বাংলাদেশ ১২:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মহাসড়কে পণ্যবাহী যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি চক্রের ১১ জনকে আটক করেছে র‌্যাব। শ্রীমঙ্গলে আড়াই বছরের প্রতিবন্ধী শিশুকে বিষ খাইয়ে হত্যা কালকিনিতে স্ত্রীর জন্য শিক্ষকদের কাছে ভোট চাওয়ার অভিযোগ সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাচন- ঠাকুরগাঁওয়ে প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা নব-নির্বাচিত ময়না চেয়ারম্যানকে গণসংবর্ধনা রাবি শিক্ষার্থী জিসানের শতাধিক নিরীক্ষাধর্মী ছবি নিয়ে একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী রাবি সায়েন্স ক্লাবের ” Win the Career Race” কর্মশালার আয়োজন অনিয়মের অভিযোগে ইটভাটায় অর্থদন্ড করে ভ্রাম্যমাণ আদালত রাবিতে শুরু হল দুই দিনব্যাপী আরিইউসিসি জব ফেয়ার কেন্দ্রীয় ম‌হিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠ‌নিক সৈয়দা রা‌জিয়া মোস্তফা’র পৈত্রিক বসতঘরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড যতদিন বাচবো মুলাদীর মানুষের সাথে থাকবো-মিঠু খান মির্জাগঞ্জের উপজেলা নির্বাচনে, প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটের মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা কয়রায় হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত আট বছরের ঘুমন্ত শিশুকে কোলে করে ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা নাগরপুরে নবনির্বাচিত শিক্ষক সমিতির নেতাদের সাথে মতবিনিময় করলেন – পান্না

সংঘবদ্ধ মলমপার্টি ও ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতাসহ মোট ৪৪ জন গ্রেফতার: অজ্ঞান ও ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত বিষাক্ত মলম ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র উদ্ধার।

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:২৫:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুন ২০২২
  • ১৭৫৭ বার পড়া হয়েছে

সংঘবদ্ধ মলমপার্টি ও ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতাসহ মোট ৪৪ জন গ্রেফতার: অজ্ঞান ও ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত বিষাক্ত মলম ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র উদ্ধার।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

র‌্যাবের অভিযানে রাজধানীর পল্টন, মতিঝিল, শাহবাগ ও খিলগাঁও এলাকা হতে সংঘবদ্ধ মলমপার্টি ও ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতাসহ মোট ৪৪ জন গ্রেফতার: অজ্ঞান ও ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত বিষাক্ত মলম ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র উদ্ধার।

 

এলিট ফোর্স হিসেবে র‌্যাব আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই আইনের শাসন সমুন্নত রেখে দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে অপরাধ চিহ্নিতকরণ, প্রতিরোধ, শান্তি ও জনশৃংখলা রক্ষায় কাজ করে আসছে। বর্তমান সময়ে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসী, প্রতারক চক্র, চাঁদাবাজ, ধর্ষণকারী, নৈরাজ্যকারী, বিভিন্ন মামলার আসামী, অপহরণকারী, মানব পাচারকারী, জালনোট ব্যবসায়ী এবং ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র‌্যাব সদা সচেষ্ট।

 

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী ও পথচারী অজ্ঞানপার্টি ও ছিনতাইকারী কবলে পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে জখমপ্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকেন। এসব ভুক্তভোগীদের বেশির ভাগই কোন আইন শৃংখলা বাহিনীর দারস্থ হয় না। ফলে সংঘবদ্ধ অজ্ঞানপার্টি ও ছিনতাইকারী চক্রের তৎপরতা দিন দিন বেপরোয়াভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অজ্ঞানপার্টি ও ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যদের প্রায় সকলেই মাদকাসক্ত। সাম্প্রতিককালে অজ্ঞানপার্টি ও ছিনতাইকারী চক্রের তৎপরতা বৃদ্ধির বিষয়টি ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হচ্ছে। ফলশ্রæতিতে র‌্যাব উক্ত অজ্ঞানপার্টি ও ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

 

 

