সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ভাটি এলাকার ব্যাবসার প্রাণকেন্দ্র সাচনা বাজার। আর সেই বাজারের কয়েকটি রাস্তার মুখেই যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে ময়লা আর্বজনা।
এই ময়লা আর্বজনার দুর্গন্ধে আশেপাশের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে এতে পথচারীদের পড়তে হচ্ছে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে। ময়লা আর্বজনা ফেলার কারণে ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে ফলে দুর্গন্ধে নাকে রুমাল চেপে বাজারে প্রবেশ করতে হচ্ছে স্হানীয়দের। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি আর্বজনা ফেলার ডাম্পিং না থাকায় বাধ্য হয়ে তারা কম্পানি ঘাটে রাস্তার ধারে আর্বজনা ফেলছে।
সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, সাচনা বাজারের কম্পানী ঘাট, চৌধুরী ঘাট, লঞ্চ ঘাট. বিভিন্ন যায়গায় ময়লা স্তুূপ রয়েছে। শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। ময়লা-আবর্জনার স্তুপ থেকে আসা দুর্গন্ধ ও অস্বাস্থ্যকর, নোংরা পরিবেশের মধ্যে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পথচারীরা।
বিনয় ভূষণ দাসঁ নামে এক পথচারী বলেন, সাচনা বাজার এলাকায় নির্ধারিত ময়লা-আবর্জনা ফেলার কোন ডাম্পিং স্পট না থাকায় ময়লা-আবর্জনা রাখার কারণে তাদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
পথচারী মিলন মিয়া বলেন, এই বাজারে অনেক মালামাল তুলা হয় এই ঘাট দিয়ে ময়লার কারণে লেবারদের সমস্যা হয় ময়লা দুর্গন্ধ সাচন বাজার ঐতিহ্যবাহী বাজার যদি নির্দিষ্ট স্হান হয় তাহলে ভালো হয়। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বাজারে ময়লা-আর্বজনা গুলো রাস্তার পাশে ফেলে চলে যায়।
সাচনা বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদ আল আজাদ বলেন, রাস্তার পাশে ময়লা-আবর্জনা রাখা এটা মোটেও কাম্য নয়, তবে সাচনা বাজারে নির্ধারিত ময়লা-আবর্জনা ফেলার ডাম্পিং স্পট থাকলে এই সমস্যা সৃষ্টি হত না। ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য একটি ডাম্পিং স্পট তৈরি করা দরকার। কিন্তু এটি তৈরি করার মত টাকা আমাদের হাতে নাই। এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি ডাম্পিং স্পট তৈরি করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাই।
জাভালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিশ্বজিত দেব বলেন, এটি একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার দীর্ঘ দিন থেকে এই সুনামগঞ্জ অঞ্চলের মধ্যে বানিজ্য কেন্দ্র হিসেবে ব্যাবহার করছে বিভিন্ন জায়গায় ময়লা ফেলানো হয়েছে পরিবেশ ঠিক থাকছে না সেটা দুটি কারণ ইজারাদার দোকান মালিক রয়েছে তাদের কে বার বার সর্ত করা হয়েছে আর্বজনা নিদ্রিষ্ঠ জায়গায় ফেলেন কেও যদি নির্দেশনা না মানে আমরা আইন প্রয়োগ করব।