বাংলাদেশ ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
স্বৈরাচারি হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দোসররা সকলে পালিয়ে যায়নিঃ মাওলানা মোস্তফা কামাল মিরপুরে ২৪ ঘন্টার ব্যাবধানে ট্রেনে কাটা পড়ে দুইজনের মৃত্যু ময়নামতিতে ফরিজপুর এলাকাবাসীর উদ্যোগে মাদক বিরোধী র‍্যালি ছাত্রশিবিরের সাবেক ও বর্তমানের মিলন মেলা ভান্ডারিয়ায় শারদীয় দুর্গাপুজা উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত নতুন ঠিকানায় ইসলামী ব্যাংকের ভান্ডারিয়া শাখা হিজলায় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকরা ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন। অসহায় মানুষের পাশে স্বপ্নের অংকুর যুব সংগঠন। ব্রাহ্মণপাড়ায় পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু জিকো হত্যা মামলার পলাতক আসামী সোহেল শেখকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। সিলেটে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির ঐতিহ্য দীর্ঘকালের : কাইয়ুম চৌধুরী শারদীয় দুর্গাপূজায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় আনসার ও ভিডিপি সদস্যা যাচাই-বাছাই ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের সাথে কুবি উপাচার্যের মতবিনিময় ঝালকাঠির নলছিটি পৌর এলাকার ভাঙাচোড়া সড়কের সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন নাটোরের বাগাতিপাড়ার ভূমি দস্যু আসামি সাবেক সেনা সার্জেন্ট আলাউদ্দিন কারাগারে।

আইইএলটিএস পাস করলেই ১৫-২০ লাখ টাকার চুক্তিভিত্তিক বিয়ে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৩৯:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৬৩৫ বার পড়া হয়েছে
রনি মিয়া, স্টাফ রিপোর্টারঃ
সুনামগঞ্জ জেলার প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলায় তরুণ-তরুণীদের মধ্যে ইউরোপযাত্রার হিড়িক পড়েছে।
উচ্চশিক্ষার নামে আইই এলটিএস পাস করে স্টুডেন্ট ভিসার পাশাপাশি কেয়ার ভিসাতেও তাঁরা পাড়ি জমাচ্ছেন যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ সত্যিকারের বিয়ে, আবার কেউ কেউ কন্ট্রাক্ট ম্যারেজে (চুক্তিতে বিয়ে) ইউরোপ যাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোক যুক্তরাজ্যপ্রবাসী। স্থানীয়ভাবে লন্ডনপ্রবাসী হিসেবে পরিচিত। একসময় লন্ডনপ্রবাসী ছেলে কিংবা মেয়েকে আত্মীস্বজনদের কেউ বিয়ে করে এই উপজেলার অনেকেই লন্ডন যেতেন।
পরে এ ধরনের বিয়েতে বর-কনের সম্মতি না থাকায় দিন দিন হ্রাস পায় লন্ডনযাত্রা। বর্তমানে আইইএলটিএস পাস করে উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে স্টুডেন্ট ভিসায় লন্ডন পাড়ি জমানোর চল শুরু হয়েছে। সঙ্গে স্বামী বা স্ত্রীকে স্পাউস ভিসায় নিয়ে যাওয়ার সুযোগকেও কাজে লাগাচ্ছেন তাঁরা। 
এইচ এসসির পর আইই এলটি এসে নির্ধারিত পয়েন্ট অর্জন করে পাড়ি দিচ্ছেন লন্ডনে। এতে কলেজের ভর্তি ফিসহ থাকা খাওয়ার খরচ ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা পড়ে। অন্যদিকে উচ্চশিক্ষা ছাড়াও আইইএলটিএস পাস করে কেয়ার ভিসায় যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমাচ্ছেন অনেকে।