এরই ধারাবাহিকতায় ০৭/০৬/২০২২ খ্রিঃ তারিখ সন্ধ্যা হতে রাত পর্যন্ত র‌্যাব-৩ এর কয়েকটি আভিযানিক দল একযোগে রাজধানীর পল্টন, মতিঝিল, শাহবাগ ও খিলগাঁও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অজ্ঞানপার্টি ও ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য ১। মোঃ মিজু (২২), পিতা-শাহআলম, সাং-বস্তল, থানা-সোনারগাঁও, জেলা-নারায়নগঞ্জ, ২। মোঃ উজ্জল (২৫), পিতা-শাহজাহান, সাং-বাটকাঠি, থানা-রাজাপুর, জেলা-ঝালকাঠী, ৩। স্বাধীন (২০), পিতা-শাহেদ, সাং-ভূইয়াপাড়া সাক্কু মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া, নাব্বা বাড়ী গলি, থানা-খিলগাঁও, ঢাকা, ৪। মোঃ  জিসান (২২), পিতা-মৃত সেলিম, সাং-শ্যামপুর, থানা-ভোলা সদর, জেলা-ভোলা, ৫। মোঃ মাসুদ (১৯), পিতা-মোঃ জাকির হোসেন, সাং-দুদুখানপাড়া, থানা-গোয়ালান্দ, জেলা-রাজবাড়ী, ৬। মোঃ রানা মিয়া (২৩), পিতা-মোঃ ফমর, সাং-অষ্টগ্রাম, থানা-অষ্টগ্রাম, জেলা-কিশোরগঞ্জ, ৭। মোঃ সোহেল মিয়া (২৬), পিতা-মোঃ শাহ আলম মিয়া, সাং-মুগসাইট, থানা-মুরাদনগর, জেলা-কুমিল্লা, ৮। মোঃ মাহফুজ শেখ (৩১), পিতা-সিদ্দিক শেখ, সাং-চিনঘড়ি, থানা-চিতলমারী, জেলা-বাগেরহাট, ৯। মোঃ আলামিন (৪২) পিতা-মোঃ ছাদেক শেখ, সাং-চিনঘড়ি, থানা-চিতলমারী, জেলা-বাগেরহাট, ১০। পংকজ কুমার ভৌমিক (৩৩), পিতা-মৃত অনিল চন্দ্র ভৌমিক, সাং-রামেশ্বরপুর, থানা-কবিরহাট, জেলা-নোয়াখালী, ১১। মোঃ বিল্লাল (৩৫), পিতা-মৃত আদম আলী মোল্লা, সাং-কালিশুরি, থানা-বাউফল, জেলা-পটুয়াখালী, ১২। আব্দুল হালিম (৩৮), পিতা-মৃত নূরু মিয়া, সাং-চৌধুরীপাড়া, থানা-রুপগঞ্জ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ, ১৩। জিসান @ শান্ত (২৩), পিতা-সাইদুর রহমান, সাং-চর মালাই, থানা-ডামুড্যা, জেলা-শরীয়তপুর, ১৪। মোঃ রাজিব মৃধা @ আশাদুল (২৬), পিতা-মোঃ ইউনুস মৃধা, সাং-রঘুনাথপুর, থানা-বাকেরগঞ্জ, জেলা-বরিশাল, ১৫। মোঃ শামীম (৩৫), পিতা-মোঃ আব্দুল করিম, সাং-সাত ভাইয়াপাড়া, থানা-সোনরগাঁও, জেলা-নারায়নগঞ্জ, ১৬। মেরাজ (২৮), পিতা-মৃত আক্তার হোসেন সরদার, সাং-ছালেনগর, থানা-বন্দর, জেলা-নারায়নগঞ্জ, ১৭। মোঃ সুমন (৩০), পিতা-মৃত আজাদ সরদার, সাং-শিববাড়ী, থানা-সোনাডাঙ্গা, জেলা-খুলনা, ১৮। মোঃ রিপন মোল্যা (৩২), পিতা-মৃত মনা মোল্যা, সাং-রানিয়ার কাইজার চর, থানা-মুন্সিগঞ্জ সদর, জেলা-মুন্সিগঞ্জ, ১৯। ফরহাদ (২২), পিতা-মোহাম্মদ আলী, সাং-জুরাইন রেলগেট, থানা-শ্যামপুর, ডিএমপি, ঢাকা, ২০। মোঃ রিংকু (৩৫), পিতা-মোঃ খোকন মিয়া, সাং-দেবরাজ, থানা-মোড়লগঞ্জ, জেলা-বাগেরহাট, ২১। মোঃ সজিব হোসেন(২০), পিতা-মৃত সিরাজ, সাং-ভাটিয়া, থানা-করিমগঞ্জ, জেলা-কিশোরগঞ্জ, ২২। মোঃ আরিফ হোসেন(১৮), পিতা-মোঃ সহিদুল ইসলাম, সাং-মোল্লাকান্দি, থানা-জাজিরা, জেলা-শরিয়তপুর, ২৩। মোঃ বেলাল হোসেন(১৮), পিতা-মোঃ নুর হোসেন, সাং-মানিকপুর, থানা-সায়েদাগঞ্জ, জেলা-হবিগঞ্জ, ২৪। মোঃ রবিন(১৯), পিতা-মোঃ জহির, সাং-চৌমুহনী, থানা-ডাবলমুরি, জেলা-চট্রগ্রাম, ২৫। মোঃ সাগর(২০), পিতা-মোঃ কামাল হোসেন, সাং-গুচ্ছ গ্রাম, থানা-নড়িয়া, জেলা-শরিয়তপুর, ২৬। মোঃ ইয়াছিন (২১), পিতা-মৃত খোকন, সাং-চরাদি, থানা-বাকেরগঞ্জ, জেলা-বরিশাল, ২৭। শাকিল আহমেদ সুমন(৩৫), পিতা-মৃত সিরাজুল ইসলাম, সাং-বহরপুর, থানা-রাজপাড়া, জেলা-রাজশাহী, ২৮। মোঃ জুয়েল রানা(২৮), পিতা-মোঃ নয়ন মিয়া, সাং-দামুড্যা, থানা-শ্রীনগর, জেলা-মুন্সিগঞ্জ, ২৯। মোঃ সাদ্দাম শেখ(২২), পিতা-আব্দুল হক শেখ, সাং-সাইন বোড, গোলাবাইরা, থানা-মোকছেদপুর, জেলা-গোপালগঞ্জ, ৩০। মোঃ শাকিব মিয়া(১৯), পিতা-মৃত শামীম, সাং-হাতিরঝিল পার্ক ভাসমান, থানা-হারিঝিল, ডিএমপি, ঢাকা, ৩১। মোঃ শান্ত(২১), পিতা-মোঃ জলিল, সাং-চেয়ারম্যান বাড়ী, ফতুল্লা রেলষ্টেশন, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়ণগঞ্জ, ৩২। মোঃ আরিফ হোসেন(২০), পিতা-মোঃ হেলাল, সাং-কুন্দিপাড়া, থানা-গলাচিপা, জেলা-পটুয়াখালী, ৩৩। মোঃ পারভেজ (২৮), পিতা-মোঃ রাজ্জাক মোল্লা, সাং-কুড়িডেগারচর, থানা-জাজিড়া, জেলা-শরীয়তপুর, ৩৪। মোঃ জালাল (২২), পিতা-জাহের মিয়া, সাং-শাহবাগ এলাকায় ভাসমান, থানা-শাহবাগ, ডিএমপি, ঢাকা, ৩৫। মোঃ সোহাগ (২৮), পিতা-মৃতঃ কামাল, সাং-শাহবাগ এলাকায় ভাসমান, থানা-শাহবাগ, ডিএমপি, ঢাকা, ৩৬। মোঃ রাব্বি (২৫), পিতা-মোঃ আলীম, সাং-শাহবাগ এলাকায় ভাসমান, থানা-শাহবাগ, ডিএমপি, ঢাকা, ৩৭। শামীম (১৮), পিতা-মোঃ হারুন, সাং-শাহবাগ এলাকায় ভাসমান, থানা-শাহবাগ, ডিএমপি, ঢাকা, ৩৮। মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক (৪৮), পিতা-মোতালেব, সাং-গুলিস্থান এলাকায় ভাসমান, থানা-পল্টন মডেল, ডিএমপি, ঢাকা, ৩৯। মোঃ রাকিব (২০), পিতা-নুরল মিয়া, সাং-গুলিস্থান এলাকায় ভাসমান, থানা-পল্টন মডেল, ডিএমপি, ঢাকা, ৪০। মোঃ রানা (২০), পিতা-মোঃ মনির হোসেন, সাং-গুলিস্থান এলাকায় ভাসমান, থানা-পল্টন মডেল, ডিএমপি, ঢাকা, ৪১। মোঃ অলীমউদ্দিন শেখ (৩০), পিতা-সামসুদ্দিন শেখ, সাং-গুলিস্থান এলাকায় ভাসমান, থানা-পল্টন মডেল, ডিএমপি, ঢাকা, ৪২। মোঃ তারেক হোসেন (২০), পিতা-অলী আহম্মেদ, সাং-গুলিস্থান এলাকায় ভাসমান, থানা-পল্টন, ঢাকা, ৪৩। মোঃ নুর ইসলাম (৪৫), পিতা-খলিল মৃধা, সাং-গুলিস্থান এলাকায় ভাসমান, থানা-পল্টন, ডিএমপি, ঢাকা, ৪৪। মোঃ আজিজ (৩২), পিতা-হোসেন আলী, সাং-গুলিস্থান এলাকায় ভাসমান, থানা-পল্টন, ডিএমপি, ঢাকাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

