বাংলাদেশ ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
স্বৈরাচারি হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দোসররা সকলে পালিয়ে যায়নিঃ মাওলানা মোস্তফা কামাল মিরপুরে ২৪ ঘন্টার ব্যাবধানে ট্রেনে কাটা পড়ে দুইজনের মৃত্যু ময়নামতিতে ফরিজপুর এলাকাবাসীর উদ্যোগে মাদক বিরোধী র‍্যালি ছাত্রশিবিরের সাবেক ও বর্তমানের মিলন মেলা ভান্ডারিয়ায় শারদীয় দুর্গাপুজা উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত নতুন ঠিকানায় ইসলামী ব্যাংকের ভান্ডারিয়া শাখা হিজলায় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকরা ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন। অসহায় মানুষের পাশে স্বপ্নের অংকুর যুব সংগঠন। ব্রাহ্মণপাড়ায় পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু জিকো হত্যা মামলার পলাতক আসামী সোহেল শেখকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। সিলেটে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির ঐতিহ্য দীর্ঘকালের : কাইয়ুম চৌধুরী শারদীয় দুর্গাপূজায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় আনসার ও ভিডিপি সদস্যা যাচাই-বাছাই ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের সাথে কুবি উপাচার্যের মতবিনিময় ঝালকাঠির নলছিটি পৌর এলাকার ভাঙাচোড়া সড়কের সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন নাটোরের বাগাতিপাড়ার ভূমি দস্যু আসামি সাবেক সেনা সার্জেন্ট আলাউদ্দিন কারাগারে।

রাজাপুরে শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে ‌ মন্ডবগুলিতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৩৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৬১৪ বার পড়া হয়েছে

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা। এবার দেবীর ঘোড়ায় আগমন ঘোড়াই গমন। আগামী ২০ অক্টোবর শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দূর্গাপূজা। এ বছর রাজাপুর উপজেলায় ২২ টি পুজা মন্ডবে দুর্গা উৎসবের পুরোদমে প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষ। চলছে প্রতিমায় রং তুলির আঁচর। শেষ মুহুর্তে প্রতিমা শিল্পীরা (গুণরাজ) ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

 

আগামী ২০ অক্টোবর শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দূর্গাপূজা। ৫ দিন ব্যাপী দুর্গোৎসব পালনে উপজেলার ২২ টি পুজা মন্ডপে প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষ। অন্যদিকে নতুন পোশাক কিনে অপেক্ষায় থাকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।এই সময়টা আলাদা ভাবে কাটানোর জন্য সারাবছর ধরেই তারা পরিকল্পনা করতে থাকে। গুণরাজ গৌরাঙ্গ পাল ও রবি পাল বলেন, প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। এখন রং তুলির কাজ করছি।

 

রাজাপুর বন্দর সর্বজনীন শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দিরের পুরোহিত শ্রী কঞ্জন কান্তি চক্রবর্তী বলেন, শাস্ত্রমতে, দুর্গা যদি ঘোটকে চড়ে আসেন এবং ঘোটকে বিদায় নেন তবে তার ফল ‘ছত্র ভঙ্গ স্তুরঙ্গমে’ অর্থাৎ সামাজিক, রাজনৈতিক ও যুদ্ধ সংক্রান্ত অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়।  কথায় একে বলা হয় ‘ছত্রভঙ্গম।

 

এ বিষয়ে রাজাপুর পূজা উদযাপন পরিষদের রাজাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি এ্যাড সঞ্জিব কুমার বিশ্বাস বলেন, আমরা উপজেলার সকল পূজা মন্ডপের খোজ খবর রাখছি, সুবিধা অসুবিধা শুনে সেই মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছি। এবার আমাদের দেবী দুর্গা আসবেন “ঘোটক” অর্থাৎ ঘোড়ায় চড়ে।

 