এতে খরচ হয় প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা। এই ব্যয় সুরাহা করতে কেউ কেউ কন্ট্রাক্টে, আবার অনেকে সত্যিকারের বিয়ে করছেন। বিয়ের সময় কনে কিংবা ছেলে পক্ষের কাছ থেকে খরচের সমুদয় টাকা নেওয়া হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইইএলটিএস পাস তরুণীকে বিয়ে করে লন্ডনে যাওয়া এক তরুণ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আইইএলটিএস কনে এখন সোনার হরিণ! কেউ তো আর চাইলেই ২০-২২ লাখে লন্ডন আসতে পারবে না। তাই আইইএলটিএস পাস করা কনেকে বিয়ে করে লন্ডনে এসেছি। এতে আমার প্রায় ৩০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক তরুণ বলেন, ‘আমার পরিবার আর্থিকভাবে দুর্বল থাকায় আইইএলটিএস পাস করেও লন্ডন যেতে পারছি না।
তাই বিয়ে করার চিন্তা করছি, অনেকেই যোগাযোগ করছেন; বলছেন তাঁরা কনে পক্ষ থেকে ১০-১৫ লাখ দেবেন। কিন্তু সব মিলিয়ে ৩০ লাখ টাকার প্রয়োজন। তাই ভাবছি ২০ লাখের কনে পেলে রাজি হয়ে যাব।
জগন্নাথপুর উপজেলা নাগরিক ফোরামের আহ্বায়ক নুরুল হক বলেন, একসময় চাচাতো-খালাতো ভাইবোনের মধ্যে উভয় পরিবারের অভিভাবকদের সম্মতিতে বিয়ের মাধ্যমে লন্ডন যেতেন।
পরিবেশের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে এ ধরনের বিয়ে এখন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। নতুন করে স্টুডেন্ট ও কেয়ার ভিসায় বিয়ের মাধ্যমে তরুণ-তরুণীকে লন্ডন যাওয়ার চল শুরু হয়েছে।যার ফলে আইইএলটিএস পাস বর-কনেরা ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা নিয়ে বিবাহ করছেন। স্পাউস ভিসায় (ডিপেনডেন্ড) স্বামী বা স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে লন্ডনে যাচ্ছেন।
যুক্তরাজ্যের আবদুল করিম গণি বলেন, সাম্প্রতিক কালে স্টুডেন্ট ও কেয়ার ভিসায় যুক্তরাজ্যে এসে অনেক তরুণ-তরুণী বিপাকে পড়েছেন। এসব ভিসায় এসে কর্মসংস্থানের সুযোগ না পেয়ে বেকায়দায় আছেন অনেকে। কেউ কেউ আবার লন্ডন থেকে পালিয়ে ইউরোপের অন্য দেশগুলোতে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন।
পাসপোর্টের তথ্য যাচাইকারী ডিএসবির জগন্নাথপুর উপজেলার দায়িত্বে থাকা উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) আল-আমিন বলেন, দুই বছর ধরে এ উপজেলায় প্রতি মাসে গড়ে ৫০০ নতুন পাসপোর্ট হচ্ছে। এর মধ্যে শতকরা ৮৫ ভাগেই তরুণ-তরুণী এবং তাঁরা পেশায় শিক্ষার্থী।
জনপ্রিয় সংবাদ

স্বৈরাচারি হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দোসররা সকলে পালিয়ে যায়নিঃ মাওলানা মোস্তফা কামাল

আইইএলটিএস পাস করলেই ১৫-২০ লাখ টাকার চুক্তিভিত্তিক বিয়ে

আপডেট সময় ০৯:৩৯:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩
রনি মিয়া, স্টাফ রিপোর্টারঃ
সুনামগঞ্জ জেলার প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলায় তরুণ-তরুণীদের মধ্যে ইউরোপযাত্রার হিড়িক পড়েছে।
উচ্চশিক্ষার নামে আইই এলটিএস পাস করে স্টুডেন্ট ভিসার পাশাপাশি কেয়ার ভিসাতেও তাঁরা পাড়ি জমাচ্ছেন যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ সত্যিকারের বিয়ে, আবার কেউ কেউ কন্ট্রাক্ট ম্যারেজে (চুক্তিতে বিয়ে) ইউরোপ যাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোক যুক্তরাজ্যপ্রবাসী। স্থানীয়ভাবে লন্ডনপ্রবাসী হিসেবে পরিচিত। একসময় লন্ডনপ্রবাসী ছেলে কিংবা মেয়েকে আত্মীস্বজনদের কেউ বিয়ে করে এই উপজেলার অনেকেই লন্ডন যেতেন।