 

https://www.youtube.com/watch?v=tnGWlaeW9-U

গ্রেফতারকালে উক্ত আসামীদের নিকট হতে সুইচ গিয়ার ০৫ টি, চাকু ০৩ টি, ক্ষুর ০৪ টি, এন্টিকাটার ০৩ টি, তার ০১ টি, বেøড ০২ টি, গামছা ০৪ টি, বিষাক্ত মলম ১৯ টি, মোবাইল ফোন ১৫ টি, সীমকার্ড ১৪ টি, গাঁজা ৭৬০ গ্রাম এবং নগদ ১৪৬০৫/-টাকা উদ্ধার করা হয়।

 

 

গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, রাজধানীর লঞ্চঘাট, বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন এলাকায় অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা ঘোরাফেরা করতে থাকে। তারপর সহজ সরল যাত্রীদের টার্গেট করে কখনও তাদেরকে ডাব, কোমল পানীয় কিংবা পানির সাথে বিষাক্ত চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করে। আবার কখনও যাত্রীবেশে লঞ্চ, বাস ও ট্রেনে চড়ে যাত্রীদের পাশে বসে তাদের নাকের কাছে চেতনানাশক ঔষধে ভেজানো রুমাল দিয়ে যাত্রীদের অজ্ঞান করে থাকে। উক্ত বিষাক্ত পানীয় সেবন করার বা বিষাক্ত স্প্রের ঘ্রাণ নেওয়ার পর উক্ত যাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে তারা ভিড়ের মধ্যে মিশে যায়। এছাড়াও কখনও ভিড়ের মধ্যে যাত্রীদের চোখে-মূখে বিষাক্ত মলম বা মরিচের গুড়া বা বিষাক্ত স্প্রে করে যাত্রীদের যন্ত্রণায় কাতর করে সর্বস্ব কেড়ে নেয়।

 

 

 

এরপর কোন সহৃদয় ব্যক্তি উক্ত অজ্ঞান বা অসুস্থ যাত্রীকে হাসপাতালে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে। চেতনানাশকের পরিমান বেশী হলে উক্ত ভুক্তভোগীর জ্ঞান ফিরতে ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত লেগে থাকে। অজ্ঞানপার্টির শিকার ব্যক্তি শারিরীকভাবে দুর্বল ও বয়স্ক হলে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। অন্যদিকে ভূক্তভোগীর চোখে-মূখে বিষাক্ত মলম লাগানোর ফলে তার দৃষ্টিশক্তি চিরতরে হারানোর সম্ভাবনা থেকে যায়। অজ্ঞানপার্টির শিকার ভূক্তভোগীর চেতনা না থাকায় তিনি পরিবারের সাথে জ্ঞান ফেরার পূর্ব পর্যন্ত যোগাযোগ করতে পারেননা। উক্ত সময়ে ভূক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা সীমাহীন দূর্ভোগের মধ্যে পড়েন। তারা স্বজনদের খোঁজে দিশাহারা হয়ে দ্বিগবিদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। এসব অজ্ঞানপার্টির সদস্যদের ভূক্তভোগীরা খুব কম ক্ষেত্রেই সনাক্ত করতে পারেন। ফলে এসব অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা নির্বিঘেœ তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।

 

 

অন্যদিকে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারীরা রাজধানীর বিভিন্ন অলি গলিতে উৎপেতে থাকে। সুযোগ পাওয়া মাত্রই তারা পথচারী, রিকশা আরোহী, যানজটে থাকা সিএনজি, অটোরিকশার যাত্রীদের ধারালো অস্ত্র প্রদর্শন করে সর্বস্ব লুটে নেয়। সন্ধ্যা হতে ভোর পর্যন্ত তুলনামূলক জনশূন্য রাস্তা, লঞ্চঘাট, বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন এলাকায় ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তাদের ছিনতাইকাজে বাধা দিলে তারা নিরীহ পথচারীদের প্রাণঘাতী আঘাত করতে দ্বিধা বোধ করেনা।

 

 

খিলগাঁও মালিবাগ রেইল গেইট, দৈনিক বাংলা মোড়, পীরজঙ্গি মাজার ক্রসিং, কমলাপুর বটতলা, মতিঝিল কালবার্ট রোড, নাসিরের টেক হাতিরঝিল, শাহবাগ, গুলবাগ, রাজউক ক্রসিং, ইউবিএল ক্রসিং পল্টন মোড়, গোলাপ শাহর মাজার ক্রসিং, হাইকোর্ট ক্রসিং, আব্দুল গণি রোড, মানিকনগর স্টেডিয়ামের সামনে, নন্দীপাড়া ব্রিজ, বাসাবো ক্রসিং এলাকায় সন্ধ্যা হতে ভোর রাত পর্যন্ত ছিনতাইকারীদের তৎপরতা বেশি পরিলক্ষিত হয়।

 

 

