছে। আমার চিৎকার চেঁচামেছিস শুনে আমার স্বামী ও ছেলের বউরা দৌড়ে ছুটে আসে। আমরা সবাই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার স্যার বলে আমার ছেলে মারা গেছে বাবা। আমি আর কিছু জানি না।
নিহত ইয়াসিনের ভাবি বলেন, আমাদের সঙ্গে তো কোন কিছু নিয়ে ঝগড়া নাই। সে অনেক সময় ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমাইতেন। আমরা জিগাসা করলে কিছু বলতেন না শুধু বলতেন ভালা লাগে না তার। ওড়না পেঁচিয়ে মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভেজা ওড়না রুমে শুকানোর জন্য রুমে দেওয়া ছিলো। এটা কেন করেছে তা আমরা জানি না।  আমরা তাকে ছোট ভাই হিসাবে দেখতাম।
ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল জানান, লাশের সোরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্থান্তর করা হবে। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা এখনো জানা যায়নি। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
জনপ্রিয় সংবাদ

ছাতক উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫ চেয়ারম্যান ও ৮ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রতিক বরাদ্দ

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় ভাবির ওড়না পেঁচিয়ে দেবরের আত্মহত্যা

আপডেট সময় ০৯:৩২:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩
বুড়িচং প্রতিনিধি। 
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ইয়াসিন সরকার নামে এক কলেজছাত্র। স্বজনদের ধারণা ইয়াসিন সরকার আত্মহত্যা করে নি তাকে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ জুন) মধ্যরাতে উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের শিদলাই ৮ নং ওয়ার্ড এলাকা থেকে ইয়াসিন সরকারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ইয়াসিন সরকার একই গ্রামের আবদুল কুদ্দুস সরকারের ছেলে। তিনি মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজের অনার্স ৩ম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
ইয়াসিন সরকারের মা নাজমা বেগম বলেন, আমার ছেলে পড়াশোনার পাশাপাশি গ্রামের বাজারে মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান চালাইতো। সেখানে রাতে থাকতো। একদিন আমার ছেলে আমায় বলে মা আমার দোকানে ভয় লাগে। পরে সে ঘরে থাকতো। সে বেশ কিছু দিন যাবৎ ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমাইতেন। ঘুমের ঔষধ খাওয়া নিয়ে আমি তাকে গালমন্দ করি। তখন সে আমায় বলে তাকে আমি অপমান করছি কেন? তখন আমি আর কিছু বলি নি। আমার বড় ছেলে বউরা তাকে গোসল ও খাওয়া ডাওয়া করান। রাত আনুমানিক ২ টার সময় আমার ছোট ছেলে বাহিরে যাবে আমায় ডাকতেছিলো। তখন আমি ঘুম থেকে উঠে যায়। বাহির থেকে আাসার পর ইয়াসিন যে রুমে ঘুমায়। আমি দরজার ফাঁক দিয়ে দেখি আমার ছেলে ঘরের তীরের সঙ্গে ঝুলে আছে। আমার চিৎকার চেঁচামেছিস শুনে আমার স্বামী ও ছেলের বউরা দৌড়ে ছুটে আসে। আমরা সবাই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার স্যার বলে আমার ছেলে মারা গেছে বাবা। আমি আর কিছু জানি না।
নিহত ইয়াসিনের ভাবি বলেন, আমাদের সঙ্গে তো কোন কিছু নিয়ে ঝগড়া নাই। সে অনেক সময় ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমাইতেন। আমরা জিগাসা করলে কিছু বলতেন না শুধু বলতেন ভালা লাগে না তার। ওড়না পেঁচিয়ে মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভেজা ওড়না রুমে শুকানোর জন্য রুমে দেওয়া ছিলো। এটা কেন করেছে তা আমরা জানি না।  আমরা তাকে ছোট ভাই হিসাবে দেখতাম।
ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল জানান, লাশের সোরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্থান্তর করা হবে। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা এখনো জানা যায়নি। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।