বাংলাদেশ ০৭:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার আসামী নাজিবুল ইসলাম নাজিমকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। উল্লাপাড়ায় সড়ক দূর্ঘনায় ১ জনের মৃত্যু  আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করে ৫টি মোটরসাইকেল উদ্ধার সড়কে ধান মাড়াই,বিড়াম্বনায় পথচারিরা স্বপ্নীলকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে কুবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি দখলদারিত্ব নিয়ে দুই ই গ্রুপে সংঘর্ষ ছাত্রলীগের দুই নেতা বহিষ্কার। গাঁজাসহ ০৩ জন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। কাউখালীর ঐহিত্যবাহী শীতল পাটির কদর দেশ ছাড়িয়ে বিদেশে বাতিল নয় !হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে আপত্তি থাকলে ভুক্তভোগীরা আপত্তি জানাতে পারবেন। কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে শোকজ কোন রক্ত চক্ষুকে ভয় পাই না- আপনাদেরকে অভয় দিচ্ছি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হবে জনগনের ভালবাসায় এগিয়ে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী চায়না খানম কালকিনিতে প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল ইসলাম নন্দীগ্রামে মাদ্রাসার অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচন বানচাল করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ভ্রাম্যমাণ যৌন কর্মীদের কাছ থেকে সাংবাদিক ও পুলিশ চাঁদা আদায়-১

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চার ইউপি সদস্যকে পেটালেন চেয়ারম্যান।

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:০৫:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২
  • ১৬৬৬ বার পড়া হয়েছে

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চার ইউপি সদস্যকে পেটালেন চেয়ারম্যান।

 

 

 

 

 

 

রুবেল ইসলাম ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ

রাসায়নিক সার বাইরে বিক্রির প্রতিবাদ করায় ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ায় ভাড়াটে লোক দিয়ে চার ইউপি সদস্যকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বনি আমিনের বিরুদ্ধে। আজ বৃস্প্রতিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরের ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে এ ঘটনা ঘটে। তবে চার ইউপি সদস্যকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান।

 

 

 

 

 

 

চার ইউপি সদস্যের বরাতে জানা যায়, কয়েকদিন আগে কৃষকরা রাসায়নিক সার নিতে আসলে চেয়ারম্যান তখন তাদের বলেন, এই তোরা বাংলাদেশ না পাকিস্তান (আওয়ামী লীগ- বিএনপি) আওয়ামী লীগ হলে সার দিচ্ছে আর বিএনপি হলে চলে সার না দিয়ে চলে যেতে বলেন। চেয়ারম্যান তার নেতাকর্মীদের ২০-৩০টা করে সারের বস্তা দিচ্ছে বাইরে বিক্রি করার জন্য। এতে তিনি বস্তা প্রতি ৩০০ টাকা করে পান। আমরা তখন প্রতিবাদ করি। আজ আমাদের ভিজিডি কার্ড বিতরণের মিটিং ছিলো। আমরা সেই মিটিং এ অংশ নিতে গিয়ে দেখি চেয়ারম্যান তার কিছু নেতাকর্মী নিয়ে বসে আছেন।

 

 

 

 

 

 

 

এসময় সাদ্দাম, রশিদুল, তুষার, মিন্টু সহ আরো কয়েকজন আমাদের কে বলে এই তোরা এখানে কেন আসছিস? বের হও পরিষদ থেকে। একথা বলতে বলতে তারা চেয়ারম্যান ও সচীবের সামনেই আমাদের মারধর করে বের করে দেয়। অন্যদিকে গেল জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান বনি আমিন তার পছন্দের প্রার্থী মোশারুল ইসলাম সরকারকে ভোট দিতে বলেন। আমরা আমাদের পছন্দের প্রার্থী দেবাশীষ দত্ত সমীরকে ভোট দিলে তিনি আমাদের খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করে বলেন ওই টোকাই’র (দেবাশীষ দত্ত সমীর) বাচ্চাকে তোদের কে ভোট দিতে বলেছে।

 

 

 

 

 

 

 

তখন থেকেই তিনি ইউপি সদস্যদের সাথে খারাপ আচরণ করে আসছেন। ইউপি সদস্য হাফিজুল জানায়, জনগণ সার পাইনা,পরিষদে এসে ঘুরে যাচ্ছে আর চেয়ারম্যান তার লোক দিয়ে সকল প্রকাশ রাসায়নিক সার বাইরে বিক্রি করে দিচ্ছে। প্রতিবাদ করলেই তিনি লোক দিয়ে হুমকি-ধামকি দেয়। তিনিও যেমন জনপ্রতিনিধি আমরাও জনপ্রতিনিধি। চেয়ারম্যানের সামনেই আমাদের সন্ত্রাসীরা মারলো তিনি একটা কথাও বললো না। আমরা ইউএনও মহোদয় এর বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিবো। ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজহারুল ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমরা মেম্বাররা হুমকির মুখে আছি। বাইরের লোক এসে প্রভাব খাটাচ্ছে। চেয়ারম্যান কিছুই বলে না।

 

 

 

 

 

 

 

প্রতিবাদ করলেই তিনি বাইরে থেকে লোক এনে হুমকি দেয়। তিনিও খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করে আমাদের। আমরা কার কাছে বিচার চাইবো? কে আমাদের বিচার করবে? আরেক ইউপি সদস্য বাবুল হোসেন জানান, চেয়ারম্যান বনি আমিন কৃষকদের পাওয়া না রাসায়নিক সার তার লোক দিয়ে বাইরে বিক্রি করে দেয়। আমরা এর প্রতিবাদ করায় আজ সন্ত্রাসী দিয়ে আমাদের মারধর করে পরিষদ থেকে বের করে দেন। আমরা এর বিচার চাই।

 

 

 

 

 

 

তবে ভাড়াটে লোক দিয়ে ইউপি সদস্যদের মারধর ও সার বাইরে বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান বনি আমিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা। তারা আমার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রে নেমেছে। এব্যাপাররে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহের মোঃ শামসুজ্জামান বলেন, চার ইউপি সদস্যকে মারধরের ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

 

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার আসামী নাজিবুল ইসলাম নাজিমকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চার ইউপি সদস্যকে পেটালেন চেয়ারম্যান।

আপডেট সময় ০১:০৫:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২

 

 

 

 

 

 

রুবেল ইসলাম ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ

রাসায়নিক সার বাইরে বিক্রির প্রতিবাদ করায় ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ায় ভাড়াটে লোক দিয়ে চার ইউপি সদস্যকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বনি আমিনের বিরুদ্ধে। আজ বৃস্প্রতিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরের ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে এ ঘটনা ঘটে। তবে চার ইউপি সদস্যকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান।

 

 

 

 

 

 

চার ইউপি সদস্যের বরাতে জানা যায়, কয়েকদিন আগে কৃষকরা রাসায়নিক সার নিতে আসলে চেয়ারম্যান তখন তাদের বলেন, এই তোরা বাংলাদেশ না পাকিস্তান (আওয়ামী লীগ- বিএনপি) আওয়ামী লীগ হলে সার দিচ্ছে আর বিএনপি হলে চলে সার না দিয়ে চলে যেতে বলেন। চেয়ারম্যান তার নেতাকর্মীদের ২০-৩০টা করে সারের বস্তা দিচ্ছে বাইরে বিক্রি করার জন্য। এতে তিনি বস্তা প্রতি ৩০০ টাকা করে পান। আমরা তখন প্রতিবাদ করি। আজ আমাদের ভিজিডি কার্ড বিতরণের মিটিং ছিলো। আমরা সেই মিটিং এ অংশ নিতে গিয়ে দেখি চেয়ারম্যান তার কিছু নেতাকর্মী নিয়ে বসে আছেন।

 

 

 

 

 

 

 

এসময় সাদ্দাম, রশিদুল, তুষার, মিন্টু সহ আরো কয়েকজন আমাদের কে বলে এই তোরা এখানে কেন আসছিস? বের হও পরিষদ থেকে। একথা বলতে বলতে তারা চেয়ারম্যান ও সচীবের সামনেই আমাদের মারধর করে বের করে দেয়। অন্যদিকে গেল জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান বনি আমিন তার পছন্দের প্রার্থী মোশারুল ইসলাম সরকারকে ভোট দিতে বলেন। আমরা আমাদের পছন্দের প্রার্থী দেবাশীষ দত্ত সমীরকে ভোট দিলে তিনি আমাদের খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করে বলেন ওই টোকাই’র (দেবাশীষ দত্ত সমীর) বাচ্চাকে তোদের কে ভোট দিতে বলেছে।

 

 

 

 

 

 

 

তখন থেকেই তিনি ইউপি সদস্যদের সাথে খারাপ আচরণ করে আসছেন। ইউপি সদস্য হাফিজুল জানায়, জনগণ সার পাইনা,পরিষদে এসে ঘুরে যাচ্ছে আর চেয়ারম্যান তার লোক দিয়ে সকল প্রকাশ রাসায়নিক সার বাইরে বিক্রি করে দিচ্ছে। প্রতিবাদ করলেই তিনি লোক দিয়ে হুমকি-ধামকি দেয়। তিনিও যেমন জনপ্রতিনিধি আমরাও জনপ্রতিনিধি। চেয়ারম্যানের সামনেই আমাদের সন্ত্রাসীরা মারলো তিনি একটা কথাও বললো না। আমরা ইউএনও মহোদয় এর বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিবো। ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজহারুল ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমরা মেম্বাররা হুমকির মুখে আছি। বাইরের লোক এসে প্রভাব খাটাচ্ছে। চেয়ারম্যান কিছুই বলে না।

 

 

 

 

 

 

 

প্রতিবাদ করলেই তিনি বাইরে থেকে লোক এনে হুমকি দেয়। তিনিও খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করে আমাদের। আমরা কার কাছে বিচার চাইবো? কে আমাদের বিচার করবে? আরেক ইউপি সদস্য বাবুল হোসেন জানান, চেয়ারম্যান বনি আমিন কৃষকদের পাওয়া না রাসায়নিক সার তার লোক দিয়ে বাইরে বিক্রি করে দেয়। আমরা এর প্রতিবাদ করায় আজ সন্ত্রাসী দিয়ে আমাদের মারধর করে পরিষদ থেকে বের করে দেন। আমরা এর বিচার চাই।

 

 

 

 

 

 

তবে ভাড়াটে লোক দিয়ে ইউপি সদস্যদের মারধর ও সার বাইরে বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান বনি আমিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা। তারা আমার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রে নেমেছে। এব্যাপাররে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহের মোঃ শামসুজ্জামান বলেন, চার ইউপি সদস্যকে মারধরের ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।