এ সকল অজ্ঞানপার্টি ও ছিনতাইকারীদের আইনের আওতায় আনার ফলে পথচারীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। রাজধানীবাসী এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে রাজধানীতে আগত যাত্রীরা যাতে নিরাপদে দৈনন্দিন কাজকর্ম সম্পন্ন করে নির্বিঘেœ স্বস্তির সাথে বাড়ী ফিরে যেতে পারেন এলক্ষ্য নিয়ে সংঘবদ্ধ অজ্ঞানপার্টি ও ছিনতাইকারী চক্রের বিরুদ্ধে র‌্যাবের সাড়াঁশি অভিযান অব্যাহত থাকবে। ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

বীণা রানী দাস, পিপিএম (বার)
অতিরিক্তি পুলিশ সুপার
স্টাফ অফিসার (অপস্ ও ইন্ট শাখা)
পক্ষে পরিচালক

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

মহাসড়কে পণ্যবাহী যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি চক্রের ১১ জনকে আটক করেছে র‌্যাব।

সংঘবদ্ধ মলমপার্টি ও ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতাসহ মোট ৪৪ জন গ্রেফতার: অজ্ঞান ও ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত বিষাক্ত মলম ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র উদ্ধার।

আপডেট সময় ০১:২৫:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুন ২০২২

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

র‌্যাবের অভিযানে রাজধানীর পল্টন, মতিঝিল, শাহবাগ ও খিলগাঁও এলাকা হতে সংঘবদ্ধ মলমপার্টি ও ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতাসহ মোট ৪৪ জন গ্রেফতার: অজ্ঞান ও ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত বিষাক্ত মলম ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র উদ্ধার।

 

এলিট ফোর্স হিসেবে র‌্যাব আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই আইনের শাসন সমুন্নত রেখে দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে অপরাধ চিহ্নিতকরণ, প্রতিরোধ, শান্তি ও জনশৃংখলা রক্ষায় কাজ করে আসছে। বর্তমান সময়ে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসী, প্রতারক চক্র, চাঁদাবাজ, ধর্ষণকারী, নৈরাজ্যকারী, বিভিন্ন মামলার আসামী, অপহরণকারী, মানব পাচারকারী, জালনোট ব্যবসায়ী এবং ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র‌্যাব সদা সচেষ্ট।

 

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী ও পথচারী অজ্ঞানপার্টি ও ছিনতাইকারী কবলে পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে জখমপ্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকেন। এসব ভুক্তভোগীদের বেশির ভাগই কোন আইন শৃংখলা বাহিনীর দারস্থ হয় না। ফলে সংঘবদ্ধ অজ্ঞানপার্টি ও ছিনতাইকারী চক্রের তৎপরতা দিন দিন বেপরোয়াভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অজ্ঞানপার্টি ও ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যদের প্রায় সকলেই মাদকাসক্ত। সাম্প্রতিককালে অজ্ঞানপার্টি ও ছিনতাইকারী চক্রের তৎপরতা বৃদ্ধির বিষয়টি ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হচ্ছে। ফলশ্রæতিতে র‌্যাব উক্ত অজ্ঞানপার্টি ও ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

 

 

