বাংলাদেশ ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ইবি মেসডার সভাপতি শিমুল, সম্পাদক মোতালেব  নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ফেসবুকে অশ্লীল ছবি প্রকাশ, মামলা হলে আসামী ধরছে না পুলিশ নওগাঁয় ফেন্সিডিল মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন দুই ঘন্টা সারাদেশের সাথে সিলেটের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থেকে পুনরায় চালু। ভূল্লীতে উপ-নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে এনামুল হক বিজয়ী কুবি উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলন:পাল্টাপাল্টি দোষারোপ ঠাকুরগাঁও পৌরঃ উপনির্বাচনে সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে জয়লাভ করেছেন ফারজানা আক্তার পাখি তীব্র গরমে যখন বাংলাদেশ উত্তপ্ত সিলেট এত শীতল কেন ফিলিস্তিনি গণহত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণপাড়ায় মানববন্ধন তীব্র গরমে ছাতা,জুস নিয়ে শ্রমিক ও ভ্যান চালকদের পাশে সমাজ সেবক সুজন ভান্ডারিয়া হাসপাতালের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইনচার্জের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ গোপালপুর ইউনিয়নে উপনির্বাচনে মোঃ লিটন মোল্যা চেয়ারম্যান নির্বাচিত নেত্রকোনায় আচরনবিধি লংঘনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন সাগর থেকে রাঙ্গাবালীতে ভেসে এসেছে রহস্যময়বস্তু মুখী নদীর পাড়ে মাদকের জমজমাট ব্যবসা।

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় ভাবির ওড়না পেঁচিয়ে দেবরের আত্মহত্যা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৩২:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩
  • ১৫৯৬ বার পড়া হয়েছে
বুড়িচং প্রতিনিধি। 
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ইয়াসিন সরকার নামে এক কলেজছাত্র। স্বজনদের ধারণা ইয়াসিন সরকার আত্মহত্যা করে নি তাকে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ জুন) মধ্যরাতে উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের শিদলাই ৮ নং ওয়ার্ড এলাকা থেকে ইয়াসিন সরকারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ইয়াসিন সরকার একই গ্রামের আবদুল কুদ্দুস সরকারের ছেলে। তিনি মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজের অনার্স ৩ম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
ইয়াসিন সরকারের মা নাজমা বেগম বলেন, আমার ছেলে পড়াশোনার পাশাপাশি গ্রামের বাজারে মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান চালাইতো। সেখানে রাতে থাকতো। একদিন আমার ছেলে আমায় বলে মা আমার দোকানে ভয় লাগে। পরে সে ঘরে থাকতো। সে বেশ কিছু দিন যাবৎ ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমাইতেন। ঘুমের ঔষধ খাওয়া নিয়ে আমি তাকে গালমন্দ করি। তখন সে আমায় বলে তাকে আমি অপমান করছি কেন? তখন আমি আর কিছু বলি নি। আমার বড় ছেলে বউরা তাকে গোসল ও খাওয়া ডাওয়া করান। রাত আনুমানিক ২ টার সময় আমার ছোট ছেলে বাহিরে যাবে আমায় ডাকতেছিলো। তখন আমি ঘুম থেকে উঠে যায়। বাহির থেকে আাসার পর ইয়াসিন যে রুমে ঘুমায়। আমি দরজার ফাঁক দিয়ে দেখি আমার ছেলে ঘরের তীরের সঙ্গে ঝুলে আছে। আমার চিৎকার চেঁচামেছিস শুনে আমার স্বামী ও ছেলের বউরা দৌড়ে ছুটে আসে। আমরা সবাই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার স্যার বলে আমার ছেলে মারা গেছে বাবা। আমি আর কিছু জানি না।
নিহত ইয়াসিনের ভাবি বলেন, আমাদের সঙ্গে তো কোন কিছু নিয়ে ঝগড়া নাই। সে অনেক সময় ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমাইতেন। আমরা জিগাসা করলে কিছু বলতেন না শুধু বলতেন ভালা লাগে না তার। ওড়না পেঁচিয়ে মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভেজা ওড়না রুমে শুকানোর জন্য রুমে দেওয়া ছিলো। এটা কেন করেছে তা আমরা জানি না।  আমরা তাকে ছোট ভাই হিসাবে দেখতাম।
ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল জানান, লাশের সোরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্থান্তর করা হবে। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা এখনো জানা যায়নি। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবি মেসডার সভাপতি শিমুল, সম্পাদক মোতালেব 

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় ভাবির ওড়না পেঁচিয়ে দেবরের আত্মহত্যা

আপডেট সময় ০৯:৩২:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩
বুড়িচং প্রতিনিধি। 
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ইয়াসিন সরকার নামে এক কলেজছাত্র। স্বজনদের ধারণা ইয়াসিন সরকার আত্মহত্যা করে নি তাকে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ জুন) মধ্যরাতে উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের শিদলাই ৮ নং ওয়ার্ড এলাকা থেকে ইয়াসিন সরকারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ইয়াসিন সরকার একই গ্রামের আবদুল কুদ্দুস সরকারের ছেলে। তিনি মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজের অনার্স ৩ম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
ইয়াসিন সরকারের মা নাজমা বেগম বলেন, আমার ছেলে পড়াশোনার পাশাপাশি গ্রামের বাজারে মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান চালাইতো। সেখানে রাতে থাকতো। একদিন আমার ছেলে আমায় বলে মা আমার দোকানে ভয় লাগে। পরে সে ঘরে থাকতো। সে বেশ কিছু দিন যাবৎ ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমাইতেন। ঘুমের ঔষধ খাওয়া নিয়ে আমি তাকে গালমন্দ করি। তখন সে আমায় বলে তাকে আমি অপমান করছি কেন? তখন আমি আর কিছু বলি নি। আমার বড় ছেলে বউরা তাকে গোসল ও খাওয়া ডাওয়া করান। রাত আনুমানিক ২ টার সময় আমার ছোট ছেলে বাহিরে যাবে আমায় ডাকতেছিলো। তখন আমি ঘুম থেকে উঠে যায়। বাহির থেকে আাসার পর ইয়াসিন যে রুমে ঘুমায়। আমি দরজার ফাঁক দিয়ে দেখি আমার ছেলে ঘরের তীরের সঙ্গে ঝুলে আছে। আমার চিৎকার চেঁচামেছিস শুনে আমার স্বামী ও ছেলের বউরা দৌড়ে ছুটে আসে। আমরা সবাই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার স্যার বলে আমার ছেলে মারা গেছে বাবা। আমি আর কিছু জানি না।
নিহত ইয়াসিনের ভাবি বলেন, আমাদের সঙ্গে তো কোন কিছু নিয়ে ঝগড়া নাই। সে অনেক সময় ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমাইতেন। আমরা জিগাসা করলে কিছু বলতেন না শুধু বলতেন ভালা লাগে না তার। ওড়না পেঁচিয়ে মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভেজা ওড়না রুমে শুকানোর জন্য রুমে দেওয়া ছিলো। এটা কেন করেছে তা আমরা জানি না।  আমরা তাকে ছোট ভাই হিসাবে দেখতাম।
ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল জানান, লাশের সোরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্থান্তর করা হবে। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা এখনো জানা যায়নি। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।