রিয়াদ মাহমুদ সিকদার, কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি।
পিরোজপুরের কাউখালীতে সবজির দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাহিরে চলে গেছে। সোমবার (২৩ অক্টোবর) কাউখালী সদরের হাটের দিনে ঘুরে দেখা গেছে, সবজি সহ প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। মানুষ বাজার করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে।
অনেকে আবার বাজার করতে এসে সামর্থ্য না থাকায় খালি ব্যাগ নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছে। প্রতি কেজি বেগুন ১০০ টাকা, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা দরে, প্রতি কেজি করলা ৮০ টাকা, মূলা ৬০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, সিমি ১৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, শালগম ৮০ টাকা, কচুর গানটি ৭০ টাকা, ঢেঁড়োশ ৬০ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা, ঝিঙ্গা ৫০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, প্রতিপিস লাউ ৭০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে ফার্মের ডিম এক হালি ৫০ টাকা, দেশি হাস মুরগির ডিম ৭০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। বয়লার মুরগি ২০০ টাকা, সোনালি মুরগির ৩৫০ টাকা, গরুর মাংস ৮০০ ও খাসির মাংস ১০০০ টাকা করে কেজি বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচামাল ব্যবসায়ী মোঃ মানিক বলেন, বাজারে সবজি সরবরাহ কম থাকায় দাম একটু বেশি। সবজি বাজারে সরবরাহ বাড়লে দাম কমে যাবে, সবজি ব্যবসায়ী আল-আমিন হোসেন বলেন, বৃষ্টি যদি না পড়ে তাহলে কিছুদিনের ভিতরে সবজি সরবরাহ বেড়ে যাবে। বাজারদর অস্বাভাবিক হওয়ায় মধ্যবিত্ত পরিবারেরা হতাশায় ভুগছে। সাধারণ ক্রেতা দিনমজুর শুকুর আলী আক্ষেপ করে বলেন আমাদের মত সাধারন মানুষের পক্ষে বাজার করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। যে টাকা রোজগার করি তার চেয়ে বাজার দর অনেক গুণ বেশি।
সাধারণ ক্রেতারা বলেন, বাজারে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার না করলে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা বলেন, বাজারে মনিটরিং জোরদার করা হবে এবং কোন অসাধু ব্যবসায়ী যদি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্যর দাম বেশি দামে বিক্রি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।