এরই ধারাবাহিকতায় ০৭/০৬/২০২২ খ্রিঃ তারিখ সন্ধ্যা হতে রাত পর্যন্ত র‌্যাব-৩ এর কয়েকটি আভিযানিক দল একযোগে রাজধানীর পল্টন, মতিঝিল, শাহবাগ ও খিলগাঁও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অজ্ঞানপার্টি ও ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য ১। মোঃ মিজু (২২), পিতা-শাহআলম, সাং-বস্তল, থানা-সোনারগাঁও, জেলা-নারায়নগঞ্জ, ২। মোঃ উজ্জল (২৫), পিতা-শাহজাহান, সাং-বাটকাঠি, থানা-রাজাপুর, জেলা-ঝালকাঠী, ৩। স্বাধীন (২০), পিতা-শাহেদ, সাং-ভূইয়াপাড়া সাক্কু মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া, নাব্বা বাড়ী গলি, থানা-খিলগাঁও, ঢাকা, ৪। মোঃ  জিসান (২২), পিতা-মৃত সেলিম, সাং-শ্যামপুর, থানা-ভোলা সদর, জেলা-ভোলা, ৫। মোঃ মাসুদ (১৯), পিতা-মোঃ জাকির হোসেন, সাং-দুদুখানপাড়া, থানা-গোয়ালান্দ, জেলা-রাজবাড়ী, ৬। মোঃ রানা মিয়া (২৩), পিতা-মোঃ ফমর, সাং-অষ্টগ্রাম, থানা-অষ্টগ্রাম, জেলা-কিশোরগঞ্জ, ৭। মোঃ সোহেল মিয়া (২৬), পিতা-মোঃ শাহ আলম মিয়া, সাং-মুগসাইট, থানা-মুরাদনগর, জেলা-কুমিল্লা, ৮। মোঃ মাহফুজ শেখ (৩১), পিতা-সিদ্দিক শেখ, সাং-চিনঘড়ি, থানা-চিতলমারী, জেলা-বাগেরহাট, ৯। মোঃ আলামিন (৪২) পিতা-মোঃ ছাদেক শেখ, সাং-চিনঘড়ি, থানা-চিতলমারী, জেলা-বাগেরহাট, ১০। পংকজ কুমার ভৌমিক (৩৩), পিতা-মৃত অনিল চন্দ্র ভৌমিক, সাং-রামেশ্বরপুর, থানা-কবিরহাট, জেলা-নোয়াখালী, ১১। মোঃ বিল্লাল (৩৫), পিতা-মৃত আদম আলী মোল্লা, সাং-কালিশুরি, থানা-বাউফল, জেলা-পটুয়াখালী, ১২। আব্দুল হালিম (৩৮), পিতা-মৃত নূরু মিয়া, সাং-চৌধুরীপাড়া, থানা-রুপগঞ্জ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ, ১৩। জিসান @ শান্ত (২৩), পিতা-সাইদুর রহমান, সাং-চর মালাই, থানা-ডামুড্যা, জেলা-শরীয়তপুর, ১৪। মোঃ রাজিব মৃধা @ আশাদুল (২৬), পিতা-মোঃ ইউনুস মৃধা, সাং-রঘুনাথপুর, থানা-বাকেরগঞ্জ, জেলা-বরিশাল, ১৫। মোঃ শামীম (৩৫), পিতা-মোঃ আব্দুল করিম, সাং-সাত ভাইয়াপাড়া, থানা-সোনরগাঁও, জেলা-নারায়নগঞ্জ, ১৬। মেরাজ (২৮), পিতা-মৃত আক্তার হোসেন সরদার, সাং-ছালেনগর, থানা-বন্দর, জেলা-নারায়নগঞ্জ, ১৭। মোঃ সুমন (৩০), পিতা-মৃত আজাদ সরদার, সাং-শিববাড়ী, থানা-সোনাডাঙ্গা, জেলা-খুলনা, ১৮। মোঃ রিপন মোল্যা (৩২), পিতা-মৃত মনা মোল্যা, সাং-রানিয়ার কাইজার চর, থানা-মুন্সিগঞ্জ সদর, জেলা-মুন্সিগঞ্জ, ১৯। ফরহাদ (২২), পিতা-মোহাম্মদ আলী, সাং-জুরাইন রেলগেট, থানা-শ্যামপুর, ডিএমপি, ঢাকা, ২০। মোঃ রিংকু (৩৫), পিতা-মোঃ খোকন মিয়া, সাং-দেবরাজ, থানা-মোড়লগঞ্জ, জেলা-বাগেরহাট, ২১। মোঃ সজিব হোসেন(২০), পিতা-মৃত সিরাজ, সাং-ভাটিয়া, থানা-করিমগঞ্জ, জেলা-কিশোরগঞ্জ, ২২। মোঃ আরিফ হোসেন(১৮), পিতা-মোঃ সহিদুল ইসলাম, সাং-মোল্লাকান্দি, থানা-জাজিরা, জেলা-শরিয়তপুর, ২৩। মোঃ বেলাল হোসেন(১৮), পিতা-মোঃ নুর হোসেন, সাং-মানিকপুর, থানা-সায়েদাগঞ্জ, জেলা-হবিগঞ্জ, ২৪। মোঃ রবিন(১৯), পিতা-মোঃ জহির, সাং-চৌমুহনী, থানা-ডাবলমুরি, জেলা-চট্রগ্রাম, ২৫। মোঃ সাগর(২০), পিতা-মোঃ কামাল হোসেন, সাং-গুচ্ছ গ্রাম, থানা-নড়িয়া, জেলা-শরিয়তপুর, ২৬। মোঃ ইয়াছিন (২১), পিতা-মৃত খোকন, সাং-চরাদি, থানা-বাকেরগঞ্জ, জেলা-বরিশাল, ২৭। শাকিল আহমেদ সুমন(৩৫), পিতা-মৃত সিরাজুল ইসলাম, সাং-বহরপুর, থানা-রাজপাড়া, জেলা-রাজশাহী, ২৮। মোঃ জুয়েল রানা(২৮), পিতা-মোঃ নয়ন মিয়া, সাং-দামুড্যা, থানা-শ্রীনগর, জেলা-মুন্সিগঞ্জ, ২৯। মোঃ সাদ্দাম শেখ(২২), পিতা-আব্দুল হক শেখ, সাং-সাইন বোড, গোলাবাইরা, থানা-মোকছেদপুর, জেলা-গোপালগঞ্জ, ৩০। মোঃ শাকিব মিয়া(১৯), পিতা-মৃত শামীম, সাং-হাতিরঝিল পার্ক ভাসমান, থানা-হারিঝিল, ডিএমপি, ঢাকা, ৩১। মোঃ শান্ত(২১), পিতা-মোঃ জলিল, সাং-চেয়ারম্যান বাড়ী, ফতুল্লা রেলষ্টেশন, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়ণগঞ্জ, ৩২। মোঃ আরিফ হোসেন(২০), পিতা-মোঃ হেলাল, সাং-কুন্দিপাড়া, থানা-গলাচিপা, জেলা-পটুয়াখালী, ৩৩। মোঃ পারভেজ (২৮), পিতা-মোঃ রাজ্জাক মোল্লা, সাং-কুড়িডেগারচর, থানা-জাজিড়া, জেলা-শরীয়তপুর, ৩৪। মোঃ জালাল (২২), পিতা-জাহের মিয়া, সাং-শাহবাগ এলাকায় ভাসমান, থানা-শাহবাগ, ডিএমপি, ঢাকা, ৩৫। মোঃ সোহাগ (২৮), পিতা-মৃতঃ কামাল, সাং-শাহবাগ এলাকায় ভাসমান, থানা-শাহবাগ, ডিএমপি, ঢাকা, ৩৬। মোঃ রাব্বি (২৫), পিতা-মোঃ আলীম, সাং-শাহবাগ এলাকায় ভাসমান, থানা-শাহবাগ, ডিএমপি, ঢাকা, ৩৭। শামীম (১৮), পিতা-মোঃ হারুন, সাং-শাহবাগ এলাকায় ভাসমান, থানা-শাহবাগ, ডিএমপি, ঢাকা, ৩৮। মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক (৪৮), পিতা-মোতালেব, সাং-গুলিস্থান এলাকায় ভাসমান, থানা-পল্টন মডেল, ডিএমপি, ঢাকা, ৩৯। মোঃ রাকিব (২০), পিতা-নুরল মিয়া, সাং-গুলিস্থান এলাকায় ভাসমান, থানা-পল্টন মডেল, ডিএমপি, ঢাকা, ৪০। মোঃ রানা (২০), পিতা-মোঃ মনির হোসেন, সাং-গুলিস্থান এলাকায় ভাসমান, থানা-পল্টন মডেল, ডিএমপি, ঢাকা, ৪১। মোঃ অলীমউদ্দিন শেখ (৩০), পিতা-সামসুদ্দিন শেখ, সাং-গুলিস্থান এলাকায় ভাসমান, থানা-পল্টন মডেল, ডিএমপি, ঢাকা, ৪২। মোঃ তারেক হোসেন (২০), পিতা-অলী আহম্মেদ, সাং-গুলিস্থান এলাকায় ভাসমান, থানা-পল্টন, ঢাকা, ৪৩। মোঃ নুর ইসলাম (৪৫), পিতা-খলিল মৃধা, সাং-গুলিস্থান এলাকায় ভাসমান, থানা-পল্টন, ডিএমপি, ঢাকা, ৪৪। মোঃ আজিজ (৩২), পিতা-হোসেন আলী, সাং-গুলিস্থান এলাকায় ভাসমান, থানা-পল্টন, ডিএমপি, ঢাকাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

