বুড়িচং( কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তে সংলগ্ন রাজাপুর ইউনিয়নের শংকুচাইল এলাকার হায়দ্রাবাদ-নগর এলাকায় মাদক কারবারীদের গুলিতে নিহত সাংবাদিক মহিউদ্দিন নাঈম সরকারের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া আয়োজন করা হয়।
(১৩ এপ্রিল ২০২৩) বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের অলুয়া ও মনোহরপুর এলাকাবাসীর উদ্যোগে সাংবাদিক মহিউদ্দিন নাঈমের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে হাফিজিয়া ও এতিমখানা মাদ্রাসায় মিলাদ মাহফিল ও ঈফতার, দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও দক্ষিণ জেলা আ’লীগের সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম ভূইয়া। এসময় উপস্থিত ছিলেন মহিউদ্দিনের পিতা মোশাররফ হোসেন সরকার,সমাজ সেবক ফরিদ উদ্দিন মাস্টার,মোস্তাক ভূঁইয়া, জিয়া ভূঁইয়া, সাংবাদিক ও গীতিকবি আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়, সাংবাদিক মাহফুজ বাবু,সাংবাদিক ফয়েজ আহম্মেদ,আব্দুর হান্নান মেম্বার,উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু সাইদ সোহান,মহিউদ্দিন টিটু সহ মাদ্রাসার ছাত্ররা ও এলাকার মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, গত ২০২২ সালের ১৩ এপ্রিল (বুধবার) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তে সংলগ্ন রাজাপুর ইউনিয়নের শংকুচাইল এলাকার হায়দ্রাবাদ-নগর এলাকায় মহিউদ্দিন নাঈমকে গুলি করে পালিয়ে যায় মাদক কারবারিরা। পরে তাকে স্থানীয় দুই যুবক বিজিবির সহায়তায় উদ্ধার করে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তাঁর বাড়ি জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের অলুয়া গ্রামে।
পরে ১৪ এপ্রিল বিকেলে এ ঘটনায় নিহতের মা নাজমা আক্তার বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের রাজুকে প্রধান আসামি করে মোট তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
১৬ এপ্রিল রাতে কুমিল্লার গোলাবাড়ি সীমান্তে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন মামলার প্রধান আসামি রাজু।
সাংবাদিক মহিউদ্দিনে পিতা মোশাররফ হোসেন সরকার, মা নাজমা আক্তার বলেন,আমাদের ছেলেকে হত্যা করে মেরে ফেলেছে মাদক কারবারীরা। আজ একবছর পূর্ণ হয়েছে।ছেলে হত্যাকারীদের বিচার হবে এই জমিনেই,আল্লাহ কাছে এ কামনাই করি ছেলের হত্যার বিচার যেন দেখে যেতে পারি। আসামিদের ফাঁসি দাবি করেন পরিবার ও এলাকাবাসী।