রাজাপুর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোপাল কর্মকার বলেন, আমাদের প্রস্তুতি শেষের পথে। শিল্পীরা তাদের সকল কিছু নিয়ে প্রতিমাকে তার রুপ দিতে সকাল থেকে রাত অবদি ব্যস্ত সময় পার করছে। এবছর রাজাপুরের ২২ টি পূজা মন্ডপের সাতুরিয়ায় ৬ টি, শুক্তাগরে ৭ টি, রাজাপুরে ৪ টি, গালুয়ায় ২ টি, মঠবাড়িতে ৩ টি অবস্থিত। এরমধ্যে ৮ টি পূজা উদযাপন করার জন্য অস্থায়ী ভাবে বানানো হয়েছে।  ইতোমধ্যে অনেকগুলোয় তারা দেবীর রুপ ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। সকল ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা সামাল দিতে উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংশ্লিষ্ট সকলের উপস্থিতিতে প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন করেছে। পূজা মন্ডপের এলাকা গুলোতে তাদের তৎপরতাও বৃদ্ধি করা হয়েছে।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার আর কয়েকদিন বাকি। বাংলাদেশ সরকার থেকে দেওয়া নির্দেশনা ইতোমধ্যে তাদের আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজাপুরের ২২ টি মন্ডপের ৪ টিকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ, ৫ টিকে গুরুত্বপূর্ণ এবং বাকিগুলো সাধারণের তালিকায় রেখে সেই অনুযায়ী নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্বৈরাচারি হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দোসররা সকলে পালিয়ে যায়নিঃ মাওলানা মোস্তফা কামাল

রাজাপুরে শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে ‌ মন্ডবগুলিতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

আপডেট সময় ০৫:৩৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা। এবার দেবীর ঘোড়ায় আগমন ঘোড়াই গমন। আগামী ২০ অক্টোবর শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দূর্গাপূজা। এ বছর রাজাপুর উপজেলায় ২২ টি পুজা মন্ডবে দুর্গা উৎসবের পুরোদমে প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষ। চলছে প্রতিমায় রং তুলির আঁচর। শেষ মুহুর্তে প্রতিমা শিল্পীরা (গুণরাজ) ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

 

আগামী ২০ অক্টোবর শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দূর্গাপূজা। ৫ দিন ব্যাপী দুর্গোৎসব পালনে উপজেলার ২২ টি পুজা মন্ডপে প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষ। অন্যদিকে নতুন পোশাক কিনে অপেক্ষায় থাকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।এই সময়টা আলাদা ভাবে কাটানোর জন্য সারাবছর ধরেই তারা পরিকল্পনা করতে থাকে। গুণরাজ গৌরাঙ্গ পাল ও রবি পাল বলেন, প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। এখন রং তুলির কাজ করছি।

 

রাজাপুর বন্দর সর্বজনীন শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দিরের পুরোহিত শ্রী কঞ্জন কান্তি চক্রবর্তী বলেন, শাস্ত্রমতে, দুর্গা যদি ঘোটকে চড়ে আসেন এবং ঘোটকে বিদায় নেন তবে তার ফল ‘ছত্র ভঙ্গ স্তুরঙ্গমে’ অর্থাৎ সামাজিক, রাজনৈতিক ও যুদ্ধ সংক্রান্ত অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়।  কথায় একে বলা হয় ‘ছত্রভঙ্গম।

 

এ বিষয়ে রাজাপুর পূজা উদযাপন পরিষদের রাজাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি এ্যাড সঞ্জিব কুমার বিশ্বাস বলেন, আমরা উপজেলার সকল পূজা মন্ডপের খোজ খবর রাখছি, সুবিধা অসুবিধা শুনে সেই মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছি। এবার আমাদের দেবী দুর্গা আসবেন “ঘোটক” অর্থাৎ ঘোড়ায় চড়ে।

 

রাজাপুর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোপাল কর্মকার বলেন, আমাদের প্রস্তুতি শেষের পথে। শিল্পীরা তাদের সকল কিছু নিয়ে প্রতিমাকে তার রুপ দিতে সকাল থেকে রাত অবদি ব্যস্ত সময় পার করছে। এবছর রাজাপুরের ২২ টি পূজা মন্ডপের সাতুরিয়ায় ৬ টি, শুক্তাগরে ৭ টি, রাজাপুরে ৪ টি, গালুয়ায় ২ টি, মঠবাড়িতে ৩ টি অবস্থিত। এরমধ্যে ৮ টি পূজা উদযাপন করার জন্য অস্থায়ী ভাবে বানানো হয়েছে।  ইতোমধ্যে অনেকগুলোয় তারা দেবীর রুপ ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। সকল ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা সামাল দিতে উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংশ্লিষ্ট সকলের উপস্থিতিতে প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন করেছে। পূজা মন্ডপের এলাকা গুলোতে তাদের তৎপরতাও বৃদ্ধি করা হয়েছে।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার আর কয়েকদিন বাকি। বাংলাদেশ সরকার থেকে দেওয়া নির্দেশনা ইতোমধ্যে তাদের আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজাপুরের ২২ টি মন্ডপের ৪ টিকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ, ৫ টিকে গুরুত্বপূর্ণ এবং বাকিগুলো সাধারণের তালিকায় রেখে সেই অনুযায়ী নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।