 

https://www.youtube.com/watch?v=tnGWlaeW9-U

গ্রেফতারকালে উক্ত আসামীদের নিকট হতে সুইচ গিয়ার ০৫ টি, চাকু ০৩ টি, ক্ষুর ০৪ টি, এন্টিকাটার ০৩ টি, তার ০১ টি, বেøড ০২ টি, গামছা ০৪ টি, বিষাক্ত মলম ১৯ টি, মোবাইল ফোন ১৫ টি, সীমকার্ড ১৪ টি, গাঁজা ৭৬০ গ্রাম এবং নগদ ১৪৬০৫/-টাকা উদ্ধার করা হয়।

 

 

গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, রাজধানীর লঞ্চঘাট, বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন এলাকায় অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা ঘোরাফেরা করতে থাকে। তারপর সহজ সরল যাত্রীদের টার্গেট করে কখনও তাদেরকে ডাব, কোমল পানীয় কিংবা পানির সাথে বিষাক্ত চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করে। আবার কখনও যাত্রীবেশে লঞ্চ, বাস ও ট্রেনে চড়ে যাত্রীদের পাশে বসে তাদের নাকের কাছে চেতনানাশক ঔষধে ভেজানো রুমাল দিয়ে যাত্রীদের অজ্ঞান করে থাকে। উক্ত বিষাক্ত পানীয় সেবন করার বা বিষাক্ত স্প্রের ঘ্রাণ নেওয়ার পর উক্ত যাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে তারা ভিড়ের মধ্যে মিশে যায়। এছাড়াও কখনও ভিড়ের মধ্যে যাত্রীদের চোখে-মূখে বিষাক্ত মলম বা মরিচের গুড়া বা বিষাক্ত স্প্রে করে যাত্রীদের যন্ত্রণায় কাতর করে সর্বস্ব কেড়ে নেয়।

 

 

 

এরপর কোন সহৃদয় ব্যক্তি উক্ত অজ্ঞান বা অসুস্থ যাত্রীকে হাসপাতালে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে। চেতনানাশকের পরিমান বেশী হলে উক্ত ভুক্তভোগীর জ্ঞান ফিরতে ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত লেগে থাকে। অজ্ঞানপার্টির শিকার ব্যক্তি শারিরীকভাবে দুর্বল ও বয়স্ক হলে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। অন্যদিকে ভূক্তভোগীর চোখে-মূখে বিষাক্ত মলম লাগানোর ফলে তার দৃষ্টিশক্তি চিরতরে হারানোর সম্ভাবনা থেকে যায়। অজ্ঞানপার্টির শিকার ভূক্তভোগীর চেতনা না থাকায় তিনি পরিবারের সাথে জ্ঞান ফেরার পূর্ব পর্যন্ত যোগাযোগ করতে পারেননা। উক্ত সময়ে ভূক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা সীমাহীন দূর্ভোগের মধ্যে পড়েন। তারা স্বজনদের খোঁজে দিশাহারা হয়ে দ্বিগবিদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। এসব অজ্ঞানপার্টির সদস্যদের ভূক্তভোগীরা খুব কম ক্ষেত্রেই সনাক্ত করতে পারেন। ফলে এসব অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা নির্বিঘেœ তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।

 

 

অন্যদিকে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারীরা রাজধানীর বিভিন্ন অলি গলিতে উৎপেতে থাকে। সুযোগ পাওয়া মাত্রই তারা পথচারী, রিকশা আরোহী, যানজটে থাকা সিএনজি, অটোরিকশার যাত্রীদের ধারালো অস্ত্র প্রদর্শন করে সর্বস্ব লুটে নেয়। সন্ধ্যা হতে ভোর পর্যন্ত তুলনামূলক জনশূন্য রাস্তা, লঞ্চঘাট, বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন এলাকায় ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তাদের ছিনতাইকাজে বাধা দিলে তারা নিরীহ পথচারীদের প্রাণঘাতী আঘাত করতে দ্বিধা বোধ করেনা।

 

 

খিলগাঁও মালিবাগ রেইল গেইট, দৈনিক বাংলা মোড়, পীরজঙ্গি মাজার ক্রসিং, কমলাপুর বটতলা, মতিঝিল কালবার্ট রোড, নাসিরের টেক হাতিরঝিল, শাহবাগ, গুলবাগ, রাজউক ক্রসিং, ইউবিএল ক্রসিং পল্টন মোড়, গোলাপ শাহর মাজার ক্রসিং, হাইকোর্ট ক্রসিং, আব্দুল গণি রোড, মানিকনগর স্টেডিয়ামের সামনে, নন্দীপাড়া ব্রিজ, বাসাবো ক্রসিং এলাকায় সন্ধ্যা হতে ভোর রাত পর্যন্ত ছিনতাইকারীদের তৎপরতা বেশি পরিলক্ষিত হয়।

 

 

এ সকল অজ্ঞানপার্টি ও ছিনতাইকারীদের আইনের আওতায় আনার ফলে পথচারীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। রাজধানীবাসী এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে রাজধানীতে আগত যাত্রীরা যাতে নিরাপদে দৈনন্দিন কাজকর্ম সম্পন্ন করে নির্বিঘেœ স্বস্তির সাথে বাড়ী ফিরে যেতে পারেন এলক্ষ্য নিয়ে সংঘবদ্ধ অজ্ঞানপার্টি ও ছিনতাইকারী চক্রের বিরুদ্ধে র‌্যাবের সাড়াঁশি অভিযান অব্যাহত থাকবে। ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

বীণা রানী দাস, পিপিএম (বার)
অতিরিক্তি পুলিশ সুপার
স্টাফ অফিসার (অপস্ ও ইন্ট শাখা)
পক্ষে পরিচালক