পরে এ ধরনের বিয়েতে বর-কনের সম্মতি না থাকায় দিন দিন হ্রাস পায় লন্ডনযাত্রা। বর্তমানে আইইএলটিএস পাস করে উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে স্টুডেন্ট ভিসায় লন্ডন পাড়ি জমানোর চল শুরু হয়েছে। সঙ্গে স্বামী বা স্ত্রীকে স্পাউস ভিসায় নিয়ে যাওয়ার সুযোগকেও কাজে লাগাচ্ছেন তাঁরা। 
এইচ এসসির পর আইই এলটি এসে নির্ধারিত পয়েন্ট অর্জন করে পাড়ি দিচ্ছেন লন্ডনে। এতে কলেজের ভর্তি ফিসহ থাকা খাওয়ার খরচ ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা পড়ে। অন্যদিকে উচ্চশিক্ষা ছাড়াও আইইএলটিএস পাস করে কেয়ার ভিসায় যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমাচ্ছেন অনেকে।
এতে খরচ হয় প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা। এই ব্যয় সুরাহা করতে কেউ কেউ কন্ট্রাক্টে, আবার অনেকে সত্যিকারের বিয়ে করছেন। বিয়ের সময় কনে কিংবা ছেলে পক্ষের কাছ থেকে খরচের সমুদয় টাকা নেওয়া হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইইএলটিএস পাস তরুণীকে বিয়ে করে লন্ডনে যাওয়া এক তরুণ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আইইএলটিএস কনে এখন সোনার হরিণ! কেউ তো আর চাইলেই ২০-২২ লাখে লন্ডন আসতে পারবে না। তাই আইইএলটিএস পাস করা কনেকে বিয়ে করে লন্ডনে এসেছি। এতে আমার প্রায় ৩০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক তরুণ বলেন, ‘আমার পরিবার আর্থিকভাবে দুর্বল থাকায় আইইএলটিএস পাস করেও লন্ডন যেতে পারছি না।
তাই বিয়ে করার চিন্তা করছি, অনেকেই যোগাযোগ করছেন; বলছেন তাঁরা কনে পক্ষ থেকে ১০-১৫ লাখ দেবেন। কিন্তু সব মিলিয়ে ৩০ লাখ টাকার প্রয়োজন। তাই ভাবছি ২০ লাখের কনে পেলে রাজি হয়ে যাব।
জগন্নাথপুর উপজেলা নাগরিক ফোরামের আহ্বায়ক নুরুল হক বলেন, একসময় চাচাতো-খালাতো ভাইবোনের মধ্যে উভয় পরিবারের অভিভাবকদের সম্মতিতে বিয়ের মাধ্যমে লন্ডন যেতেন।
পরিবেশের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে এ ধরনের বিয়ে এখন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। নতুন করে স্টুডেন্ট ও কেয়ার ভিসায় বিয়ের মাধ্যমে তরুণ-তরুণীকে লন্ডন যাওয়ার চল শুরু হয়েছে।যার ফলে আইইএলটিএস পাস বর-কনেরা ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা নিয়ে বিবাহ করছেন। স্পাউস ভিসায় (ডিপেনডেন্ড) স্বামী বা স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে লন্ডনে যাচ্ছেন।
যুক্তরাজ্যের আবদুল করিম গণি বলেন, সাম্প্রতিক কালে স্টুডেন্ট ও কেয়ার ভিসায় যুক্তরাজ্যে এসে অনেক তরুণ-তরুণী বিপাকে পড়েছেন। এসব ভিসায় এসে কর্মসংস্থানের সুযোগ না পেয়ে বেকায়দায় আছেন অনেকে। কেউ কেউ আবার লন্ডন থেকে পালিয়ে ইউরোপের অন্য দেশগুলোতে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন।
পাসপোর্টের তথ্য যাচাইকারী ডিএসবির জগন্নাথপুর উপজেলার দায়িত্বে থাকা উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) আল-আমিন বলেন, দুই বছর ধরে এ উপজেলায় প্রতি মাসে গড়ে ৫০০ নতুন পাসপোর্ট হচ্ছে। এর মধ্যে শতকরা ৮৫ ভাগেই তরুণ-তরুণী এবং তাঁরা পেশায় শিক্ষার্থী।