নিজস্ব সংবাদ : 
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণ প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত দীর্ঘদিনের পলাতক দন্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাছব জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
ধৃত আসামীদ্বয় ঝিনাইদহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। গত ১৯ আগষ্ট ২০২৩ইং তারিখ রাত অনুমান ০১.১০ ঘটিকার সময় ভিকটিম আসলাম কালীগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ড হতে রাখাল গাছির উদ্দেশ্যে রওনা করিলে কালীগঞ্জ থানার বাবরা গ্রামস্থ কল্যানপুর ব্রীজের পাশে ফাকা রাস্তায় ধৃত আসামীদ্বয়সহ ডাকাত দলের অন্যান্য সদস্যরা রাস্তার মাঝে রশি ও গাছ দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে ভিকটিমের মটরসাইকেলের গতিরোধ করে। ভিকটিম নিজের মোটর সাইকেল ঘুরিয়ে পালানোর সময় রাস্তার দুই পাশ থেকে ধৃত আসামীদ্বয়সহ সহযোগীরা এসে রামদা ও হাসুয়া দিয়ে খুন করার ভয় দেখিয়ে মোটরসাইকেলসহ টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়ে ভিকটিমের হাত-পা,মুখ ও চোখ বেধে পাশ্বর্বর্তী বাগানে ফেলে রেখে পূণরায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে রাস্তায় অবস্থান নেয়।
ভিকটিমের নিকটস্থ বন্ধু ভিকটিমের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে না পেরে নিকটস্থ থানায় গিয়ে পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ডাকাত সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ একজনকে ধৃত করে এবং ভিকটিমকে হাত-পা, চোখ ও মুখ বাধা অবস্থায় উদ্ধার করেন। উক্ত বিষয়ে ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল আত্মগোপনে থাকা সহযোগী আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে। পরবর্তীতে র্যাব তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সহযোগী আসামীদ্বয়ের অবস্থান নিশ্চিত করে।
